āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

172

গল্পঃ “লাজপল্লীর গলি”
লেখকঃ ডাকনাম ইমু-ইমরান।
.
-- মামা ফেরার সময় আজও একটা জানালার গ্লাস নিয়ে এসো,
-- কেন আজও আবার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলছে!
-- তা না হলে বলছি কেন? কতদিন তোমায় বলালাম এখানে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করো। তাতো করবেনা, এখন প্রতিদিন ওরা গ্লাস ভাঙ্গবে আর তুমি এনে লাগাবে, এটাই সমাধান!
.
কথাটা শেষ করতে না-করতেই আরেকটা বল এসে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে রুমের ভিতরে ঢুকে পরলো। নওশিন বলটা ধরেই বললো---
-- আজ আর মামা তুমি একটা কথাও বলবেনা। দেখি আজ কে বল নিতে আসে!
.
নওশিনের মামা চুপচাপ বসে থেকে নওশিনের সকল কথা শ্রবণ করে যাচ্ছে। এসব কাণ্ডকারখানা দেখে নওশিনের মামা নিশ্চুপ হয়ে গেছে। কি করে এর সমাধান পাওয়া যায় বিষয়টা একটু ভাবনীয়।
.
নওশিনের মামা ইফতেকার সাহেব। ক্রিকেট প্রেমিক মানুষ। নিজেই বুঝতে পারে আসেপাশে কোন খেলারমাঠ নেই বলে ছেলেরা পাড়ার গলিতে খেলা করে। জানালার সবগুলো গ্লাসই প্রায় একএক করে পরিবর্তন করা হয়েছে। মুখ ফুঠে কিছু বলতেও পারেনা। শত হলেও ক্রিকেট বলে কথা। তবে এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে সারা মাসের বেতন দিয়ে শুধু একের পর-এক গ্লাসই লাগাতে হবে সেটা নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে। পাড়ার সকল ছেলেদের ধারণা হয়ে গেছে ঐ গ্লাসে লাগলে কোন সমস্যা নেই। কারণ ইফতেকার সাহেব তাদের সহায়ক। আর তাছাড়া মাঝেসাঝে তিনি নিজ থেকেই ছেলেদের ডেকে বল কেনার পর্যন্ত দিয়ে যায়। মামার সাথে নওশিন আজ একটা বোঝাপড়া করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুন্দর মেয়েগুলো রেগে গেলে যে আরও সুন্দর দেখায় তা বলার কিঞ্চিত প্রয়োজন বোধ করছিনা। নওশিন গলের উর্ণা টেনে কোমরে পেঁচিয়েছে। ইতিহাসের কোনপাতায় এই দৃশ্য রয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে বাঙালী নারীর এই বেশটা সত্যিই একটা যুবকের কাছে মন মুগ্ধকর। ইফতেকার সাহেবেরও বুঝতে বাকি নেই নওশিনের এব্যাপার নিয়ে অনেকদিনের ক্ষোভ জমাট বেঁধে আছে। তাই মামা কিছু না বলে চুপচাপ বসে শুধু সবকথা শুনে যাচ্ছে। অবশ্য তার কিছু না বলাটায় আজ শ্রেয়। ক্ষণিকবাদে পাশ থেকে আওয়াজ আসলো---
-- মামা বলটা একটু দেন তো!
.
নওশিন বললো---
-- মামা বাসায় নেই,
-- আপনাদের রুমে বলটা চলে গেছে একটু দিবেন প্লিজ,
-- বাসার ভিতরে এসে নিয়ে যান,
.
কথাগুলো একটু উলটাপালটা লাগছে বলে সকল ছেলেরা মিলে কানাকানি শুরু করলো। আবির বলে উঠলো---
-- এই মেয়েটার গলা যেদিন শুনি সেদিনি খেলতে এসে একটা ঝামেলা বাঁধে!
.
বাসার ভেতর বল আনতে গেলে যে নওশিনের তীক্ষ্ণ কন্ঠের খোঁচা দেওয়া দুইচার লাইন ধারালো কথার সম্ভাষণ শুনতে হয় সেটা সকল ছেলেদেরই এতদিনে জানা হয়ে গেছে। তাই কথার আঘাতের ভয়ে সকলেই সেই বাসার ভেতরে প্রবেশ করতে নারাজ। আবির ইমুকে বললো---
-- যা বলটা নিয়ে আয়,
.
ইমু আবিরের প্রতিউত্তরে বললো---
-- আমি গালে থাপ্পড় খেতে রাজি আছি! তবুও কারো কথার আঘাত নিতে রাজি নই। আমি মানুষের মুখটাকে আর মুখের কথাটাকে ভিষণ ভয় পাই। তুই বরং উদয়-কে পাঠা, নয়তো তুই মেরেছিস তুইয়ি নিয়ে আয়!
.
