(লাভ লেটার)
★
written : কল্পনা বিলাসী আকাশ।
.
বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমি আমার বউয়ের সাথে কথা বলছিলাম। এখনও পুরোপুরি বউ হয়নি, আপাতত হবু বউ। আর তখনই মা এসে আমার কানে ছোট্ট একটা চিমটি দিল।
আমি : মা তুমি যে কি?
মা : আমি কি হ্যাঁ?
আমি : না কিছু না, তুমি তো আমার লক্ষী মা।
মা : ওই তরে যদি আমি আরেক বার সাথীর সাথে কথা বলতে দেখি তাইলে থাপ্পড় দিয়ে গাল লাল করে দিব।
আমি : আরে একটু কথা বলছি তাতে কি হইছে?
মা : কিছু না। ওর মা বাবা কি ভাববো?
আমি : আরে ওর মা বাবা ভাববো ওনাদের মেয়ে বিয়ের আগে হবু জামাইয়ের সাথে প্রেম করছে।
মা : তোর জ্ঞান দেওয়া হইছে?
আমি : ধ্যাত " আমার বন্ধুরা দাড়িয়ে রইছে আমি গেলাম।
মা : ভাগ।
.
এবার আমার সম্পর্কে বলি, আমি হলাম মা বাবার একমাত্র আদরের শয়তান, আকাশ। আর এতখন আলাপ করলাম আমার চতুর্থ নাম্বার পারমানেন্টলি হবু বউয়ের সাথে।
বিষয় টা আপনাদের একটু ক্লিয়ার করে দেই, এর আগে আমি আরও তিনটা প্রেম করছি কিন্তু ওগুলো হলো, বানরের গলায় যেমন মুক্তার মালা " আমার কাছেও তেমন। আর এই চার নাম্বার টা দেখতে হেব্বী তাই আমি একে অন্নেক ভালবেসে ফেলেছি। ভাবছিলাম মাকে বলে দিব সাথীর কথা কিন্তু কোনো এক ঘটনাক্রমে মা জেনে যায়, আর আমি এবার মাস্টার্সে পড়াশুনা করছি।
এবার শুরু করি আসল গল্প --------
.
আমি তখন অনার্স ফাস্ট ইয়ার, আমাদের বাড়ির কাছেই কলেজ। শহরে অঞ্চল তো তাই কলেজের পাশেই বাড়ি তৈরি করছে আমার বাবা। বাড়ি টা তৈরি করছে আমার কথায়, আগে অন্য জায়গায় থাকতাম সেখানে ভালো লাগতো না তাই এখানে আসছি।
আমাদের কলেজে ইন্টার ফাস্ট ইয়ার থেকে অনার্স ফাইনাল ইয়ার পর্যন্ত পড়াশুনা চালানো যায়। তাই আমাদের কলেজে ছেলেমেয়ের অভাব নেই।
আর কলেজে প্রতিদিন নতুন নতুন মেয়ে আসতো আর আমি প্রতিদিন ক্রাশ খেতাম। হি হি হি, "
.
একদিন কলেজ যাচ্ছিলাম, তখনই আমার বন্ধু আতিক আসলো বাইক নিয়ে, হিরো হিরো একটা ভাব!
আমি : কি রে দোস্ত ভাওতাবাজি শুরু করলি কবে?
আতিক : মামা তোর পায়ে পড়ি এরকম অশুভ কথা বলিস না।
আমি : ওই তোর লজ্জা করে না দোস্ত রে মামা কস।
আতিক : আরে বাদ দে এখন চলতো কলেজে, আজ নাকি কয়েক টা নতুন মামী আসবো কয়েক দিন আগে ভর্তি হইছে ফাস্ট ইয়ারে আজকে প্রথম আসব।
আমি : ওই দাড়া দাড়া, ওই হালা তোর মতলব কি?
আতিক : দাড়িয়ে তো রইছি। আর মতলব মানে কি?
