আজ বৈষাখী অনুষ্ঠান কলেজে। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে গেলাম কলেজে ঘুরতে.....।
.
কলেজে গিয়ে বন্ধুদের ফোন দিয়ে কলেজ অাসতে বললাম। কিন্তু হারামির হাড় রা কয় যে আমাকে কলেজে বসতে তারা নাকি আসছে একটু পরে। এখন কি করবো মনে মনে বন্ধুদের গালি দিয়ে উদ্ধার করলাম। এখন আর কি করার একজাইগাতে চুপ করে বসা যাক আর মেয়ে গুলো আটা ময়দা মেখে যেভাবে এসেছে দেখতে সব ভয়ংকর পেত্নি লাগছে।
.
পিছন থেকে কেও কাব্য বলে ডাক দিলো।পিছনে তাকিয়ে দেখি অনিক ভাই। ডিপার্মেন্টের বড় ভাই। ভাই আমাকে অনেক ভালোবাসে। আর আমিও ভাইকে ভালোবাসি।
ভাই এসে বলে...
*কিরে কাব্য কি করছি একা একা...?
*ভাই সালার বন্ধুদের নাকি আসতে দেরি হবে তাই বসে বসে মেয়ে দেখি..
*বড্ড পেকে গেছি না বড় হয়ে গেছি অনেক
তারপর ভাই একটা বড় নিশ্বাস নিলো। হয়তো কোনো কষ্টের কথা মনে পড়েছে তাই মনটা খারাপ হলো ভাই এর।
.
ভাই বললো চল কাব্য অন্য জাইগাতে বসি...
আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে গায়ে গা মিলিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।
ভাইয়ের চেহারাটা দেখলাম ক্ষনিকেই ফ্যকাশে হয়ে গেলো। চোখে মুখে কান্নার আভা। হারিয়ে গেলো সেই হাসি খুশি মানুষটার হাসি গুলো। এর কি কারন হতে পারে....
হয়তো এই মেয়েটা। মেয়েটা দেভতে বেস সুন্দর। কিন্তু ভাই কি চেনে এই মেয়েটাকে। আমার জানার ইচ্ছা হলো কি হয়েছে ভাইয়ের। যে কারনে আজ প্রথম চোখে পানি দেখতে পাচ্ছি। ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি ভাইয়ের চোখে পানি টলমল করছে...
ভাইকে ওখান থেকে নিয়ে এক নিরিবিলি জাইগাতে বসলাম। আমি অনিক ভাইয়ের কাছে জানতে চাওয়াটাকে বেটার মনে করছি না...। তাই আমি আর ভাই দুজনেই নিরবে বসে আছি।। কোনো কথা নেই
.
হঠাৎ অনিক ভাই বললো...
*কাব্য....
*হুম ভাই
*একটা গল্প শুনবি...?
*গল্প...!
*হুম গল্প আমার জিবনের গল্প
একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেলে যে তার কষ্টের গল্প গুলো কাওকে শুনাতে চায় তা আমার জানা নেয়। আর আমারও শোনার
আগ্রহ হলো.
.
*বলেন ভাই. শুনবো.....
*তাহলে শোন...
.
আজ থেকে ২ বছর আগে যখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ার পড়ি তখন একদিন কলেজে বসে বন্ধু দের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা মেয়ে আমার সামনে দিয়ে হেটে গেলো আর আমি হাকরে তাকিয়ে আছি সেই মেয়ের দিকে। মেয়েটা আহামরি সুন্দর না তবে বেশ মায়াবি। আমি ক্ষনিকেই হারিয়ে গেলাম মেয়েটার মাঝে....
*কি রে অনিক কি হলো..?
*কিছু না তো(থতমত খেয়ে)
বন্ধুদের ডাকে বাস্তবে ফিরলাম।তারপর দেখি হৃদয় আবির, সোভন ও অরিন অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো। আর আমি একটু হাসার চেষ্টা করলাম।
বন্ধুরা হাসলেো বেস অবাকই হয়েছে কারন এখনো পর্যন্ত কোনো মেয়ে আমারর পছন্দ হয় নি। সবাই চেষ্টা করেছে আমার একটা প্রেম করানোর জন্য কিন্তু আমার তো কাওকে পছন্দই হতো না। আর সেই আমি কি আজকে ক্রাশ খেলাম। এই কারনে বন্ধুরা একটা পার্টির আয়োজন করলো আর পকট টা আমার খসালো........
.
বন্ধুরা খোজ নিতে লাগলো মেয়েটার। মেয়েটার নাম হচ্ছে মেঘা। মেঘা অনেক ধনী পরিবারের মেয়ে। দেখতেও বেস ভালোই সুন্দর। যেকোনো ভালোছেলের সাথে ওর বিয়ে হবে। তাই মনটা একটু খারাপ হলো কারন আমি তো সাধারন পরিবারের ছেলে। এই ভেবে মনটা খারাপ হলো। কিন্তু কিছুতেই মেঘাকে ভুলতে পারছি না। মেয়েটার কথায় বার বার মনে পড়ছে। মেয়েটা যখন আমার সামনে দিয়ে গেলো তখন একটা নীল সালোয়ার, চুল টা ছাড়া আর সামনের চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গালের উপর বারবারর আচড়িয়ে পড়ছে। ওহ যা দারুন লাগছিলো। আর মেয়েটা বাচ্চা মেয়ের মতই চুলগুলো বার বার কানে গুজে দিচ্ছিলো। সব কিছু যেনো সেকেন্ডে ঘটে গেলো।
.
