344

গল্পের নাম:-গ্যাংস্টার এর ভালবাসা
লেখক:-নিশ্চুপ বালক(এলিয়েন)
,,
আমারর কাছে প্রেম করা একটা আর্ট এর মত।আর আমারর দ্বারা এসব আর্ট কখনো পসিবল না।তাই কখনো এসব ট্রাই করা হয়নি।আমি আমার জীবন নিয়ে নিয়ে দিব্যি আছি।যেখানে ভালবাসা,,আবেগ,,অনূভুতি,,,,সহানুভূতি,,কান্না ইত্যাদির কোনো মুল্য নাই।কি ভাবছেন?
হ্যা আমি একটা গ্যাং এর মুলনায়ক।
,,
আমার নাম সেটা আমি নিজেও জানিনা।নিজেই নিজের একটা নাম দিয়েছিলাম।নিল।সবাই অবশ্য বড় ভাই বলে সম্বোধন করে।মা বাবা কে বা মা বাবা কেমন হয় তা জানিনা।জন্মের পর মা বাবা কে দেখেছি বলে মনে হয়না।এলাকার এক নেতার ছত্রছায়ায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছি নিজেই।আসলে আমার মত জন্মপরিচয়হীন যারা তারাই পরে অবিশ্বাস্য কিছু করে।অনেকে সামাজিক কিছু করে আবার অনেকে অসামাজিক কিছু করে।আমি অসামাজিক এর মাঝেই। আমার সামনে কেউ কিছু না বললেও পিছনে অনেকে বেজন্মা বা আরও অনেকক কিছু বলে গালি দেই।এক্ষেত্রে আমার কিছু করার আছে বলে মনে হয়না।
,,
আজ একটা লোক কে হুমকি দিতে হবে।আমার সেই নেতার আদেশ।তো গেলাম হুমকি দিতে।আজ পর্যন্ত আমার কোনো টার্গেট মিস হয়নি।লোকটি সমাজের অনেক সম্মানীয় একজন ছিল।কাজ টা শেষ করে রহিম চাচার দোকানে বসলাম।আসলে বিকালে তেমন কোনো কাজ থাকেনা।তাই এই চাচার দোকানে বসে আড্ডা দেই,,,,,
আমি:--চাচা,,এক কাপ চা আর একটা সিগারেট দাও
চাচা::--নিল,,বাবা এসব ছেড়ে দিলে কি হয়??
::---জিবন টা বড় অদ্ভুদ চাচা।তুমি ছাড়া এই কথাটা আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি
::--নিল বাবা,,,,তোমার জন্য অনেক চিন্তা হয়।প্রত্যেক দিন রাতে মনে হয় কাল তোমাকে দেখতে পাব তো নাকি তোমার লাশটা দেখতে হবে
:::--হা হা হা,,,চাচা এসব বাদ দাও।আচ্ছা ওই যে মেয়েটা,,,কে এই মেয়ে,,কোনো কাজকাম নাই নাকি,?প্রতিদিন দেখি রাস্তার কিছু বাচ্ছা গুলো নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে।
:::--ওই যে আফজাল সাহেবের মেয়ে।খুবই ভাল।
::--বাদ দাও।এই নাও টাকা
:::--টাকা লাগবনা বাবা।তুমি না আমাকে চাচা বল।তাহলে প্রতিদিন টাকা দিয়ে কেন অসম্মান কর??
::--চাচা,,,এটা তো তোমার চা এর দাম না।এটা আমার ভালবাসা মনে করতে পার!!
,,
টাকা দিয়ে চলে আসলাম।সন্ধ্যে হয়ে গেছে।আমার আবার একটা অভ্যাস আছে।সন্ধ্যে হলে  ছাদে দাড়িয়ে সিগারেট খাওয়া আর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা।
,,
প্রায় ১ মাস এর উপরে হল মেয়েটাকে রোজ দেখছি একিভাবে।কেমন জানি একটা অদ্ভুধ মায়া জমে যাচ্ছে মেয়েটার উপর।নিজের অজান্তেই মনে হয় মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলেছি।কিন্তু আমাদের যে ভালবাসা মানায়না।তবুও মন মাল টা খুব খারাপ।কিছু বুঝেওনা বুঝতেও চায় না।মেয়েটা খুব ফর্সা বা প্রিন্সেস না হলেও মেয়েটার চোখে অদ্ভুত একটা মায়া আছে যেটা আমাকে আটকে ফেলেছে।
..
আমি ভাবতাম আমার মনে ভালবাসার কোনো স্থান নাই।কিন্ত কখন যে সেই মেয়েটি আমার মনে তার জন্য মায়া তৈরি করে ফেলেছে তা আমার নিজেরও অজানা।তাই আজ তাকে প্রপোজ করার জন্য তৈরি হইতেছি।
,,
বিকাল বেলা চাচার দোকানে চা খাচ্ছি আর মেয়েকে দেখছি।হটাৎ মেয়েটি আমার দিকে এগিয়ে আসছে।আমার হার্টবিট ক্রমশইনবেড়ে চলেছে। মেয়েটি একবারে আসার কাছে চলে এসেছে
,,
মেয়েটা::--আপনার নাম কি??
