>আমি চলে যাচ্ছি ভাল থাকিস
>আমার ভাল থাকার সবটাই যে তুই
সেই তুই ই যখন চলে যাবি তাহলে আর
ভাল থাকব কেমন করে?
>আস্তে আস্তে ঠিকই আমাকে ছাড়া
ভাল থাকতে শিখে যাবি।
>আমি তো কখনোই তোকে ছাড়া
ভাল ছিলাম না।
>আমাকে ছাড়া ভাল ছিলি হয়ত
বুঝতে পারিস নি।
>না।কখনোই তোকে ছাড়া ভাল
ছিলাম না।তুই একবার ভেবে দেখ
আমার দুঃখের সময় তুই যেভাবে
আমার পাশে ছিলি,তা কি করে
ভুলে যাই বল।যে বাধনে তুই আমাকে
জড়িয়ে নিয়েছিল সে বাধন কখনো
ছিড়ে যাবার নয়।আমি তোর বাধনে
আরও শক্ত করে বাধা পড়তে চাই।
প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিস না।
>একজন বন্ধু হিসেবে আমি আমার
কর্তব্য গুলো পালন করেছি মাত্র।অন্য
কিছুর জন্য না।আমি চাই তুই সবসময় সুখে
থাক।
>কেন বুঝতে চাচ্ছিস না। তোকে
ছাড়াআমি সুখে নেই।
>আমি যাই ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে
গেছে
>একটা সময় আমার জীবনে সুখ
ছিলনা,তুই সেই সুখের সন্ধান দিলি।
আর আজ যদি তুই আমাকে ছেড়ে চলে
যাস তাহলে আমার জীবন থেকেও
সুখটা চলে যাবে।এখন সিদ্ধান্ত
তোর।
>আমি আসি ভাল থাকিস।
>আর একটা বার ভেবে দেখনা?
>আমার আর ভাবার কিছু নাই।আমি
আসি,,,,,,নিজের খেয়াল রাখিস।
>আমাকে নিয়ে ভাবতে হবেনা
তোর।তুই তোর প্রতি খেয়াল রাখিস
আর ভাল থাকিস দোয়া করি,,,,,,
....
আমি শুভ।লেখাপড়া শেষ করে এখন
একটা ব্যাংকে জব করছি।আর যার
সাথে কথা হচ্ছিল তার নাম সেতু।
সেতু আর আমি পাশাপাশি
ফ্ল্যাটে থাকতাম।পার্থক্য একটাই
সেতু থাকত তার খালার সাথে
তার খালার কোন সন্তান ছিল না।
সে হিসাবে তারা সেতুকে
নিজের মেয়ের মত দেখত।এখানে
থেকেই সে লেখাপড়া করে। আর
আমি থাকতাম মামা মামীর
সাথে।বাবা মা মারা যাবার পর
থেকেই তাদের সাথে থাকি।
তারাও আমাকে তাদের
সন্তানের মতই দেখত।তবুও বাবা মার
অভাব কি আর অন্য কাউকে দিয়ে
পূরন করা যায়। সেতু আমার এক বছরের
জুনিয়র ছিল।আমি যখন অনার্স
ফাইনাল,সেতু তখন অনার্স থার্ড
ইয়ার।
মামী ই প্রথমে সেতুর সাথে পরিচয়
করিয়ে দিয়েছিল পাশাপাশি
ফ্ল্যাটে থাকি সেই সুবাদে।এরপর
থেকে প্রায় ই সেতুদের বাসায়
যেতাম।আস্তে আস্তে সেতুর সাথে
ভাল একটা সম্পর্ক গড়ে উঠল।একটা সময়
কেউ কারো সাথে কথা না বলে
থাকতে পারতাম না।আমাদের এরকম
মেলামেশাকে কেউ কখনো
সন্দেহের চোখে দেখেনি,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,কিন্তু কখন যে নিজের
অজান্তেই সেতু আমার মনের মধ্যে
জায়গা করে নিল নিজেই বুঝতে
পারলাম না
...
