গল্পের নাম:-নিশ্চুপ ভালোবাসা
লেখক:-নিশ্চুপ বালক(এলিয়েন)
উৎসর্গ:-#TN &জুবায়ের ভাই
,,
ঝড়ের বেগে দিনগুলি চলে যাচ্ছে।নিজেকে আজও সম্পূর্ন করতে পারিনি।অসম্পূর্ণই রয়ে গেলাম।আর আজও তিষান আসেনি আমার কাছে।বলেনি ভালোবাসি তোমায়।কবে আসবে তিষান
,,
আমি নিল।একটা ছোটোখাটো ব্যাবসা করি আর পাশাপাশি পড়াশুনা তো আছেই।আসলে ব্যাবসা করার কারন হলো আমার বাবার সাথে কথা না বলা।আমি তার টাকাই বড় হতে চাইনা।যে আমাকে ভালোইবাসেনা তার টাকায় বড় হয়ে কি লাভ।তাই মার কাছে থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে একটা ব্যাবসা শুরু করি।ছোটো একটা ফার্ম থেকে আজ অনেক বড় একটা ফার্ম এ রূপ নিয়েছে আমার সেই ফার্ম।পরে অবশ্য মা টাকাটা ফেরত নেই নি।আমার মা আমাকে যথেস্ট ভালোবাসে।তাইতো তার কথা ভেবে আজও বেচে আছি।ফার্মের অফিস রুমের সাথেই একটা রুমে আমি থাকি।আর অপর পাশের রুমে লেবার রা থাকে।আমি আর আমার লেবার এর মাঝে সম্পর্কটা ছিলো অনেকটা বন্ধুর মতো আবার ভাইয়ে মতোও।আমরা প্রতিদিন বিকালে ফার্মের সামনের চায়ের দোকানটায় বসে আড্ডা দিতাম।এমনি একদিন সজীব(লেবার)আমাকে বলে,,,ভাই,,দেখো কত সুন্দর একটা মেয়ে।তোমার জন্য একদম পারফেক্ট।গাড় ফিরাতেই এক অপরূপ মায়াবী কন্যাকে দেখতে পেলাম।সম্ভবত স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছে।তাকে প্রথম দেখাই ভালো লেগেছিলো।তার ব্যাপারে খোজ নেয়ার জন্য সজীব কে কাজে লাগিয়ে দিলাম।অবশেষে জানতে পারলাম,,কন্যা তার মা-বাবার একমাত্র মেয়ে।এবার ১০ এ পড়ে।তার বাবার একটা মুদির দোকান আছে স্থানীয় বাজারে।মেয়ে নাকি আদূরি।নাম তিষান।
,,
সেইদিন এর পর থেকে প্রতিদিন সজীব কে নিয়ে দোকানে বসে থাকতাম তিষান কে দেখার জন্য।ওকে দেখলে এক অদ্ভুদ শান্তি আসতো মনে।তবে তিষান এর মুখ দেখে মনে হয় সে জানেইনা যে প্রতিদিন একটা ছেলে তাকে দেখার জন্য দোকানে বসে থাকে।আমি তো জানতাম মেয়েরা নাকি ১ কিঃমিঃ দুর থেকে বুঝতে পারে কে তাকে দেখছে।তাহলে তিষান কেনো বুঝেনা।
,,
দেখতে প্রায় ৪ মাস কেটে গেলো।কিন্ত তিষান এর কোনো পরিবর্ন নেই।আর আমারও কোনো পরিবর্তন নেই।এরই মাঝে মুরগীগুলার রানিক্ষেত হয়ে গেলো।অনেকেই জানেন যে,,মুরগীর রানিক্ষেত হয়েছে মানে সব শেষ।কিন্ত আল্লাহ সহায় ছিলো ২৬ ঘন্টার ভিতরে লেবাররা বুঝতে পারে যে রানিক্ষেত ডুকে পরছে আর ৩৬ ঘন্টার ভিতর রানিক্ষেত এর ভ্যাক্সিন টা করতে পারি।তারপরও খুব চিন্তা হচ্ছিলো।তাই ৩-৪ দিন ফার্ম থেকে একদম বের হয়নি।যা কিছু লাগতো সজীবকে দিয়ে আনিয়ে নিতাম।
