রাগী বৌ
.
.
Written by: Tanjina Akter Tania(হিমাদ্রির মেঘ)
.
.
আনুশা কাপড়ের ব্যাগটা হাতে নিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে আবারো বলল
-আমি কিন্তূ সত্যি সত্যিই চলে যাচ্ছি।আর ফিরবনা কখনো।আমি পেপারটা মুখের সামনে ধরে রেখেই বললাম
-হুম।গেলে একবারে যাওয়াই ভাল।বার বার ঝামেলা করার কি দরকার?
-কি আমি ঝামেলা করি?ঝামেলাতো তুমি কর।তোমার মত দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষকে বিয়ে করে জীবনটা শেষ করে দিলাম।
আর থাকছিনা এখানে।
-আচ্ছা যাবেতো চলে যাও।এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে তর.... ওহ সরি মানে কথা বলার কি দরকার।(যদি তর্ক করছে বলি তবে আরো আধা ঘন্টা ঝারবে আমাকে। তাই আর বললাম না)
-ঐ তুমি কি বললে? আমি তর্ক করছি?
-না না আমি সেটা কখন বললাম?আমি বলছিলাম যে তাড়াতাড়ি যাও।নইলে ট্রেন মিস করবে।
-এই আমি কি যা তা ফ্যামিলির মেয়ে যে ট্রেনে ধাক্কাধাক্কি করে যাব?আমি সি এন জিতে যাব।
-আচ্ছা বাবা।যাও সি এন জিতেই যাও।
-ছিঃ কি বললা তুমি এটা?আমি তোমার ওয়াইফ আর তুমি আমার সাথে কথা বলার সময় বাবা শব্দ উচ্চারন করলা।এই তোমার কি কমন সেন্স বলতে কিছু নেই?
-আরে ওটাতো কথার কথা বলেছি।
-কথার কথাই বলবা কেন তুমি?কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা তুমি?
-ওকে এরপর আর কখনো তোমার সাথে কথা বলার সময় ঐ শব্দটা উচ্চারন করবনা।
-আরে তুমি আমাকে পাবা কই যে কথা বলবা?
আমিতো এক্ষুনি চলে যাচ্ছি।
-ও হ্যাঁ।তুমিতো চলে যাচ্ছ।ভালভাবে যেও।
-আমি ভালভাবে যাই আর মন্দভাবে যাই সেটা আমার ব্যাপার।তুমি বলার কে?
-ও তাইতো!আমি বলার কে?ওকে সরি।
-সরি বললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়?বিয়ের পর থেকে কত কত ভুল করেছ তুমি আমার সাথে?কতবার সরি বলবে আর।লজ্জা করেনা তোমার এতবার ভুল করতে আর সরি বলতে?
-আমার লজ্জা শরম একটু কমই।আর সেটাতো তুমি জানই।
-কেন লজ্জা কম থাকবে তোমার?তুমি একটা পুরুষ মানুষ না ?পার্সোনালিটি বলতে কিছু নেই কেন তোমার?
-লজ্জাতো নারীর ভূষন।ওটা পুরুষদের একটু কমই থাকে।
-কম কি বলছ?ওটাতো তুমার একবারেই নেই।
এইবার আমি আর কিছু বললাম না।কেবল চুপ করে রইলাম।পেপারটা এখনো মুখের উপরেই ধরা আছে।ওর দিকে তাকাচ্ছিনা আমি।তাকালে আরো জোড়ালোভাবে ঝগড়া করবে।আসলে মেয়েটা আমাকে খুব ভালোবাসে।ছয় বছর প্রেম করে বিয়ে করেছি আমরা।ও অনেক বড় লোক বাপের মেয়ে।ওর বোনদের সব বড় বড় ঘরে বিয়ে হয়েছে।ওর পরিবার বার বার না করা সত্বেও ও আমাকেই বিয়ে করছে।পাঁচ বছর হয় বিয়ে করেছি আমরা।আমি ওকে তেমন কিছুই দিতে পারিনি।আর ও কিছু চায় ও না আমার থেকে শুধু ভালবাসা ছাড়া।কিন্তূ এই ভালবাসাটাতে ঘাটতি পরলেই যত সমস্যা।তখন ও বৌ থেকে কাঁচা ধানী লংকা হয়ে
যায়।ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে যাবার হুমকি দেয়।যদিও আমি জানি যে ও কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেনা।কারন ও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেনা সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি।
আর ওর রাগটা কমে গেলে পড়ে গভীর রাতে যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমার পা ধরে এত কান্নাকাটি করে যে আমার ঘুম ভেঙে যায়।কিন্তূ আজকে আমি নিজেই অনেক ভয় পাচ্ছি।কারন গতকাল আমাদের ম্যারিজ ডে ছিল।কিন্তূ আমি অফিসের কাজের জন্য বাসায় আসতে পারিনি রাতে।ও আমার জন্য কেক নিয়ে বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়েছিল।তাই আজ একটু বেশী রেগে আছে।মনে মনে ভাবছি যদি সত্যি সত্যিই চলে যায়,তাহলেতো আমি শেষ।আমি একদিনও চলতে পারবনা ওকে ছাড়া।
মনে মনে আইডিয়া করে রেখেছি যদি সত্যি সত্যি গেটের বাহিরে চলে যায় তবে কোলে করে নিয়ে আসব।কিন্তু তার আগে ওর ভাবটা দেখি।আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে গেলেতো হেরে যাব।
আনুশা এখনও ব্যাগ হাতে দরজার সামনে দাড়িয়ে আমার কাছে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।
আমি একটা ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে সামনে থেকে পত্রিকাটা সরিয়ে ওকে আবারো জিজ্ঞাসা করলাম
-কি ব্যাপার যাওনি এখনো?
-আমি কি তোমার পকেট থেকে টাকা চুরি করি যে টাকা থাকবে আমার কাছে?ভাড়া না দিলে যাব কিভাবে?
এইবার আর হাসি চেপে রাখতে পারলাম না।শব্দ করে হেসে দিলাম।আর সাথে
সাথেই ও ছিঁচকাঁদুনে মেয়েদের মত কাঁদতে লাগল।আমি তখন উঠে গিয়ে ওর চোখ দুটো মুছে দিতে দিতে একটু ভঙ্গিমা করে বললাম
-থাক সোনা।তাহলে আর যেতে হবেনা।
ও কিছু না বলে কেবল আমার কাঁধে মাথা রাখল।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