422

পিচ্চি বউ

লেখা: মো: আরিফ হাসান(আকাশ)

আমি এখন বসে আছি আমার নানাবাড়ির বড় মামার রুমে আমার পিচ্চি বউয়ের পাশে।।। কারন আমার বউয়ের বয়স ৭ বছর।।। তাহলে কি বলব আপনারাই বলুন? আর আমার বউটা ঘুমিয়ে রয়েছে।। আসলে অসুস্থতো তাই ঘুমিয়ে রয়েছে।।আর অসুস্থ হওয়ার কারন ও আমি।।। তাহলে শুনুন সেই গল্প।। আমি আকাশ বাবা মায়ের দুই মাএ ছেলে।। কারন আমি বাদেও আমার আর ১টা বোন আছে।।।আর আমার বোনটার নাম সিনিন।।আর আমার পিচ্চি বউটা হল আমার বড় মামার বড় মেয়ে।।কখন থেকে পিচ্চি বউ পিচ্চি বউ বলছি।।।ওর নামই তো বললাম না।।আমার পিচ্চি বউটার নাম সিনথিয়া সিমি।।অনেক সুন্দরননা নামটা??  আমার পিচ্চি  বউটাও কিন্তুু নামের মতই অনেক সুন্দরি আর হেব্বি কিউট।। তাইতো চলটেনে দিই।। আর আমার পিচ্চি বউ কি বলে যানেন।।"এই এই ভাবে চলে টানবানা।। চল ঝুলো গেলে চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে তখন আমার দোষ দিবানা।।। আমি তখন হাসতে হাসতে ছোট করে একটা চুমু দিই।।তখন আমার পিচ্চি বউ বলে এই ভাবে কিস করলে আমার বুঝি লজ্জা করেনা।। তাহলে বোঝেন আমার পিচ্চি বউটা কত লজ্জাশীল।।  তখন কিন্তুু লজ্জতে গালটাও লাল হয়ে যায়।।  কি হল আপনারা কি মনে করছেনেন। আমি বিয়ে করেছি।।। আরে না।। সে তো আমার পিচ্চি বউ। আমার বউয় আমাকে পিচ্চি বউ বলকে বলেছে।।।তাহলে সা কাহিনী।। আরো একবছর আগের কাহিনী।। এইচ এস সি পরিক্খা শেষ ।। অনেক দিন  ছুটি ।। তাই মা বলল তুই আর সিনিন ( আমার বোন)  তোর নানাবাড়ি থেকে ঘুরে আয়। আসলে আমি তেমন কোথাও বেড়াতে যাইনা ।।। তাই মার কথা শুনে নানাবাড়ি  গেলাম।। যেেয় সবার সাথে কুশল বিনিময়  করলাম।। তার পর বড় মামি বলল, আকাশ তুমি আমাদের রুমে যেয়ে পোশাক ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। তো আমি রুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে যেই বিছানায় বসলাম তখন দেখি একটা ৬বছরের মেয়ে আসল।।। এসে কি যেন একটা খুজছে।। বেশখানিক খন  খুজে কি একটা পেল।।এবার যখন বেরিয়ে যাবে তখন আমি তারে ডাকলাম।। আমার কাছে আসল।। আমি প্রশ্ন করলাম
আমি:তোমার নাম কি?
সে: সিনথিয়া সিমি।।
আমি: বাহ বেশ সুন্দর নাম তো।। আর তুমিয় কিন্তু খুব সুন্দর।।
সে : হুম আমি যানি।।
আমি : কিভাবে যান।( অবাক হয়ে)
সে: হুম সবাই বলে।। বলেই সে চলে গেল।।আমি তো তার কথা শুনে হসতে লাগলাম।।।বুঝুন আমার পিচ্চি বউ কত স্মাট।।
তো আমি দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুমালাম।। বিকালে উঠে সব মামাতো ভাইবোন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম।।সেখানে আমার পিচ্চি বউটাও ছিল।ওকে দেখে বার বার সকালের কথা মনে হচ্ছিল ।।।তাই মিটিমিটি  হাসছি।।এটা দেখে সবাই জিঞাসা করল আমি হাসঠি কেন আমি বললাম এমনি। এরই মাঝে এক মামাতো ভাই আমাকে জি্ঞাসা করল ভাইয়া তুমি প্রেম করনা? আমি বললাম ভাই না আমি প্রেম করিনা।। আর তেমন কোন মেয়ে পছন্দ হয়না। এবার সিনথিয়ার মুখো তাকিয়ে দেখি ও মিটমিট করে হাসছে।আমি বললাম হাসছ কেন? এবার পকনা বুড়িটা বলল এমনি।।হঠাত সে আমাকে প্রশ্ন করল 
সিনথিয়া : তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ।।
ওর প্রশ্ন শুনে আমিতো অবাক।।।তাওবললাম
আমি; তোমার মত কিউট, লক্ষি আর সুন্দরি মেয়ে। ( এরকি মেরে বললাম)
সিনথিয়া : সত্যি?? ( বিস্মিত হয়ে)
আমি ; হুম।আচছা তোমার কেমনমন ছেলে পছন্দ?  (এরকি মেরে)
সিনথিয়া; তোমার মত।।(লজ্জা নিয়ে)
এবার বোঝেন কি পাকনা।।
আমি ; আচছা সবাই তো আমাকে ভাই বলছে  তুমি বলছ না কেন?
