একটা বাজে স্বপ্ন দেখে মাঝ
রাতে হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।যদি
এই স্বপ্নটা বাস্তবে সত্যি হয় তাহলে
আমার আর বেচে থাকার কোন
মানে নেই।স্বপ্নটা ছিল নিধিকে
নিয়ে।নিধি যেন কার হাত ধরে
আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে
কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারিনি।এক
অজানা আতংক মনে হানা দিল।
তাই কিছু না ভেবেই নিধির
নাম্বারে ফোন দিলাম।কিন্তুু
ফোনটা এত রাতে ওয়েটিং কেন?
অজানা ভয় চারদিক থেকে ঘিরে
ধরেছে।এত রাতে নিধি কার সাথে
কথা বলবে,,,,,,তাহলে কি নিধি অন্য
কারো সাথে কথা বলে আমার
অগোচরে।ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে
তাহলে কি নিধি সত্যিই আমার
কাছ থেকে দূরে কোথাও হারিয়ে
যাচ্ছে।এসব ভাবতে ভাবতে আবার
ফোন দিলাম নিধিকে কিন্তু না
ফোনটা এবারও ওয়েটিং।কিছুই
ভাবতে পারছিনা।অনেক গুলো
ফোন দেওয়ার পর আর ফোন দেইনি।
নিধির কথা ভাবতে ভাবতে কখন
যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতেই পারলাম
না।
,
সকালে ফোনটা মৃদু শব্দে কেপে
উঠল।চেয়ে দেখি নিধির ফোন।
ফোনটা ধরেই বলতে লাগলাম,,,এত
রাতে তোমার ফোন ওয়েটিং ছিল
কেন?
,
নিধি-সব বলব।কলেজে আসবে কখন?
আমি-১০টায় কলেজে আসব।
নিধি-আচ্ছা এসো।এখন বল তো এত
রাতে কেন ফোন করেছিল কেন?
আমি-হঠাৎ করে একটা বাজে স্বপ্ন
দেখে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
নিধি-কি এমন স্বপ্ন দেখলে যে এত
রাতে ফোন দিলে।
আমি-আমি স্বপ্নে দেখলাম যে তুমি
অন্য কারো হয়ে যাচ্ছো।এরপর যখন
ফোন দিয়ে ওয়েটিং পাই ভয়টা
আরও তীব্রতর হতে লাগল।
নিধি-যদি সত্যি সত্যি অন্য কারো
হয়ে যাই তখন কি করবা?
আমি-হয়ত বেচে থাকব তবে
তোমাকে ছাড়া ভালো থাকতে
পারবনা।
নিধি-কতটুকু ভালবাসো আমায়?
আমি-যতটুকু ভালবাসবে তুমি কষ্ট
পাবেনা।
নিধি-এত ভালবাসো আমায়!
আমি-হুম জীবনের চেয়েও বেশি।
নিধি-আচ্ছা সময় মত কলেজে চলে
এসো।এখন বাই
আমি-আচ্ছা বাই।
.
আমার নাম রিয়াদ।এবার অনার্স শেষ
বর্ষে পড়ি।আর যার কথা বলছিলাম
তার নাম তো আগেই বলেছি।নিধিও
আমার সাথে একই ইয়ারে পড়ে।
নিধি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি
কথাবার্তা, আচার-ব্যবহারও
অমায়িক সুন্দর।নিধি আমার
জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে
দিয়েছে।নিধির সাথে পরিচয়
হওয়ার আগে আমি ঠিক মত কলেজে
আসতাম না আর আসলেও ক্লাস
করতামনা।সবসময় নিজেকে
অগোছালো করে রাখতাম।সবসময়
ধুমপান করতাম।নিধির সাথে পরিচয়
হওয়ার পর আমাকে সবরকম বাজে
অভ্যাস গুলো পরিহার করতে বাধ্য
হলাম।আগে আমি নামায পড়তামনা
এখন নিয়মিত নামায পড়ি।এসব কিছুর
পেছনে রয়েছে নিধির বিরাট
অবদান।যা কখনো ভুলার নয়।
,
্ন
নিধির সাথে পরিচয়টা হয়েছিল
কলেজের ক্যাম্পাসে।সেদিন আমি
কলেজ ক্যাম্পাসে বসে বসে
সিগারেট ফুকছিলাম এমন সময় কারও
ডাক শুনে পেছনে তাকিয়ে দেখি
একটি মেয়ে আমার সামনে
দাড়িয়ে আছে।দেখতে অসম্ভব
রকমের সুন্দরী।আমি কি বলব ভেবে
পাচ্ছিনা।আমি তো তাকে দেখে
কথা বলার ভাষা হারিয়ে
ফেলেছি।আমি কতক্ষন মেয়েটির
দিকে তাকিয়ে ছিলাম বলতে
পারবনা।,,,,এভাবে হা করে কি
দেখছেন?মেয়েটির ডাকে ধ্যান
ভাঙ্গল আমার।
,
আমি-কই কিছুনা তো।আপনি কেন
ডাক দিলেন?
