āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

171

ভর দুপুরে বাসা থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় উঠলাম।
টানটান আকাশের সূর্যটা ঠিক মাথা বরাবর এসে
দাঁড়িয়েছে। অনেক তীঘ্ন রোদের মাঝে আমি
ভ্রুকুটি করে দাঁড়িয়েছি একটা রিক্সার অপেক্ষায়।
পরীর সাথে দেখা করার জন্য যাচ্ছি। পরী আমার
ভালোবাসা ; আমার সব সে। পকেটে দশ টাকার
আধমরা পাঁচটা খুচরা নোট ছাড়া এক টাকাও নেই। নোট
গুলো বেশ পুরুনো। রোদটা আমাকে বারবার
স্পর্শ করছে এটা একদম ভালো লাগছেনা আমার।
.
রোদের প্রখরতায় একটু পর পর আমি চোখ
বুঝে ফেলছি। একদৃষ্টিতে বেশিক্ষন রোদ
দেখতে পারিনা। বুজে থাকা চোখের ভিতর
বারবার,অবিরাম,ঘন ঘন কিছু রঙের প্রলেপ ঘুরপাক
খাচ্ছিল। লাল,নীল,সবুুজ,কালো,হলুদ,বেগুণী
আবার কালো। চোখ মেললে কিছুক্ষনের জন্য
চারিপাশটা ঝাপসা লাগছিল। চোখের চশমাটা খোলে
চোখটা কচলে নিলাম।
.
রিক্সায় চড়ে বসেছি। ঠিক কয়টা বাজে এখন তা বুঝে
উঠতে পারছি না। হাত ঘড়িটা বাসায় ফেলে এসেছি।
ফোনের টাইমটাও ঠিক নেই। রিক্সা চালকের বয়সটা
ষাটের উপরে। চামড়ার ভাজ দেখে তা আন্দাজ
করতে পারছি। শরীরের সমস্ত ভরটা প্যাডেলের
উপর ফেলে রিক্সাটা সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
খুব দয়া হচ্ছিলো রিক্সা চালকটার প্রতি। রিক্সা থেকে
নেমে বিশ টাকার ভাড়া আমি আরো দশ টাকা বাড়িয়ে
ত্রিশ টাকা দিলাম। ইচ্ছে হচ্ছিলো পকেটে থাকা পুরু
টাকাটা দিয়ে দিতে। কিন্তু বাসায় যাবার জন্য অবশিষ্ট বিশ
টাকা অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাখতে হলো।
মধ্যবিত্তদের সমস্যা অনেক জায়গায়। এর মধ্যে
একটা হলো ইচ্ছে হলেও কিছু করতে পারেনা
কোন কিছুর ঘাটতি বা সল্পতার কারনে।
.
কফি শপের কোনার টেবিলটায় বসে আছে পরী।
পরীর পাশে একটা ছেলে দেখে বুকটা আচমকা
কেঁপে উঠেছে। মনে মনে ভাবছি কে হতে
পারে ছেলেটা..? ভাই..? নাহ! পরীর ভাইকে তো
চিনি..! তবে কাজিন..?? ভাবতে ভাবতে এগিয়ে
গেলাম টেবিলটার দিকে।
.
"এত দেরি কেন আসতে..?"
.
টেবিলটার কাছাকাছি যেতে না যেতেই পরী
জিজ্ঞেস করল। তবে আজ পরীর গলার স্বরটা
একটু অন্য রকম। কি রকম হতে পারে..! একটু উচ্ছাস
ভরা কণ্ঠ। কিন্তু অন্যসময় একটু দেরি হলে তো
পরী রেগে যেত তবে আজ কেন এত উচ্ছাস
তার কণ্ঠে..? থাক! এসব না ভেবে চেয়ারটা
টেনে বসলাম।
.
ছেলেটা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
.
"হ্যালো! আমি সাকিব ; আপনি তো ইমু, তাইতো?"
.
"হুম"
.