সেতুর সাথে বন্ধুত্ব হবার থেকে
আমার দিন গুলি খুব ভালই কাটতে
লাগল।আমি কখনোই নিজের প্রতি
কেয়ার ছিলাম না।সেতু আমার
যথেষ্ট কেয়ার করত।আমার
অগোচালো জীবনটাকে সেতু নিজ
হাতে গুছিয়ে দিয়েছে।সেতু
আমাকে যে পরিমান কেয়ার করতো
এর বিন্দু পরিমান কেয়ার আমি সেতুর
করিনি।তবুও মেয়েটা কেমনন করে
যেন আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে
গেল বুঝতেই পারলাম না।নিয়মিত
ভার্সিটিতে ক্লাস করতে হতো
একমাত্র সেতুর জন্য যা আগে আমি
কখনোই করতাম না।ছুটির দিনে সেতু
আমাকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে বের
হতো কিন্তু আমি ছিলাম খুবই ঘর
কোণো,,কাজ ছাড়া কখনোই ঘর
থেকে বের হতামনা।এভাবেই
এগিয়ে যেতে লাগল আমার আর
সেতুর খুনসুটিময় বন্ধুত্ব।
...
আজ আমার আর নীলিমার মধ্যে
ব্রেকাপ হয়ে গেল।কারন একটাই
আমার এখনো লেখাপড়া শেষ হয়নি।
আর তার পক্ষে এতদিন আমার জন্য
অপেক্ষা করা সম্ভব না।এই সামান্য
একটা অজুহাতে নীলিমা আমার
সাথে ব্রেকাপ করেছে।শত চেষ্টা
করেও সেদিন নীলিমাকে ধরে
রাখতে পারিনি।এরপর থেকে আমি
অনেকটা ভেঙ্গে পরেছিলাম।
খাওয়া দাওয়া একদম ছেড়ে
দিয়েছিলাম।সেতু আমার এই অবস্থা
দেখে আমার পাশে ছায়ার মত এসে
দাড়ায়।কখন কি করছি না করি সব সব
খবরা খবর সেতু রাখত।কখনো কখনো
না খেলে সেতু নিজ হাতে এসে
খাইয়ে দিত।কিন্তু আমি নির্বাক
হয়ে সেতুর পানে চেেয় থাকতাম।
..
আজ সেতুর জন্মদিন।ঘড়ির কাটা যখন
১২ টা ছুই ছুই ঠিক তখন ই আমি সেতুকে
উইশ।মেয়েটা সেদিন কি যে খুশি
হয়েছিল বলে বুঝানো যাবেনা।
আজ সারাদিন সেতুকে নিয়ে ঘুরব
বলে প্ল্যান করে রেখেছি।যখন এক
সাথে ঘুরার কথা বলেছি তখন খুশি
হয়েই হ্যা বলে দিয়েছিল।অনেক
ঘুরাঘুরির পর একটা পার্কে এসে
বসলাম।পাশাপাশি বসে
আছি,,,সেতুকে আগের তুলনায়
আজকের দিনে অনেক সুন্দর
লাগছে।,,এই নে ধর!
...
আমি-কি আছে এর মধ্য
সেতু-কিছু টাকা আছে
আমি-কিন্তু আমি কেন তোর টাকা
নেব?
সেতু-কাল না তোর একটা চাকরির
ইন্টারভিউ আছে।টাকা টা রাখ
কাজে আসবে।,,,,আসলে আমি মামার
কাছ থেকে হাত খরচ নিতাম না।
মামার একার আয়ে কোন রকম
সংসারটা চলে যায়।তাই আমি আর
টাকা চাইনি যদিও মাঝে মাঝে
মামা জোর করে টাকা দিত।
টিওশনি করেই আমি আমার
লেখাপড়া চালিয়ে গেছি।এরই
মধ্যে আমার লেখাপড়া শেষ।একটা
জবব করে মামার সংসারের হাল ধরব।
আগামীকাল একটা ইন্টারভিউ আছে
আর তাই সেতু আমাকে টাকাটা
দিচ্ছে।
আমি-এভাবে আর কতদিন টাকা
দিবে?
