āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

431

তিতলি কাব্য
Habiba Bristy

তিতলি কথনঃ

পৃথিবীতে কাজের বেটি আছে দু’রকমের। এক, যারা জন্মই নেয় কাজের বেটি হিসেবে। আর দুই, যারা বিভিন্ন চাপে পড়ে কাজের বেটি হতে বাধ্য হয়। আমি বর্তমানে এই দুই গ্রুপের বাইরের কাজের বেটি হিসেবে নিজের বাড়িতে আছি। স্বইচ্ছায়, সানন্দে, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি কলিং বেল বাজার সাথে সাথেই যেন দরজা খুলে দিতে পারি। আমার মা তার অতি আদরে বাঁদর হওয়া একমাত্র অলস মেয়ের এহেন পরিবর্তনে বেজায় খুশি। যদিও তার গুণধর কন্যা শুধুমাত্র দরজা খুলে দেয়ার উপরেই কাজের বেটি হওয়ার ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টায় রত আছে।

অনার্স পাস করা অত্যন্ত ইগোসম্পন্ন এই আমার কাজের বেটিতে পরিনত হবার শুরুটা ছিল সেদিন, যেদিন মার অনেক সাধাসাধির পর আলসেমি ছেড়ে উঠে গিয়ে দরজা খুলেই আমি জীবনে প্রথমবারের মত মনে মনে রবীন্দ্রনাথের লেখা লাইনদুটো আওড়াতে থাকলাম,
‘‘মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে,
বাজিল বুকে সুখের মত ব্যথা।’’

এক হাতে বই আর অন্য হাতে একটা বাটি নিয়ে এক কানাবাবা দাঁড়িয়ে আছে। আমি দরজা খোলাতেও তার কোন ভাবান্তর হলো না। সে এমনভাবে চশমার ভেতর দিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের একটা বইয়ের পাতায় চোখ ডুবিয়ে আছে যেন স্বয়ং নিউটন মশাই বইয়ের পাতায় দৃশ্যমান হয়ে তাকে নিজ মাথায় পড়া আপেল খাওয়ার নিমন্ত্রন জানাচ্ছেন।
গলা খাকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘‘কি চাই?’’
আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে কানাবাবা বই থেকে মুখ না তুলেই বলল, ‘‘খালা, মা এক বাটি লবন চেয়েছে।’’

ঘটনার আকস্মিকতায় আমি বলতে ভুলে গেলাম যে আমি খালা নই, খালার নেক্সট জেনারেশন। মন্ত্রমুগ্ধের মত কানাবাবার হাত থেকে বাটি নিয়ে রান্নাঘর থেকে লবন এনে দিলাম তাকে। আর সেও বাটি নিয়ে বই থেকে প্রথমবারের মত মুখ তুলে মিষ্টি করে হেসে ‘‘থ্যাঙ্ক ইয়্যু খালা’’ বলে বিদেয় হলো। তার একটাবারও মনে হলো না আমি খালা নই।

কানাবাবার প্রস্থানের পর ঘোর কাটলো আমার। সজ্ঞানে ফিরেই ক্রোধান্বিত হয়ে আবিস্কার করলাম কানাবাবা আমাকে ইচ্ছে করেই খালা ডেকেছে কাজের বেটি মনে করে। এবং মুহূর্তেই তার উপর থেকে সমস্ত মুগ্ধতা কেটে গেলো। ক্ষণিক আগের সেই ‘সুখের মতো ব্যথা’ বুকে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক মারারচেও বেশি জোরে বিধতে লাগলো।

কানাবাবার আসল নাম হলো কাব্য। পাশের ফ্ল্যাটের নতুন ভাড়াটে। আমাদের প্রতিবেশী। মার সাথে কানাবাবার মায়ের ভাব ভালবাসা বাড়তে বাড়তে এখন এই অবস্থায় পৌঁছেছে যে এ বাড়িতে সামান্য আলু ভর্তা হলেও ও বাড়িতে তা পৌঁছে যায়। আর বিল্ডিং এর পাশে যে একটা ছোটখাটো বাঁজার রয়েছে একথা তো তেনারা বেমালুম ভুলেই গেছেন। স্বরবর্ণের ‘অ’ থেকে শুরু করে ব্যাঞ্জনবর্ণের ‘চন্দ্রবিন্দু’ দিয়ে যত জিনিসপত্তর আছে তা আনতে দু’বাড়ির বিনে পয়সার কাজের বেটি তিতলি আর কাজের ব্যাটা কাব্যর হাতে থালা বাটি ধরিয়ে দিতে ইতোমধ্যেই বেশ এক্সপার্ট হয়েছেন উনারা।