মেয়ে-জানেনা ধুমপান করা
সাস্থের জন্য ক্ষতি?
আমি-জানি।কিন্তু আমব মাঝে
মাঝে খাই।
মেয়ে-এত তাড়াতাড়ি মরার শখ
হইছে বুঝি তাই না?
আমি-আরে নাহ।
মেয়ে-তাহলে এসব খান কেন?
আমি-বাদ দেন।এখন বলেন ডাকলেন
কেন?
মেয়ে-আচ্ছা এখন বলেন তো ইংলিশ
ডিপার্টমেন্ট টা কোন দিকে?
,
তারপর আমি তাকে ডিপার্টমেন্ট
টা বলে দিলাম।সে ছোট্র একটি
ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল।
,
সেদিন ক্লাসে গিয়ে কোথাও
বসার জায়গা নেই।ক্লাসের
মাঝখানে দাড়িয়ে জায়গা খুজতে
লাগলাম কোথায়
বসা যায়।এমন সময়
একটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি গেল
কিন্তু মেয়েটি আমার দিকেই
তাকিয়ে ছিল মনে হয়।চিনতে
অসুবিধা হলনা যে ক্যাম্পাসের
সেই মেয়েটিই হচ্ছে সে।আমাকে
ইশারা দিয়ে তার কাছে ডাকল।
অতঃপর তার কাছে যাওয়ার পর একটু
সরে বসল বুঝতে বাকি রইল না
যে,,,,,,তার পাশে বসার অনুমতি দিল।
ক্লাসের ফাকে ফাকে তার দিয়ে
চেয়ে থাকলাম।অতঃপর ক্লাস শেষ
হল।
আমি তাড়া তাড়ি ক্লাস থেকে
বের হলাম।কিন্তু ততক্ষনে মেয়েটি
অনেক দূরে চলে গেছে।আমি
দৌড়ে তার সামনে গিয়ে
দাড়ালাম।অতঃপর তাকে ছোট করে
একটা থ্যাংক্স দিলাম।মেয়টি শুধু
বলেছিল অনেকটা হাপিয়ে
উঠেছেন চলুন ক্যাম্পাসে গিয়ে
বসে কথা বলা যাক।সেদিন
মেয়েটির সম্পর্কে জানা হল আর
মেয়েটিও আমার সম্পর্কে জানল।
সেদিনই আমি মেয়েটির দিকে
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে
দিয়েছিলাম।মেয়েটিও বাড়িয়ে
দিয়েছিল তার হাত।হয়ত তার মাঝে
একটা বিশ্বাস কাজ করছিল আমার
প্রতি তা না হলে প্রথম দিনে প্রথম
দেখাই কেউ ফ্রেন্ডশীপ করেনা।
এভাবেই প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে তা
ভালবাসায় পরিনত হতে বেশি দিন
লাগেনি।এভাবেই দেখতে দেখতে
কেটে গেল ৪ টি বছর।এক মুহুর্তের জন্য
কেউ কাউকে ভুলে থাকতে
পারিনা যা এখনো বিদ্যমান আছে।
, আমি এখন ক্যাম্পাসে নিধির জন্য
অপেক্ষা করতেছি।কখন নিধি
আসবে।বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে
হলনা তার আগেই নিধির আগমন।
দেখতে দেখতে আমার সামনে চলে
এসেছে,,,,,কেমন আছো?এসেই নিধি
প্রশ্নটা করল।
,
আমি-ভাল।তুমি কেমন আছো?
নিধি-ভাল।
আমি-এখন বল এতরাতে তোমার ফোন
ওয়েটিং ছিল কেন?
নিধি-রাতে পাশের বাড়ির
আঙ্গকেল হার্ট এট্যাক করেছিল তাই
উনারা আমার নাম্বারে ফোন
দিয়েছিল।তখন বাবা আমার
ফোনটা নিয়ে গিয়েছিল।পরে আর
কিছু বলতে পারবনা।
আমি-আমি তো অন্যকিছু ভেবে
নিয়েছিলাম।
নিধি-আমাকে কি তোমার
বিশ্বাস হয় না?