আমি:-নিল।আপনার
::--থাপ্পর চিনেন?
::--মানে??
::--আমার। দিকে রোজ এভাবে থাকেন কেন?
::--আমি আপনাকে ভালবাসি তাই।
::--আপনাদের মত মাস্তানদের আবার ভালবাসা।আপনি ভাববেন না যে সবার মত আমিো আপনাকে ভয় পাব!!এই আপনার বাবা মা কে।আপনাকে শাশন করেনা।নাকি তারাও আপনারই মত মাস্তান।আর কখনো যদি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখি ভাল হবেনা বলে দিলাম।
,,
আমার জিবনে কখনো কেউ আমাকে এরকম ভাবে কথা বলেনি।কেন জানি আমার ২১ বছরের জিবনে কখনো কান্না নামক জিনিস টা উপলদ্ধি করতে পারিনি।আজ খুব ইচ্ছা করছে কাদতে।বুক ফেটে কান্না আসছে।আকাশের দিকে তাকিয়ে কতক্ষন কেদেছি তা জানিনা।এখন শুধু এটাই মনে হচ্ছে সে বলেছিল আমি মাস্তান।আজকের পর থেকে মাস্তানির পরিমান আরও বাড়িয়ে দিব।
,,
ঔইদিন এর পর থেকে এলাকায় ওপেন রিভালবার নিয়ে ঘুরতাম।কেউ কিছু বলতেও পারতনা,,কারন আমার উপর নেতার ছায়া রয়েছে।কিন্ত ওকে খুব দেখতে ইচ্ছা করত।অনেকদিন হয়ে গেল রহিম চাচার দোকানে যায়না।আজ যেতে খুব ইচ্ছা করছে।তো চলে গেলাম রহিম চাচার দোকানে।
,,
আমি:-চাচা,,চা দাও
চাচা:-নিল বাবা,,,,ঔই মেয়েটা তোমাকে একটা চিঠী দিয়ে গেছিলো কিন্ত তুমি আসনি তাই দিতে পারিনি
:::--দেখি দাও
::--এই নাও
চাচা আমার দিকে একটা চিঠীর খাম এগিয়ে দিল।চিঠীটার সারমর্ম এই যে,,,,
ঐইদিন তার মেজাজ খারাপ ছিল।তাই খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছে।তার জন্য সে ক্ষমাপার্থী।তার নাম আদিরা।আর চিঠিটা পাওয়ার পর তাকে যেন ফোন দেয়।নাম্বার দেয়া ছিল
,,
রাতে আদিরা কে ফোন দিলাম,
আদিরা:-hello
::---hello আমি নিল যাকে আপনি বকেছিলেন।
::--আপনি আমাকে ভালবাসেন(সোজাসোজি প্রশ্ন করল)
::--মনে হয়
::--কি কি করতে পারবেন আমার জন্য
::---সুইসাইড ছাড়া সব করতে পারব
::--শুধু মাস্তানি ছেড়ে দিতে হবে আর সিগারেট কম খেতে হবে
::--সময় লাগবে কিন্ত পারব
::--প্রতিদিন ঐই দোকানের কাছে দেখা করবা!!!
::---হুম।একটা কথা বলব?
::--হুম বল!!
:::---ভালবাসি তোমাকে
::--অনেক ভালবাসতে হবে কিন্ত
::---হুম।অনেক ভালবাসব।
::--এখন রাখি?পড়তে বসব
::--বাই
::--বাই
,,
তারপর থেকে আদিরার সাথে আমার রিলেশন ভালই যাচ্ছিল।দিনগুলো যে কিভাবে কেটে যেত বুঝতাম না।
,,
আমি মাস্তানি ছেড়ে দিয়েছি।অনেক কস্ট করতে হয়েছে। একটা জিনিস আদিরা কে জানানো হয়নি।আমি যে কোনো সময় মারা যেতে পারি।কারন আমার বিপক্ষ দল জেনে গেছে যে আমি দল ছেড়ে দিছি।ওকে এজন্য বলা হয় নি কারন ও অনেক চিন্তা করবে
আমাদের দিনগুলি খুব কেটে যাচ্ছিল।আদিরার বাবা মা আমাকে তাদের আরেকটা সন্তান হিসেবে ধরে নিয়েছিল।তাদের মত মানুষ আমার জিবনে দেখিনি।
,,
তারপর কেটে গেছে প্রায় ২ বছর।প্রায় পাগলাগারদে একটা মেয়েকে নিল নিল বলে চিৎকার করতে শুনা যায়।মেয়েটি আর কেও নয়।আদিরা
,,
আড়াইবছর আগের কথা।নিল বাসা থেকে বেরিয়েছিল।কিন্ত সে আর ফিরে আসেনি।তার লাশটা ফিরে এসেছে।তার বিপক্ষ তাকে গুলি করেছিল।সে আর পৃথীবিতে থাকতে পারেনি।তার পর থেকেই আদিরা সেই পাগলা গারদে
,,
[ভুলক্রটি ক্ষমার দৃস্টিতে দেখবেন]
নিশ্চুপ বালক(এলিয়েন)