এই কানাবাবা ক্যাবলা মানে কাব্যকে সবসময় আমার চোখের বালি বানিয়ে রাখতে যার পর নাই প্রচেষ্টা থাকে আমার। তার সাথে বিপরীতার্থক বিপরীতার্থক শব্দ খেলতে বেসম্ভব মজা পাই। সে লবণ চাইতে এলে দিই চিনি। আর হলুদ গুড়ো চাইলে দিই মরিচ গুড়ো। এমনি ক্যাবলা যে একদিন চা পাতার বদলে কালোজিরে দিয়ে দিলাম তবুও সে টের পেলো না।

কাব্য কথনঃ

পৃথিবীতে ফিজিক্সের মতো ইন্টারেস্টিং আর যৌক্তিক বিষয় যেমন আছে তেমনি পাশের ফ্ল্যাটের তিতলি নামক অবিশ্বাস্য বিরক্তিকর আর ব্যাখ্যার অতীত একটা ক্রিয়েচারও আছে।

আমার ২৫ বছরের জীবনে নিজের খালাতো চাচাতো বোনেরা আর গুটিকয়েক মেয়ে ক্লাসমেটসহ ফ্যামিলির সব স্ত্রী লিঙ্গধারী জীবের সাথে মিশে মেয়েজাতির উপর যতটুকু ধারনা হয়েছিল, তা এই মেয়ের সাথে একদিনের পরিচয়ে পুরোটাই উল্টো হয়ে গিয়েছে। তার সাথে প্রথম পরিচয়ের পর কয়েকঘন্টা ধরে শুধুই ভেবেছি ‘‘এটা কি মানুষ? নাকি ভিনগ্রহের কোন এলিয়েন, যে এই গ্রহে ভুল করে ল্যান্ড করেছে।’’

মার কথামত একদিন হলুদ গুড়ো আনতে গেলাম খালার কাছে। সেই মেয়ে আমাকে মরিচগুড়ো দিয়ে দিল। অতটা খেয়াল না করেই মাকে এনে দিলাম। মা গেল রেগে। তার মতে আমিই চাইতে ভুল করেছি। নিজেকে সঠিক প্রমাণের উদ্দেশ্যে মাকে নিয়ে আবার গেলাম সেই মেয়ের কাছে। আমাকে অবাক করে দিয়ে মেয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, ‘‘খালা উনি তো এসেই আমাকে বললেন, এক বাটি মরিচ গুড়ো দাও। মরিচ চেনো? মরিচের সায়েন্টিফিক নেইম হলো ক্যাপসিকাম অ্যানাম।’’

এরকম অস্কার জেতার মতো অভিনয়ের পর আর কিছু বলার ছিল না আমার। এরপর থেকে এই এলিয়েন নিয়মিত আমাদের ফ্ল্যাটে আশা শুরু করলো। আমার বাসায় এসে ওর ভাব ভঙ্গি দেখলে মনে হয় বাসা তার, আমাকে দয়া করে থাকতে দিয়েছে। আমি মাঝে মাঝেই অবাক হয়ে ভাবি একে নাসায় পাঠানোর কোন ব্যবস্থা করা যায় কি না, যেখানে এই কিম্ভূতকিমাকার প্রাণীটিকে নিয়ে গবেষণা করবে বিজ্ঞানীরা। তাকে নিয়ে গবেষণা করার মতো যথেষ্ট বিষয় আছে। তার আচরনের কয়েকটা উদাহরন দিলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।

প্রথমদিন বাসায় এসেই সে দরজা নক না করেই আমার রুমে ঢুকে চিৎকার করে বলল, ‘‘এই ক্যাবলা তুই আমার ব্যাচমেট আগে বলবি না? খালা না বললে তো বোধহয় বলতিই না।’’

আমি চশমা নাকের ওপর থেকে ঠেলে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বের করার চেষ্টা করছিলাম মানুষের সাথে এই এলিয়েনের শারীরিক বৈসাদৃশ্য কোথায়? লেজ কিংবা শিং লুকিয়ে রাখেনি তো?