আমি-সরি নিধি।আমি বুঝতে
পারিনি।আসলে এমন একটা বাজে
স্বপ্ন দেখেছি তাই উল্টা পাল্টা
ভেবেছি।সরি জান।
নিধি-আমাকে নিয়ে তোমার
অনেক ভয় তাই না।
আমি-হুম।অনেক ভয়
নিধি-কিসের এত ভয় আমাকে
নিয়ে?
আমি-যদি কখনো আমাকে ছেড়ে
চলে যাও
নিধি-যদি সেই ভয়টা আমি দূর করে
দেই!
আমি-কিভাবে?
নিধি-চল তাহলে
আমি-কোথায়?
নিধি-গেলেই বুঝতে পারবা।
,
,
আমি আর নিধি পাশাপাশি
রিক্সায় বসে আছি।কোথায় যাচ্ছি
নিধি আমাকে কিছুই বললনা।নিধি
আমার হাতটা শক্ত ধরে রেখেছে
যেন আমি কোন অপরাধী।আজ
নিধিকে আগের চেয়ে খুব সুন্দর
দেখাচ্ছে।চুল গুলো বার বার মুখের
উপর এসে পড়ছে।কিন্তু নিধি চুল গুলো
সরাচ্ছেনা কারন নিধি চাচ্ছে চুল
গুলো আমি সরিয়ে দেই।এটা আমার
অভ্যাস কেননা নিধির সাথে
থাকা কালীন যখন তার চুল গুলা উরে
এসে মুখের উপর পড়তো তখন আমি তা
সরিয়ে দিতাম।তাই নিধি আজ চুল
গুলো সরাচ্ছেনা।কাজটা আমাকে ই
করতে হবে।আমি নিধির চুল গুলা
আস্তে করে কানের মাঝে গুজে
দিলাম।
,
হঠাৎ রিক্সা এসে একটি কাজী
অফিসের সামনে থামল।আমি
জিজ্ঞেস করলাম,, রিক্সা এখানে
থামালে কেন?
,
নিধি-তোমার ভয় দূর করার জন্য
রিক্সা এখানে থামানে হল।
আমি-মানে বুঝিয়ে বল
নিধি-কাজী অফিসে মানুষ কেন
আসে?
আমি-বিয়ে করতেই তো আসে কিন্তু
আমরা কেন আসলাম?
নিধি-আমরাও এখানে বিয়ে করতে
এসেছি
আমি-মানে কি?তুমি কি পাগল
হয়েছ?
নিধি-তোমার ভয়টা দূর করার জন্য
না হয় পাগলই হলাম।
আমি-বাসায় না জানিয়ে এ
কাজটা করা ঠিক হবেনা।
নিধি-সমস্যা নেই।বাবা আমাদের
ব্যাপারটা জানে।
আমি-তবুও হঠাৎ করে এ কাজ টা করা
ঠিক হবেনা।তাছাড়া আমি এখনো
লেখাপড়া শেষ করিনি।বাবা মা
আমাদের মেনে নিবেনা।
নিধি-আজ যদি তুমি আমাকে বিয়ে
না কর তাহলে আমাকে হারাতে
হবে।বাবা মার ব্যাপারটা আমার
উপর ছেড়ে দাও।
আমি-আমি তোমাক হারাতে চাই
না।
নিধি-তাহলে চুপচাপ আমার কথা
মেনে নাও।
আমি-তোমাকে পাওয়ার জন্য সব
করতে পারি।
নিধি-তাহলে চুপচাপ আমার সাথে
চল।
আমি-কিন্তু সাক্ষী?
নিধি-সব ব্যবস্থা করা আছে।
আমি-তাহলে চল।
,
আমি যাচ্ছি নতুন বন্ধনে আবদ্ধ হতে।
না চাইতেই নিধি আমাকে অনেক
কিছু দিয়েছে।আর আজ যা দিল
তারপর আর নিধির কাছে কি
চাওয়ার থাকতে পারে।অবশেষে
নিধি আমার স্বপ্নটাকে সত্যি হতে
দেয়নিএর পর আর কিছুই চাওয়ার
থাকতে পারেনা নিধির কাছে।
,
লিখা,এক মুঠো স্বপ
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
425
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§Ļ:ā§Šā§Ŧ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