* নীলাঞ্জনা *
↓
↓
>>এই শোনো না (নীলা)
>>হুমমম বলো (আমি)
>>কি করছো??(নীলা)
>>ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তোমার সাথে কথা বলছি (আমি)
>>ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কথা বলে কিভাবে?? (নীলা)
>>যেভাবে সবাই বলে (আমি)
>>আরে শোনো না একটু। (নীলা)
>>বলো শুনছি তো (আমি)
>>চোখ মেলো আগে তারপর বলবো (নীলা)
>>আচ্ছা মেলছি। এই দেখো চোখ মেলে রাখছি। এখন বলো কি বলবে। (আমি)
>>আই লভ ইউ <কানের কাছে গিয়ে বললো > (নীলা)
>> আল্লাহ্ কি তোমার চোখে একটু ঘুমও দেয়নি। রাত ৩ টা বাজে তুমিও ঘুমাচ্ছো না আমাকেও ঘুমাতে দিচ্ছো না। (আমি)
>>আমার ঘুম না আসলে কি করবো ? আর তুমি তো খুব ভাল মতোই জানো আমার আগে তুমি ঘুমাতে পারবে না। (নীলা)
>>আজ পারবো দেইখো। (আমি)
>>তোমাকে ঘুমাতে দিলে তো তুমি ঘুমাবে (নীলা)
>>আচ্ছা ঘুমাবো না। হ্যাপি?? (আমি)
>>হুমমম। (নীলা)
.
.
১ বছর হলো আমার আর নীলার বিবাহিত জীবন। পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিল আমাদের। আমি মালয়েশিয়া একটা ছোট খাটো কোম্পানিতে জব করতাম। প্রায় ৮ বছর হলো আমার প্রবাসী জীবন। পড়ালেখা তেমন করা হয়নি। ইন্টার শেষ করেই পড়া-লেখাকে বিদায় জানিয়ে দিয়ে ছিলাম। ছোট বেলায় অনেক ইচ্ছে ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া কিন্তু মুখে বললেই তো আর ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়না। তাই এখন ব্যবসায়ী হয়ে গেছি। যাইহোক সুন্দর মতোই কাটছিলো আমার একাকী জীবন।
.
.
এর মাঝে একবার দেশে আসছিলাম ছুটিতে। ১ মাসের ছুটিতেই আসছিলাম ৫ বছর পর। ১ মাসের মধ্যে আমার বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত পেয়ে গেলাম। যাক অবশেষে বিয়ে করছে তাহলে। সাজিদের বিয়ের মার্কেট করেছে আমাকে সাথে নিয়েই। সেদিন রাত ১:৩০ টা বেজে গেলো বাসায় ফিরতে ফিরতে। অনেকদিন পর দুই বন্দু একসাথে হয়েছি তাই একটু জমিয়ে ঘুরা-ঘুরি করলাম। আমি বাসায় ফোন করে জানিয়ে দিলাম আজ বাসায় ফিরবো না। সাজিদের বাসায় গেলাম সবাই ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু আমাদের চোখে ঘুম নাই জমিয়ে আড্ডা মারছিলাম। আড্ডা মারতে মারতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতেই পারলাম না।
.
.
সকালে আন্টির কথায় ঘুম ভাংগে। আমি আর সাজিদ ছিলাম বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু আমরা ভাইয়ের মতোই একে অপরকে চিনতাম যানতাম। খুব ফ্রি ছিলাম সাজিদের পরিবারে সাথে। যাই কিছু করতাম এক সাথে দুজনই করতাম। কিন্তু শুধু বিয়েটা হচ্ছে না এক সাথে। আর আমার এখন ইচ্ছেও নেই বউয়ের প্যারা নেওয়া। সবে মাত্র ২৪ বছর হলো। এক্ষুনি বিয়ে করে নিজের লাইফটাকে শেষ করার ইচ্ছে নেই।
.
.
>>আসসালামু আলাইকুম আন্টি (আমি)
>>ওয়ালাইকুম আসসালাম। বাবা কেমন আছো তুমি? (আন্টি)
>>এইতো আন্টি আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি(আমি)
>>দেশে ফিরলে কবে?? (আন্টি)
>>দুইদিন হলো (আমি)
>>ভালই হয়েছে তুমি এসে পড়েছো। বিয়ের দায়িত্ব কিন্তু তোমাকেই নিতে হবে। (আন্টি)
>>ঠিক আছে আন্টি আমি আছি সমস্যা নেই। (আমি)
>>তো কেউ পছন্দ আছে কি?? (আন্টি)
>>মানে আন্টি বুঝলাম না (আমি)
>>কেউ পছন্দ আছে নাকি?? (আন্টি)
>>এইবার আর বুঝতে বাকি রইলো না। না আন্টি তেমন কেউ নেই (আমি)
>>বয়স তো অনেক হলো বিয়ে করছো না কেনো? (আন্টি)
>>মেয়ে দেখেন এইবার কাজটা সেরেই ফেলবো তাহলে।
.
