āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

479

❑এ সম্পর্ক হতে পারে না
                                 -নিলা
  (সত্য ঘটনা অবিলম্বনে)
.
.
নিলা নামক মানুষটি দ্বশম শ্রেনির ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন।
SSC পরিক্ষা দিয়ে সবে মাত্র ইন্টারে ভর্তি হলেন।
.
কিছুদিন পর...
প্রতিদিনের মত অাজও কলেজ শেষে বাড়ি ফিরবে নিলা।
ইট পাথরে তৈরি এই শহরের কোন এক ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তার।
.
বাসস্টান্ডে দাঁড়িয়ে অাছে বাসের অপেক্ষায়, অন্য দিন ১০মিনিটের ভিতরে তার বাস চলে অাসে। কিন্তু অাজ অনেক দেরি হচ্ছে।
.
অাল্কা বাতাস বইছে তাই নিলার গায়ের ওড়না টা বাতাসে উড়ে যেতে চাইছে কিন্তু নিলা হাত দিয়ে বার বার ওড়না ঠিক করছে।
.
এই  দৃশ্য টা পাসেরই একটি ছেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে এবং হাসছে, নিলা তখন লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে তখন বাসে উঠে যায় কারন তখন তার গন্তব্যের বাস টা চলে এসেছে।
.
নিলার বাবা একটি Transportation agency তে চাকরি করে, মধ্যবিত্ত পরিবারেই নিলার জন্ম।
কিন্তু বাবা-মা নিলাকে সেই ছোট বেলা থেকেই অবহেলা করে অাসছে, অবশ্য অবহেলা করার একটি কারন অাছে গল্পটি পড়তে থাকুন কারনটি জানতে পারবেন।
.
অাজ নিলার মনটা খুব খারাপ, বিকেলে বাসার ছাদে বসে 'অন্দর মহল' গল্পের বইটি পড়ছে। কিন্তু বাসার নিচে যখন নিলার চোখ পড়লো তখন নিলা অবাক হয়ে দাড়িয়ে যায়।
.
দুপুরে যে ছেলেটি বাসস্টেন্ডে নিলাকে দেখে হাসছিলো সেই ছেলেটি তাদের বাসার নিচে কি করছে?
.
ছেলেটি নিলার দিকে তাকিয়ে অাছে, নিলা তখন একটু ভয় পেয়ে নিজের রুমে চলে যায়।
.
পরের দিন সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসস্টেন্ডে দাড়িয়ে অাছে বাসের অপেক্ষায়।
নিলার পাসেই সেই ছেলেটি,
নিলা ছেলেটিকে দেখে একটু ভয় পেয়ে যায়। ছেলেটি নিলাকে কিছু একটা বলতে চাইছে কিন্তু পারছেনা
.
ছেলেটি নিলার দিকে এগিয়ে অাসছে। ভয়ে নিলার চোখমুখ একদম লাল হয়ে গেছে, নিলা ভয় পেলে তাকে খুব সুন্দর লাগে, তখন যে কেউ নিলার উপর ক্রাশ খাবে, অনেক অনুভূতির জন্ম নিতে থাকবে, তার মায়া ভরা চোখ দেখে ভালবাসার ইচ্ছে জেগে উঠবে।
.
ছেলেটি নিলার সামনে...
-অাপনি এমন কেন? (নাম এখনো জানা হয়নি)
.
-কে..কে.. কেমন? (নিলা)
.
-এই-যে, অাপনি একটুতেই ভয় পেয়ে যান, সেটা দেখলে খুব হাসি পায় অামার
.
-অাল্লাহ মুখ দিয়েছে হাসি-কান্না-কথা বলার জন্য, হাসতেই পারেন স্বাভাবিক
.
-বাহ্, যতটা ভিতূ ভেবেছি তত টা না
.
-হোয়াট????
.
-কিছু না, অাপনার বাস চলে এসেছে।
.
নিলা সাথে সাথে বাসে উঠে কলেজে যায়, অার ছেলেটি দাড়িয়ে দাড়িয়ে বাসটি চলে যাওয়া দেখছে।
.