এভাবেই ভাবতে ভাবতে দিনগুলো কাটছিলো। সারাদিন মেঘাকেই ভেবে দিন কাটিয়ে দিতাম। কিন্তু এখনো মেঘার সাথে কথা পর্যন্ত বলতে পারি নি। কিন্তু প্রতিদিন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। আমি জানতাম যে মেঘা কোনোদিন আমার হবে না তাই দুর থেকে ভালোবাসা টাই ভালো হবে.....
.
একদিন কলেজে গিয়ে দেখি মেঘা এক ছেলের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো তাই চুপ করে বসে ভাবতে লাগলাম। এমন সময় বন্ধুরা আসলো। তারপর ওদের সব বলার পর বন্ধুরা বললো ছেলেটাকে মারবে আর আজকেই আমাকে বলতে হবে ভালোবাসার কথা। আর আমিও রাজি হলাম।বন্ধুরা ছেলেটাকে ডাক দিলো আর আমি মেঘার সামনে গেলাম। আমার হার্ডবিট তখন অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু কি আর করার বলতে তো হবেই। একবার পিছনে তাকিয়ে দেখলাম বন্ধুরা ওই ছেলেটার সাথে আড্ডা দিচ্ছে আমি একটু সাহস পেলাম আর সামনে গিয়ে মেয়েটিকে ভালোবাসার কথা বলে দিলাম। আমি চুপ করে আছি। মেয়েটা বললো সে আমাকে ভালোবাসে না। তাই আমারর কাছে অনেক আগে থেকে ওর চুরি করে তোলা ছবি ছিলো তাই সেগুলো প্রমান হিসেবে দেখালাম যে তাকে কতদিন ধরে ভালোবাসি। দেখলাম মেয়ঘা একটু অবাক হলো তাি আমি চলে আসলাম। সেদিন আর ক্লাস করলাম ন।
.
রাত্রে আমি শুয়ে শুয়ে মেঘার কথা ভাবছি বলতে চেষ্টা করছি ভোলার জন্য কিন্তু যতই ভুলতে চাচ্ছি ততই কল্পনায় আসে...
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি আণণোন নাম্বার। তাই রিসিভ করলাম না আবার আসলো এবার রিসিভ করে কানে ধরতেই ও পাশথেকে বলে ওঠে আমি মেঘা....
কাল দেখা করো আমার সাথে কলেজে..
.
এভাবে খুব সহজেই রিলেশন তৈরি হয় আমাদের। আমি মেঘাকে খুব ভালোবাসতাম.....আর মেঘাকে দেখেও মনে হতো এমনটাই.....
.
ভাইয়ে চোখটা পানিতে টলমলো করছে। কত কষ্টই না অাছে জিবনটাতে।ভাই বড় একটা নিশ্বাস নিলো। তারপর আবার বলতে শুরু করলো...
.
কিন্তু বেশিদিন সহ্য হলো না আমাদের গল্পটা। মেঘা যেনো ামাকে এড়িয়ে চলতে লাগলো। আমার ফোন ধরেনা আমার সাথে দেখাও করে না। আমি প্রাই পাগল হয়ে গেলাম।.
.
মেঘাকে এক ছেলের হাত ধরে ঘুরতে দেখলাম। তারপর মেঘার কাছে গিয়ে জানতে চাওয়ায় মেঘার কথায় আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে লাগলো..
মেঘা বললো....সে আমায় কখনো ভালোবাসে নি। শুধু টাইমপাস করেছে। তোর কি যোগ্যতা আছে আমার সাথে প্রেম করার। বলে মেঘা ছেলেটার হাত ধরে হাসতে হাসতে চলে গেলো.....
..এখনো আমার কানে বাজে মেঘার সেই কথা... কি যোগ্যতা আছে তোমার আমার সাথে প্রেম করার। আসলেও তো কোনো যোগ্যতা নেই আমার। নেই কোনো টাকা দামি গাড়ি বাড়ি কিছুই তো নেই....
.
আমি কি বলবো অনিক ভাইকে। আমার কোনো ভাষা নাই একজন হাসি খুশি মানুষের জিবনের গল্প যে এত করুন হয় সেটা অনিক ভাইকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। ভাইকে দেখলাম ভাই চোখ মুচ্ছে আমি জিজ্ঞেস করলাম ভাই ওই মেয়েটা কি মেঘা। ভাই মাথা নড়ায়। আর ছেলেটা....?
ভাই বলে না এটা সেই ছেলে না মেঘা নাকি অনেক সম্পর্ক আছে। একেক দিন একেক জনকে নিয়ে ঘোরে...
.
ভাইয়ের চোখ দিয়ে পানি আর আটকালো না। অঝোরে পানি পড়ছে। কাদুক না একটু অনিক ভাই। অনেক দিন হয়তো চাপা কান্না গুলো বুকে আগলে রেখে ভালো থাকার চেষ্টা করেছে। হয়তো মন খুলে একটু কান্নার জন্য জাইগা পাইনা । তাই একটু মন খুরে কান্না করুক।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
507
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§§:ā§§ā§ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