সেতু-হইছে তোর ডায়লগ বন্ধ কর
টাকাটা রাখ।
আমি-ধর এটা রাখ
সেতু-কি এটা?
আমি-একটা ব্রেসলেট আর একটা
পারফিউম।
সেতু-তোকে কে বলেছিল এসব
আনতে?
আমি-আরে রাখনা,,,,সবসময়তো তুই ই
দিয়ে গেলি।সেই হিসাবে এটা
কিছু না
সেতু-ভালই কথা শিখেছিস।
আমি-আচ্ছা চল উঠি সন্ধা হয়ে
আসছে
সেতু-হুম চল।
...
অবশেষে আল্লাহর রহমতে চাকরিটা
হয়ে গেল।বাসার সবার জন্য মিষ্টি
নিয়ে আসলাম।মামা-মামীকে
নিউজটা জানিয়ে চলে আসলাম
সেতুদের বাসায়।আমার চাকরির খবর
শোনে সেতু সেদিন অনেক খুশি
হয়েছিল।সেতুকে বলেছিলাম,,,,এখন
আর তোর কাছ থেকে টাকা নিতে
হবে না,,,,,,বরং এখন দরকার পড়লে তুই ই
আমার কাছ থেকে টাকা নিতে
পারবি।
এখন তো আমায় ভুলে যাবি তাই না?
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে
..
আমি-কি করে তোকে ভুলব,,তোকে
কখনো ভুলার নয়
সেতু-এখন তো তুই তোর কাজ নিয়ে
ব্যস্ত থাকবি,,আমার কথা কি মনে
থাকবে তোর?
আমি-খুব থাকবে।তুই দেখিস
সেতু-সেটা পরে দেখা যাবে।
আমি-তুই যে আমার জীবনের ই একটা
অংশ তোকে কেমন করে ভুলে যাব।
এমন কথা আর কখনো বলবিনা।
সেতু-বলব না।তবে একটা কথা
আমি-কি কথা বল
সেতু-আমি কিন্তু আগের মতই তোকে
মাঝে মাঝে টাকা দেব আর সেটা
তোকে নিতে হবে।
আমি-তুই যদি খুশি থাকিস তাহলে
নিব
সেতু-হুম।খুব খুশি হব।
আমি-তোকে খুশি করার জন্য সব
করতে পারি।
...
আজ নাকি সেতুকে দেখতে আসছিল।
কিন্তু সেতু তাদের সামনে যায়নি
বরং এখন সে বিয়ে করতে রাজী নয়
সেটা পাত্র পক্ষকে জানিয়ে
দিয়েছে পরিষ্কারভাবে।তার
খালাও এ নিয়ে আর তেমন কোন
কথা বলেনি।
সেতুকে সারা বাড়ি খুজে না
পেয়ে ছাদে চলে আসলাম।।এসেই
দেখি পেছন ফিরে এক দৃষ্টিতে
আকাশ পানে চেয়ে আছে,,,কি রে
তুই নাকি বিয়ে ভেঙ্গে দিছিস
..
সেতু-হুম দিছি।তো?
আমি-কিন্তু কেন বিয়েটা ভেঙ্গে
দিলি?
সেতু-আমি এখন বিয়ে করব না।
আমি-কিন্তু একদিন তো বিয়ে
করতেই হবে।সেটা না হয় দুদিন
আগেই হোক,,
সেতু-সেটা নিয়ে তোর মাথা
ঘামাতে হবেনা।এখন বল কেমন
যাচ্ছে তোর কর্মময় দিন গুলো?
আমি-ভাল।একটা গুড নিউজ আছে
সেতু-কি গুডনিউজ সেটা শুনি।
আমি-নীলিমা আবার আমার কাছে
ফিরতে চায়।
সেতু-,,,,,,,,,
আমি-কি রে কি হল?
