#তিন_বেকুব
_
ও মা মা গো! পানি পানি ওই কিছু একটা দে? গেল রে গেল ও মা বাচাও? গুরু তোরে আইজ খাইছি? (সৈকত)
-ঐ আমি কি করছি বে? (গুরু)
>এই ক্যারোসিন তেল? (সাদমান)
_আমার সাথে ফাজলামি করিস? (সৈকত)
-তাইলে পরে পেট্রল দেই? না হলে ওকটেন? ডিজেল ও নিতে পারিস? (গুরু)
>সৈকত তোর তো সব পুরে গেল? (সাদমান)
_দোস্ত তোদের পায়ে ধরি আগুনটা নিভা? (সৈকত)
-ওই একটা বস্তা দে তো? (গুরু)
_বস্তা দিয়া কি করবি? (সৈকত)
-একটু কত্তার মত হয়ে বস ? (গুরু)
বসার পর,,,
_ও মা গো একটু আস্তে মার? (আসলে আগুন নেভানো হচ্ছে? বস্তা দিয়ে বাড়ি মেরে)
_
যাই হোক আগুন নেভানো হয়েছে? আসলে ও যখন শুয়ে ছিল আমি আর সাদমান ওর পিছনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি? তাই এমন চিৎকার চেচামেচি? আমরা তিন বন্ধু সেই ছোট কাল থেকে? বলতে গেলে যখন আমরা হাফ প্যান্ট আবার কখন ও প্যান্ট পড়তাম না তখন থেকে বন্ধু! আমি গুরু, নামটা অদ্ভূত মনে হলেও তার কারণ একটা আছে? এটা আমার বন্ধুদের দেওয়া নাম! আর এখন এই নামেই সবাই ডাকে? আর ওরা দুজন হল সৈকত আর সাদমান নাম তো আগেই জেনেছেন তারপরেও বললাম! আমরা তিনজন এক বাসায় থাকি?
_ঐ এখন বল আগুন দিছে? (সৈকত)
-বাইরে ঠাডা পরছে তো? তারই একটু আচ লাগছে মনে হয়(গুরু)
>হুম? (সাদমান)
_ঐ খারা! দেখাচ্ছি মজা? (সৈকত)
অতঃপর শুরু হয়ে গেল বেধরম মারপিট! কে কাকে মারছে তার কোন ঠিক নেই!
_
পরের দিন আমরা সবাই কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম! কিন্তু হঠাৎ সাদমান থমকে দাড়ালো?
-কিরে থামলি কেন? (গুরু)
সাদমান শুধু হা করে তাকিয়ে আছে?
_ঐ ব্যটা কথা কস না ক্যালা?(সৈকত)
>দেখি? (সাদমান)
-কি দেখছ? (গুরু)
>পরি? (সাদমান)
_হালায় মনে হয় পাগল হইছে? (সৈকত)
>ওই দেখ? (সাদমান)
যা দেখালো তাতে আমরাও চোখ সরাতে পারছি না? আহ্ কি অপুর্ব হাসি! খোলা চুলে আউলা বাতাস সব কিছু করে দিল উলাট পালাট! হলুদ জামায় একদম ঝাক্কাস! তাকিয়ে আছি অবাক চোখে?
_প্রেমে পরে গেলাম? (সৈকত)
-হুম! (গুরু)
>আমিও (সাদমান)
-ওই হালায় কস কি? ওটা তোদের ভাবি? (গুরু)
_না তোদের ভাবি?
>আমি আগে দেখছি তাই আমার! তোদের ভাবি?
_আবার শুরু হয়ে গেল মারপিট?
মার চলছে? এমন সময়
~এই আপনারা মারামারি করছেন কেন? (বড় ভাই)
+মেয়ের জন্য (তিন জনে এক সাথে বললাম)
আপনি কি চান?
~মেয়ে খুজছি? (বড় ভাই)
+আমাদের টা নয় তো?
~আপনারা কি কোন হলুদ জামা পরা মেয়েকে দেখেছেন? (বড় ভাই)
এইটা শোনার পর বড় ভাইয়ের উপর দিয়ে যে কি বয়ে গেছে সেটা বলার মত না! (মার হালারে)
অতঃপর দারোয়ানের লাঠির দৌড়ানিতে পলাইতে হল!
