āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ŧ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

525

গল্পঃ মাহিমের দুর্গতি।
লেখকঃ Ferdous Ahmed Pranta (ফেরদৌস আহমেদ প্রান্ত)
.
সারাদিন বাইরে থেকে বাসায় ঢুকলাম। ঢুকতে না ঢুকতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সারাদিন অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। প্রচুর খাটাখাটনি গেছে আজ আমার উপর দিয়ে। সারাদিন রোদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। মুখটা শুকিয়ে আধখানা হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম ঘরে ঢুকে ফ্যানের নিচে আয়েশ করে বসে ভাত খাব। কিন্তু তা আর হল না। বাসায় ঢোকা মাত্রই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। সবে মাত্র বৈশাখ মাস। এখনো গরম পড়েইনি ভাল করে। অথচ লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। এই গরমে এত লোডশেডিং হলে মানুষ বাঁচবে কিভাবে তা ভেবে কুল পাই না। একরাশ বিরক্তি চেপে ধরল আমাকে. মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল আমার বুক থেকে। নাহ! যাই, গোসলটা সেরে ফেলতে হবে। সারা শরীর ঘামে ভিজে একেবারে জবজব করছে। খুবই বিচ্ছিরি অবস্থা।
.
অফিসের ফর্মাল কাপড় ছেড়ে রীতিমত প্রস্তুতি নিয়ে গোসল করতে ঢুকলাম। গোসল করতে ঢুকলে আমার মনে ফুর্তির ভাব হয়। গোসলের সময় গুণগুণ করে গান গাওয়া আমার ছোটবেলার অভ্যাস। আজকাল গোসলে ঢুকে গান না গাইলে আমার পেটের ভাত হজম হয় না! আমি গুণগুণ করে গান গাইতে গাইতে শাওয়ার ছেড়ে দিলাম। শাওয়ার ছাড়তেই আপনা আপনি আমার গান বন্ধ হয়ে গেল। আমি "আউ!" বলে চিৎকার দিলাম আর শাওয়ারের নিচ থেকে সরে গেলাম। এই গরমে পানি বেশ গরম হয়ে আছে। উফফ! চামড়া একেবারে পুড়িয়ে দিল। আমি পানি ঠান্ডা হওয়ার অপেক্ষা করলাম। পানি ঠান্ডা হওয়ার পর সারা শরীর ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিলাম। ঠান্ডা পানির শীতল পরশে আমার প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। আহ! কি শান্তি! এরপর পানি বন্ধ করে ভাল করে শরীরে সাবান ঘসে নিলাম।
.
সাবার ধুয়ে নেওয়ার জন্য আবার শাওয়ার ছাড়লাম। কিন্তু পানি বের হচ্ছে না। কি মুশকিল! পানি বের হচ্ছে না কেন? আমি এদিক সেদিক শাওয়ারের কল ঘোরালাম। কিন্তু একফোটা পানিও বের হল না। এদিকে বালতিতেও পানি নেই। সাবান ধুই কিভাবে? এ কি বিপদ! আমি চেঁচিয়ে আরিফকে ডাকতে লাগলাম
--"আরিফ, এই আরিফ। পানি বের হচ্ছে না কেন একটু দেখ তো। আমি আটকে গেছি বাথরুমে!"
--"কিরে মাহিম ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছিস কেন?"
বাইরে থেকে আরিফের কথা শুনলাম।
--"দোস্ত দেখ না, পানি নেই। আটকে গেছি।"
--"পানি নেই তো আমি কি করব?"
--"কি করবি মানে? বাড়িওয়ালাকে ফোন দে। বল পানির পাম্প অন করতে।"
--"তা তো হবে না।"
--"মানে কি? হবে না কেন?"
--"কারেন্ট নাই। পাম্প ছাড়বে ক্যামনে? তুই গাধাই রয়ে গেলি। কমনসেন্স পর্যন্ত নাই তোর! এইমাত্র কারেন্ট গেল। দুই ঘণ্টার আগে কারেন্ট আসবে বলে মনে হয় না। বসে থাক চুপ করে। চেঁচাস না।"
--"এ! বলিস কি রে!"
--এ না, বল হ্যাঁ।"
--"তো আমি এখন কি করব? সারা গায়ে তো সাবান!"
--"কি আর করবি। বসে থাক।"
