-কি করো?
-বাদাম বেঁচি,
-মানে,,
-মানেআবার কি? বাদাম বেঁচি।
-কোথায় বেঁচো?
-ফাস্ট গেটে,,
.
একটু থেমে নরম গলায় জিজ্ঞেস করে স্বর্ণা,
-আতিক তুমি সত্যি সত্যি বাদাম বেঁচ তেছো?
.
আতিক সহজ স্বাভাবিক গলায় বলে,
-হ্যাঁ,বাবা।
-তাই বলে তুমি আমার বান্ধবীদের কাছেও
বাদাম বেঁচবা?
-ওরা তোমার বান্ধবী ছিল? আমাকে আগে
বললে আমি আরো কিছু বাদাম বেশি করে
দিতাম।
-কিহ,
-হুম,,
.
স্বর্ণা রেগে গিয়ে বলে,
-ওহ,আচ্ছা। দাঁড়াও আমি আসতেছি।
.
আতিক ভেবে পায়না এতে রেগে যাওয়ার কি
আছে?
বাদাম বেঁচা কি খারাপ?
ছোট বেলায় শিক্ষকেরা অনেক বার
পড়িয়েছে যেন কোন পেশাকেই ছোট করে
দেখা না হয়।
.
অবশ্য আতিক নিজে থেকেই বাদাম বেঁচে নি।
বাদাম ওয়ালার রিকুয়েস্ট এ করেছে। বাদাম
ওয়ালা টয়লেট গেছে। এ কারণে আতিক
বাদামের দোকান পাহাড়া দিচ্ছিল। তবে
অনেক বাদাম ক্রেতারা ঘুরে যাচ্ছিল, তাই ও
হেল্প করার চেষ্টা করেছে এই আর কি।
.
কিছুক্ষন যেতেই স্বর্ণা এসে দাঁড়ায় আতিকের
সামনে। আতিক তখনো বাদাম বেঁচছিল।
স্বর্ণা জিজ্ঞেস করে,
-তোমার ক্লাস নাই?
-আছে,,
-তোমার কি টাকার অভাব?
-কেন?
-বাদাম কেন বেঁচতেছো,,
-বাদাম খাওয়ার বদলে,,
-এত টিউশনির টাকা কই যায়,,
-টাকা দিয়ে কেনার চাইতে, এমনি খাওয়ার
মজাই আলাদা,
.
আতিক কিছু বাদাম স্বর্ণা দিকে বাড়িয়ে
দিয়ে বলে,
-তুমিও খেয়ে দেখো মজা পাবা,, টাকা দিয়ে
তো সব সময়ই খাও।
-ধুর রাখো,,
-আরে এত রেগে যাও কেন? খাও না বাদাম
ভাল লাগবে।
.
ততক্ষনে বাদাম আলাও চলে এসেছে।।
পাশ থেকে বাদাম আলাও বলল,
-হ,আপা বাদাম খান।আর প্রতিদিন খাবেন
ফ্রি। টাকা লাগবোনা।। তবুও ভাইজান রে
কিছু বলিয়েন না,,
.
আতিক ও গলা মেলালো,
-কি খাবা নাকি বাদাম?
.
স্বর্ণা কিছু বলল না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।ও
নিজের এয়াগ টাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা
করছিল। তখনি বাদাম ওয়ালা আবার বলল,
-ভাইজান, আপা মনি মনে হয় বাদাম খাইবোনা
আমড়া খাইবো, আমড়া আনমু?
.
আতিক কিছু বলতে যাবে তার আগে স্বর্ণাই
বলল,
-এই চুপ তুই। আরেক টা কথা বললে তোর বাদাম
বেঁচা বন্ধ করে দিব।
হুট করে স্বর্ণার এমন জোরালো কন্ঠ শুনে
আতিক ভয় পেয়ে গেল। বাদাম ওয়ালাও ভয়ে
অন্য দিকে চলে গেল।
.
আতিক বাদাম রেখে স্বর্ণার পাশে গিয়ে
বলল,
-আচ্ছা,সর্যি,,
-কিসের সর্যি? সবাই তোমাকে নিয়ে মজা
করতেছে,, এটা তোমার ভাল্লাগে?
-আমি তো শুধু হেল্প করতেছিলাম।
-হেল্প করছো,, কিন্তু মানুষ যে তোমাকে নিয়ে
হাসতেছে তা দেখোনা?
-মানুষ হাসলে কি করব?
-হুম,, কিছুই করবা না। বাদাম বেঁচবা?
.
আতিক কোন জবাব দিল না।
স্বর্ণা এমন করে কেন?
ভালবাসার আগে তো জানতই আতিক এমন।
এখন কেন চেঞ্জ হওয়ার জন্য বলে।
.
-শোন তুমি আর আমার সাথে আর কথা বলবা
না,,
-কেন?
-ব্রেকাপ তাই,,
-এত দ্রুত ব্রেকাপ হয়,,
-ব্রেকাপ কি অনুষ্ঠান করে হয়,,
-না,,
.
আতিক ওর হাতে রাখা বাদামের ঠোঙা টা
স্বর্ণার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
-নাও বাদাম খাও, মাথা ঠান্ডা করো।
-তোমার বাদাম তুমি খাও,,
-উহু,,
-কি করছ তুমি আমার জন্য,,
-কি করবো?
-ভালবাসার মানুষের জন্য অন্য মানুষেরা কত
কি করে,, তুমি কি করছ? বাদাম বেঁচাও,,
একটু তো বদলাতে পারো,,তোমাকে নিয়ে
বান্ধবীদের কাছে পর্যন্ত অপমানিত হতে হয়।
.