কয়েকদিন পর,,,
দোস্ত আর কত দিন সিঙ্গেল থাকমু? (সৈকত)
>আবে তোদের জন্য তো আমার কাজটা হল না? (সাদমান)
-ঐ হালারা তিন জন মিলে আছি আর তোরা সিঙ্গেল আছিস?(গুরু)
_জীবনে তো একটা মেয়ের দরকার আছে? (সৈকত)
-তাহলে চল সাদমানের টারে লইয়া আসি? (গুরু)
>অ্যা, ওই ডারে আমারে দিয়া দিচছ? সাদমান
_আরে ব্যটা দিমু ক্যারে ওইডা তো তোর? আমাগো ভাবি না (সৈকত)
>LOVE U দোস্তরা!
বিকালে,,,
তিনজন মিলে থ্রিকোয়াটার প্যান্ট পরে যাচ্ছি! এমন সময় সেই বড় ভাই আর হলদে পরি আসছে? তবে সাথে আরো দুজন? বড় ভাই যেন মেয়ে তিনটিকে কি যেন বলল? আর ওরা ওদের চোখ গুলো রসগোল্লার মত করে ফেলল!
ও মাগো এরা আমাগো মারে কেন?
<ওই তোরা খুব মাস্তান হইছিস না? (ওদের মধ্যে একজন)
-ইয়ে মানে কেন বলুন তো? (গুরু)
~ও মা গো একদম পয়েন্টে মারছে(সাদমান)
-সৈকত তোর তো ইজ্জত শেষ? (ঝুকতে গিয়ে প্যান্টের তলা ফেটে গেছে?
ওরা তিনজন আমাদের এক এক জনকে বেধরম পেটাচ্ছে? কিন্তু মার ক্ষেতে কেমন জানি বেশ মজা লাগছে? মেয়েদের হাতের মার তো!
_আপনারা আমাদের মারছেন কেন?(সৈকত)
>আমাদের ভাইয়াকে কেন মারছিলেন? (একজন)
-আপনার নাম কি? (সাদমান) একটা মেয়ের হাত ধরে বলতেছে? আর মেয়েটাও সাদমানের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে? সবাই অবাক
>সায়মা? তোমার?
~সাদমান! আপনাকে দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর!(সাদমান)
>তুমিও অনেক সুন্দর? (সায়মা)
<সায়মা হচ্ছে কি? (ওদের মধ্যে ডে লিডার)
>ইয়ে মানে ! (সায়মা)
<ঐ এবার থেকে ভাল ভাবে চলবি? নইলে ভবিষৎ নষ্ট করে দেব? (লিডার)
-কি মেয়েরে বাবা! ও মাগো? ভবিষৎ নষ্ট করে বলে আবার নষ্ট করে দিবে? (গুরু)
>ঐ রিমু আয়?
_এ পাইছি রিমু আহ্ কি নাম? (সৈকত)
সবাই চলে গেল! কিন্তু আউউ!গেছি রে! ওরা দুজন খুব খুশি, আমার টা এত রাগি ক্যারে? যাই হোক আমরাও বাসায় যাই? তাতে আবার সৈকতের পিছন গেছে! তারপরেও হালায় মজায় আছে! ওরা দুজন আগে আগে হেটে যাচ্ছে আর আমি মনমরা হয়ে যাচ্ছি! হালার ফাটা পিছন বারবার আমার সামনে পরতেছে?
_ওই কুত্তা তোর ঘরে বাপ ভাই নাই(সৈকত) ওর পিছনে ঢিল মারছি?
-আছে তবে ফাটা প্যান্ট কারো নাই? (গুরু)
_মজা লস!
~আরে ওর টার নাম তো জানতে পারে নাই তাই ওর কপাল ফেটে গেছে? (সাদমান)
-আচ্ছা তোদের মজা দেখাচ্ছি পরে মজা পাবি? নাম তো তোরাই দিছিস? গুরু? বুঝবি ঠেলা! (মনে মনে)
অতঃপর বাসায় আসলাম! হালারা মাইয়া পাইয়া আমারে ভূলে গেলি? খারা বাশ দিতাছি?
~দোস্ত কালকে দেখা করে যামু? (সাদমান)
_হুম! একদম প্রোপোজ করে দিমু!( সৈকত)
-আচ্ছা এই ব্যপার কাল মজা পাবি? (গুরু)
পরের দিন,,,
ওদের তারাতাড়ি বাসা থেকে বের করে দিলাম! কিছুক্ষণ পর আমিও ওদের পিছন পিছন গেলাম! ওরা মেয়ে দুটোকে খুজতেছে?
কিছুক্ষণ পর
_ওই যে আসছে চল? (সৈকত)
~হুম চল?
