সবকিছু কেমন যেন ঝিম ধরে আছে। রোদ্রের তীব্রতায় সবকিছু যেন ঝলসে যাচ্ছে! খুব গরম পরেছে আজ।
রিমি বাস থেকে নেমে হাটা শুরু করল। এই গরমে বাসে উঠা মানেই ভোগান্তির স্বীকার। এছাড়া কোন উপায় নেই।
অফিস ছুটি হয়েছে সাড়ে তিনটায়। বাসার কাছাকাছি আসতে চারটা বেজে গেল। পাঁচ মিনিটের মত হাটলেই রিমির বাসা পাওয়া যাবে। ক্লান্ত শরীরে এই পাঁচ মিনিট হাটা অসহ্যকর ব্যাপার।
.
রিমি হাটতে হাটতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল। তার কেন জানি মনেহয়, কেউ তাকে ফলো করছে। ব্যাপারটা মনের ভ্রান্ত ধারনা হতে পারে। তবে এইরকম কয়েকদিন ধরেই চলছে। একটা ছেলে প্রতিদিন পিছন পিছন আসে। রিমি বাসায় ঢুকার আগ পর্যন্ত ছেলেটা তাকে দেখে। বাসায় ঢুকে গেলে ছেলেটিকে দেখা যায় না।
.
রিমি পিছনে তাকিয়ে আবার হাটা শুরু করল। এবারে সে নিশ্চিত হল ছেলেটি তাকে ফলো করছে। রিমির মনে ভয় জাগছে না। তবুও সে তড়িঘড়ি করে হাটছে। এইরকম পিছন পিছন কোন ছেলে ফলো করা বিরক্তির ব্যাপার।
.
বাসার কাছাকাছি এসে ছেলেটির দিকে ঘুরে তাকাল। গায়ে একটা ফুল হাতা শার্ট। এই গরমে হাতা ছড়িয়ে দিয়ে রেখেছে। কাধে কালো একটা সাইড ব্যাগ। দেখে মনেহয় চাকরি করে।
কিন্তু চাকরি করলে রিমির পিছন পিছন আসছে কেন!
ভাবতে ভাবতে রিমি গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল।
.
দুপুরের লাঞ্চ আওয়ার চলছে..
অফিসের সবাই যার যার মত লাঞ্চ করতে চলে গিয়েছে। কিন্তু একজনকে তার ডেস্কে বসে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।
অফিসের বস তার ডেস্কের সামনে গিয়ে বলল
-সাজিদ, তুমি এখন কাজ করছ!
-জ্বি স্যার।
-লাঞ্চ করতে যাবে না?
-ক্ষুধা নেই। তাছাড়া চারটার পরে আমার কাজ আছে। এখন লাঞ্চ আওয়ারের এক ঘন্টা কাজ করব। তাহলে অফিস ছুটির এক ঘন্টা আগেই বেড়িয়ে যেতে পারব।
বস সাজিদের কথা শুনে কপাল ভাজ করে সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলল
-স্ট্রেঞ্জ!
.
ঘড়িতে চারটা বাজতে চলল প্রায়। সাজিদ অফিস থেকে বেড়িয়ে গেল। বসের কাছে ফাইল গুলো ধরিয়ে দিয়ে চলে এসেছে। সাজিদকে কাজের চাপে আটকে রাখার জন্য অনেকগুলো ফাইল ধরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সাজিদ ফাইলগুলোর কাজ শেষ করে ফেলেছে।
.
একটা বাস এসে থামল। সাজিদ বাসের দিকে অধির আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। প্রতিটি বাসের দিকেই এভাবে আগ্রহ নিয়ে তাকাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি নামল। মেয়েটির গায়ে কালো রঙের কামিজ। সুন্দরি মেয়েরা যা'ই পরুক। অসম্ভব সুন্দর লাগে। ড্রেসগুলো যেন পূর্নতা পায়।
.
রিমি হাটতে ঘুরে দাঁড়াল। পিছনে আসা ছেলেটিও দাঁড়িয়ে আছে। রিমি ছেলেটির দিকে কয়েক পা এগিয়ে বলল
-এইযে শুনুন।
ছেলেটি হ্যাবলা মার্কা হাসি দিয়ে বলল
-আমি!
-হ্যা।
.
ছেলেটি রিমির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল
-জ্বি বলুন।
-প্রতিদিন আমাকে ফলো করেন কেন?
-কই নাতো!
-দেখুন। আমার সামনে ভাল সাজতে হবে না। সত্য স্বীকার করুন।
-জ্বি ফলো করি।
-কেন!