এটার মানে কি দাড়ায়? হয়তো ছেলেটি নিলাকে ভালবেসে ফেলেছে।
কিন্তু নিলা তো কারো ভালবাসার যোগ্য মানুষ নয়, তাই সে এমন অদ্ভুত ভাবেই চলে।
.
নিলার সম্পর্কে জানার পর কেউ তাকে ভালবাসা তো দূর ঘৃণায় তার সাথে কেউ কথাও বলবে না।
.
ছেলেটি এভাবেই নিলার পিছু করে, প্রতিদিন বাসস্টেন্ডে তার সাথে কথা বলার জন্য বা দেখা করার জন্য দাড়িয়ে থাকে।
নিলা ছেলেটির অনুভূতি কিছুটা বুঝতে পারলেও সে না বুঝার মত করে কথা বলে।
.
এবার ছেলেটির সম্পর্কে কিছু বলি...
ছেলেটির নাম অভ্রনীল, নামের সাথে দুজনের খুবই মিল।
অভ্র মাস্টার্স শেষ করে চাকরি খুঁজছে,
ধরা যায় বর্তমানে অভ্র বেকার....
কিছুদিনের মদ্ধেই ভালো একটা চাকরি পেয়ে যাবে অাশা অভ্রর
.
অভ্র নিলার ফোন নাম্বার নেয়ার অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু কোন কিছুতেই নাম্বার টা নেয়া হচ্ছে না।
একদিন নিলার এক বন্ধুর থেকে নাম্বার নিয়ে মদ্ধ রাতে নিলাকে কল দেয়।
কারন অভ্র জানে এখন নিলা ঘুমিয়া থাকবে, যার কারনে কল রিসিভ হবে না তাই কল দিয়েছে।
.
কল দেয়ার পর অভ্র পুরাই অবাক,
কল সাথে সাথেই রিসিভ হয়ে যায়।
নিলা Hello Hello বলতে বলতে বিরক্ত হয়ে কল কেটে দেয়।
.
নিলার রাত জাগার অভ্যাস অাছে, মাঝে মাঝে মদ্ধ রাতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায় কোন এক অপমানিত স্বপ্ন দেখে, তখন নিলা খুব কান্না করে, কাঁদতে কাঁদতে কোন এক সময় নিলা হাসতে ভুলে যায়।
নিলার কলেজ বন্ধুরা কোনদিন নিলাকে হাসতে দেখেছে বললে ভুল হবে।
.
কিছু সময় পর অভ্র অাবার কল দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে।
.
-হে...হেল্লো।
-জ্বি, কে বলছেন?? (নিলা)
-জ্বি, অাপনি এখনো ঘুমোন নি?
.
-অাজব তো, মাঝ রাতে কোন এক অপরিচিত নাম্বারে কল দিয়ে বলছেন ঘুমিয়ে অাছি কিনা, 'Wrong Number' (নিলা)
.
অভ্র কিছু না বুঝে উঠতেই বলে উঠলো..
.
-ওয়েট ওয়েট.... অামি অামি অভ্র, বাসস্টেন্ডের সেই ছেলেটি!
.
-ওহ্ অাপনি, কিন্তু নাম্বার তো অামি অাপনাকে দেইনি, কোথায় পেলেন? (নিলা)
.
-ভিন্ন উপায়ে নিয়েছি,
.
-ওহ্ ভালো।
.
-তো এত রাতে এখনো নির্ঘুমে অাছেন??
.
-চাঁদ দেখছি, অার ভাবছি
.
-কি ভাবছেন???
.
-ভাবছি চাঁদের বুকের কালো দাগটির কথা
.
-ওহ্ অাচ্ছ
.
-আচ্ছা বাদ দেন, এখন ঘুমাবো বাই
.
-অাচ্ছা শুভ রাত্রি
.
-হুম শুভ রাত্রি
.