সিনথিয়া  :ধুর বোকা। কেউ বরকে ভাইয়া বলে।।।বলেই হাসতে হাসতে সেখান থেকে দৌড় দিল।আর আমি ওর কথা শুনে পুরো অবাক।  এবার বুঝতে পারলাম ওর তখন হাসার কারন।।তার কথা শুনে সবাই একসাথে হেসে উঠল।।। পেছনে ফিরে দেখি আমার মামা মামিরাও হাসছে।।।তো সেই থেকে সিনথিয়া আমার পিচ্চি বউ। এর পর দিন আমি রুমে শুয়ে আছি। তখন মিথি এসেছে রুমে।।। ( মিথি সিনথিয়ার ছোটটা) এসেই বলছে দুয়াভাই দোকানে চল আমি চককেট খাব।।।আমি বললাম তুমি আমাকে কি বললা । সে বলল দুয়া ভাই।।।আমি বললাম কেন? সে বলল আপু বলেতে তুমি আমাল দুয়াবাই। দেখেন আমার পিচ্চি বউটার কান্ড কারখানি।।ছোটটারেও শিখিয়ে দিয়েছে।।।এর পরে যেই কয়দিন ঐ খানে ছিলাম সেই কদিনিই আমার সাথে আমার পিচ্চি বউ আর পিচ্চি শালিটা থাকত।।।আর আমার পিচ্চি বউটা এতই কিউট যে আমার কাছে থাকলেই তারে চলটানি আর চুমু দিই।বেশ কিছু দিন থাকার পর আমি বাড়ি চলে আসি।এরপর  নানা বাড়ি অনেকদিন যাওয়া হয়না। কিন্তুু প্রতিদিন একবার করে তার বাবাকে বলে আমার পিচ্চি বউটা আমারে  ফোন দেই।আমি কি  করছি না করছি  একটা বউয়ের মত প্রশ্ন করে। আমিও হাসতে হাসতে উত্তর দিই।আমার পিচ্চি বউটা অনেক পাকনা পাকনা কথা বলতে পারে। আমাকে বলে তুমি কোন মেয়ের দিকে তাকাবা না। আর আমাকে তো  একটু দেখতেও আসতে পার।।। মাঝে মাঝে বড় মামা বলে তোর বউটারে একটা ফোন কিনে দিস আরর দুজনে সারাদিন কথা বলিস।।।।তো এবার বলি এখানে আসার মূলকথা। কয়েক  দিন যাবত আমার পিচ্চি বউটা আমারে আসতে বলছে। তো আসি আসি করে আর আসা হয়নি।তাই রাগ করে দুইদিন কিছু খায়নি। তাই বাধ্য হয়ে পিচ্চি বউটারে দেখতে চলে আসলাম।এসই দেখি আমার পিচ্চি বউটা এখনো  ঘুমাচ্ছে। ওকে দেখেয় বোঝা যাচ্ছে শরীরটা  অনেক খারাপ। আর অনেক শুকিয়ে গেছে। 
যাক আমার পিচ্চি বউটা ঘুম থেকে উঠেছে।  একি বউটি আমার একবার তাকিয়ে আর তাকাচ্ছে না।আমার পিচ্চি বউটা আমার উপর রাগ করেছে।  মামিকে বললাম ভাত নিয়ে আসতে।। মামি ভাত নিয়ে আসল।আমি এবার বললাম
আমি : সিনথিয়া  ভাত খেয়ে নাও।
ও: কোন কথা নেই
আমি : কি হল খেয়ে নাও।
ও: না আমি  খাব না।
আমি: কেন খাবেনা।
ও: এমনি।
( পিচ্চির রাগ দেখেচেন।)
আমি : আচ্ছা আমি এত কষ্ট করে আসলাম। তুমি  যখন খাবেই না তাহলে আমি চলে যায়।
আমার পিচ্চি বউটা বিছানা থেকে উঠে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে  ধরেছে। আমি যেই পিছনে তাকায়ছি ওমনি  আমাকে  একটা চুমু দিল। আমি হততভম্ব হয়ে  দাড়িয়ে থাকলাম কিছুুখন। । তারপর বলল
ও : তুমি  কোথাও যাবেনা।আর তুমি আমাকে খাইয়ে  দাও।
তো এখন আমি আমার  বউটারে খায়য়ে  দিচ্ছি  আর সে আমার দিকে   তাকিয়ে  মিটিমিটি  হাসছে। তাহলে দেখেন আমার পিচ্চি বউটা  কি দুষ্টু।।। আমিও  একটু দুষ্টুমি করলাম।। ওর চলটা টেনে দিয়ে টুপ করে একটা চুমু খেলাম।।। এবার দেখি পিছনে মামা মামি সবাই হাসছে।  আর আমার পিচ্চি  বউটা আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।।।
আর আমি চিন্তা করছি এই পিচ্চি বউটাকেই না হয় মানুষ করে বড় বানিয়ে নিই।
কি বলেন আপনারা??? আর হ্যা আমার পিচ্চি বউটার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

( বি :দ্র :- এটা আমার  প্রথম কোন গ্রুপ বা পেজে দেওয়া গল্প।।।আর এই  গল্পের থিমটাও আমার আর লিখেছিও আমি।।)

উৎসর্গ : আমার প্রিয় লেখিকা ও আমার বুবু  # তানজিনা আক্তার তানিয়া (হিমাদ্রির মেঘ) কে# যার অনুসরনে আমি এই গল্প লিখায় উৎসাহিত হয়েছি।।। ধন্যবাদ বুবু তোমাকে।।।অসংখ্য ধন্যবাদ।।