আমি : মামী আসব মানে? বুঝিয়ে ক,
আতিক : হা হা হা, আকাশ মামা আমার তুই তো প্রতিদিনই ক্রাশ খাছ তো আজকেও খাবি, আর তুই যাদের উপর ক্রাস খাবি তারা তো আমার মামীই হইবো। হা হা হা।
আমি : আব্বে, খাটাশ দাড়া তুই তোরে কাইট্টা লবণ দিমু আজকে।
আতিক : দোস্ত আমি বাইক নিয়ে আইছি তুই দৌড়িয়ে আমারে ধরতে পারবি না। বায়, বোম, বোম, বোম বোম।
হারামী আমারে একলা রাইখা মামী দেখতে গেল,
- তোর আজকে খবর আছে শালা তুই যাবি কই, কলেজে গিয়ে ধরুম নি।
আরে এখন আমি কলেজ যামু কেমনে? আমার না আছে বাইক আর না আছে রাস্তায় গাড়ি।
অনেক সময় পর একটা টেম্পু আসলো। তারপর তাড়াহুড়ো করে উঠে বসলাম। তবুও এখন কলেজ টা ধরতে পারব।
একটু পর চুলের সুগন্ধ আমাকে আমার পাশের জনের দিকে এক হ্যাঁচকা টান দিল, এতখন খেয়াল করি নাই আমি কার পাশে বইছি, তাড়াহুড়ো তে আমার কিছু খেয়ালই ছিলো না।
পাশে মুখ তুলে তাকিয়েই আমি ধপাস করে একটা উস্টা মারা ক্রাশ খাইলাম। এ তো আমার পাশে এক চাদেঁর পরী বইছে, আর আমি এতখন দেখি নাই। পরণে হলো কলেজ ইউনিফর্ম, বুঝতে পারলাম চাদঁ পরী কলেজে যাবে।
তো আমি আরোও বুঝতে পারলাম যে এই প্রথম বার কারো প্রেমে সত্যি সত্যি পরেই গেলাম। যাক, কলেজে যখন যাবে তখনই না হয় পরিচিত হওয়া যাবে।
ভাবতে ভাবতে কলেজে এসে গেলাম। আর আমি তখনও চাদঁ পরীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম "হয়তো আমার চাহনি সে খেয়াল করেনি।
গাড়ি থেকে নেমে কলেজের দিকে যেতে লাগলাম পরী আমার সামনে আর আমি পরীর পেছনে। হটাৎ পরী একটা হাইড্রোলেক ব্রেক মেরে বসলো আর পিছনে আমার দিকে তাকালো। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম, কিছু বলবে না তো,
- ভাইয়া ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের রুম টা কোন দিকে?
- আপনি নতুন?
- হ্যাঁ,
- আচ্ছা, আমার সাথে চলুন আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।
- আচ্ছা, চলুন।
তারপর পরীকে ক্লাসে পৌঁছে দিলাম,
আবার আসার সময়,
আমি : আপনার নাম টা একটু বলবেন?
- আমার নাম সাথী।
.
দিলাম এক দৌড়। হুররে, আমি অনেক ক্রাশ খাইছি কিন্তু প্রেম করতে পারছি তিনটা আবার এ তিনটা বেশী দিন টিকে নাই, ব্রেকআপ হইয়া গেছে। এখন এইটার প্রেমে পড়লাম দেখি পটাইতে পারি কিনা।
কিছুক্ষণ পর আতিক রে খুজতেছি কিন্তু পাইতেছি না কই যে গেল?
একটু পর দেখি এক মাইয়ার লগে টাঙ্কি মারতেছে, আমি কাছে যেতেই আমারে দেখা মাএ দিল এক দৌড় "(মনে হয় ভূত দেখছে তাই এইভাবে পলাইলো)
আমি : ওই দাড়া দাড়া মারুম না, একটা হেল্প চাইতে আইছি।
আতিক : আকাশ তুই আমার কাছে হেল্প চাইলি, খুব ইন্টারেস্টিং বিষয় তো, ভাবতে হচ্ছে আমাকে।
আমি : আমি তরে যে কি করুম রে হাতি কোথাকার? মনে কয় গলা টিপ্পা মাইরা ফালাই।
আতিক : হা হা হা হাসাইলি রে দোস্ত। হাতির গলা অনেক বড়, তোর মতো বিলাইয়ে হাতির কিচ্ছু করা পারব না।
আমি : ওই কুওার ছাওয়াল মাথা গরম করবি না কিন্তু!
আতিক : আচ্ছা বল কি করতে পারি?