ছেলেটা আমার নাম জানে। তবে পরী
ছেলেটাকে আমার ব্যাপারে বলেছে। ভেবে
খুব খুশি লাগছে। পরী কফির অর্ডার করল। আমি
বারবার পকেটের উপর হাত রাখছিলাম। পকেটের
অবস্থা খারাপ থাকায় পরীকে বারবার বলেছিলাম
বাহিরে কোথাও দেখা করি। কিন্তু পরী কফি
শপেই দেখা করতে চাইল। এই কফি শপে প্রথমবার
আসলাম। পরীকে নিয়ে বড় কোনো
রেস্টুরেন্ট বা কপি শপে বসা হয় নি। সমস্যা ছিল
সেই এক জায়গায় ; আমি মধ্যবিত্ত। কখনো
কখনো সারাদিনের ভেতর দুপুরে পাঁচ টাকা দিয়ে
একটা সিঙ্গারা কিনে তিন গ্লাস পানিতে পেট পুরিয়ে
নিতাম।
.
একদিন ক্যাম্পাসে গিয়ে পরীকে দেখে তার
সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তখন থেকেই
পরীর প্রতি আমার অন্যরকম এক ভালো লাগা অনুভব
করতাম। ধীরে ধীরে সেই ভালো লাগাটা
হিপোপটমাসের মত বড় হয়ে প্রেম কিংবা
অনুরাগের দিকে ধাবিত হচ্ছিলো সেটা বুঝতে
পারছিলাম। একসময় দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় ;
তারপর ভালোবাসা নামক অচেনা অনুভূতি দুজনকে
এসে ছোঁয়ে দেয়।
.
"তা কেমন আছো তুমি?"
পরী জিজ্ঞেস করলো আমাকে। আমি চুপচাপ
বসেই রইলাম। কেমন যেন একটা ঘুরের মধ্যে
বারবার ঘুরছি। পরী আবারো বলল,
.
"আরে কি ভাবছো!!"
"ওহ! হ্যাঁ, ভালো আছি। তা হঠাৎ এই দুপুরে দেখা
করতে বললে?"
"কফিটা আসুক! খেতে খেতে বলি!"
"ওহ আচ্ছা"
.
এবার ছেলেটা পরীর দিকে তাকালো। দুজনে
চোখে চোখে হাসছে সেটা আমি বুঝতে
পারছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কি হতে
চলেছে। ছেলেটা মানে সাকিব আমাকে
জিজ্ঞেস করল,
.
"তা এমনিতে কি করো তুমি?
সরি তুমি করে বলে ফেললাম!"
ভদ্রতার খাতিরে আমিও বললাম,
"ইটস অকে, বলতে পারেন ; আমিও তুমি করেই
নাহয় বলছি"
একটু হেসে ছেলেটা বললঃ
"অকে অকে! তা বললে না কি করো তুমি?"
"পড়ালেখার করার পাশাপাশি একটা কোম্পানিতে ডাটা
এন্ট্রির কাজ করি। আসলে কাজটা করি মূলত আমার
পড়ালেখাটা চালিয়ে যাবার জন্যেই"
.
খুব সহজে কাউকে আপন ভেবে নেই। তাকে
নিজের সবকিছু খুলে বলে ফেলি এটা আমার এক
ধরনের অভ্যাস কিংবা ভালো লাগে তা বলা যায়। আমি
মধ্যবিত্ত সেটা আমার পোশাকটা দেখে নিশ্চয়
ছেলেটা আন্দাজ করতে পেরেছে। দেড় বছর
আগের পুরুনো একটা শার্ট। চকচকে রঙটা ঝলসে
গিয়েছে। তাছাড়া পড়ালেখা করার জন্য নিজে কাজ
করে পড়ালেখা চালাতে হয়।
.
কফি এসে গিয়েছে। ঘ্রানটা বেশ লাগছে আমার
কাছে। ধোঁয়া উড়ছে কুন্ডুলি পাকিয়ে। পরী যানে
আমি মাঝে মধ্যে একটু ধোঁয়া খাই। সে একটা
সিগারেট আনিয়ে দিল। পাশ থেক পরী বলে উঠল,
.
"সাকিব, তোমাকে যে বলছিলাম আমার একটা ভালো
বন্ধু আছে তাকে আমাদের বিয়েতে ইনভাইট
করব, এটাই সে"
পরীর কথার মানেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। চশমাটা
ঠিক করে পরীর দিকে তাকালাম। চোখে মুখে
সুখের ছায়ার প্রলেপ পড়েছে। আমতা আমতা
করেরে পরীকে জিজ্ঞেস করলাম,
"কথাটা ঠিক বুঝলাম না!?!"