উদয় ক্ষিপ্ত হয়ে বলে উঠলো---
-- আমি যাবো কেন? ঐখানে তোর ফিল্ডিং তুই বল আনবি। আমাকে এরমধ্যে জড়াস কেন? আমি ঐদিকে আমি থাকলে আমি অবশ্যই নিয়ে আসতাম।
.
সবাই কিছুসময়ের জন্যে থমকে গেল। কিছুক্ষন পর আবির বলে উঠলো---
-- ফিল্ডিং ইমুর- ইমুই বল আনবে!
.
সবাই আবিরের কণ্ঠের সাথে সাঁই দিল। অতঃপর ইমুকেই যেত হলো বল আনার জন্য। মেইন গেইট দিয়ে ইমু বাসার ভিতরে প্রবেশ করলো। বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আবার একই ভাবে ইমু বলটা চাইলো। নওশিন রুমের ভেতর থেকে বাইরে বেড়িয়ে এলো। ইমুর কাছে জানতে চাইলো---
-- বলটা কে মেরেছে?
.
দোয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা ইমু জবাব দিলো---
-- আবির,
-- যান তাকে গিয়ে পাঠিয়ে দিন,
-- ও বাইরেই আছে, আপনি বলটা আমাকে দিয়ে দিন।
.
নওশিন বারান্দা থেকে নিচে নেমে এলো। ইমুকে বললো---
-- ম্যানিব্যাগটা দেন,
-- কেন? ম্যানিব্যাগ দিবো কেন?
-- দেন হাতে তারপর বলছি!
-- কি আজব! আপনি আমার ম্যানিব্যাগ চাচ্ছেন কেন?
-- দেখবো বলে,
.
ইমু ম্যানিব্যাগটা পকেট থেকে বেড় করে হাতে নিলো। নওশিন ইমুর হাতে থেকে হাত বাড়িয়ে ম্যানিব্যাগটা নিয়ে দেখতে শুরু করলো। একএক করে ম্যানিব্যাগের প্রত্যেকটা ভাঁজ খুঁজতে লাগলো। ভিজিটিং কার্ড আর কিছু কাগজপত্র ছাড়া আর কিছু নেই। সারা ম্যানিব্যাগে কেবল একটাকার একটি সিকিপয়সা পাওয়া গেছে। ব্যাপারটা হাঁসির হলেও বেকার ছেলেদের কাছে এটাই থাকা দুর্লভ। নওশিন বিস্মিত হয়ে বললো---
-- শূন্য ম্যানিব্যাগ নিয়ে ঘুরেন কেন?
-- টাকা নেই তাই,
-- তাহলে ম্যানিব্যাগ নিয়ে ঘুরাফেরা করার কি প্রয়োজন!
-- সেটা আপনার না জানলেও চলবে,
--  গ্লাসের দাম দিয়ে বলটা নিয়ে যাবেন!
-- মানে!
-- ও বুঝতে পারেননি! একটা গ্লাসের দাম কত জানেন? ষাট টাকা, আজ উব্ধি কতগুলো গ্লাস ভেঙ্গেছেন তার নিশ্চয় কোন হিসাব নেই। পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেছেন কখনো? কতটা কষ্ট হয় টাকা উপার্জন করতে জানেন আপনি? জানেন না! বাবার টাকায় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে অন্যের বাসার গ্লাস ঠিকি ভাঙ্গা যায়। নিজের বাসার একটা গ্লাস ভেঙ্গে দেখেন গিয়ে। কিভাবে নিজের আপনজনেরা অপ্রিয় কথা ব্যক্ত করে। এখন নিশ্চয় ভাবছেন, আল্লাহ কেন আমার কথার মাঝে মধু মাধুর্য দেয়নি! যাই ভাবুন না কেন তাতে আমার কোন যায় আসেনা। একটা কথা ভাল করে শুনে রাখুন, খেলাধুলা করা ভাল, তাই বলে অন্যের ক্ষতি সাধন করে খেলাধুলা করাটা ভালনা। নিন বল, আশা করি নিজেদের একটু শুধরে নিবেন।
.
ইমু নওশিনের সমস্ত কথা নিশ্চুপ হয়ে শুনলো। খেয়াল করেছে প্রতিদিনের মতো ইফতেকার মামা আজ তার ভাগ্নি নওশিন-কে চুপ থাকতে বলেনি, ধমকও দেয়নি। আগে নওশিন কিছু বলতে এলে ইফতেকার মামা নওশিনকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিত, যেটা আজ আর করেনি। ইমুর আর বুঝতে বাকি রইলো ইফতেকার মামাও আজ তাদের প্রতি অতিষ্ট। বলটা নিয়ে ইমু কোন কথা না বলে বাসা থেকে বেড়িয়ে এলো। বাইরে এসে আবিরের হাতে বলটা দিয়ে বললো---
.
-- নে খেল, আমি আজ আর খেলবোনা!
