āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

489

গাড়িতে ওঠো।
.
জুম্মার নামাজ শেষে বাসায় ফিরছিলাম,তখনি কেও একজন কথাটি বললো।
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা কালো পাজেরো দাঁড়িয়ে আছে। তার ঠিক পাসেই সুপ্তি দাঁড়িয়ে।
.
সুপ্তিকে দেখে একটু অবাকই হলাম।অবাকের চাইতে একটু বেশি ভয়ই পেলাম।এই মেয়ে এই রাস্তার মাঝে যদি কোন খারাপ কিছু করে ফেলে তাহলে মান সন্মান সব যাবে।
এখন আবার তুমি করে বলছে।
.
সুপ্তি আবারও বললো কি হলো দারিয়ে কেন উঠো।
.
আমি আমতা আমতা করে বললাম আসলে আমার একটা কাজ আছে সামনে।সমস্যা নাই আপনি যেতে পারেন।
আমার কথাটি মনে হয় সুপ্তি বিশ্বাস করলো না মানে ঠিক ভাবে নিতে পারলো না।
..
চলো আমিও যাবো।
.
কি বলে মেয়েটা।
এর হাত থেকে বাচার জননে মিথ্যা বললাম আর ইনি এখন আমার সাথে যাবে।
না না আপনি কেন যাবেন আর বাইরে অনেক রোদ। আপনার কষ্ট হবে তো।
তার চেয়ে আপনি গারিতেই চলে যান।আমি কাজ শেষে চলে যাব।
আহাদ,,, তোমার কোন কাজ নেই এইটা আমি ভাল করেই জানি আর তুমি আমার সাথে কেন যেতে চাচ্ছ না এটাও আমি জানি।
হঠাৎ সুপ্তির কথাটা শুনে আমার ভয়ের মাত্রাটা আরও একটু বেড়ে গেল।
তাহলে কি ও সব বুঝে ফেলেছে নাকি।ভাবতেই কেমন যেন লাগতেছে।
যখন নানা ভাবে বুঝাতে চাইছি তখন বোঝে নাই কিন্তু এখন কিভাবে কি।
'
আমি কিছু বলার আগেই সুপ্তি আমার হাত ধরে গাড়িতে উঠালো।এই প্রথম বার আমি সুপ্তির স্পর্শ পেলাম।
কিন্তু এখন আমার খারাপের চাইতে ভাল লাগার পরিমানটাই বেশী।
-
গন্তব্য কোথায় তা জানি না।তবে সুপ্তির পাশে বসে থাকতে ভালোই লাগছে।কেমন একটা মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি সুপ্তির গা থেকে।
..--..................
স্যার!
.
অফিসে বসে কাজ করছিলাম তখনি কেও স্যার বলে ডাক দিল।
'
তাকিয়ে দেখি রফিক ভাই দাড়িয়ে আছে।রফিক ভাই এই অফিসের পিয়ন।
আমি বললাম,
হুম বলেন।
বড় স্যার আপনাকে ডাকছে।এখনি যেতে বললো।
-আপনি যান আমি আসছি।
.
আহাদ সাহেব ও হলো আমার মেয়ে সুপ্তি।আজ থেকে এই অফিস ওই দেখাশোনা করবে।
আমার জায়গায় এখন থেকে আমার মেয়েই বসবে।আর আপনি ওকে সব কাজে সাহায্য করবেন।
"
জ্বী স্যার।কোন সমস্যা হবে না।আপনি নিশ্চন্ত থাকতে পারেন।
..
সুপ্তি!ও হলো আহাদ।তোমার কোন সাহায্য লাগলে ওকে বলবে।
হায়,আমি সুপ্তি।নউরিন জান্নাত সুপ্তি।
আহাদ।আজিজুল হাকিম আহাদ।
,
সেদিন খুব একটা কথা হয়নি সুপ্তির সাথে।
...
কি মিষ্টি একটা মেয়ে।মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে।
এই কয়েকদিনে সুপ্তির সাথে আমার ভালই ভাব হয়ে গেছে।কোন সমস্যা হলেই আমার কাছেই চলে আসে।
.
আমিও সুপ্তিকে মাঝে মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি।
কেমন যেন ভাল লাগা কাজ করে মনের মাঝে।
আমি কি মেয়েটার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি নাকি!
........
আমার ডেক্সে প্রতিদিন গোলাপ ফুল কে রাখে আপনি কি জানেন?