হাসিউজ্জল মুখে পরী বলল,
"না বুঝার কি আছে?? আগামি মাসে আমার আর
সাকিবের বিয়ে। তোমার সাথে দেখা করাতে নিয়ে
আসলাম এখানে। সাকিবকে বলেছি আমার একটা খুব
ভালো বন্ধু আছে তাকে প্রথমে ইনভাইট করব।
তাই তোমাকেই প্রথমে ইনভাইট করতে এসেছি"
.
আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিনা এ
মূহুর্তে। পরীর চেনা কণ্ঠটাও কেমন যেন
অচেনা লাগছে। এটা পরী বলে মনে হচ্ছে না।
আমার অবাক হবার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ পরীর
কি হলো! মজা করছে নাতো! ধরা ধরা কণ্ঠে
জিজ্ঞেস করলাম,
"মজা কররছো তুমি, তাই না? এখনো সেই দুষ্টুই
রয়ে গেলে"
প্রতি উত্তরে পরী বলল,
"আরে মজা করব কেন! তোমার দাওয়াত রইল"
বুকের উপর একটা চাপ অনুভব করলাম। গত রাতেও
সারা রাত কথা হলো, তখন তো পরী কিছু বলল না!!
আমি এ মূহুর্তে কয়েকদিন আগের পরীকে
ভাবছি, সেদিন পরী কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে
বলেছিল
"সারাজীবন ভালোবাসবে আমাকে। তুমি যেমন ই
হও আমি তোমাকেই ভালোবাসি"
সেদিন থেকেই পরীকে আরো বেশি
ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেদিনের
পরী আর আজকের পরীর মধ্যে বেশ তফাৎ
দেখলাম। আমি তখন মুখ ফুটে বলতে পারছিলাম না
'আমি তো তোমায় ভালোবাসি ; আর তুমিও আমাকে
ভালোবাসো, তবে কেন এসব বলছো'
সেই সাহসটুকু পাচ্ছিনা আমি। কারন সাকিবের দিকে
কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আমার সমস্ত মনোবল
হারিয়ে গিয়েছে। শার্টের উপরে ঝকঝকে একটা
কালো শ্যুট পড়া সাকিব আর দেড় বছরের পুরুনো
রঙ ঝলসানো শার্ট পড়া ইমুর মধ্যে বেশ পার্থক্য
রয়েছে।
.
চোখটা ভিজে আসছে। চশমার আড়ালে তা ঢেকে
নিয়ে নিজেকে সামলে বললাম,
"কংগ্রেজ"
সাকিব আর পরী দুজনে একসাথেই বলে উঠলঃ
"ধন্যবাদ"
অতঃপর দুজনে অট্ট হাসিতে ভেসে যাচ্ছিল। আমার
মনের ঝর দুজনের ঠোঁটের কোন হাসি
ফুটিয়েছে। অবশ্য সেখানে সাকিবের কোন
দোষ নেই। সাকিব এসবের কিছুই জানেনা। সাকিব
আমার দিকে তাকাতেই ফ্যাকাশে একটা সুখের হাসির
দিলাম। পরী বলল,
"যানো ইমু সাকিব অষ্ট্রিয়া থেকে গ্রেজুয়েশন
কমপ্লিট করে এসেছে। ওখানেই স্যাটেল হয়ে
গিয়েছে। বিয়ের পর আমাকেও নিয়ে যাবে
ওখানে"
এতক্ষনে মনে হয় আমি আঁচ করতে পারছি কেন
পরী হঠাৎ পাল্টে গেল। আসলে সবাই সুখে
থাকতে চায়। তবে পরী কেন সবার বিপরীতে
যাবে! যে ছেলেটা কখনো কখনো একটা
সিঙ্গারা খেয়ে পানিতে পেট পুরে নিয়ে দিব্যি দিন
কাটিয়ে দেয়, একটা শার্ট প্রতি রাতে ধুয়ে শুকিয়ে
সকালে সেই শার্টটা পড়ে আবার নিজস্ব কাজে
বেড়ুয় সে আর কতটা সুখী রাখতে পারবে
পরীকে!
.
