āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

523

আম্মুউউউ একটা কথা বলি??
আমি ব্যাগের ভেতর জামা কাপড় রাখতে রাখতে
বললাম -" বলো মামণি"
তৃষা ওর ছোট্ট দুই ঝুঁটি দুলিয়ে আনন্দের সাথে
বলে উঠলো "আব্বু কেও এই ব্যাগে করে
নিয়ে যাই আম্মুউউউউউ!?"
আমি ওর কথা শুনে থমকে যাই। ওর দিকে ফিরে
রাগী স্বরে বলে উঠলাম
" তৃষা! তোমাকে আমি একশ বার বলেছি তোমার
আব্বু আমাদের সাথে যাবেনা! বলেছি না?!"
তৃষা গালে হাত দিয়ে আমার দিকে ছলছল চোখে
তাকিয়ে মাথা নাড়লো।
আমি - তবে আবারো প্রশ্ন করছ কেন?
কক্সবাজার না তোমার প্রিয় জায়গা? কতো দিন
যেতে চেয়েছ, আজ যখন নিয়ে যাচ্ছি তখন
আপত্তি কেন! আর বারবার আব্বু আব্বু করবেনা!
তোমার আব্বু আর আম্মু আমি ই বুঝেছো?!"
তৃষা দৌড়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে, আমি
ব্যাগে তৃষার কাপড় ভরতে ভরতে আপন মনে
বলে উঠলাম
" আর না! এমন মানুষের সাথে আর থাকা যায়না! যাস্ট
ডিসগাস্টিং! "
আমি ইয়ারফোন টা ব্যাগে নিতে গিয়ে দেখি সেটা
কুচি কুচি করে কাটা ,অবাক হলাম খুব! সেগুলো
ফেলে দিয়ে
আমি উঠে গিয়ে পার্স টা নেওয়ার জন্য এক টান
দিয়ে ড্রয়ার টা খুলতেই হঠাৎ আঁতকে উঠলাম! এ কি!
একটা মানুষের খুলি রাখা এখানে!
আমার রাগ ধরে গেলো! ওই লোক টা এই কাজ
করেছে আমি নিশ্চিত! আমি খুলি টা হাতে নিলাম,
প্লাস্টিকের! আমি সেটা ছুড়ে ফেলে দিলাম!
যত্তসব আজব লোক!
.
.
তৃষা বাবার সামনে গিয়ে গাল ফুলিয়ে বসে রইলো,
তৃষার বাবা আসাদ রহমান হাত থেকে খয়েরি রং এর
গিটার টা নামিয়ে তৃষার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো
" আমার রাজকন্যা টার কি হয়েছে? কে বকলো?!"
তৃষা গাল ফুলিয়ে উত্তর দিলো
"আম্মু!"
আসাদ - ওহহো! আম্মু কে তো আমিও ভয় পাই!
কিন্তু আম্মুর এতো সাহস! আমার মেয়েকে
বকবে!! আম্মু কে ধরে পানিতে ফেলে দিবো
কক্সবাজারে! কি বলো? কেমম আইডিয়া?!"
তৃষা -"নাহ! আমি এটা চাইনা! আমি চাই তোমরা দুইজন
আমার সাথে থাকো!"
আসাদ - "আহারে! আচ্ছা, এই ইচ্ছা পূরণ হবে!"
তৃষা " সত্যি আব্বুউউ??!"
আসাদ -" হ্যাঁ সত্যি "
.
.
.
..
গোসল শেষে ড্রেসিং টেবিলের সামনে কাজল
টা নিতেই দেখি কাজলের শিষ ভাংগা! সেটা রেখে
মেকআপ টা নিলাম, মেকআপ বক্সে আবার পানি
দেয়া! লিপস্টিক এর মুখ আঠা দিয়ে লাগানো!
স্টোনের প্রতিটা. চুড়ির পাথর এক টা আছে এর
পরের টা নেই, এর পরের টা আছে, তার পরের
টাতে নাই, !নেইলপলিশ এর কৌটায় নেইলপলিশ,নাই, পানি
ভর্তি!! আমি কি করবো ভেবে পেলাম না! এই
লোক টার সমস্যা কি! এখনো কেউ পাবনায়
রেখে আসেনা কেন!
আমি রাগে উঠে গেলাম! এমন সময় ভেসে
উঠলো এক ফকিরের কন্ঠ
" আম্মাজান ও আম্মাজান,, একটা টাকা ভিক্ষা দেন না
আম্মাজান, ওরে দয়াল আম্মাজান! ওরে দেশের
আম্মাজান!"
সুর করে বাজতেই থাকলো! আমি কান চেপে
ধরে চিৎকার. করে উঠলাম
" যাস্ট স্টপ ইট!"
হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলো। আমি কপালের ঘাম
মুছলাম! রাগে হিতাহিত জ্ঞান সব হারিয়ে ফেলেছি!
আমি রাগে ড্রেসিং টেবিল থেকে ক্লিপ নিয়ে
মাথার চুলে ক্লিপ দিতে গিয়ে দেখি ক্লিপ চুলে
পেঁচিয়ে আটকে গেছে, খুলছেনা, আমি
জোরে টান দিয়ে ক্লিপ খুললাম মাথার চুলের. আমার
শখের মাথার লম্বা চুল. খানিক টা ছিড়ে গেলো! আমি
ক্লিপ ছুড়ে ফেলে দিলাম! কি ব্যাপার! এতো সব
কান্ড ঘটিয়ে নিজে সাধু হয়ে বসে আছে!
আসছেনা!
আমি দৌড়ে রুম থেকে বের হলাম, হলরুমে কেউ
নাই! দূর থেকে মনে হলো সবুজ কি যেনো রাখা
টেবিলে, আমি সামনে গিয়ে দেখি একটা ছোট্ট
চিরকুট পেপার ওয়েট দিয়ে শুধু আটকানো। চিরকুট