সে আবার বলল, ‘‘কিরে কানাবাবা একহাত দূর থেকেও দেখতে পাস না নাকি? আমি তিতলি। যার কাছে তুই কাল ফকিরের মতো লবণ আর হলুদ গুড়ো চাইতে গিয়েছিলি।’’

বিরক্তি নিয়ে বললাম, ‘‘আমার নাম ক্যাবলা কানাবাবা নয়। আমি কাব্য।’’
এলিয়েনটা বলল, ‘‘ওই হলো, কাব্য ক্যাবলা কানাবাবা সব একই নাম, ক বর্গীয়।’’

এরপর থেকে এই ছদ্মবেশী সুন্দরী এলিয়েন প্রতিদিন ইচ্ছে করে আমাকে উল্টোপাল্টা জিনিস গছিয়ে দিতে শুরু করলো। ঝগড়া বাঁধিয়ে যে কি সুখ পায় সে তা ঈশ্বর জানেন। আমি ঝগড়া এড়াতে কিছু না বলেই সে যাই দেয় চুপচাপ তাই নিয়ে বের হয়ে বাসার নিচে দোকান থেকে মাকে কিনে এনে দিই।

তিতলি কথনঃ

ইদানীং আমি অন্যের বাসায় কাজের বেটি হিসেবে জয়েন করেছি। নিজের বাসা ছেড়ে সারাদিন কানাবাবার বাসার গিয়ে পড়ে থাকি। এর উদ্দেশ্য শুরুতে কানাবাবাকে বিরক্ত করা ছিলেও গত কয়েকদিন আমি চোখে সরষে ফুলের মত শুধু কানাবাবার মায়া মায়া মুখটাই দেখছি। আর এই সুযোগে রবীন্দ্রনাথ মশাই ডুগডুগি বাজিয়ে আবারও প্রথমদিনের মত আমার কানের ভেতর সুর করে গাইতে শুরু করেছেন,

‘‘প্রহর শেষের আলোয় রাঙা
সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলেম
আমার সর্বনাশ।’’

এই সর্বনাশের শুরুটা ছিল সেদিন, যেদিন কানাবাবাকে বিরক্ত করার নতুন ফন্দি হিসেবে একটা বড় খামের ভেতর ৫টা জীবন্ত তেলাপোকা ভরে ওর ঘরে গিয়ে বললাম, ‘‘এই ক্যাবলা খালু তোকে এটা দিতে বলেছে। তাড়াতাড়ি খুলে দেখ।’’

কানাবাবা বাধ্য ছেলের মত হাত থেকে বই নামিয়ে খামটা হাতে নিয়ে খুলে ফেলার সাথে সাথেই তেলাপোকাগুলো মুক্তির আনন্দে ওর হাত বেয়ে সারা শরীরে ছুটোছুটি শুরু করলো। আমাকে অপ্রস্তুত করে দিয়ে ক্যাবলাটা ভয় পেয়ে মা মা করে চিৎকার করতে করতে তেলাপোকা সরাতে গিয়ে চোখ থেকে চশমা ফেলে ভেঙ্গে আবার সেই কাঁচের টুকরোয় পা কেটে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা সৃষ্টি করলো। যদিও ওর অসহায় মুখটা দেখে নিজের ভেতর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ব্যথাটাকে পাত্তা দিলাম না প্রথমে। অপরাধবোধ নাম দিয়ে পাশ কাটালাম।

কিন্তু সর্বনাশ যে ভাল ভাবেই ঘটেছে সেটা টের পেলাম তার দুদিন পরই। খালা খালু আর আমি সেদিন ‘কাজের বেটি রহিমা’ সিনেমা দেখতে বসেছি। আমার বুদ্ধিতে খালা একপ্রকার জোর করেই কানাবাবাকে ধরে নিয়ে এলো সিনেমা দেখাতে। সিনেমার মাঝপথেই নায়িকা শাবানার সাথে সুর মিলিয়ে আরও একটা কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম যে কিনা ফুপিয়ে কাঁদছে আর নাক টানছে। ওই মুহূর্তে খালা খালুর সাথে আমিও পেট চেপে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেও অবাক বিস্ময়ে আবিস্কার করলাম বুকের বাম পাশে ছোট্ট একটা কোণায় মোচর দিচ্ছিলো কানাবাবার বিব্রত মুখে চোখের পানি আড়াল করতে অসহায়ের মত এদিক ওদিক তাকানো চেহারাটা দেখে। সেই প্রথম খেয়াল করলাম আমি হাসছি, কিন্তু আমার দুচোখে জল উপচে পড়তে চাইছে।