অফিসে বসে আছি।জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম কোনো রমনীর আগমন ঘটছে কিন্ত কিছুক্ষন পরেই বুঝতে পারলাম সেই রমনী তিষান।কিন্ত যেই মেয়ের সাথে কোনোদিন কথাই জয়নি সে আজ আমার ফার্ম এ।ডাল ম্যা কুছ কালা হ্যায়।আমি চোখ বন্ধ বরে চেয়ারে হেলান দিয়ে রইলাম।তারই মাঝে তিষান হন্তদন্ত জয়ে অফিসে ডুকলো,,,আমি অবাক হওয়ার ভান করে চেয়ে রইলাম
তিষান::--গত ৪-৫ দিন দোকানে থাকেন না কেনো।জানেন কতো টেনশন হচ্ছিলো।আপনি বোথায় চলে গিয়েছিলেন।সজীব ভাই কে জিজ্ঞেস করার পর তিনিও কিছু বলেন নি।(কেদে দিবে মনে হচ্ছে তবে ভয়েস টা অসাধারন)
আমি:-আসলে মুরগী গুলো অসুস্থ ছিলো তাই সময় হয়নি।কিন্ত আমি তো ফার্মেই ছিলাম!!
:::---তাহলে সজীব ভাই কিছু বললো না কেনো
:::---একটু দাড়ান থুক্কু বসেন আমি সজীব কে ডাকছি
(সজীবকে ডাকলাম সে এসেও তিষান কে দেখে অবাক)
সজীব::--জ্বি ভাই বলো!!
আমি::--ওনি আমার ব্যাপারে তোকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলো??
তিষান::--আমার কথা কি আপনার বিশ্বাস হয় নি?
আমি::--দুঃখিত,,,সজীব ওনাকে তুমি বলোনি কেন যে আমি ফার্মেই ছিলাম
সজীব::--আমি ভাবলাম যদি আইএস হয় তাই বলিনাই
তিষান::---মানে,,আমি আইএস,,?আপনাদের এখানে আসাটাই ভুল হয়েছে।
আমি::--সরি সরি,,,,যাবেন না।এই সজীব তুমি কি বলতেছো ওনাকে।যাও দোকান থেকে ঠান্ডা নিয়ে এসো
সজীব::--জ্বি ভাই।আর কিছু
আমি::--(তিষানকে)এই প্রথম স্বামী থুক্কু আমার অফিসে এলেন।আর কি খাবেন প্লিজ বলুন।না হলে কস্ট পাবে
তিষান::--একটা সিগারেট,,,একটা স্পিড,,,একটা বিস্কিট
আমি::--(অবাক হয়ে ঢুগ গিললাম)যাও সজীব নিয়ে আসো
সজীব:::--কি সিগারেট আনবো??
তিষান:::--আপনার ভাই কি সিগারেট খায়
সজীব::--গোল্ড লিফ থুক্কু ভাই সিগারেট খায় না
তিষান::--গোল্ড লিফ নিয়ে আসবেন।
সজীব::--আপনি কি সিগারেট খাবেন??
তিষান::--হুম।যান নিয়ে আসেন।
সজীব চলে গেলো
আমি::--আপনি সিগারেট খান??
তিষান::--আমি চলে যাওয়ার পর সিগারেট টা কিভাবে টান দিতেন দেখান তো
আমি::--মানে?আপনি কি প্রতিদিন লুকিয়ে দেখতেন??
তিষান::--হুম,,
::--কেনো??