-- কেন?
-- এমনিতেই,
-- বল নিয়ে আসতে এতো দেরি করলি কেন? কেউ কিছু বলেছে তোকে?
-- না,
-- বলে থাকলে বল, ইফতেকার মামা আসলো তার কাছে বিচার দিব।
-- না কেউ কিছু বলেনি, আজ থেকে এখানে আর কোন খেলাধুলা করবোনা। তোরাও করতে পারবিনা। খেলতে ইচ্ছে হলে দূরে গিয়ে খেলবো, এখানে নয়।
-- কেন? এখানে খেলবোনা কেন? ঐ মেয়েটা তোকে কিছু বলেছে? ওনারা নিষেধ করেছে তাই আমাদের খেলা বন্ধ করে দিব, কখনো না! ওদের কথায় আমাদের কোন যায় আসেনা।
-- যায়-আসে! আমাদের কাছে যেটা খেলা মনে হচ্ছে অন্যেদের কাছে সেটা অত্যাচার! আনন্দের ছলে সেটা আমরা বুঝতে পারিনা। যে খেলা খেললে মানুষের অত্যাচার হয়, সেই খেলা না খেলাই ভাল।
.
ইমুর কথা শুনে অনেকেই ব্যাপারটা বুঝতে পারলো। আসলেই এমন করে খেলাধুলা করাটা উচিৎ নয়, করা যায়ও না। যে খেলা মানুষের অত্যাচার হয় সেই খেলাধুলা করা আর রক্তের খেলা করার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। সেদিন সবাই বাট-ষ্ট্যাম্প উঠিয়ে যারযার বাসায় চলে গেল। ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসার মেঝেতে বসে পরলো ইমু। বলটা হাতেই রয়েছে। মেঝে থেকে হাত আর হাত থেকে মেঝেতে উঠছে নামছে বলটা। নওশিনে কথা গুলো ইমুর কানে এসে বাজতে লাগলো, “বাবার টাকায় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে অন্যের বাসার গ্লাস ঠিকি ভাঙ্গা যায়। নিজের বাসার একটা গ্লাস ভেঙ্গে দেখেন গিয়ে। কিভাবে নিজের আপনজনেরা অপ্রিয় কথা ব্যক্ত করে” ইমু হঠাৎ করে নিজের জানালার গ্লাসে বলটা ছুড়ে মারলো। গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে সাথেসাথে পাশের রুম থেকে মা ছুটে এসেছে। এমনত অবস্থা দেখে ইমুর মা বললো---
-- সারাদিন বাইরে খেলাধুলা করে বুঝি সাধ মিটেনা! দিন যাচ্ছে আর দিনেদিনে ছোট হচ্ছিস।
.
কথাটা বলেই ইমুর মা আবার তার নিজের কাজে চলে গেল। বাবা এসে দেখে বললো---
-- কাজকর্ম না থাকলে যা হয় আরকি!
.
বোন এসে বললো---
-- তুই কিরে! এত সুন্দর গ্লাসটা ভেঙ্গে ফেললি। এখন এমন গ্লাস কোথায় পাবি?
--  আছে বাজারে,
-- তাহলে যা, কিনে এনে গ্লাসটা লাগিয়ে দে।
.
ইমু বসে ভাবছে, নওশিনের প্রতিটি কথাই সার্থকতা পেয়েছে। এই লাজপল্লী-তে এতদিন আমরা যেটাকে খেলা ভেবেছি, সেটা আসলে মানুষের অত্যাচার ছিল। যেটা কখনো আমরা আনন্দের দেয়ালের করণে বুঝতে পারিনি। সেদিনের পর থেকে আর কোনদিন এই লাজপল্লীর গলিতে খেলাধুলা জমে উঠেনি। শোনা যায়নি কারো আউটের উল্লাস। নওশিনও সেদিন বুঝতে পেরেছে তার কথাতেই সৃষ্টি হয়েছে লাজপল্লীর বিষণ্ণ ফাঁকা গলি। মনের অনিচ্ছায় বা ইচ্ছায় নওশিন আবার ফিরে পেতে সেই শূন্য গলিতে পূর্নজনতার উল্লাস! ফিরে ফেতে চায় সেই গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ! দেখতে চায় আবার দোয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা নিশ্চুপ সেই বালকটিকে! কিন্তু, ইমু আজ খেলায় সময়ে অফিসে। আবির উদয় তারাও আজ জীবনের তাগিদে জীবিকার সন্ধানে। চাইলেও যে সে সময় ফিরে পাবার নয়। যে বেলা খেলায় কাটিলো, “সে বেলাই আজ স্মৃতিতে জুটিল” কিছু খেলায় গ্লাস ভাঙ্গলো, কিছুকিছু খেলায় মন ভাঙ্গলো! আর কিছু খেলায় ভাঙ্গলো জীবনের বেলা।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