নিজের এই অবস্থা দেখে আমার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করতে লাগলো। কানাবাবা বাটি হাতে আমার কাছে এসে ন্যাকা স্বরে বলছে, ‘‘অ্যাই তিতলি আমাকে এক বাটি ভালবাসা দাও না গো’’ এটা কল্পনা করেই আমার মাথা ব্যথা আরও বেড়ে গেলো। আমার মত ঘোর লুতুপুতু প্রেম বিদ্বেষী নারী কিনা বলা নেই কওয়া নেই দুম করে একটা ক্যাবলার প্রেমে পড়ে গেলাম? নিজেকে এই পড়া থেকে টেনে উপরে তোলার অনেক চেষ্টায়ও যখন বিফল হলাম তখন আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম ক্যাবলাকে সবকিছু জানিয়ে দেব।

ফুরফুরে মেজাজে কানাবাবার ঘরে গিয়ে প্রথমবারের মত ওকে ওর নাম ধরে ডেকে বললাম, ‘‘অ্যাই কাব্য, তোর সাথে আমার জরুরী কথা আছে।’’
সে বই বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘‘হ্যাঁ বলো।’’
‘‘তুই আজ থেকে আমাকে তুই করে ডাকবি? তোর তুই করে?’’
ক্যাবলাটা অবাক হয়ে বলল, ‘‘আমি তো কখনও কাউকেই তুই করে ডাকিনি, তোমাকে ডাকবো কেনো?’’
‘‘না ডাকতে হবে না। তুই বরং আমাকে আপনি করে ডাকিস এখন থেকে। কচু বনের কালাচাঁদ কোথাকার।’’ এই বলে রেগে মেগে চলে এসেছি।

কাব্য কথনঃ

তিতলি নামের মানুষরূপী এলিয়েনটাকে কিছুদিন হলো বুঝে উঠতে পারছি না। সারাদিন সে এ বাসায় এসে পড়ে থাকে। প্রতিদিন আমার জন্য কিছু না কিছু রেধে নিয়ে আসে। আমি ওইসব অখাদ্য না খাওয়া পর্যন্ত চুপ করে বসে থাকে। হঠাৎ করে তার আচরনের এমন আকাশকুসুম পরিবর্তন ভালো ঠেকছে না। কোথাও কিছু গরমিল তো আছেই। সে আমাকে তার দেয়া সব নাম ছেড়ে শুধুই কাব্য বলে ডাকে এখন। চোখে চোখ পড়লেই কেমন যেন লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নেয়।

হায় হায় এই মেয়ে কি আমার প্রেমে পড়ে গেলো নাকি? এজন্যই সেদিন ওকে তুই করে ডাকতে বলেছিল? এই মেয়ে আমাকে গোলাপের বদলে কতগুলো তেলাপোকা ধরিয়ে দিয়ে বলবে, ‘‘অ্যাই ক্যাবলা কানাবাবা তোকে ভালবাসি’’ এই ভেবেই আমার গলা শুকিয়ে গেলো। স্বয়ং আইনস্টাইন ‘‘ভালবাসা কি?’’ এই প্রশ্নের উত্তরে যেখানে বলেছেন, ‘‘Theory of relativity has nothing to do with it’’ সেখানে আমি কি করে এসব নিয়ে ভাবি? এরচে এই মেয়ের থেকে একশ হাত দূরত্ব বজায় রাখা উত্তম।

এরপরের কয়েকটাদিন তিতলিকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চললাম। রুমের দরজা লাগিয়ে রাখতাম। ও এসে নক করলেও খুলতাম না। মা ওদের বাসায় কিছু আনতে পাঠালেও যেতাম না। ভেবেছিলাম মেয়ের মাথা থেকে এই ভূত নেমে যাবে। কিন্তু হিতে বিপরীত হলো।