আন্টি একটা হাসি দিলো। হ্যা তাই হবে। আচ্ছা নাস্তা করে নেও আর সাজিদকে একটু বুঝাও তুমি। বলেই আন্টি চলে গেলো।
মনে মনে ভাবছি আসলেই বিয়েটা করেই ফেলতে হবে। কিন্তু কোনো মেয়েকেই তো পছন্দ হয়না। জীবনে একটা প্রেমও করতে পারিনি এরকম কপাল কয়জনের হয়। যাই হোক আগামীকাল সাজিদের গায়ে হলুদ।আমি আর সাজিদ এক কালারের পাঞ্জাবী কিনলাম। আমি চাইছিলাম না কিন্তু সাজিদের অনুরোধে একই পাঞ্জাবী কিনলাম। আবার সেটা গায়ে হলুদেই পড়তে হবে।
.
.
আজ ১৫ তারিখঃ গায়ে হলুদ আজ
.
.
কনের বাড়ি থেকে মানুষ এসে পড়লো। খুব ভাল মতো যাচ্ছিলো খুব আনন্দের সময় ছিলো। একটা সময় কেউ একজনের দিকে চোখ পড়লো। ওয়াও হলুদ শাড়ি পড়া ছিলো সে। সাজিদের কাছে গিয়ে বললাম সেই মেয়েটার কথা। সাজিদ হাসি দিয়ে শুধু একটাই কথা জিজ্ঞাসা করলো আমাকে।
.
>>তোর পছন্দ হয়েছে?? (সাজিদ)
>>হ্যা ভাল লাগছে অনেক(আমি)
>>আচ্ছা চিন্তা করিস না তাহলে (সাজিদ)
>>ঠিক আছে (আমি)
.
কি অপরুপ দেখতে সে। চোখ গুলো এত সুন্দর তার মাঝে আবার কাজল দেওয়ায় আরো বেশি সুন্দর লাগছে।তার মাঝে হালকা একটু মেকাপ। মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছিল তাকে। এই প্রথম কাউকে দেখে চোখ ফেরাতে পারছি না। একটা মানুষ এত সুন্দর কিভাবে হতে পারে সেটা তাকে দেখেই বুঝলাম।খুব ইচ্ছে করছিলো তার সাথে কথা বলতে কিন্তু সাহস হচ্ছিলো না। আর হলুদের অনুষ্ঠানটা একদিনেই হয়েছিলো বর ও কনের বাড়িতে। তাই ঝামেলা টাও একটু বেশি হয়েছে। আর কথা বলতে পারিনি সেদিন। তবে সাহস করে দূর থেকে একটা ছবি তুলে ছিলাম।
.
.
পরেরদিন কনের বাসায় যাবো। সেদিন মাঞ্জাটা একটু বেশিই মারছিলাম। গেলাম বউয়ের বাসায় প্রথমেই গেইট আটকালো। ১০ হাজার টাকা চাইলো না দিলে গেইট ছাড়বে না। সাজিদ আমাকে একটা খোঁচা মারলো। আমি বুঝতে পারলাম ওর খোঁচা মারার কারন। সাজিদ আমাকে বোঝাতে চেয়েছিল সেই মেয়েটিকে দেখেছি কিনা। হুমমম পরে দেখতে পেলাম একটু ভাব নিয়ে পকেট থেকে টাকাটা বের করে দিয়ে দিলাম। যাক তাহলে ভেতরে ঢুকতে পারলাম।সাজিদ আমাকে বললো তার সাথে কথা বলার জন্য। অনেকটা সাহস নিয়ে গেলাম তার কাছে।
.
>>এক্সকিউজ মি
>> হ্যা বলুন <পিছনে ফিরে বললো >
>>আপনি কনের কি হন?
>>কাজিন। কেনো?
>>না আপনাকে সাজিদ ডাকছে।
>>সাজিদ কে?
>>বরের নাম সাজিদ।
>>ওহহ আচ্ছা।
.
কি বলবো বুঝে পাচ্ছিলাম না। তাই সাজিদের কথা বলে দিলাম। সাজিদের সামনে গেলো সে।
.
>>জ্বী ভাইয়া কোনো সমস্যা??সাজিদের দিকে তাকিয়ে বললো কথাটা।
>>রুমালটা মুখের মধ্যে ছিলো। মাথা নাড়িয়ে (না বললো)
>>তাহলে ডেকেছেন কেনো?
.