এই যে শুনছেন? (সাদমান)
>হুম বলেন?
~সায়মা তুমি আমার সাথে আসো? (সাদমান)
_রিমু তুমি আমার সাথে? (সৈকত)
>কেন?
+আসো বলছি? (একসাথে দুজনেই)
অতঃপর দুজনই দুজনকে নিয়ে দুই দিকে চলে গেল? তবে আমার এখান থেকে সব দেখা যায়?
ওরা দুজনেই প্রোপোজ করছে?
+তুমি আমার দেখা প্রথম দেখা ফুল?
তোমার হাসিতে আমি হয়েছি ব্যাকুল
তোমার জন্য দিতে পারি প্রাণ
সাক্ষি থাকবে আকাশ আর চান্দ
পরেছি তোমার প্রেমে তোমাকে দেখার পরে
ভালবাসব জনম জনম ধরে
সাত জনমের পরে তুমি আমার রবে
বড় বেশি ভালবেসেছি তোমাকে?
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি তোমাকে
আছো তুমি এই হৃদয় মাঝে?
হৃদয়ের সবটা দেবো তোমায়
ভালবাসার বলে?
দেবে কি সেই সুযোগ আমায়?
-আমাকে এই ভাবে বললে তো আমি ত্রে প্রেমে পড়তাম!
যাই হোক যখন হাটু গেরে গোলাপ দিতে যাবে তখনি পিছন ফেটে গেল! আসলে আমি রাতে ওদের প্যান্টের সুতা কেটে রেখে দিয়েছিলাম! আমার সাথে বেয়াদবি?
মেয়ে দুইটা মুখ ঢেকেছে? আসলে তারাতাড়ি করতে গিয়ে ওরা প্যান্ট লক করে নাই! বেটারা বেশ টের পেয়েছে! দু্ই দিকেই বিপদ! আমার যা মজা লাগছে! মেয়ে দুইটা চলে যাচ্ছে? কিন্তু
>আপনি এখানে কি করেন? আর এভাবে হাসতেছেন কেন? (সেদিনের লিডার)
-এমনিতে আসছি? (গুরু)
>আপনাকে একটা কথা বলার ছিল?
-বলেন?
> আমি আসলে কালকের ওই বিষয়টার জন্য দুঃখিত
-আপনি আপনার ভূল বুঝেছেন তাতেই হয়েছে? (গুরু)
>ধন্যবাদ?
-ধন্যবাদ কেন?(গুরু)
>আপনার নাম কি?
-গুরু! আপনার?
>মেঘা,
তারপর ফোন নাম্বার নেওয়া হল! আমাদের কলেজে পড়ে! আর ও দিকে সাদমান আর সৈকত দেখছে আর জ্বলছে লুচির মত ফুলছে! আমাকে অবহেলা করার ফল ভোগ করছে!
যাই হোক বাসায় চলে আসলাম,? দেখি দুজনেই মন মরা হয়ে বসে আছে! আর একটু মজা নেওয়া যেতে পারে,,
-কিরে তোদের কাজ হইছে? (গুরু)
~চুপ কথা বলবি না? (সাদমান)
_আমাদের এত বড় সর্বনাশ করতে পারলি? (সৈকত)
-আমি আবার কি করলাম?(গুরু)
~সব করে এখন আবার বলিশ কি করছিস,,(সাদমান)
ওদের মনে বেশ আগুন জ্বলে আর একটু জ্বালানো যাক,,
মেঘাকে ফোন দিলাম? লাউড দিয়ে,
-কি করো গো?(গুরু)
>কিছু না? তুমি(মেঘা)
-এই তোমার কথাই ভাবছি!
>তাই?
-হুম, দেখনা কি থেকে কি হয়ে গেল?
>হুম! কেমন করে যে এসব হল?
-ভাগ্যে ছিল তাই? সবার ভাগ্য তো আর সমান নয়?
এই কথা শোনার পর দুজনেই চলে গেল! তারপর আরো অনেক কথা হল! এভাবেই কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন! কথা বাড়তে থাকল? হঠাৎ একদিন ও আমাকে আর আমার বন্ধু দের পার্কে যেতে বলল?
যথারিতী পার্কে গেলাম! দেখি ওরা তিনজন হলুদ জামা পরে হাতে গোলাপ নিয়ে আসতেছে! এসে তিন জনেই অামাদের তিন জন কে প্রোপোজ করে বসল, একদম অবাক?
