āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

480

বাসে উঠে নিজের সিটে বসা মাত্রই তৃষ্ণার ফোন
বেজে উঠলো।ও ব্যাগ খুলে ফোন বের
করে দেখলো জীবনের ফোন।জীবনের
নাম দেখা মাত্রই ওর কেমন যেন রাগ লাগলো।
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ও চিন্তা করেছে
আর কখনোই জীবনের সাথে কথা বলবেনা।
এত সন্দেহ করলে এক সাথে থাকা যায় নাকি?
.
তৃষ্ণা মনে মনে বললো,
- বাসা থেকে রাগ হয়ে বেরিয়ে আসার সময়
একবারো আটকালোনা, এখন আবার ফোন
করছে।ধরবোনা।
ফোন একবার বেজে বন্ধ হয়ে গেলো।
কিছুক্ষন বাদে আবার রিং শুরু হলো।
তৃষ্ণা বাধ্য হয়েই ফোন রিসিভ করলো,
-বলো,
-বাসে উঠছ?
-হ্যাঁ,
-পাশে কে?
-এখনো জানিনা,ফাঁকা।
-সত্যি?
-হ্যাঁ, সত্যি।না হলে দেখে যাও,
-না বিশ্বাস করেছি,,
-আর কিছু বলবা,
-কোন সমস্যা হলে ফোন দিও,
-লাগবেনা,,
-সাবধানে যাইও,
-বাই।
.
জীবন কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল
কেঁটে দিলো তৃষ্ণা।কল কেঁটে আশে পাশে
তাকালো ও,, তৃষ্ণা দেখলো বাসের সবাই ওর
দিকে তাকিয়ে আছে।এত জোরে কথা বলছিল ও
যে বাসের সবাই শুনতে পাচ্ছিল।
.
তৃষ্ণা সেসব না ভেবে চোখ বন্ধ করে সিটে
হেলান দেয়। সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া বিষয় টা নিয়ে
একটু বেশি করে ফেলেছে ও। অবশ্য
জীবনের দোষ ও কম নয়।
অনেক দিন থেকেই তৃষ্ণা ওর মায়ের বাসায় যাবে
ভাবছিলো।সে সুযোগ টা দুদিনের জন্য হয়েছে।
সেজন্য সন্ধ্যায় নেট থেকেই বাসের টিকেট
কেঁটেছিল ও।এটা জীবন কে জানাতেই জীবন
জিজ্ঞেস করলো,
-কটা টিকেট কাঁটছ?
-একটা?
-একটা কেন?
-তো কটা কাঁটবো?
একটু বিরক্ত হয়ে জবাব দিলো তৃষ্ণা।
.
-তোমাকে তো দুটা টিকেট কাঁটতে বলেছিলাম।
তৃ্ষ্ণা বলল,
-তুমি যাবে?
-না,
-একার জন্য দুটা কাঁটবো। বেকার টাকা নষ্ট করে
কী লাভ?
-টাকা কি তুমি ইনকাম করো।
-না করি না।কিন্তু তোমার টাকাও তো আমার টাকা তাই না?
-হ্যাঁ,তাহলে দুটা কাঁটতে সমস্যা কি।
-কি দরকার?
-দরকার আছে,, নেটে ঢুকে পাশের সিট টাও
কাঁটো।
.
তৃষ্ণার কেমন যেন রাগ লাগে এসব শুনে।
ও অনেক রেগে যায়।বলে,
-কাঁটবোনা।
-হুম কাঁটবা কেন? পাশে ছেলে বসলে ভাল্লাগবে,
-ছিহ, কি বলো এগুলা।
-এজন্যই টিকেট কাঁটতে বলছি। ছেলেরা খারাপ হয়।
মেয়ে পাশে দেখলেই দেখবা ঘুমের ভান
করে তোমার কাধে মাথা রাখার চেষ্টা করবে।
-সবাই তোমার মত চিন্তা করেনা,,
-আমি করি,,এজন্য টিকেট কাঁটবা।
-ধুর,থাকবোনা তোমার সাথে।
-যাও চলে যাও।
-হুম, যাবো।।আজকেই যাবো।আর ফিরবোনা।
.
তৃষ্ণা ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে বাস ছাড়ার অনেক আগেই
বাসা থেকে বের হয়ে আসে। বের হওয়ার
আগে অনেক কথা শুনিয়ে দেয় জীবন কে।
আর কখনো ফিরবেনা,এমন কি কথাও বলবেনা এটাও
জানিয়ে দেয়।
তবে জীবন এসবের কোন উত্তর দেয়নি। ও
চুপচাপ নিজের কাজ করছিল।
তৃষ্ণা ব্যাগ নিয়ে বের আসার সময় একবারেও ওকে
আটকানোর চেষ্টাও করেনি।
চার বছর প্রেম করে বিয়ে করেছিল,তার এই মূল্য।
এজন্যই মানুষ বলে প্রেম করে বিয়ে করতে
নেই।এসব ভাবতেই তৃষ্ণার চোখে জল এসে যায়।
.