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। চোখে অল্প অল্প পানি
জমছিলো শিশির বিন্দুর মত। একটা কার্ড টেবিলটার
উপর রেখে পরী উঠে দাঁড়ালো। যাবার সময় বললঃ
"সাকিব বিল দিবে"
যদিও আমার পকেটে বিশ টাকা ছাড়া আর কোন টাকা
নেই তবুও ভদ্রতার সন্ধিতে বললাম,
"থাক, আমি ই দিয়ে দিব"
অবশেষে বিলটা সাকিব দিয়েই দুজনে বিদায় নিয়ে
চলে গেল।
.
পকেটে ম্যাচ নেই। ওয়েটারের কাছ থেকে
ম্যাচ চেয়ে নিলাম। দিয়াশলাই দিয়ে সিগারেটটা
ধরিয়েছে। বাহিরের সূর্যটা এতক্ষনে কিছুটা
পশ্চিমে হেলেছে। আমি জানালার থাই গ্লাসটা খুলে
দিয়েছি। সেই তীঘ্ন রোদের স্পর্শ পেতে
ইচ্ছে করছে। রোদ আবারো আমায় স্পর্শ
করল। এবার আর খারাপ লাগছে না রোদের
স্পর্শে। অনুভব করছি ফুসফুসটা চুপসে যাচ্ছে।
যদিও মানুষের হৃদপিন্ডটা বাম দিকে থাকে তবে
কষ্টে বাম দিকে ব্যাথ্যা হবার কথা। কিন্তু আমার ব্যাথ্যা
হচ্ছে বুকের ডান দিকে। হয়ত আমার হৃদপিন্ডটা
বুকের ডানদিকে। আমার সবকিছুই উল্টো। তাইতো
অতি ভালোবাসার পরীটাও আমাকে আচমকাই
ছেড়ে চলে গেল। চোখ দুটো কিছুক্ষনের
জন্য বন্ধ করলাম। আবারো সেই ঘন ঘন কিছু
রঙের প্রলেপ ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে এখনকার
অনুভুতিটা একটু অন্যরকম। বুঝতে পারছি হৃদপিন্ডটা
বেয়ে রক্ত পড়ছে। অতি কষ্ট হচ্ছে, ভীষন
কষ্ট। কিন্তু মধ্যবিত্তরা হৃদপিন্ডের গভীর
থেকেই ভালোবাসতে যানে, তাই কষ্টে
হৃদপিন্ডটার গা থেকে রক্ত ঝরছে।
.
চোখটা মেলে কিছুটা উপুর হয়ে কফিটার দিকে
তাকিয়ে আছি। এখনো গরম রয়েছে কফিটা। চুমুক
দেবার সাহস হয়নি। আমার মাইনাস পাওয়ারের চশমার কাঁচ
আচ্ছন্ন হয়ে গেলো গরম কফির ধোঁয়ায়। বাষ্প
হয়ে সাদা সাদা কণাগুলো লেগেই থাকল। যেন এক
মুঠো কুয়াশা এনে কেউ আমার চশমার কাঁচে
লেপ্টে দিয়ে গেল,আর রোদের তাপ আবার
মুছে দিলো সব। কিন্তু চশমার আড়ালের চোখ
দুটো এখনো ভিজে রয়েছে। আবার আচ্ছন্ন
হলাম। আবারো ভ্রুকুটি করলাম। দুই আঙ্গুলের মাঝে
সেই সিগারেটের ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে বাতাস
গলে রোদের সাথে মিশে যাচ্ছিল।
.
ব্লাক কফি স্বাদটা জুড়িয়ে যাচ্ছিল। ব্লাক কফির স্বচ্ছ
মেহগনি রংটা ঘুরতে ঘুরতে গাঢ় বাদামী ; কালচে
বাদামী হচ্ছিলো। আমার মনে হল, আমার সামনের
সবগুলো মুখ একসাথে একটা আনন্দ নিয়ে ঐ
পেয়ালার মধ্যে চামুচের আবর্তনে ঘুরপাক
খেতে খেতে বিষাদের চেহারা নিল। চশমার আড়াল
থেকে দুফোটা জল চোখ থেকে বেড়িয়ে
এসে কফির মধ্যকার সেই বিষাধ মাখা চেহারাটা আরো
বিষাদময় করে দিল।
.
.
.
.
.
.
গল্পঃ "ব্লাক কফি ও একমুঠো ধোঁয়া"
লেখকঃ "A B Emran Hossain (অভিমানী ছেলে)"

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