সেতু,,,,,এবারো নিশ্চুপ
আমি-কিছু একটা বল
সেতু-তুই কি সিদ্ধান্ত নিলি?
আমি-ভাবছি মামা- মামীকে
দিয়ে নীলিমার বাসায় বিয়ের
প্রস্তাব পাঠাব,,,,,,,,,,,,,নীলিমা ছিল
আমার প্রথম ভালবাসা তাই তার
প্রতি একটা টান এখনো আছে।
সেতু-তোর যেটা ভাল মনে হয়
সেটা ই করিস,,,,,এই বলে সেতু আমার
সামনে থেকে চলে গেল।ওর
চোখদুটো কেন যেন পানিতে টলমল
করছিল।আমি আর কিছুই বলতে
পারিনি সেতুকে,,,,
...
এরপর থেকে সেতুর সাথে আর তেমন
একটা কথা হত না।সেতু আর আগের মত
নেই,,,আমাকে অনেকটাই এড়িয়ে
চলে।প্রশ্ন করলে গা ছাড়া জবাব
দেয়।এখন আর সেতুকে হাসি-খুশি
দেখা যায় না।সেই কবে সেতুকে
হাসি মুখে দেখেছি সেটাও এখন
ভুলতে বসেছি।হঠাৎ করেই কেন
এভাবে বদলে গেল বুঝতে
পারতেছি না।কি এমন হল যার জন্য
এভাবে বদলে যেতে লাগল।
...
আজ আমার চাকরির প্রথম বেতন
পেলাম।একটা শপিংমলে আসলাম।
মামা-মামীর জন্য কিছু কাপড় আর
সেতুর জন্য একটা শাড়ী কিনব
বলে,,,,,,এক্সকিউজ মি,,,আপনি শুভ না।
একটা মেয়ের ডাক শুনে পেছন
ফিরে তাকালাম।
...
আমি-হুম।কিন্তু আপনাকে তো
চিনতে পারলাম না।
মেয়েটি-আমি সেতুর ফ্রেন্ড নীরা।
আমি-ওহ আচ্ছা।কেমন আছেন?
মেয়েটি-ভাল।আপনি কেমন আছেন?
আমি-আলহামদু-লিল্লাহ।
মেয়েটি-আচ্ছা বেশ কিছুদিন হল
সেতুকে কলেজে দেখিনা আর ফোন
দিলেও রিসিভ করেনা।
ভাবছিলাম আজ সেতুর বাসায় যাব।
আপনাকে পেয়ে ভালই হল।
আমি-আমার সাথেও এখন আর কথা
বলেনা ঠিকমত।আপনি একটু দেখেন
না কি হয়েছে ওর।
মেয়েটি-সেতু না আপনার
গার্লফ্রেন্ড আর আপনি জানেননা
সেতুর কি হয়েছে?
আমি-মানে? বুঝলাম না
মেয়েটি-সেতু আপনাকে
ভালবাসে আর সেতুই তো বলেছে
আপনি সেতুর বয়ফ্রেন্ড।
আমি-কিন্তু আপনি আমাকে
চিনলেন কি করে?
মেয়েটি-কারন আপনার একটা ছবি
সবসময় সেতুর হ্যান্ডব্যাগে থাকত।আর
ছবিটা দেখিয়েই বলেছিল আপনি
সেতুর বয়ফ্রেন্ড।
আমি-সেতু তো কখনো আমাকে একথ্
বলেনি।
মেয়েটি-সব কথা বলতে হয় না।কিছু
কথা বুঝেও নিতে হয়।এত কাছে
থেকেও একবার ও কি বুঝার চেষ্টা
করেননি কেন একটি মেয়ে আপনার
জন্য এতকিছু করছে।সুখে দুঃখে কেন
সবসময় আপনার পাশে ছায়ার মত
রয়েছে।সেতু আগে নামায পড়ত না
আর এখন সবসময় নামায পড়ে আর সবসময় ই
আপনার ভাল থাকা প্রার্থনা করে।
আর আপনি এত কাছে থেকেও বুঝতে
পারেননি একটি মেয়ের মনের কথা,
জানতে চাননি কেন একটি মেয়ে
আপনার জন্য সবকিছু করছে।
আমি-আমাকে তো কখনো বলেনি
এসব কথা
মেয়েটি-মেয়েরা এসব কথা আগে
কখনই বলবেনা,,,,,তারা চায়
ভালবাসার মানুষটিই আগে তাকে
ভালবাসার কথা বলতে।
আমি-একটা কাজ করতে পারবেন?
