āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

496

ফোনটা ভাইব্রেট করেই চলছে ।স্ক্রিনের দিকে অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। আমি ত্রিশ বছরের এক যুবক
তারপরও হাত কাপছে। এতদিন,এতটা বছর পর আবার
01711....,... নাম্বারটা থেকে ফোন এসেছে বিশ্বাসই
হচ্ছেনা। নাম্বার টা দেখে আমার হার্টবিট বাড়ছিল।
মনের মাঝে প্রবল ঝড় বয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ফোনটা
রিসিব করেই ফেললাম। কথাগুলো বলছিল তানভীর।
.
ওপাস থেকে ভেসে এল সেই চিরপরিচিত কন্ঠস্বর। এতবছর
পরও একটুকুও বদলায় নি। সেই আগের মতোই আছে......
>হ্যালো........ । কি হলো কিছু বলছ না যে?(তমা)
.
>না আসলে ছয় বছর পর এই নাম্বার থেকে ফোন আশা করি
নি। তাই বুঝতে পারছি না যে কি বলব।(তানভীর)
.
>তোমাকে আমি এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারি নি।
.
>ওই কথা গুলো রাখো।
.
>আমাকে বলতে দাও প্লিজ।কয়েকদিন থেকেই তোমার
কথা খুব মনে পড়েছিল। কিন্তু ফোন করার ঠিক সাহস
পাচ্ছিলাম না। কাল থেকে তোমার কন্ঠ শুনতে খুব ইচ্ছা
করছিল তাই আজ সাহস করে ফোনটা দিয়েই দিলাম।
কেমন আছো তুমি?
.
>উহুঃ প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সবসময়
ভালো থাকে।
(ওপাস থেকে কিছুক্ষন নিরবতা।)
.
>আমার কথা মনে পড়েনি তোমার?
.
>হ্যা পড়েছে। যখন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতাম তখন
মনে পড়তো,"তুমি ঠিকমত খাচ্ছ তো?" যখন রাতের পর রাত
না ঘুমিয়ে কেদে কেদে অসুস্থ হয়ে পড়তাম,তখন মনে
পড়তো,"তুমি সুস্থ আছো তো?" যখন কোন আনন্দ উৎসবে
সবাই মেতে উঠতো আর আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘন্টার
পর ঘন্টা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতাম,তখন মনে পড়তো,"তুমি
আনন্দ উৎসবের সাথে মিতালী করে আনন্দে মেতে উঠছো
তো?" যখন আয়নায় দিনের পর দিন নিজের না
খাওয়া,অযত্ন আর অবহেলায় শুকিয়ে যাওয়া চেহারাটার
দিকে তাকাতাম,তখন মনে হতো,"তুমি নিশ্চই আরো সুন্দর
হয়েছো?"
.
>(নিশ্চুপ)
.
>তুমি দীর্ঘ ৮ বছর ৭ মাস ২১ দিনের সম্পর্ককে অবহেলার
কালো চাদরে ঢেকে দিয়ে অন্যের হাত ধরে সুখের
সন্ধানে নতুন করে ঘর বাধলে আর আমি ঘন্টার পর ঘন্টা
তোমাকে ফোন দিয়ে চলেছিলাম। কিন্তু তুমি ফোন
রিসিব করার প্রয়োজন বোধ করো নি। সেই তোমার সাথে
ঘুম ব্যাতিত ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে কাটিয়ে দিতাম।
কিন্তূ সেদিন......। নিজেকে ধরে না রাখতে পেরে
তোমার কাজিন হাবিবা কে ফোন দিলাম,কেন তুমি গত
রাত থেকে আমার ফোন রিসিভ করছো না। হাবিবা
বললো ,"ভাইয়া,তমা আপুর তো আজ দুপুরে বিয়ে হয়ে
গেছে।" এ দুঃসংবাদ শুনে নিজেকে স্থির রাখতে না
পেরে সুইসাইড করার জন্য বিষ খেয়ে ফেলি
,
>(ও পাশ থেকে শুধু কান্নার শব্দ পাচ্ছি)
.
>কিন্তু ভাগ্যক্রমে পরের দিন নিজেকে হাসপাতালে
আবিষ্কার করি। তখন মনে পড়েছিল যে,তুমি আমাকে
সারাজীবনের জন্য পর করে দিয়ে সুখে আছো তো?
.
তমা কান্না ভেজা কন্ঠে বললো,
>তানভীর আমাকে ক্ষমা করা যায় না?
.
>ক্ষমাতো আমি তোমাকে পাচ বছর আগেই করে
দিয়েছি। তোমায় ক্ষমা না করলে আমার মনের ক্ষত গুলো
কখনোও শুকাতো না। আচ্ছা এখন তাহলে রাখি?
.
তমা অবিরাম কেদেই চলছে আর বলছে
>তানভীর আর কিছুক্ষন কথা বলি।
.
>ফোনটা রাখ নাহলে আমি রাখতে বাধ্য হবো।
.