আমি : আমি প্রেমে পড়ছি আমারে প্রেম করাইয়া দে। (চিল্লাইয়া কইলাম)
আতিক : কুল বেবি কুল, এরকম করে না সোনা। এতো জুরে বললে যে আমার কান ফেটে যাইবো। আচ্ছা দোস্ত একবার বল কার প্রেমে পড়ছত তারপর আমি ব্যবস্থা নিতেছি।
আমি : ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের এক মেয়ে আছে ওর নাম সাথী ওর প্রেমে পড়ছি।
আতিক : কিইইই, আব্বে ওই তুই কস কি এইগুলা?
আমি : ক্যা? কি হইছে?
আতিক : ফরসা করে সুন্দর মেয়েটা আর ওর চোখের উপরে একটু ছোট্ট তিল আছে ওই সাথী?
আমি : হ রে দোস্ত। তুই চিনস নাকি?
আতিক : ও আমার চাচাত বোন। আর তুই আমারে কস ওর সাথে প্রেম করিয়ে দিতে?
আমি : আরে দোস্ত ফুস্ত বাদদে দোলাভাই বল আমারে।
আতিক : তরে যে আমি কি করুম?
আমি : দোস্ত প্লিজ এইরকম করিস না আমি ওর সত্যি প্রেমে পইড়া গেছি। একটা কিছু কর দোস্ত, ওরে বিয়ে কইরা খুব সুখী রাখুম, প্লিজ একটা কিছু কর।
আতিক : (চুপ)
আমি : কি হইলো কিছু ক!
আতিক : ও আমার বোন হয় আমি কিছু করতে পারুম না, যা করার তুই কর "আমি তোর পাশে আছি।
আমি : তরে একটা উমমমমা।
আতিক : হালা আজকে দাতঁ ব্রাশ করছ নাই?
আমি : কছ কি দোস্ত আমি সকাল বিকাল চারবার দাতঁ ব্রাশ করি।
আতিক : তোর মুখে গন্ধ।
- ওই কেউ আমারে লাঠি দে রে হালারে পিটাইয়া লই।
সেদিন কলেজ থেকে বাড়ি চলে এসে ভাবতে লাগলাম, মিশন আগে কোথা থেকে শুরু করব। ভাবতে ভাবতে একটা পাইলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
সকালে উঠে কোনো মতে ফ্রেস হয়ে না খেয়ে কলেজের দিকে ছুটলাম।
কলেজে গিয়ে সাথীকে খুজতে লাগলাম। কিন্তু পেলাম না " আতিক কে জিগেস করে জানতে পারলাম এখনও আসে নাই একটু পরে আসব। তাই আমিও সাথীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
একটু পর সাথী আসল, তারপর আমি ওর পিছন পিছন ছুটতে লাগলাম। একটু পর ক্লাসে বই রেখে বাইরে আসল আর আমিও কাছে গিয়ে ভাব জমাতে লাগলাম।
আমি : এই একা একা নিরিবিলি গাছতলায় কি করেন?
সাথী : ওহ্, আপনি?
আমি : কেন, কাকে আশা করেছিলেন?
সাথী : আমার আশা করার মতো এখনও কেউ হয়নি।
আমি : আচ্ছা, তাহলে বানিয়ে নিন কাউকে।
সাথী : মনের মতো সেরকম কাউকে তো পাই না।
আমি : আরে আমি আছি না।
সাথী : মানে?
আমি : এই না না না কিচ্ছু না, এমনি বলছি।
সাথী : আপনার পরিচয়ই তো জানলাম না এখনও আর আপনার সাথে গপ্প শুরু করে দিছি।
আমি : আমি আকাশ। এবার অনার্স ফাস্ট ইয়ারে।
সাথী : ও তাহলে তো আপনি আমার সিনিয়র। আর আমিই বা কেমন আপনাকে সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত ছিলো।
আমি : না না ঠিক আছে।
সাথী : আমার পরিচয় আপনি জানেন?
আমি : আতিক সব বলে দিছে।
সাথী : আতিক ভাইয়া কে আপনি চিনেন?
আমি : হি হি হি, ওকে যদি আমি না চিনি তাহলে আর কাউকেই চিনব না।
সাথী : মানে?
