āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

290

🌾আমার আমি🌾
লেখা: Md Shamim Hasan
.
.
পুরোনো আর শেওড়াপড়া বাড়িটাতে আজ বেশ কয়েকদিন পর আসা হলো আমাদের। এবার পুরো পরিবার সহ আসলাম। এখানে আগেও বেশ কয়েকবার একা এসেছি। যায়গাটা আমাদের খামার বাড়ি। শেষ এসেছিলাম দু বছর আগে। তবে সেবার আসা হয়ে ছিল নিজের ইচ্ছায় বেড়াতে। আর এবার আসা হলো পরিবারের জোড়াজুড়িতে। ১৫ দিন আগে মায়ের আলমারি থেকে টাকা চুরি করতে গিয়ে কাগজ গুলো চোখে পরল। অথচ নিজ থেকে বাবা মা আমাকে কিছুই জানান নাই। পৃথিবীকে ইদানিং আজিব মনে হয়। এজন্যই বুঝি বাবা ইদানিং খানিকটা সময় পাশে বসে গল্প করতে থাকেন। প্রয়োজন না থাকলেও অনেকগুলো টাকা পকেটে গুজে দিয়ে বলেন যা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে আয়। এসব ভাল লাগে না আমার। আমি নিজে থেকে কাউকে না বলে টাকা চুরি করার আনন্দটাও ইদানিং হারিয়ে ফেলছি। যে কাগজগুলো আমি সেদিন দেখেছিলাম সেগুলো আমার ডাক্তারি রিপোর্ট। রিপোর্ট বলছে আর ২ মাস আমি পৃথিবীর যাত্রী। ব্রেন ক্যান্সার নাকি আমাকে গ্রাস করে বসে আছে। অথচ শারিরীক ভাবে এরকম কিছুই কখনও মনে হয়নি আমার।
আমাকে ব্যাপারটা না জানালেও আমার বেশ কিছু কাছের বন্ধুকে জানিয়েছে বাবা। হয়ত এজন্যই সেদিন অনিকের চোখ ভর্তি জল দেখেছিলাম আমি। আমার জীবনের অর্ধেক অনিকের অংশ। প্রায় ৭ বছর হলো আমরা এক সাথে আছি। কাছের বলতে ওর আমি ছাড়া কেউই নাই। কখনও কোনো মেয়ের দিকে মজা করেও তাকানোর চেষ্টা করেনি সে। ওর ধারনা আমাদের জীবনে ৩য় ব্যক্তির আগমন ঘটলে হয়ত মায়াটা কখনও কমে যাবে। তাই সেই ৩য় ব্যক্তির আগমন সে চায় না। ওর আর আমার মধ্যে একটা মিল হচ্ছে আমি দুজনের মানিব্যাগকে আলাদা চোখে দেখি না।
আচ্ছা ওপারে কী অনিকের মত বন্ধু পাওয়া যাবে?
ইদানিং শখের সাইকেলটাকেও আর সহ্য হয় না। অথচ এটাই ছিল আমার প্রতিদিনের বাদরামির অংশিদার। আসলে সাইকেল নিয়ে বাদড়ামি করার ইচ্ছা এখনও হয় মাঝে মাঝে। তবে পর মুহূর্ত ভাবি সর্গে তো সাইকেল নেই তাহলে নতুন করে তার মায়াতে পরে কী লাভ। আতিফ ইদানিং আমি শুনতে না চাইলেও ওর এলোমেলো গিটারের শুরে গানগুলো গেয়ে চলে। অথচ এই আতিফকে এতদিন কত মেরেছি একটু গান শোনার জন্য। তবুও ও মুখ থেকে সেদিন শব্দ বের করেনি।
আমার বন্ধুরা হয়ত আমাকে মিস করবে বলে করুনা করছে। ওদের চোখ প্রায়ই লাল দেখা যায়। কোনো কারণ ছাড়াই হুটহাট করে জড়িয়ে ধরে আমাকে। ওরা জানেনা না রিপোর্ট টা আমিও দেখেছি।
আমি এমন বন্ধুদের চাই না আমি চাই আমার আগের বন্ধুদের। যারা আমার চলে যাবার কথা ভেবে করুনা বা ভালোবসে চোখের জলে আমাকে বিদায় দিবে না। আমি চাই ওরা হাসিমুখে শুধু আমার পাশে থাকুক।