>ঠিক আছে রাখলাম পড়ে কথা হবে।বাই।
.
যেদিন তমা বিয়ে করে তার দুই দিন পর তানভীরের bcs এর
ভাইভা ছিল। কিন্তু সে তো এখন হাসপাতালে। তার পর
আমি বললাম,"তানভীর চল আজ গ্রীন লাইনের এসি বাসে
রাতে ঢাকা যাব। কারন তোর ভাইভা আছে। " সে শুনে
মনে হয় আমার উপর রেগে গেল। যাইহোক সেই থেকে
তানভিরের জীবনের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তাই সে নতুন
করে আর স্বপ্ন দেখে না। কিন্তু হঠাৎ করে তমার সাথে
আমার বাস স্টান্ডে দেখা হলো। আমাকে দেখে তমার
খুশির বাধ মনে হয় ভেঙে যাচ্ছে। কত দিন, কত মাস, কত
বছর পর দেখা । তারপর বলছে তানভীর কেমন আছে,কী
করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
.
তানভীর সর্ম্পকে প্রশ্ন শুনে আমি এক প্রকার রেগেই
গেলাম। তারপর নিজেকে সামলিয়ে বললাম,তানভীর
সম্পর্কে না হয় না বলি। কিন্তু তমা থামতেই চাচ্ছে না।
তমা বলল, আমি তানভীরের কাছে ফিরে আসতে চাই।
আমি শুনে তো আকাশ থেকে পড়লাম। তমার কথা শুনে
তানভিরের একটি কথা মনে পড়ল। সে বলেছিল,"তমা
আমার সাথে যে প্রতারনা করেছে সেই একদিন আমার
কাছে ফিরে আসতে চাইবে সেদিন আমি তাকে নিয়ে
ভাববোনা,স্বপ্ন দেখবোনা।" আজ দেখি তাই সত্যি হলো।
আমারো মনে হয় প্রতারক হয়তো ক্ষনিকের জন্য ভালো
থাকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ভালো থাকতে পারে না। যা
হোক তমাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
.
>কেমন আছো ?
.
>তানভীরের সাথে আমি যে অন্যায় করেছি তার জন্য
আমি আজ পৃথিবীর সবথেকে অসুখীদের একজন।(কেদে
কেদে তমা বলল)
.
>কেন?
.
>ব্যাংকার বরের(সাইফ) কথা শুনে আমি সাইফকে নিয়ে
স্বপ্ন দেখা শুরু করি। সেদিন শুক্র বার ছিল ।আমাকে বর
পক্ষ দেখতে আসে। এবং সেদিনই বিয়ে হয়ে যায়। তারপর
এক বছর ভালোই কেটেছে। কিন্তু তারপর থেকে সাইফের
অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ।
.
এখানে তমা তার মনোভাব ব্যাক্ত করেছিল আর অন্য
দিকে তানভীর আমাকে বার বার ফোন দিয়েই চলছিল।
.
তমা>তানভীর আর আমি একই সাথে পড়তাম। আমার
বিয়ের ১ বছর পর বাবা মারা যায়। তারপর থেকে
অর্থলোভী সাইফ আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে
কিন্তু বিয়ের পর বাবা তাকে হ্যান্ডক্যাশ ৭ লাখ টাকা
দিয়েছিল। কিন্তু কীভাবে মা ১০ লাখ টাকা দিবে। তাই
আমার উপর অত্যাচার শুরু করছিল।
.
তমা তার হাতের কব্জির উপর পাচ টি স্ট্রিচ এর দাগ
দেখিয়ে বলল,
>দেখ কীভাবে আমার স্বামী আমাকে পশুর মতো
নির্যাতন করে।
.
তমার কথা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল যে মেয়েটি এক
সময় খুব হাস্যোচ্ছল ছিল। আজ তার জীবনে লোভের
কালো ছায়া বিচরন করছে। আমি তমাকে বললাম।যে
আমার এখন যেতে হবে।
.
তারপর আমি মোটর সাইকেল স্টার্ট দিয়ে চলে আসি।
এদিকে তমা দিনের পর দিন তানভীরকে ফোন দেয় কিন্তু
তানভীর তা রিসিভ করে না। তাই একদিন আননোন
নাম্বার দিয়ে ফোন দেয়।
>হ্যালো কে
.
>আমি
.
>ও তুমি কেন ফোন দিয়েছ?
.
>প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
.
>তমা আল্লার কাছে দুইহাত তুলে ক্ষমা চাও। এবং আমি
মনে করি তিনি তোমাকে ক্ষমা করবে
.
>তানভীর আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই। কত দিন
তোমাকে দেখি না।
তানভীর কথা না বলে ফোনটা কেটে অফ করে রাখল।
ভাবল,সীম কার্ডটা চেন্জ করে ফেলবে। বাসা চেন্জ
করবে।থাকবে না আর এ শহরে।দেখবে না আর তমার
ছায়া।
.
লিখাঃ বিভ্রান্ত মেঘ(ছদ্মবেশী মানব)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