আমি : ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
সাথী : ওহ্, আপনি কিন্তু কথা ভালো প্যাচাতে পারেন।
আমি : তাই নাকি।
সাথী : হুম, আর আমি আপনার জুনিয়র আমার সাথে আপনি করে বলছেন কেন?
আমি : আচ্ছা এরপর থেকে তুমি করে বলব।
সাথী : থ্যাঙ্কস।
আমি : আচ্ছা, এখন আমার ক্লাস আছে আমি আসি।
সাথী : আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর সাথীর কাছ থেকে চলে আসলাম। উফফফ এতখন যে কিভাবে এতো ইমোশন নিয়ে ওর সাথে কথা বললাম, বুক ধরফর করছে। একটু জল খেয়ে নিই।
তারপর ক্লাস শেষে, কলেজ ছুটি হয়ে গেল সাথীর রুমের সামনে গিয়ে দেখি ও আগেই চলে গেছে। তাই একটু মন খারাপ হলো।
আতিক : ওই তুই এনে কি করছ?
আমি : না এমনি কিছু না।
আতিক : ওলে বাবালে আমি সব বুঝি "জানপাখি চলে গেছে না, তাই বাবুটার মন খারাপ।
আমি : তুই যাবি এখন?
আতিক : তোর মন ভালো করার জিনিস কিন্তু আমার কাছে আছে।
আমি : কি?
আতিক : ০১৭ ------- ৫
আমি : কার নাম্বার?
আতিক : সাথীর
আমি : আরে দোস্ত এইজন্যই তো তরে আমি এত্তো ভালবাসি।
আতিক : যা ভাগ, এখন পাম দিতে আইছে।
তারপর খুশি মনে বাড়ি চলে এলাম। বাড়ি এসেই নাচতে মন চাইল, ওই শয়তান টা যে আমার এতো হেল্প করব ভাবতেই কেমন যেন আতিকের জন্য অন্য আরেক রকম বন্ধুতের ভালবাসা মনে নড়াচড়া দিয়ে উঠে।
যাইহোক, সন্ধ্যা বেলা কল দিলাম সাথীকে "
আমি : হ্যালো
সাথী : জ্বী বলেন!
আমি : কেমন আছো
সাথী : জ্বী আপনি কে?
আমি : আমি আগে একটা প্রশ্ন করছি ওটার উওর দাও।
সাথী : ভালো আছি। এবার বলেন আপনি কে?
আমি : যার গায়ে নীলাভ বর্ণের সাদা মেঘ গুলো ভেসে বেড়ায়, পাখিদের উড়তে মন চায় সারাক্ষণ, আমি সেই সূদূর দিগন্তের পথিক।
সাথী : পাগল নাকি আপনি? কি সব বলছেন এগুলো আবোলতাবোল? ফোন রাখেন তো।
আমি : ফোন রাখবা মানে? আমি হলাম আকাশ। এবার চিনতে পারছো?
সাথী : কিইইই, সরি সরি আমি আপনাকে চিনতে পারি নাই। আপনি তো অনেক রোমান্টিক।
আমি : হি হি হি।
এভাবে শুরু হয় আমার আর সাথীর কথা বলা। আর দুজনের পথচলা।
এখন আমি আর সাথী অনেক ফ্রী, একদম বন্ধুর মতো। চলে গেল ৮ মাস। কিন্তু আমি এখনও সাথীকে বলতে পারলাম না, সাথী আমি তোমাকে খুব ভালবাসি, একটু ভালবাসবে আমায়? হবে কি তুমি এই একলা পথিকের হাত ধরার সঙ্গী? আমার ঘরটা বধূ বেশে গিয়ে রাঙিয়ে দাও না একটু।
কিন্তু এই সব ডায়লগ আমি যখন সাথীর সামনে যাই তখন সব উধাও হয়ে যায়। কবে যে প্রপোজ করতে পারুম সাথীরে " আল্লাহ আমারে প্রপোজ করার ক্ষমতা দাও।
.
এভাবে আরও কয়েক দিন গেল, একদিন আমি কলেজে গেলাম গিয়ে দেখি সাথী ওর বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে, তাই আমি আর কি করব, আতিক দেখি আমাদের ক্লাসের কয়টা মেয়ের সাথে আড্ডা দিতেছে তাই আমিও দৌড়ে সেখানে ওদের আড্ডায় বসে পরলাম।
একটু পর আমাদের মাঝে চরম হাসাহাসির কলরব উঠলো। এভাবে চলার একটু পর একটা শব্দ হলো "
দুম "
ওরে বাবারে আমার পিঠটা ভাইঙ্গা ফালাইছে। কে দিল রে আমারে এতো বড় কিল?