-কিছু কাজের কারন লাগেনা। শুধু ভাল লাগা থাকলেই চলে।
-দেখুন। এসব কথা ছাড়ুন। আর আমাকে ফলো করবেন না।
.
ছেলেটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল। এই হাসি দেখে রিমির মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। এটা খুব বিরক্তিকর ব্যাপার। সবার হাসি সুন্দর হয় না। রিমির কাছে ছেলেটির হাসি বিরক্তিকর।
.
সাজিদ আজ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিনের মত মেয়েটি হেটে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তার পিছন পিছন হাটছে না। কালকের বারন শুনে আজ আর কিভাবে যাওয়া যায়!
.
সপ্তাহখানেক পরে....
রাস্তায় তেমন লোকজন নেই। আজ বৃষ্টি হয়েছে একটু আগে। প্রকৃতির বুকে একটু শিতলতা ছুঁয়ে গিয়েছে। রিমি মনটাও শিতল আর ফুরফুরে। সস্তিতে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে।
.
হঠাৎ করে রিমি দাঁড়াল। সামনে সেই ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে। রিমি রেগে বলল
-আপনার সমস্যা কি! কি বলে ডাকব সেটা বুঝতে পারছি না।
রিমি রাগে গজগজ করছে। ছেলেটি আবার আগের মত হেসে বলল
-আমি সাজিদ। ওই নামেই ডাকুন।
-আপনাকে ওই নামে ডাকার চেয়ে বেহায়া বলে ডাকলেই ভাল হবে।
-কেন! বাবা-মা আমার এত সুন্দর নাম দিয়েছে। আর আপনি সেই নামে ডাকবেন না!
-আপনার লজ্জা নাই!
-লজ্জা! সে তো নারীর ভুষণ। আমার লজ্জা থাকলে চলে!
-কালকে আপনাকে এত অপমান করলাম। তবুও এমন করছেন! কালকের কথা ভুলে গিয়েছেন!
.
সাজিদ কিছুক্ষণ মুখ গম্ভীর করে থাকল। কালকে রিমি তাকে অনেক কথা শুনিয়েছে। কথাগুলো অনেক কড়া কথা। যাকে অপমান বললেও চলে। কিন্তু তাতে সাজিদের কিছু মনে হয়নি।
.
-মেরেছ বালতির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেব না!
সাজিদের কথা শুনে রিমি রাগে গজগজ করতে থাকল। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বলল
-মানে কি!
-মানে টা কিভাবে বুঝাই বলেন! গত দেড় মাস ধরে আপনার পিছনে ঘুরছি। আপনি এতদিনেও মানে বুঝলেন না! একটা পুর্নবয়স্ক ছেলে, একটা পুর্নবয়স্ক মেয়ের পিছনে কেন ঘুরে জানেন না!
-আপনি কি বুঝাতে চান?
-আপনার যা বুঝছেন সেটাই বুঝাতে চাই। আপনাকে ভালবাসি।
-কিন্তু আমি ভালবাসি না।
-সত্যি!
.
রিমির রাগ এবারে উচ্চ মাত্রায় উঠে গিয়েছে। থার্মোমিটার দিয়ে মাপলে মাত্রা বুঝা যেত। রাস্তা দিয়ে লোকজন যাওয়ার সময় তার দিকে তাকাচ্ছে। রিমি এবারে বলল
-ভালবাসি না।
-আমার চোখের দিকে তাকান।
রিমি সাজিদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল
-বলছি তো ভালবাসি না। বিরক্ত করছেন কেন! আপনি আমাকে বিরক্ত করবেন না প্লিজ।
.
সাজিদ আরো কিছু বলতে গিয়ে বলল না। ভেজা রাস্তা ধরে হাটতে হাটতে চলে গেল। রিমি সেদিকে না তাকিয়ে তার মত চলে গেল।
.
তিনদিন পরে...
রিমির রাস্তা দিয়ে হাটার সময় আশেপাশে তাকাচ্ছে। তার চোখ কাউকে খুঁজছে! নিজের অজান্তেই সে সাজিদকে খুঁজছে। সেদিনের পরে সাজিদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
সেদিন জিদের বসে সাজিদের চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যে কথাটা বলেছে। অভিমানের পাল্লাটা হয়ত বেশি।
সে হারিয়ে গিয়েছে বুকে জমা অভিমান নিয়ে। মিলিয়ে গিয়েছে অজানায়!
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Ž āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
526
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§§ā§Š AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