বলেই সেই মেয়ে আমার দিকে তাকালো রাগান্বিত চোখে সাথে সাজিদ ও তাকিয়ে আছে আমার দিকে।আমি পকেট থেকে ফোনটা বের করে কানে দিয়ে ঐ খান থেকে চলে আসলাম। সেইদিন আর কথা হয়নি।কিন্তু আমি তাকে দেখতাম দূর থেকে আর সে মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাতো। কিভাবে যানি তাকাতো হয়তো এই তাকানোর একটা রহস্য ছিলো তার মাঝে।পরে সেই রহস্যের কারনটা যানতে পারলাম।ঐ দিন বউ নিয়ে এসে পড়লাম বাড়িতে। আরে ভাই আমার বউ না সাজিদের বউ নিয়ে আসলাম।
.
.
পরেরদিন দাওয়াতে আসলাম। সাথে মা-বাবা আর পিচ্ছি বাগনী। সবার শেষে বসলাম খেতে যার কারনে কনের বাড়ি থেকেও মানুষ এসে পড়লো। আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে তিনিও বসে ছিলেন। আমার পিচ্ছি বাগনীটা আমার কোলে বসে ছিলো। আর সে আমার দিকে তাকায় আর মুচকি হাসে। আর ইশারায় বুঝাতে চাচ্ছে কে আমার কোলে। খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম এখন তার সাথে কথা বলতেই হবে যেভাবে হউক। বাগনী কোলেই ছিলো আমার।আমার কাছ থেকে যেতে চাচ্ছিলো না।তাই আমার কোলেই ছিলো। রুমে গেলাম সাজিদের খোঁজে কিন্তু পেলাম না কিন্তু তার খোজ পেলাম। আমার সামনে এসে বললো।
.
>>এক্সকিউজ মি
>>পিছনে তাকিয়ে দেখলাম উনি। (জ্বী বলুন)
>>কে বাবুটা?
>>আমার আম্মু।
>>আমার কাছে আসবে?
>>মনে মনে ভাবলাম এই সুযোগ আর হাত ছাড়া করা যাবে না। (হ্যা যাবে)
>>তার কোলে চলে গেলো। বুঝতেই পারলাম না।হঠাৎ তার কোলে চলে গেলো।
>>অনেক কিউট বাবুটা।
>>হুমমম। ঠিক আপনার মতো। (ফিস ফিস করে বললাম)
>>হুমমম,, কিছু বললেন?
>>নাহ কিছু বলিনি।
.
সত্যি অনেক ভাল লাগছে তাকে। কতো সুন্দর করে পিচ্ছিটাকে আদর করছে। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি তাকে। আচ্ছা এটাকে ভাললাগা নাকি ভালবাসা বলে? আমি তাকে অনেক বেশি ভালবেসে ফেলেছি।
.
>>আচ্ছা ওর নাম কি?
>>আফিয়া।
>>বাহ খুব সুন্দর নাম।
>>আপনার নামটা কি?
>>আমি নীলা। আপনি?
>>হৃদয়।
.
মা আসলো আফিয়াকে নেওয়ার জন্য বাসায় যাবে তাই।মা এসে দেখে আফিয়া নীলার কোলে।
.
>>মা উনি নীলা
>>আসসালামু আলাইকুম (নীলা)
>>ওয়ালাইকুম আসসালাম। কেমন আছো? (মা)
>>জ্বি আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি।(নীলা)
>>আফিয়া আসো নানুর কাছে বাসায় যাবো। (মা)
>>না যাবেনা আফিয়া। অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
>>মা আমাকে বললো। আমি বাসায় যাচ্ছি। তোর কাছে থাকুক আফিয়া তাহলে।(মা)
>>আচ্ছা যাও তাহলে((আমি)
>>যাই মা। হৃদয়ের সাথে যেও আমাদের বাসায়।(মা)
>>জ্বী আন্টি যাবো। (নীলা)
.
.
সেদিন এইভাবেই তার সাথে কিছুক্ষন কথা বললাম।কিন্তু ভালবাসার কথা যানাতে পারলাম না তাকে।বলতে পারলাম না নীলা তোমাকে আমি ভালবাসি।সেদিন আফিয়াকে নিয়ে বাসায় এসে পড়লাম। মা বলছে মেয়েটাকে ভালই লাগলো। একদিন নিয়ে আসিস বাসায়।পরে আমি মাকে সবকিছুই খুলে বলি।
.
.
আমি আবার মালয়েশিয়া এসে পরি। নীলার সাথে আর কথা হতো না। পরে যানতে পারি আমাদের বিয়ে ঠিক করেন। আমি তিন বছর পর একবারে দেশে ফিরে যাই। খুব ভাল লাগছিলো তখন বিয়ে সম্পূন্য হলো। এখন আমি আর সাজিদ বায়রা ভাই হয়ে গেলাম। পরে যানতে পারলাম সাজিদ সব কিছু মেনেজ করেছিলো আমাদের বিয়ের ব্যাপারে।এখন আমাদের সুন্দর ভাবেই কাটছে জীবন।
→→চলবে←←
.
.
.
লেখাঃহৃদয় নাদিম (((AR PagLaaa)))
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
177
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:ā§Ģ⧝ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