ঘরের ভেতর আসছে কেমন জানি লাগে ইদানিং। সখের বিছানা প্রিয় এই রুমটাও কয়েকদিন পর আমার থাকবে না। বইয়ের থাকের পাশে রাখা ক্রিকেট ব্যাট টা সেদিন ভেঙে ফেলেছি। সর্গে তো ক্রিকেট খেলা যায় না। তাহলে আর প্রাকটিস করে কি করব।
বোনটাও কেমন জানি হয়ে গেছে। ইদানিং আর কোনোকিছু নিয়ে আমার পেছনে লেগে থাকে না।
বড় মাছটা নিয়ে ইদানিং আর কাড়াকাড়ি করেনা মেয়েটা। যখন খাবার টেবিলে সবাই বসে থাকি তখন নিজে থেকেই বলে মা বড় মাছটা ভাইয়াকে দাও। আমি মাছ খাবো না। কেনো জানি মাছ খেতে ইচ্ছা করছে না। কথাগুলো বলার সময় ওর চোখ ভর্তি পানি দেখা যায়। ছোট বোনটার এরকম কথা শুনে মা আমার পেছনে বসে ফুঁপিড়ে ফুঁপিড়ে কাদে আর শাড়ির আচলে চোখের জল মুছতে ব্যস্ত সময় পার করে বুঝি। তবুও কোনো সারা দেই না আমি। থাকুক না ওরা ওদের মত। আর কয়েকটা দিন না হয় ওদের মত করেই বেঁচে চলে যাই। মা ইদানিং কেনো জানি আমার চোখের দিকে তাকায় না। মায়ের চোখগুলো সব সময় ফোলা দেখা যায়। সেদিন রাত ৩ টা বাজে। কেনো জানি ঘুম না আসাতে মায়ের রুমে যেতে মন চাইল। গিয়ে দেখি মা তখনও নামাজের পাটিতে বসে কাঁদছেন। মাঝে মাঝে গভীর রাতে মায়ের পায়ের কাছে বসে থাকতে খুবই ভাল লাগে। অনেক শান্তি লাগে যখন মায়ের পায়ের কাছে মাথাটা রেখে একটু নিঃশ্বাস নেই।
সত্য কথা বলতে আমার একটুও খারাপ লাগছে না। এসেছিলাম যখন তখন চলে তো একদিন যেতেই হতো। তবে আমার অসুখ অথচ আমি কিছুই টের পাচ্ছি না ব্যাপারটা সত্যেই আজব।
ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারলাম না।খুব ইচ্ছা ছিল কোনো একটা মানুষকে ভালোবেসে রেললাইনের এলোমেলো পথে তার হাতটা ধরে হাটার সময় আনমনে তাকিয়ে থাকব তার খোলা চুলের দিকে।
সেটাও আর হয়ে উঠল না। জীবনের অনেক ইচ্ছাই অপূর্ণ রেখে চলে যেতে হচ্ছে।
আজ আমাদের খামার বাড়িতে শেষ ঘুরতে আসা। আমি বারান্দাতে বসে বন্ধুদের সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা ভাবছিলাম।
হটাৎ মা - বাবা আর ছোট বোনটা দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাদতে শুরু করেছে। হঠাৎ তাদের এই কান্নার কারন প্রথমে অজানা থাকলেও পরে জানতে পারলাম ডাক্তারের দেওয়া রিপোর্টটা ভুল ছিল। আমার কিছুই হয়নি। ডাক্তার নাকি ভুলবসত অন্যে একজনের রিপোর্ট আমাকে দিয়ে দিয়েছিল। আমি নাকি আবারও হাসতে পারব পৃথিবীর বুকে নিজের ইচ্ছামত। এজন্যই বুঝি মাঝে মাঝে ভাবতাম আমি অসুস্থ তবে এরকম কিছুই তো শারীরিক ভাবে টের পাই না। আমার কিছু হলে তো সবার আগে শারিরীক ভাবে আমিই টের পাবো। যাইহোক আবারও হয়ত সপ্ন দেখতে শুরু করেছি। অপূর্ণ ইচ্ছা গুলো হয়ত এবার পূর্ন হলেও হতে পারে। কারও সপ্ন ভাঙে আবার কারও সপ্ন মজবুত হয় এটাই বুঝি পৃথিবীর আশ্চর্য সৃষ্টি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