হঠাৎ সুপ্তির মুখে এই কথা শুনে আমি কিছুটা অবাক হলাম।
আমি,, আমি কিভাবে জানবো।
আপনি কি সত্যিই জানেন না?সুপ্তি মুচকি হেসে কথাটি বললো।
কি বলবো এখন।আসলে সুপ্তির ডেক্সে আমিই প্রতিদিন গোলাপ রাখতাম।মেয়েটাকে কখন ভালবেসে ফেলেছি আমি নিজেই বুঝতে পারিনি।
'
আমি গোলাপের কথাটা কোন মতে কাটিয়ে কাজের কথায় আসলাম।
উফ এই বিপদের হাত থেকে তো বেচে গেলাম।
........
এইটা কি? কথাটি বলে সুপ্তি আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো।
রিজাইন লেটার।
_রিজাইন লেটার! কার?
আমার।
আপনি মজা করছেন তাই না।
আমি সিরিয়াস।
'
সুপ্তির মুখটা এবার মলিন হয়ে গেল।
আমি আর দাড়ালাম না।কথাটি বলেই চলে আসলাম।
____
আজ যখন অফিসে আসলাম তখন ই সুপ্তি আমার হাতে একটা কার্ড ধরিয়ে দিল।
এইটা কিসের কার্ড। কথাটি বলে আমি সুপ্তির দিকে তাকালাম।
.বিয়ের।
আমাকে যে প্রতিদিন গোলাপ দিত তাকে আমি পেয়ে গেছি।আমারও অনেক ভাল লেগেছে তাকে।তাই আর দেড়ি না করে শুভ কাজটা করতে চাই।
.
সুপ্তির কথা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম।কি বলে মেয়েটা।
গোলাপ তো আমি দিতাম।তাহলে ও কাকে ধরে ফেললো।
আমার এতদিনের সব চেষ্টা তাহলে বৃথা গেল।আমি আর কিছু বলতে পারলাম না।
..
আগামী শুক্রবার বিয়ে।আপনি না আসলে কিন্তু আমি বিয়েটা করবো না কথাটি বলে সুপ্তি একটু মুচকি হেসে চলে গেল।
'
আসলে সুপ্তির বিয়েটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না।তাই আর মায়া না বাড়িয়ে সুপ্তির থেকে দূরে থাকার জননে আজ ই রিজাইন লেটার টা দিয়ে আসলাম।
...............
প্রতিদিন যে গোলাপ তুমি আমার ডেক্সে রেখে আসতে সেটা কিন্তু আমি জানি।
সুপ্তির কথায় আমার ধ্যান ভাংলো।
সুপ্তির দিকে তাকিয়ে দেখি সে মিষ্টি মিষ্টি হাসতেছে।
ফাজিল মেয়েটা বলে কি।আমি দিতাম জানা সত্তেও অন্য কাউকে বিয়ে করছে।কিন্তু ও তো বলছিলো যে ওকে ফুল দিত তাকে ও পেয়ে গেছে।
উফ এতকিছু আর ভাবতে পারছি না।সুপ্তি মনে হয় আমার মনের কথাটা বুঝতে পারলো।
..
তুমি আসলেই একটা বোকা ছেলে।কার্ডটা ও তো খুলে দেখ নাই।
আমি অবাক না হয়ে পাড়লাম না।
আমি যে কার্ডটা খুলে দেখি নাই এইটা ও কিভাবে জানলো।আসলে সুপ্তির বিয়ের কথা শুনে আর খুলে দেখতে ইচ্ছে হয় নাই।ওই ভাবেই ফেলে রাখছি।
ভালবাসতে পারও আর ভালবাসার কথা বলতে পারও না।
সুপ্তির কথায় আমি কিছু বললাম না।
সুপ্তি আমার দিকে চেপে বসে একটা কার্ড এগিয়ে দিল।
এইটা ওর বিয়ের কার্ড। আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই সুপ্তি বললো, খুলে দেখো।
ইচ্ছে না থাকা সত্তেও আমি কার্ডটা খুললাম।
একি দেখি আমি।কনের জায়গায় সুপ্তি আর বরের জায়গায় আমার নাম দেওয়া।
..
তার মানে এইসব প্লান করে করা।
আমি সুপ্তির দিকে তাকাতেই ও আমার হাতটা ধরে কাধে মাথা রাখলো।
সুপ্তির হাতটা আমি আরও শক্ত করে ধরে ওর কপালে একটা চুমু একে দিলাম।
-----
আমরা কোথায় যাচ্ছি! কথাটি শুনে সুপ্তি মুখ তুলে আমার দিকে তাকালো।
বুদ্ধু একটা। কিচ্ছু বোঝে না।
শুভ দিনে শুভ কাজে যাচ্ছি কথাটি বলে সুপ্তি আমার বুকে মুখ লুকালো।
-
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না শুভ কাজটা কি।
গাড়ি তার নিজস্ব গতিতে চলছে।
গন্তব্য কাজি অফিস।
------------------------
(আমার আর সুপ্তির কাছে আসার গল্প)
-
Abdul Ahad(ভালা পুলা)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