এই বলে আরিফ চলে গেল। কি বিপদের মধ্যে যে পড়লাম। এর মধ্যে আবার চোখে সাবান ঢুকে চোখ জ্বালা করছে। আমি এদিক সেদিক হাতড়ে হাতড়ে গামছাটা খুঁজতে লাগলাম। সাবান মুছে ফেলা ছাড়া গতি নেই। নাহলে চোখে ঢুকে আবারো জ্বলতে শুরু করবে। আমি গামছা খোঁজার জন্য বাথরুমের হ্যাঙারটার দিকে যেই না এগিয়েছি ওমনি ধপাস করে পরে গেলাম। ওরে বাবারে! গেছিরে বলে মনের অজান্তেই চেঁচিয়ে উঠলাম। আমার চেঁচানি শুনে আরিফ ছুটে এল।
--"কিরে! দোস্ত কি হয়েছে?"
--"পা পিছলে পড়ে গেছি।"
এ কথা বলতে না বলতেই দরজার ওপাশে অট্টহাসি শুনতে পেলাম। আরিফ বজ্জাতটা হাসছে। আমার এই দূরবস্থায় তো হাসি পাবেই। কথায় আছে হাতি কাদায় পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে! আমি বিপদে পড়েছি বলে ব্যাটা এখন হাসছে। দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।
.
ঝাড়া আড়াই ঘণ্টা পর বাথরুম থেকে বের হলাম। কারেন্ট আসার পর পানির ট্যাংক ভর্তি হয়েছে। তবেই আমার গোসল করা হয়েছে। এদিকে গোসল করে সর্দি বাঁধিয়ে বসেছি। একটু পর পর হাঁচি আসছে। আর আমি ঘর কাঁপিয়ে বিকট শব্দে হাঁচি দিচ্ছি। আমার অবস্থা দেখে আরিফ ব্যাটা মুচকি মুচকি হাসছে। নেহাত পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথা পেয়েছি। না হলে ব্যাটার পশ্চাৎদেশে কষে একটা লাথি দেওয়া যেত। কিন্তু কি আর করা যাবে! যা ভাগ্যে নেই তা নিয়ে আফসোস করেও কোন লাভ নেই।
.
গোসল সেরে চুল আঁচড়িয়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে। দুপুরে কিছু খাওয়া হয়নি। এখন বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। নাড়িভুঁড়িও হজম হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। মিটসেফ খুলে প্লেট নিয়ে ভাত বাড়তে যাব, তখন দেখি পাতিলে কোন ভাত নেই। আমার মেজাজ গেল খিঁচড়ে। তরকারিও দেখি রান্না হয়নি। কি আশ্চর্য! আজকে আরিফের রান্না করার কথা আর সে ব্যাটা রান্নাই করেনি! আমি চেঁচিয়ে আরিফকে ডাকলাম
--"আরিফ, এই আরিফ! রান্না করিসনি কেন?"
--"সরি দোস্ত দুপুরে নিতুর সাথে লাঞ্চ করেছি। তাই আর রান্না করিনি।"
--"মানে কি? তুই গার্লফ্রেন্ডের সাথে দুপুরে পেট ভরে খাবা আর আমি না খেয়ে থাকব এটা কেমন কথা?"
--."হোটেলে খেয়ে নে না একবেলা।"
--"কেন রে? তুই থাকতে হোটেলে কেন খেতে হবে? আজ তো তোর রান্না করার কথা।"
--"খেতে না চাইলে নাই। চেঁচাস না।"
আমি রাগে গজগজ করতে করতে রান্নাঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম। মানিব্যাগটা নিয়ে টি শার্টটা গায়ে দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। হোটেল ছাড়া গতি নেই। না হলে ক্ষুধায় মরেই যাব।
.
আমি ধীরে সুস্থে হাঁটা দিলাম। রাত হয়ে গেছে প্রায়। গলিতে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মোবাইলে টর্চ লাইট আছে। মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে লাইট জ্বালিয়ে দিলাম। যেই না লাইটটা জ্বালিয়েছি ওমনি দু'পাশ থেকে দুজন লোক আমাকে চেপে ধরল। একজন একটা চাকু বের করে পেটে একটা খোঁচা দিয়ে বলল, "যা আছে বের কর। আর টু শব্দ করলে পেট একেবারে ফাঁসিয়ে দেব।" আমি ভয়ে একেবারে চুপসে গেলাম। লোকদুটো আমার অপেক্ষা না করে নিজেরাই পকেট হাতড়ে মানিব্যাগটা নিয়ে নিলো। মোবাইলটা আগেই একজন কেড়ে নিয়েছে। লোক দুটোর একজন আমার চোখে কি যেন লাগিয়ে দিল। সাথে সাথে চোখ জ্বালা করে উঠল। আমি লোক দুটোর পদশব্দ শুনতে পাচ্ছি। লোকদুটো পালাচ্ছে। আমার আর আজ আরাম করে ভাত খাওয়া হল না!

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