তৃষ্ণার ঘুম ভাঙলো বাসের ঝাঁকিতে।
বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে ওর ঘুম পেয়েছিল। কতটা পথ
বাস এসেছে ও জানেনা।
ও পাশে তাকিয়ে দেখল এক লোক বসে
আছে,শুধু বসে না শুয়ে আছে ওর গায়ে হেলান
দিয়ে।
.
বাস অন্ধকার হয়ে থাকায় মুখ দেখা যাচ্ছেনা
লোকটার,তার উপর একটা চাদর দেয়া মুখের উপর।
তৃষ্ণা বিরক্ত হয়ে লোক টাকে সরিয়ে দিয়ে
জানালার বাহিরে তাকালো।ওর খুব কান্না পাচ্ছে।ও
জীবন কে এত ভালবাসে আর ও বের হয়ে
আসার সময় জীবন ওকে একবার আটকালো না
পর্যন্ত।
.
কিছু রাস্তা যাওয়ার পর তৃষ্ণা আবার দেখলো পাশে
বসা লোক টা আবার ওর গায়ে হেলান দিয়েছে।
তৃষ্ণার বিরক্ত লাগলো।
জীবন ঠিকই বলেছিলো ছেলেগুলা এমনই।
দুটা টিকেট কাঁটলে আজ কোন ঝামেলাই হত না,, না
বাসায় না বাসে।
.
তৃষ্ণা আবার লোক টাকে সরিয়ে দেয়।মাথা কাত
করে দেয় অন্যদিকে।
কিন্তু লাভ হয়না কিছুক্ষন যেতে আবারই একি কাজ।
ধৈর্য র বাধ ভেঙ্গে যায় তৃষ্ণার।
ও চিন্তা করে বাস কন্টাক্টর কে ডাকার।সিট থেকে
দাঁড়িয়ে বাস কন্টাক্টর কে ডাকবে তার আগেই
পাশে বসা লোক টা তৃষ্ণার হাত টেনে ধরে। তৃষ্ণা
হাত উঠিয়ে একটা চড় বসাবে তখনি লোক টার মুখ
থেকে চাদর সরে যায়। বাসের লাইট টাও জ্বলে
উঠে ঠিক একি সময়ে।
.
-জীবন তুমি?
-হুম,
-এত সন্দেহ করো?
-জ্বি না,ভালবাসি।
-আর,,
-তোমাকে নিয়ে হিংসে করি।
-ভালবাসতে হবেনা.
-আচ্ছা,, ভালবাসিনা।
-তবে যাচ্ছ কেন?
-আমার বাসাও রংপুরে, ভুলে গেছ?
-তোমার অফিস।
-বউয়ের জন্য মিস দেয়া যাবে।
-আগে আসলে কি হত?.
-কিছুই হতনা।
-যাক ভাল কাজ করছ।
.
জীবনের উপর যা রাগ ছিল তৃষ্ণার সব নিমিষেই
উবে গেল।মানুষ টা কত ভালবাসে ওকে।
জীবনের এক হাত জড়িয়ে ধরে ওর কাধে মাথা
রেখে বসে পড়ল তৃষ্ণা।
একটু আগেও ওর কত্ত খারাপ লাগছিল,এখন সব কিছুই
ভাল লাগছে।
.
তৃষ্ণা জিজ্ঞেস করলো,
-কখন টিকেট কাঁটছ?
-এখানে এসে,, তোমার পাশে অন্য একজন ছিল।
তাকে রিকুয়েস্ট করে অন্য সিটে পাঠাইছি তার পর
আসছি।
-গুড,এখন থেকে একটা করে টিকেট কাঁটবো।
-কেন?এত কিছুর পরেও একটা,
-হুম একটা কাঁটলে তুমিও এভাবে চলে আসবা,,
-এর পর থেকে আমি তোমার টিকেট কেঁটে
দিবো।
.
তৃষ্ণা জীবনের কথা শুনে হাসলো।বলল,
-এত ভালবাসো কেন?
-নাহ,ভালবাসি না।বাড়িতে রেখে আসবো। আর সাথে
করে নিয়ে আসবোনা।
.
তৃষ্ণা আরেকটু ভাল করে জড়িয়ে ধরল জীবন
কে। তৃষ্ণা জানে জীবনের সাথে আবার ওকে
ঢাকা ব্যাক করতে হবে।
জীবন ওকে ছাড়া একদিন ও থাকতে পারবেনা
এজন্য এক সাথে আসা,টিকেটের ব্যাপার টা হয়ত
বাহানা।
.
তৃষ্ণা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল,
-একটা কথা বলবো,
-বলো,
-খুব ভালবাসি,,
-ঘুমাও,,
-রিপ্লে দাও,
-ভালবাসি না একটুও,,
.
তৃষ্ণা জীবনের কথা শুনে হাসে।
ও জানে নিজের চাইতে জীবন ওকে বেশি
ভালবাসে আর এসব ভালবাসা কোন ভাবেই
হারাতে নেই।
আস্তে আস্তে বাস এগিয়ে যায়,এগিয়ে যায় সময়।
ভালবাসা গুলোও এভাবে বেড়ে যায় দুজনের।
ছোট ছোট ঝগড়া গুলোর জন্যই ভালবাসা এত
সুন্দর।
.
.
যে ভালবাসা হারাতে নেই-৬
-নাহিদ পারভেজ নয়ন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