আমরা যেন আকাশের চাদ হাতে পেলাম! একটু ভেবে নিয়ে সবাই হ্যা বলে দিলাম, অবশ্য এটা আমার প্লান! আমি মেঘাকে বলেছিলাম সাদমান আর সৈকতের বিষয়টা! কিন্তু ও যে আমাকে এভাবে আশ্চর্য ভাবে চমকে দেবে আমি ভাবতেও পারিনি?
তারপর থেকে শুরু হয়ে গেল আমাদের মাঝে প্রেম প্রেম খেলা, হাসি ঠাট্টা খুনশুটি ভালই চলছে! কিন্তু কথায় আছে সুখ বেশি দিন থাকে না! ওদের বাসা থেকে ওদের বিয়ে ঠিক করেছে! কিন্তু তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই! আমরা ওদের বিয়ে করতে বলেছি? অবশ্য বিয়ের অগ্রীম দাওয়াত ও চেয়ে নিয়েছি? মেঘা শেষ বারের মত কেদে কেদে আমাকে বলেছিল আমি তোমাকে ছাড়া বাচব না! আমিও বলেছি তুমি না বাচলে আমিও মরে যাব!
এর মধ্যে বাসা থেকে মানে গ্রামের বাসা থেকে বাবার ফোন শিঘ্রই বাসা যেতে হবে!
আর বিয়েটা খাওয়া হল না! বাসায় গেলাম
কিন্তু একটু অদ্ভূত লাগছে! বাড়ি ভর্তি আত্বীয়! কেমন জানি বিয়ে বিয়ে ভাব! সবাই কেমন ভাবে জানি আমাদের দেখছে!
কিছুক্ষণ পর
দুলাভাই বলছে তারাতাড়ি রেডি হয়ে নাও!
-কেন? কোথায় যাব? (গুরু)
<গেলেই বঝিতে পারবা?
কি আর করার! যেতেই হল, আর গিয়ে বুঝতে পারলাম কি হতে চলেছে? অতঃপর বিয়েটা করেই ফেললাম!
একজন অচেনা মানুষকে বিয়ে করলাম! তার সাথে আবার ফুলশয্যা!
দুলাভাইয়ের জেদাজেদিতে ঢুকলাম,
পাশে গিয়ে বসাতে কান্নার আওয়াজ পেলাম!
-একি কাদছো কেন?
>এমনিতেই!
-কন্ঠটা ক্নে জানি চেনা চেনা লাগছে! তাই বললাম
-একটু ঘোমটা তোলো?
>কেন!
-আমার বউকে দেখব না?
>আপনি দেখতে পারেন না?
যেই ঘোমটা তুলেছি আমি পরাই অবাক! এ তো মেঘা! কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব!
ও আমাকে সব বলল, ও আমাদের বাবা মাকে বলেছে আমাদের প্রেমের কথা! আর এটাও বলেছে যে আমরা বিয়ে করব আগামী মাসে! আর তাই বাবা মায়ের এমন সিদ্ধান্ত! আর ও আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য কিছু বলেনি, সাদমান আর সৈকতের ও একি অবস্থা,
-চল ছাদে যাই? (গুরু)
>হুম চল?
-আজ চাদটাও তোমাকে দেখে মুখ লুকাইছে!
>আর পাম্প মারতে হবে না
-না সত্যি বলছি!
>ভালবাসো যে আমায় অনেক তাই?
-হুম সত্যি অনেক ভালবাসি!
অতঃপর ও আমার কাধে মাথা রাখল!
আজ সারা রাত চাদ দেখে কাটিয়ে দিব!
_
লেখা: লিটন (খচ্চোর)
বিদ্র: ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন!
āĻŽāĻ্āĻāĻ˛āĻŦাāĻ°, ā§¨ā§Ģ āĻāĻĒ্āĻ°িāĻ˛, ā§¨ā§Ļā§§ā§
257
āĻāĻ¤ে āĻ¸āĻĻāĻ¸্āĻ¯āĻ¤া:
āĻŽāĻ¨্āĻ¤āĻŦ্āĻ¯āĻুāĻ˛ি āĻĒোāĻ¸্āĻ āĻāĻ°ুāĻ¨ (Atom)
āĻোāĻ¨ āĻŽāĻ¨্āĻ¤āĻŦ্āĻ¯ āĻ¨েāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāĻ¨্āĻ¤āĻŦ্āĻ¯ āĻĒোāĻ¸্āĻ āĻāĻ°ুāĻ¨