মাকে দিয়ে দরজা খুলে নিয়ে সে আমার রুমে এসে অগ্নিমূর্তি ধারন করে বলল, ‘‘অ্যাই ক্যাবলা আমি তোকে ভালবাসি। তুই ভালবাসিস আর নাই বাসিস আমি তোকেই বিয়ে করবো।’’
কোনরকম ঢোক গিলে বললাম, ‘‘আমি তো কখনও বিয়েই করবো না।’’

তিতলি ধমকে উঠে বলল, ‘‘ক্যান তুই কি ইয়ে নাকি? তোকে আজকের দিনটা সময় দিলাম। রাতের মধ্যেই খালা খালুকে বলবি তুই আমাকে বিয়ে করতে চাস। যদি না বলিস তাহলে কাল সকালে আমি ব্যাগ পোটলা নিয়ে এ বাসায় চলে আসবো। সবাইকে বলবো তুই একলা ঘরে পেয়ে আমার সর্বনাশ করেছিস। এরপর কি হবে বুঝতে পারছিস? তুই না চাইলেও তোর সাথে আমার কালই বিয়ে দিয়ে দেবে সবাই। মাঝখান থেকে শুধুশুধু নিজের সম্মান খোয়াবি। মনে রাখিস আজ রাত পর্যন্ত সময় তোর হাতে।’’

আমার আশ্চর্য হবার ক্ষমতাকে কেড়ে নিয়ে এই মেয়ে গটগট করে হেঁটে চলে গেলো।

সারাদিন সারারাত গুগল ঘেঁটেও এই সমস্যার কোন সমাধান পেলাম না। ভোর হওয়ার আগে আগে সিদ্ধান্ত নিলাম বাসা থেকে পালিয়ে যাবো। এই মেয়ে যা খুশি করুক। যেই ভাবা সেই কাজ। সকালের আলো ফুটতেই বাসা থেকে বেড়িয়ে এলাম। রাস্তা ধরে একরকম দৌড়াতে থাকলাম। কলোনি ছেড়ে অনেকদুর চলে আসার পর হঠাৎ মনে হলো, ‘‘এ আমি কি করলাম? এই তারছেড়া মেয়ে যদি সত্যিই বাসায় গিয়ে বলে তবে তো সবাই ভেবেই নেবে যে আমি আসলেই ওর সর্বনাশ করে বাসা থেকে পালিয়েছি।’’

যেভাবে এসেছিলাম তারচে দ্রুতগতিতে বাসায় ছুটলাম। হাঁপাতে হাঁপাতে সিঁড়ি ভেঙে উঠে দেখি দরজা হা করে খোলা। বুক ঢিবঢিব করতে লাগলো। ভেতরে ঢুকতেই শ্বাস বন্ধ হবার জোগাড় হলো। নচ্ছার এলিয়েনটা ইয়া বড় একটা ব্যাগ পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর বাবা মা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসু চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। রিস্ক নিলাম না। ও মুখ খোলার আগেই চোখ বন্ধ করে চিৎকার করে বললাম, ‘‘বাবা মা আমি তিতলিকে ভালবাসি। ওকে বিয়ে করতে চাই।’’

ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে দেখি মা বাবা দুজনই গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আর হতচ্ছাড়া মেয়েটা লজ্জায় কুঁকড়ে যাওয়ার অভিনয় করে বলল, ‘‘কাব্য এসব কি বলছিস তুই? তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? লজ্জা শরম কি পানির সাথে গুলে খেয়েছিস? কোথায় গিয়েছিলি তুই এই সাতসকালে? আমি ভার্সিটি থেকে ট্যুরে যাচ্ছি। তোদের থেকে বিদেয় নিতে এসে শুনি তুই নেই।’’

এই প্রথম মনে হলো বাবা মা আমার নাম কাব্য না রেখে ক্যাবলা রাখলেই পারফেক্ট হতো।

মা হাসতে হাসতে বলল, ‘‘অ্যাই বেহায়া ছেলে যা ওর ব্যাগটা নিচে নামিয়ে দিয়ে আয়।’’ ক্যাবলাকান্তের মত ব্যাগ হাতে বের হয়ে এলাম। আমার পেছন পেছন অস্কারজয়ী অভিনেত্রীটা খিলখিল করে হাসতে হাসতে নামছে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম এই মেয়ের হাসিটা তো ভীষণ সুন্দর। আইনস্টাইনের E=mc2 এর থেকে এই হাসির রহস্য খোঁজাটা হয়ত বেশিই ইন্টারেস্টিং হবে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