::--দেখো আমি এত ভনিতা করতে পারিনা।যা বলার সোজাসোজি বলি।আমি তোমাকে ভালোবাসি
:::--(চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো)
:::---একি,,আপনি কাদছেন কেনো,,,আমি কি কোনো ভুল করেছি।আমাকে মাফ করে দিন।তবুও কাদবেন না।(ব্যস্ত হয়ে পরেছে)
চুপচাপ উঠে গিয়ে ওকে ধরে আমার চেয়ারে বসালাম আর আমি সামনের চেয়ারে বসলাম।
আমি::--আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি যেটা তুমি কল্পনাও করতে পারো না
তিষান::--সেটা আমি জানি
:::--কিভাবে জানো??
:::--আম্মু বলছে!!
:::---মানে??
::::---আমি প্রতিদিন গিয়ে আম্মুর কাছে সব বলতাম আর আম্মু আমাকে টিপস দিতো কিভাবে তোমাকে যাচাই করা যায়।আম্মু তোমার সব খবর নিছে।আর এখানে আসার জন্য আম্মুই বলছে
::---ও মাই গড।তার মানে আমার রাস্তা একদম পরিস্কার।
::---জ্বি মিস্টার
সজীব আসার পর সবগুলো খাবার তিষান নিজের হাতে নিলো।সজীব কে ইশারা দিলাম আর ও চলে গেলো
আমি::--সিগারেট নিয়ে কি করবে
তিষান::-হয় তুমি সিগারেট ছাড়বে নাহয় আমি সিগারেট খাবো
:::---আমার সময় লাগবে তিষান!
:::--যতদিন সিগারেট না ছাড়বে ততোদিন আমার সাথে কথা বলবেনা আমার সামনেও আসবেনা
:::---না,,,,আমি তোমাকে না দেখলে বাচঁবনা।আচ্ছা ১ সপ্তাহের ভিতরে ছেড়ে দিবো কিন্ত একটা শর্তে
::---কি??
:::--তুমি প্রতিদিন ফার্মে আসবে।যে যাই বলুক
:::---আম্মুর পারমিশন নিয়ে আসতে হবে
::--ঠীক আছে।এখন চলো তোমায় বাসায় দিয়ে আসি।সন্ধা হয়ে যাচ্ছে
::--হুম চলো।আর মার সাথে কথাও বলে আসবে
,,
তিষান কে বাসায় দিয়ে আসলাম।ওর মায়ের সাথেও কথা বললাম।ওর মা আসলে অমায়িক একজন মানুষ।ঠীক আমার মায়ে মতো।রুমে এসে আম্মুকে ফোন দিয়ে সব জানালাম।আম্মু রাজী।শুধু তিনি ওর আম্মুর সাথে কথা বলতে চান।আম্মুর সাথে তিষানের আম্মুর কি কথা হলো তা আমার আজও অজানা
,,
আমরা প্রতি শুক্রবার ঘুরতে যেতাম বিভিন্ন যায়গায়।আমাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি কম ছিলো।আর কেউ রাগ করলে যারই ভুল থাকুক না কেন,,,দুজনেই দুজন কে সরি বলতাম।
,,
তার মাঝেই তিষান এর পরিক্ষা শুরু হয়।তাই তিষান এর সাথে কথা বলা একটু কমিয়ে দেই।আর ও প্রতি সন্ধায় আমার কাছে চলে আসতো বইখাতা নিয়ে।আবার ৮ টার দিকে আমি ওকে বাড়িতে দিয়ে আসতাম।তিষান এর বাবার কিছুটা আপত্তি থাকলেও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হয় কিছু বলেন নি।তিষান এর পরিক্ষার রেস্টাল্ট দিছে।ও ৪.২৮ পাইছে।এতেই আমি অনেক খুশি।তবে আমার জন্য + টা মিস হয়েই গেলো।তাই ওকে পুরস্কার হিসেবে একটা মমোবাইল কিনে দিলাম।ও অনেক খুশি হহয়েছে।এখন আর ওর আম্মুর মোবাইল দদিয়ে ককথা বলতে হয়না।আমিও অনার্স এর গন্ডি টপকালাম।ব্যাবসা যেহেতু করবো তাই আর পড়ালেখা করবোনা বলে ঠীক করলাম।