মেয়েটি-কি কাজ?
আমি-কি রকম শাড়ীতে সেতুকে
ভাল মানাবে সেরকম একটা শাড়ী
পছন্দ করুন।সব কিছুর অবসান ঘটবে আজ।
তা না হলে যে জীবন থেকে
মূল্যবান কিছু হারাতে হবে।
...
সেতুর ট্রেন টা ধীর গতিতে চলতে
শুরু করল।একটা সময় ট্রেনটি দৃষ্টির
আড়ালে চলে গেল।সেতু এখন আর
আমার শহরে নেই।সেতুর শহরটা আমার
শহর থেকে অনেক দূরে।নিজেকে
এখন খুব শূন্য মনে হচ্ছে।সেতুকে ছাড়া
আমার জীবন থেমে যাবে,,,যে
করেই হোক সেতুকে আমার জীবনে
ফিরিেয় আনতেই হবে।
...
মামা-মামীকে পাঠালাম সেতুর
খালার বাসায়।তাদেরকে সবকিছু
খুলে বলি আর তারাও মানা করেনি।
অবশেষে সেতুর খালার মাধ্যমে
সেতুর সাথে আমার বিয়েটা ঠিক
হল।সেতু নাকি বিয়েতে রাজী ও
ছিল না।আর সে যে আমাকে
ভালবাসতো এটাও নাকি বরপক্ষকে
বলতে বলেছে কিন্তু তারা তো
জানেই আমি ই সেই যাকে সেতু
ভালবাসতো।অবশেষে সেতুকে
জীবন সঙ্গী হিসাবে পাচ্ছি
ভাবতেই এক অদ্ভুদ ভাললাগা কাজ
করতে লাগল।
...
অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেল সেতুর
সাথে।বাসর ঘরে ঢুকতে পাচ্ছি না
জানি আমাকে দেখার পর সেতু কি
করতে কি করে ফেলে।সব ভয়কে
পাশকাটিয়ে অবশেষে ঘরে ঢুকেই
পড়লাম।শুনেছিলাম বিয়ের রাতে
বউ এসে সালাম করে কিন্তু না উনি
সেই বড় একটা ঘুমটা দিয়ে এখনো
বসে আছেন।আমি খাটে বসা মাত্রই
একটু দূরে সরে গেল আর বলতে
লাগল.....আপনি আমার কাছে
আসবেননা, আমাকে স্পর্শ করবেননা।
তাহলে আমার দেহটাই
পাবেন,মনটা পরে থাকবে আরেক
জনের কাছে।এখন সিদ্ধান্ত
আপনার,আপনি কি করবেন।
...
আমি-আমাকেও কি কাছে আসতে
দিবেনা।
সেতু-হঠাৎ করেই ঘোমটা টা মাথা
থেকে ফেলে দিল।কেননা এটা যে
আমার কন্ঠ সেতুর বুঝতে আর বাকি
রইলনা।
আমি-কি হল কথা বলবি না আমার
সাথে।
সেতু-তুই এখানে কেন?
আমি-আমার শ্বশুর বাড়িতে আমি
আসবনা তো আর কে আসবে।
সেতু-এই জন্যই তো বলি।কে হতে
পারে এমন বেহায়া ছেলে যে শ্বশুর
বাড়িতে বাসর রাত কাটাতে চায়।
আমি-সিদ্ধান্তটা আমার ই ছিল।
সেতু-বেহায়া একটা।তা আমাকে
বিয়ে করলি কেন? তোর নীলিমা
কই?