আর কিছু বলেনা স্বর্ণা। আতিককেও কোন
কিছু বলার সুযোগ দেয়না। চুপচাপ হেঁটে চলে
যায় ওখান থেকে। এই ছেলেকে ও কেন
ভালবাসে নিজেও জানেনা?
তবে এই ছেলেকে আর ভালবাসা যায়না।।
বাদাম কেন বেঁচতে হবে, আচ্ছা ঠিকাছে
বেঁচো না হয়, তাই বলে প্রেমিকার
বান্ধবীদের কাছে বেঁচতে হবে।আর মানুষ
পাওনা।
.
পুরো দিন কথা হয়না আতিকের সাথে স্বর্ণার।
আতিক কয়েকবার কল দিয়েছিল,ফোন ধরেনি
ও। রাতে একটু খারাপ লাগে স্বর্ণার তবুও
সেটা সহ্য করে যায়। খারাপ লাগাটা আস্তে
আস্তে বাড়তেই থাকে ওর।
.
সবাই কত বার করে কয়েক বার মানা করেছিল
যেন আতিকের সাথে প্রেম না করে।
কারো কথাই শোনেনি ও।
সব ভালবাসা আতিকের মধ্যই দেখেছিল।
.
-আপু আপু,
স্বর্ণা চোখ খুলে তাকায় সামনে। ওর ছোট
বোন ডাকছে।এমন ভাবে ডাকছে মনে হয় কি
না কি হয়ে গেছে?
-কি হয়েছে?
-একটা আমড়া আলা আসছে বাসায়?
-আমরা ওয়ালা?
-হ্যাঁ,
-কেন?
-জানিনা তো,তোমাকে খুঁজে,,
-কিছু বলেনাই?
-এক ডালি আমড়া আনছে,
-কিসের জন্য?
-কে জানি পাঠাইছে নাকি?
-আচ্ছা।
.
স্বর্ণা বিছানা থেকে উঠে গিয়ে বসার রুমে
যায়। গিয়ে দেখে সকালের বাদাম আলা।
একডালি আমড়া সহ মেঝেতে বসে আছে।
স্বর্ণাকে দেখা মাত্র বাদাম ওয়ালা উঠে
দাঁড়ায়। বলে,
-আপামনি,, কুষ্টিয়ার আমড়া এগুলা,
-আমার এখানে কেন?
-খুব ভাল আমড়া, খাইলে খুব মজা পাবেন।
-কে পাঠাইছে?
-ভাইজান,,
-এক্ষুনি এগুলা নিয়ে চোখের সামনে থেকে দূর
হবি।
-ভাইজান রাগ করবো,,
.
স্বর্ণা একটু চিন্তা করে বলে,
-কই তোর ভাইজান?
-বাইরে,,
-আচ্ছা, এগুলো নিয়ে চল তোর ভাইজানের
কাছে।
.
বাদামওয়ালা আমড়ার ডালি টা মাথায়
নিয়ে, স্বর্ণার পিছন পিছন হাঁটা দেয়।
.
আতিক দাঁড়িয়ে ছিল স্বর্ণাদের বাসার
গেটের কাছে। দেয়ালে হেলান দিয়ে ছিল ও।
স্বর্ণাকে আসতে দেখে ও সোজা হয়ে দাঁড়াল।
-এগুলা কি পাঠাইছ,
-আমড়া,, আমড়া গুলা নাকি খুব ভাল।এর চাইতে
ভাল আমড়া নাকি দেশে নাই।
-কেন আনছ?
-তুমি তো সকালে বললা,আমি তোমার জন্য
কিছু করিনা,
-এই জন্য আমড়া দিবা?
-না আসলে,
-আসলে কি?
-তুমি যাওয়ার পরে বুঝলাম মেয়েরা বাদামের
চাইতে আমড়া বেশি পছন্দ করে,লাইন ধরে
আমড়া কিনতেছে।তাই,
-তাই কি?
-তাই ভাবলাম তুমিও হয়ত পছন্দ করবা। আর খুশি
হয়ে ব্রেকাপ ক্যান্সেল করবা।
.
এটুকু শুনেই স্বর্ণা হেসে ফেলল।
ওর দেখা দেখি আতিকও হেসে ফেলল।বলল,
-মাফ করছ তো?
স্বর্ণা তোমাকে ছাড়া আমার সত্যি চলবেনা।
আমি তোমার মনের মতই হতে চাই,তবে পারিনা
কেন জানি।এমনিতেই ভুল হয়ে যায়। এর পর
থেকে আর হবেনা।
.
স্বর্ণা কোন জবাব দিল না।আমড়া গুলোর
দিকে তাকিয়ে রইল।হয়ত এগুলোতেই ভালবাসা
আছে।
কজনই বা ভালবেসে এত টা করে। ভালবাসার
জন্য কজন পাগলামী করে, ভালবাসার মানে
টা সবার কাছে একেক রকম।তবে যাদের কাছে
ভালবাসার মানেটা এমন, "তোমাকে ছাড়া
আমার চলবে না কোন ভাবেই চলবেনা""
সে সব ভালবাসা হারাতে নেই, কোন ভাবেই
না।
.
গল্প: যে ভালবাসা হারাতে নেই-৪
.
-নাহিদ পারভেজ নয়ন
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
268
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧝:ā§Šā§Ž PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