টা পাতায় লেখা! গাছ এর পাতা ,, সেখানে লেখা
"BNJ S USJTIB FLUV JDF- DSFBN LIFUF
HFMBN"
এই ভাষা হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে সে ই
আমাকে শিখিয়েছে! এখানে লেখা " Ami R Trisha
Ektu Ice - Cream Khete Gelam"
এই চিঠি পড়তে 6 মিনিট লাগলো আমার!
আমি হঠাৎ পাশে তাকিয়ে দেখি আসাদের গিটার টা! এই
সেই গিটার! আমি ঠিক করলাম, আমার সাথে সব কিছু
করার প্রতিশোধ নেয়ার সময় এখন ই!
আমি টুলবক্স থেকে হাতুড়ি নিয়ে আসলাম! এই হাতুড়ি
দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে গিটার এর বারোটা বাজাবো, হাহা!
বেশি বাড়ছিলো! এই গিটার টা ওএ বাবা মানে আমার
শ্বশুরের দেয়া! তাই এতোদিন কিছু করিনি, কিন্তু আজ
সব ধৈর্য এর বাধ ভেঙে গেছে আমার!
আমি হাতুড়ি হাতে নিলাম,, কেউ নেই বিশাল বাড়িতে!
আমি হাতুড়ি আস্তে আস্তে উঠালাম,,, আশ্চর্য! হাত টা
কাঁপছে কেন আমার! আমার তো খারাপ লাগার কথা না!
আমি মনের সমস্থ শক্তি দিয়ে গিটার টায় বাড়ি দিলাম।
চোখ খুলে দেখি গিটার আগের মতোই আছে!
আমি অবাক হয়ে গিটার টা ছুঁয়ে দেখলাম! হায় আল্লাহ!
এটা গিটার না! ফোমের গিটারের প্রতিরুপ!
আমার খুব রাগ হওয়ার কথা, কিন্তু কেনো যেনো
শান্তি লাগলো! যাক আমার হাতে আজ পাপ কাজ টা
হলো না!
এমন সময় তালা খোলার আওয়াজ পেলাম, দেখি বাবা
মেয়ে হাসতে হাসতে ঘরে ঢুকছে! তালা খুললো
কেন! তার মানে আমাকে তালা দিয়ে গেছিলো!
আমার রাগ উঠলো আবার.
আসাদ আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে একটা
ছোট গিফট বক্স দিলো। আমি নিলাম না।
আসাদ - প্লিজ, , গিফট টা খুলে দেখো! তোমার
প্রয়োজনীয় এক জিনিস আছে!প্লিজ! লাস্ট
রিকুয়েস্ট!
আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও গিফট টা হাতে নিলাম। হালকা
লাগছে.
আমি খুললাম গিফট টা,, আরেক টা প্যাকেট বের
হলো, সেটা খুললাম, আরেক টা , জিদ ধরে
গেলো!. এভাবে হতে হতে একদম ছোট্ট
বাক্স টা খুলে দেখি সেটায় দুই টাকার একটা ছেড়া
নোট! নোটে লেখা
" বন্দু হতে ছায়"
আমি সেটা দেখে রাগে বাক্স টা ছুড়ে মারলাম ওর
দিকে, তৃষার হাত ধরে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম!
আর এ পথে আসবোনা!
গাড়িতে উঠে ট্রেন স্টেশন এ গেলাম, ট্রেনে
উঠলাম, তৃষার মন খারাপ অনেক, গাল ফুলিয়ে আছে,
মনে হচ্ছে কান্না করে দিবে যেকোনো
সময়!
ট্রেনে বসলাম বাহ. জানালার পাশের সিট! প্রথম
সারিতে এই একটা সুবিধা, বেশি কেউ থাকেনা!
আমি জানালার পাশে বসে পড়লাম,, কি শান্তি! বাতাস! ঠান্ডা
বাতাসে চুল উড়ছে! আমি শান্তিতে তৃষা কে
কোলে বসিয়ে মাথা দিয়ে হেলান দিলাম, হঠাৎ
কিসের যেনো শূন্যতা মনে হলো! কি ব্যাপার!
আমার মনে হচ্ছে বুক টা কেউ ছুরি দিয়ে
ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে! আজব তো! এমন
লাগছে কেন! হাহাকার করছে কেন মন টা! ওই
লোক তো আমার মতো না! তো আমার খারাপ
লাগছে কেন!
এতো কঠিন এক মানুষ হয়েও চোখে পানি চলে
এলো আমার! নাহ! পারবোনা তো!
হঠাৎ তৃষা দেখি কার দিকে তাকিয়ে হাসছে, আমি
চোখের পানি মুছে ওকে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস
করলাম
"হাসছো কেন তৃষা!"?
ও আংগুল তুলে কি যেনো দেখালো, আমি
তাকিয়েই থমকে গেলাম, নিজেকে বিশ্বাস করতে
পারছিনা! আসাদ বসে আছে ওইপাশে নীল পাঞ্জাবি
পড়ে, আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লো! হাতে
একটা ফুল বিহীন ফুলের ডাটা!
আমি আনন্দে হেসে ফেললাম ওর দিকে তাকিয়ে!
মনে মনে বললাম
"পাগল একটা!"
(সমাপ্ত)
.
লেখা - মৌমিতা শিকদার

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