আমি-কথায় আছেনা,,,জীবনে দুটি
হাতকে কখনো ভুলে যাওয়া যায়
না,,,,যে হাত বিপদের সময় ছেড়ে
দেয় আর যে হাত বিপদের সময় পাশে
থাকে।তুই সবসময় আমার দুঃখের সময়
পাশে ছিলি আর সুখের সময়
থাকবিনা তা কি করে হয় বল।
সেতু-কিন্তু নীলিমা।
আমি-তাকে বুঝিয়ে বলেছি তাই
পরে আর কোন কথা বলেনি।
সেতু-কিন্তু কেন করলি?তুই তো
আমাকে ভালবাসিস না।
আমি-আমিও তোকে
ভালবাসিরে,,যদিও বুঝতে অনেক
দেরি করে ফেলেছি।
সেতু-ভালবাসলে আমাকে কষ্ট
দিতে পারতিনা।
আমি-সরি তোকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।
এখন থেকে শুধুই ভালবাসব।
সেতু-আর কাঁদাবিনা তো আমাকে?
আমি-তাহলে কি আর বিয়ে করতাম।
তোকে কাঁদাতে চাইনি বলেই তো
বিয়ে করে ফেললাম।কিন্তু তুই তো
আমাকে একা রেখে চলে এসেছিস।
একবারও আমার কথা ভাবলিনা আর
বিয়ে ও করে ফেললি।
সেতু-বিয়ে তো তোকেই করেছি।
আমি-আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ
হত।
সেতু-কখনোই সম্ভব না।কারন আমি
চলে আসার সময় যে পানি তোর
চোখে দেখেছিলাম তার মাঝে
আমি আমার ভালবাসা খোজে
পেয়েছিলাম।আর আমি জানতাম
যদি তুই আমাকে ভালবেসে থাকিস
তাহলে কখনোই তুই আমাকে
হারাতে দিবি না।ঠিক ই তোর
করে নিবি যা আজ আমি তার প্রমান
পেলাম।
আমি-এত বিশ্বাস আমার প্রতি?
সেতু-ভালবাসি বলেই তো?
আমি-কতটা ভালবাসিস আমায়?
সেতু-সেটা না হয় না ই বললাম।শুধু
জেনে রাখ তোর জন্য আমার
জীবনটা দিয়ে দিতে পারি।
আমি-তোর এই কথাটা আমার কাছে
ভাল লাগেনি।
সেতু-তুই না থাকলে আমায়
ভালবাসবে কে?
সেতু-আমি ছিলাম আছি এবং সবসময়
ছায়া হয়ে তোর পাশেই থাকবো।
আমি-একটা বলব
সেতু-কি কথা?
আমি-একবার জড়িয়ে ধরবি আমায়?
সেতু-যাহ!আমি পারব না
আমি-তাহলে আমিই জড়িয়ে ধরি।
সেতু-না। একদম আমার কাছে
আসবানা,,,,তাহলে ভাল হবেনা
বলে দিলাম।
আমি-সে না হয় পরে দেখাবে।
সেতু-অসভ্য,শয়তান কোথাকার।
আমি-তুমি যা বলবা আমি তাই ই।
...
এভাবেই চলতে থাকবে আমাদের
খুনসুটিময় ভালবাসা।সেতু আসলেই
আমার জন্য একটা ভাগ্যবতী মেয়ে।
সেতু আমার জীবনে আসার পর
থেকেই আমার জীবনে একের পর এক
সাফল্য ধরা দিতে থাকল।এই
ভাগ্যবতীকে পেয়ে আমি আসলেই
ভাগ্যবান।নিজেদের দুঃখ কষ্ট গুলো
যেন আমরা একে অপরের সাথে
ভাগাভাগি করে নিতে পারি
সেই প্রত্যাশায় ই রইল আল্লাহ্ র
কাছে।
..
লিখা.এক মুঠো স্বপ
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
497
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧧:⧧⧍ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