,,
প্রায় ২ বছর এর বেশি মানে ২ বছর ৭ মাস আমার আর তিষান এর সম্পর্ক।এররমাঝে অনেকবার ব্রেকআপ হয়েছে আবার রিলেশন হয়েছে নতুন করে প্রপোজ করে।তবে কোনোদিন কেউ কাউকে চোখের বা মনের আড়াল করিনি।আজ তিষান প্রাপ্ত বয়স্ক।এখন আর আগের দুস্ট আর চন্ঞল তিষান নেই।এখন সে অনেক শান্ত তবে আগের চেয়ে ভালোবাসা আর অভিমান টা অনেক বেড়ে গেছে।
,,
আজ ২ ফ্যামিলি একসাথে বসে আমাদের বিয়ের কথা বলছে।ডিসেম্বর এর ২৬ তারিখ ঠীক হলো।রুমে এসে অনেক কাদলাম।আব্বু কেন এমন করে।কি দোষ ছিলো আমার।আজ সে আমার বিয়েতে থাকলে আমার কতো খুশি লাগতো।
,,
বিয়ের দিন,,,,,
এই দিনটাতে এতবড় সারপ্রাইজ পাবো আশা করিনি।আমার বাবা আমাবে বুকে জড়িয়ে ধরে কাদছেন।শুধু তিনি না বিয়ের বরযাত্রী সহ সবাই কান্না করছে।দীর্ঘ ৬ বছর পর আবার বাবা ছেলে একসাথে।খুব খুশি লাগতেছে।নিজেকে পৃথীবির সবচেয়ে বড় ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।তিষানকেও আব্বু মেনে নিয়েছেন আনন্দের সাথে। তিনি তিষান কে নিজের মেয়ে ভেবেছিলেন।
,
ইয়ে মানে বিড়াল মারার রাতে মানে বাসর রাতে
আমি::--আজ আবার নতুন করে তোমার প্রেমে পড়লাম
তিষান:::---বিয়ের আসরে কয়টা মেয়ের দিকে নজর দিছো(অগ্নিচক্ষু নিয়ে)
:::---সুপ্তির দিব্যি তুমি বাদে কারোও দিকে না
:::---সুপ্তি কে,,,নিশ্চয় অন্য কোনো মেয়ে,,,যদি অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাসতে তবে আমাকে কেন বিয়ে করলে(চোখে পানি আসতেছে।অপেক্ষা করেন।আসবে)
:::---সুপ্তি তো আমার সব।কারন ও যে আমার মেয়ে।
:::--(পানি এসে গেছে)তুমি আগেও বিয়েও করেছো,,,ও আম্মা গো,,,,,,,,,,(চিল্লানি দিয়ে)
:::---আরে পাগলি সুপ্তি হবে আর সে হবে তোমার পেটে
::---(নিমিষেই পানি উধাও)মানে?????
::::---আমাদের মেয়ের নাম হবে সুপ্তি
:::--আগে বলবা তো।কান্না করে সব মেকআপ নস্ট হয়ে গেলো।তুমি আসলেই খুব খারাপ,,, খুব পচা
:::---(বুকে টেনে)তাহলে আর একটু খারাপী হোক
:::---যাহ,,,,লজ্জা লাগেনা বুঝি??
,,
ওই মিয়ারা,,এখনো এখানে কি করেন।আমি এখন বিড়াল মারবো।
bye bye
,,
ভুলক্রটি ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন।
লেখক:-নিশ্চুপ বালক(এলিয়েন)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
461
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§Ļ:ā§Ēā§Ž PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