পিছনে তাকিয়ে দেখি সাথী অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে।
আমি : কি হলো মারলা কেন?
সাথী : এখানে কি?
আমি : আড্ডা দিচ্ছি।
সাথী : এতো হাসাহাসি কিসের আর মেয়ে কেন এখানে আড্ডা দেওয়ার জন্য ছেলে বন্ধু নাই।
আমি : তাতে কি হইছে?
সাথী : তাতে অনেক কিছু হইছে তোমার বুঝা লাগব না। আর যেন মেয়েদের সাথে না দেখি শুধু আমি ছাড়া, নাহলে কিন্তু পিঠে চামড়া থাকব হাড্ডি থাকব না।
আমি : আচ্ছা, ঠিক আছে।
সেদিনকার মতো চলে এলাম। কিছু বুঝতে পারলাম না সাথী এরকম কেন করল।
এরপর কয়েক দিন পর আমাদের কলেজে এক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে, তাই আমিও ভাবলাম সবাই সেদিন আসবে সাথীও আসবে তাই ওকে সেদিনই প্রপোজ করব।
আস্তে আস্তে কনসার্টের দিন এগিয়ে আসল, আর কনসার্টের দিন সবাই নতুন ধরনের জামাকাপড় পরে কনসার্টে গেল, আমিও গেলাম। সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে আছি, সাথী এখনও আসে নি " একটু পর দেখি আমার সামনে এক লাল পরী এসে দাড়ালো। আমি নিশ্চিত এটা সাথী। লাল শাড়িতে সাথীরে সেইরাম সুন্দর লাগতেছে আর আমার মনেও ভালবাসার ঘন্টা বাজতে শুরু করে দিছে।
কতখন নাচ গান দেখার পর আমি সাথীকে বললাম,
আমি : সাথী চল একটু ওদিকে ঘুরে আসি।
সাথী : আমিও তাই ভাবছি, বসে বসে বোরিং লাগতে শুরু করছে।
তারপর ওকে নিয়ে হাটতে হাটতে কলেজ থেকে অনেক দূরে এক মাঠের মধ্যে চলে আসলাম। খেলার মাঠ এখন কেউ নেই সবাই কনসার্টে গেছে, তাই ভাবলাম এখনই সাথীকে প্রপোজ করার সুবর্ণ সুযোগ এখনই প্রপোজ করব।
প্রপোজ করার কথা ভাবতেই গোলমাল হয়ে গেল, আমার ডায়লগ গুলো মনে আসছে না, এমা এখন কি হবে?
তাই ভাবলাম "যা হবার হবে শুধু বলব আমি তোমাকে ভালবাসি, ব্যস।
.
আমি : শুনো একটা কথা বলি!
সাথী : একটা কেন হাজার টা বলো।
আমি : হাজার টা বলার দরকার নেই।
সাথী : আচ্ছা যেটুকু বলবে সেটুকু বলো।
আমি : আমিইইইইইই, তোমাকে তোমাককককে তোমাককককে
সাথী : হা হা হা, এরকম করছো কেন?
আমি : না মানে কিভাবে বলব বুঝতে পারছি না।
সাথী : চোখ বন্ধ করে সাহস করে বলে দাও।
আমি : আচ্ছা, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে ভালবাসি সাথী।
ঠাস,
আমি : কি হলো মারলা কেন?
-( অগ্নি দৃষ্টি)
আমি : ভালবাসতে পারবা না বললেই হতো, মারার কি খুবই দরকার ছিলো?
সাথী : ওই কুওা তোর এতদিন লাগে এই ছোট্ট কথা বলতে, আর প্রপোজ করছিস ফুল কই?
আমি : ফুল নাই।
সাথী : ফুল আন যেখান থেকে পারিস।
আমি : এখন ফুল পাব কই?
সাথী : আমি কিচ্ছু জানি না, যা ফুল আন নয়তো আমার সামনে থিকা ভাগ।
আমি : আচ্ছা দেখি পাই কিনা!
.
অনেক কষ্টে দুইটা গাদাঁ ফুল জুগার করতে পারলাম তারপর ওই ফুল দিয়ে প্রপোজ করলাম আর হাসি মুখে এক্সেপ্ট করল, (থাপ্পড় টা বোধ হয় তখন ঘুষ দিছিলো)
এরপর থেকে আমাদের চলতে থাকে অনিদিষ্ট প্রেম।
কেটে গেল ১ বছর। একদিন বন্ধুদের আড্ডায় রাত ১ টা বেজে গেল। মোবাইলে চার্জ নাই। তিনি বন্ধ হয়ে সুন্দর ভাবে ঘুমিয়ে পড়ল।
বাড়ি গিয়ে ফোন চার্জে না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল ১১ টা ঘুম ভাঙলো কলিং বেলের আওয়াজে।
মা : দেখতে আকাশ কে আসছে?
আমি : (ঘুম ঘুম চোখে) আচ্ছা।
.
বাইরে গিয়ে দেখি এক লোক দাড়িয়ে আছে।
আমি : কাকে চান?
- এখানে আকাশ কে?
আমি : আমি
- আপনার নামে একটা চিঠি আছে, এই নিন।
চিঠি নিয়ে পড়া শুরু করলাম "
প্রিয় কুওা,
আমি ভালভাবে বুঝতে পারছি যে কাল রাতে তুমি অনেক ফাজলামো করছো ফাজিল গুলোর সাথে, তাই আজ সকালে ঘুম ভাঙে নাই, আরেক দিন যদি এমন হয় আর যদি ফোন বন্ধ রাখ তাহলে আমি তোমার সাথে ব্রেকআপ করে দিব। এখন তাড়াতাড়ি অমুক জায়গায় তমুক সময়ে চলে আসো।
ইতি তোমার
কুওী
সাথী।
.
চিঠি পরে কি করব বুঝতে পারলাম না। চোখ বুজে অমুক জায়গায় দিলাম দৌড়। ফ্রেস না হয়ে খাবার না খেয়ে। নাহলে যে আমার জানপাখি আমারে ছেড়ে চলে যাইবো রে।
সেদিনের মতো বেচে গেলাম আর যদি এই চিঠি অন্য কারও হাতে পরতো তাহলে কি হতো?
এভাবে চলল কয়েক দিন। তারপর আবার একদিন ওই একই রকম রাত হলো। কিন্তু সেদিন ফোন বন্ধ ছিলো না সাইলেন্ট করা ছিলো।
সকালে ঘুম ভাঙলো মায়ের ডাকে,
মা : আকাশ ওঠ বাবা আর ঘুমাস না, বউমা চিঠি লিখছে, তাড়াতাড়ি যা নইলে রাগ করব।
আমি : কিইইই? বউমা এলো কোথা থিকা?
মা : এইযে সাথী চিঠি দিছে।
আমি : উমমমম কি হবে?
মা : সাথী কে?
ধ্যাত, তারপর সাথীর কথা মাকে বলে দিলাম। মা একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল। আর আমিও চললাম সাথীর কাছে।
কয়েক দিন পর,
মা : চল সাথীদের বাসায় যাব।
আমি : কেন?
মা : বিয়ে ঠিক করতে।
আমি : তাই নাকি। চল চল আমি একপায়ে খাড়া।
.
এখন বসে আছি সাথীদের বাড়িতে আর সাথী আর বাকি সবাই আমাদের দুজন কে ঘিরে দাড়িয়ে আছে।
মা : তাইলে কি করবেন বেয়াই মশাই, আমার ছেলের কাছে মেয়ে দিবেন, মাস্টার্স শেষ হলেই চাকরি হয়ে যাইবো।
সাথীর বাবা : মিষ্টি খাওয়ান।
মা : ওহ্ হ্যাঁ, গাড়িতে মিষ্টি আছে নিয়ে আয় যা।
আমি : অক্কে।
★
★
★
তারপর এতদূর। আর বাকি সব তো জানেনই। এখন বিয়ের অপেক্ষা।
.
আর বলতে পারব না। আর হ্যাঁ আপনাদের দাওয়াত।
.
.
ব্রি : দ্র : ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
170
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:ā§Ģā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