কিছুদিন নিলা কলেজে যায়নি, প্রতিদিন অভ্র নিলাকে দেখার জন্য দাড়িয়ে থাকতো, কিছুদিন নিলাকে না দেখে  অভ্র বাসস্টেন্ড থেকে নিলার বাসার সামনে চলে অাসে,
পাসেরই এক ফ্ল্যাটে থাকা মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে 'অাচ্ছা নিলা কলেজে যায়না কেন'
মেয়েটি অবাক হয়ে উত্তর না দিয়ে উলটো প্রশ্ন করে 'নিলার সাথে অাপনার কিসের সম্পর্ক'?
.
কিছু না বুঝেই অভ্র চলে যায় নিজের বাসায়,
রাতে অনেকবার নিলা কে ফোন ও দিয়েছিলো কিন্তু নিলা কল রিসিভ করেনি।
.
৩দিন পর নিলার মিসড কল পায় অভ্র,
নিলার মিসড কল দেখে অভ্র তখন মনে হয় অাকাশের চাঁদ টা তার হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছে।
যদিও নিলা ভুল করে অভ্রর নাম্বারে কল দিয়েছে।
.
অভ্র তখন অনেকবার নিলাকে কল দেয় কিন্তু কল পিক হয়নি।
.
কিছুদিন পর অভ্র জানতে পারে নিলা অন্য কোন পথ দিয়ে কলেজে যাতায়াত করে যাতে অভ্রর সাথে দেখা না হয়
.
অভ্র, নিলাকে সেদিন দেখেই তার প্রেমে পড়ে যায়, নিলা ছিলো অসম্ভব সুন্দরি, তার কথা বলার কন্ঠ শুনলে যে কারোর ই মন ছুঁয়ে যাবে।
.
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো কলেজ ক্যাম্পাসে নিলার সাথে কেউ তেমন কথা বলে না, এমন কি তার সাথে কেউ বন্ধুত্ব ও করেনা।
.
নিলার চলাফেরা একদমই 'Sorry Dipannita' গল্পের মেয়েটির মত, সব সময় একা থাকে, বোকা বোকা ভাব নিয়ে ক্লাসে অাসে।
তবে নিলার এই গল্পের শেষ টা 'Sorry Dipannita' গল্পের থেকেও কঠিন হয়তো।
.
নিলা সব সময় কলেজ ক্যাম্পাসের কোন এক পাশে কখনো একা বসে থাকে, কখনো কখনো ডাইরি বের করে নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করে।
.
যাইহোক.....
একদিন নিলা চমকে যায় অভ্র কে কলেজ ক্যাম্পাসে দেখে।
তখন নিলা একটু ভয় পেয়ে বলে
.
-তু....তু...তুমি এখা.. খানে?
.
অভ্র তখন অশ্রুসিক্ত চোখে বলে উঠলো 'তোমাকে অনেক বেসি বিরক্ত করতাম তাইনা?'
.
-দেখ তেমন কিছুই না
.
-তাহলে তুমি অন্য রাস্তা দিয়ে কলেজে অাসছো? কেন অামার কল রিসিভ করছো না বলো??
.
-অভ্র অামি বুঝি... অামি বুঝি তোমার ঐ মায়াবী চোখের ভাষা, অামি পড়েছি তোমার সেই মনের চিঠি, কিন্তু তোমার মন তোমার চোখ-তুমি যা চাইছো সেটা কোনদিন ই সম্ভব না।
.
-কেন সম্ভব না নিলা? ইচ্ছে করলে সব হয় তুমি অামাকে একটি বার সুজগ দিয়ে দেখো, তোমাকে অামার মনের অাকাশের চাঁদ উপহার দিব, তোমাকে অামার মনের অাকাশের চাঁদের বুড়ি বানাবো, তোমাকে অামার মনের অাকাশের সুর্যের অাড়ালের মেঘ বানাবো, অামি সত্যি তোমাকে ভালবাসি নিলা।
.
-দেখ অভ্র, তুমি অামার সম্পর্কে কিছুই জানো না। অার অামি চাইনা তুমি অামার সম্পর্কে কিছু জানো।
এটাই ভালো হবে তোমার মনে যা কিছুর জন্ম নিয়েছে তা সব মনের জমিনে কবর দিয়ে দাও এখনো সময় অাছে (নিলা- অশ্রুসিক্ত চোখে)
.
-অামার কোন কিছুর জানার প্রয়জন নেই অামি শুধু তোমাকে চাই নিলা।
.
নিলা অভ্রকে অনেক দিক দিয়ে বুঝাতে থাকে কিন্তু অভ্র কিছুতেই বুঝার চেষ্টা করছে না, তার মুখ থেকে শুধু একটি কথাই বেরিয়ে অাসছে নিলা অামি তোমাকে ছাড়া বাচবো না।
.
অতঃপর নিলা বাদ্ধ হলো অভ্র কে সব খুলে বলতে।
.
-দেখ অভ্র, অামার সম্পর্কে জানার পর হারিয়ে যাবে তোমার এই চোখের ভাষা,
মুছে যাবে তোমার সেই মনের চিঠি,
চলে যাবে তুমি এই গন্তব্য থেকে।
হারিয়ে যাবে তোমার মনের সব অনুভূতি
ঘৃণায় ফিরিয়ে নিবে তোমার মুখ, তাই অামি বলতে চাচ্ছি না সাথে নিজেও ছোট হতে চাচ্ছি না (নিলা)
.
-অামি জানি অামি তোমার যোগ্য না, তাই এমন কথা বলছো তুমি। (অভ্রনিল)
.
-অভ্র প্লিজ বুঝা চেষ্টা করো (কান্না কন্ঠে)
.
-অনেক কিছুই বুঝেছি, তোমাকে ভালবাসি নিলা
.
অভ্রর মুখ থেকে ভালবাসি শব্দটি শুনে হঠাৎ করে নিলা বলে উঠরো
-অভ্র অামি মেয়ে বা ছেলে নই (নিলা)
.
-মানে??
.
-হ্যা, অামি ভিন্ন লিঙ্গের মানুষ, অামি একজন হিজড়া, কোন হিজড়াকে কেউ কোনদিন ভালবাসতে পারে না, অামার সুন্দর চেহারা, কথা বলার জন্য সুন্দর একটি কন্ঠ অাছে ঠিকই কিন্তু অামি কারো ভালবাসার মানুষ হতে পারিনা।
অার তাই 'এ সম্পর্ক হতে পারেনা (নিলা)
.
এ কথা বলেই কান্না ময় চেহারা নিয়ে সেখান থেকে ফিরে অাসে নিলা,
এমন কি নিলা সেই শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়।
তবে অবাক করা বিষয় হলো, নিলা কে দেখে কারোর মনেই হবে না যে সে একজন হিজড়া।
ছেলেরা তার কন্ঠ শুনেই ক্রাশ খাবে, বুঝার বাকি নেই নিলার কন্ঠ কত সুন্দর হতে পারে।
.
অামি নিজেই নিলার কন্ঠ শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি, কিন্তু ফোনের ওপাশের নিলা নামক মানুষটি যখন কেঁদে কেঁদে বাস্তব গল্পটি শেয়ার করছিলেন তখন অামার বুঝার বাকি ছিলো না যে তিনি মিথ্যা কিছু বলছেন।
.
১ ঘন্টা নিলার সাথে ফোনে কথা বলার পর তার চেহারা টা দেখার খুব ইচ্ছে হলেও তার কাঁদার কারনে অার চাওয়া হয়নি।
এক দ্বীর্ঘশ্বাস নিয়ে তার সাথে কথা বলা শেষ করে গল্পটি লেখা শুরু করেছিলাম
.
গল্পটি বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা, সময় নিয়ে পড়েছেন অাশা করি অাপনার সময় টি নষ্ট হয়নি।
অাশা করছি গল্পটি সবার ভালো লেগেছে।
.
লেখক: Arif Mahamud
             (Silent Writer)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