এই তুই ওনাকে খাবার দিয়েছিস কেনো? আর আপনিও কেমন অই দিলেই খাবেন নাকি??(তন্দ্রা)
কেনো তোর সমস্যাটা কোথায় আর তুই সারাদিন উনার পিছন পিছন ঘুরিস ক্যান??(তনু)
আমি পিছন পিছন ঘুরি??এই আপনি এখনো উঠেননি,,,উঠেন তাড়াতাড়ি,,আমি আপনার জন্য আপনার প্রিয় খিঁচুরি বানাইছি চলেন অইটা খাবেন।(তন্দ্রা)
খবরদার, যদি ওঠেন তাইলে দেখেন আমি আপনার কি করি,, তারাতারি পরাটা শেষ করেন।(তনু)
.
এই যা যেটার ভয় পেয়েছিলাম সেটাই হলো,সকাল সকাল এই দুই বোনের আবার আমাকে নিয়ে ঝগড়া শুরু হইলো।
এরা হলো যমজ দুই বোন তন্দ্রা এবং তনু।দুইজন যমজ হওয়ায় এদের ঝগড়ার ক্ষমতাও বুঝি একি রকম।তাইতো সারাদিন এতো ঝগড়া করে।
.
এবার আমার পরিচয়টা দেয়া যাক,, কিছু সামাজিকতা তো আছে নইলে আপনারা আবার বেয়াদব লেখক বলে পরে কানাকানি করবেন।
আমি হলাম নীল,,, সবাই বলে অনেক সহজ সরল একটা ছেলে কিন্তু একমাত্র আমিই জানি আমি আসলে কি জিনিস। ছোট একটা শহরে এতোদিন খাইছি আর ঘুমাইছি এখন নাকি ঢাকায় যায়া ঘুমাইতে হবে কারন আমি এবার ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে রসায়ন বিভাগে চান্স পেয়েছি,,,ঢাকাতে তেমন কোনো আত্নীয় না থাকায় ঘুমানোর জায়গাটা বাবার এক বন্ধুর বাসায় ঠিক করা হলো।
.
ভাবলাম সেখানে অনেক সুন্দর ভাবেই ঘুমাতে পারবো কিন্তু আমার এই সুন্দর ধারনাটা অসুন্দরে রুপান্তরিত হতে বেশী সময় লাগলো না। কারন আমার প্রতিপক্ষ দেখলাম দুইজন যমজ রুপি পেত্নি। দেখেই মনে হচ্ছে এখোনি বোধয় আটা-ময়দার গোডাউনটা খালি করে আসলো।(এইটা কিন্তু শুধু মাত্র আমার ধারনা কেউ যেনো আবার অদের বলে দিয়েন না)।
বাসায় যেহেতু ফ্রীই থাকি তাই বাবার বন্ধু মানে আংকেল আমাকে এক ঝামেলায় ফেলে দিলো,,আমাকে নাকি তন্দ্রা & তনু কে পড়াতে হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজের বাঁশ নিজেই ঠিক করলাম আর সেইদিন থেকেই শুরু হলো তাদের আমার মতো মাছুম শিশুর উপর নির্যাতন। তাদের নির্যাতনের দু-একটা নমুনা দেই।
যেই আমি গোসল করতে যাই আর ওরা আমার বাথরুমের পানির লাইন অফ করে দেয়।না পারি গোসল সম্পন্ন করতে আবার না পারি গোসল না করে বের হতে। আবার যখন আমাকে খাবার দিবে হয় খাবারে লবণ বেশী করে আনে নয় তো লবণ দেয় অই না,,,,বদ মাইয়া গুলার জন্য প্রায় রাতেই না খেয়ে থাকতে হয়। এইভাবেই চলতে থাকলো দিনগুলি ঠিক টম & জেরির মতো।ওরা সারাদিনে প্রতিশোধ নিতো আর আমি পড়ানোর সময় অদের প্রতিশোধের মনোভাব জাগিয়ে দিতাম।
আজ এখানে পাড়ার সবাই একত্রে হয়েছে কারন আজ পাড়ার পিকনিক রয়েছে।প্রতি বছর এই পাড়ায় অনেক বড়ো করে পিকনিক এর আয়োজন করা হয়।ওরা চেয়েছিল আমায় অপমান করবে,ভেবেছিলো ছোট শহর থেকে এসেছি গীটার এর কি বুজবো, তাইতো আমার সাথে ওদের পাড়ার সেরা গীটার বাজ এর সাথে গীটার বাজানোর বাজি লাগে দিলো,, আমি তো বলছি আমাকে সহজ সরল মনে হলে কি হবে,, আমি তো জানি আমি কি জিনিস তাইতো বাজিটাও আমিই জিতেছিলাম।আমার তুলা সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই মিলে অনেক সুন্দর ভাবেই গান গুলো পরিবেশন করেছিলো। অই দিনের পর থেকে অদের মধ্যে কেমন জানি চেঞ্জ লক্ষ্য করতে থাকলাম।ওরা আর আগের মতো আমাকে আর জালায় না এবং পড়াগুলোও ঠিক মতো করে। একদিন পড়ার ফাঁকে অরা আমাকে ওদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করতে বললো।এতো দিন ইচ্ছা করেই ঝুলিয়ে রাখছিলাম যাতে ওরা নিজে এক্সেপ্ট করতে বলে। আমি এফবিতে টুকিটাকি লেখতাম সেগুলা ওরা নিয়মিত পড়তো আর আমার লেখার অনেক প্রশাংসা করতো।এইভাবেই চলতে চলতে ওদের সাথে অনেকটাই ফ্রি হয়ে গেছি,,, ওরা সারাদিন কি কি করতো আমায় শেয়ার করতো এবং বেশীর ভাগ সময়ই আমার সাথে আড্ডা দিতো।
একদিন ছাদে বসে বই পড়তে ছিলাম, হঠাৎ পিছনে কাশির আওয়াজ পেলাম, পিছনে তাকে দেখি তন্দ্রা কিন্ত একি ওর চোখে দেখি পানি টলমল করতিছে,মনে হচ্ছে কিছু বল্লেই কেঁদে দিবে।পরিবেশ ঘোলা হওয়ার আগেই অকে জিজ্ঞাস করলাম কিছু বলবা?
ও বললো তনু তোমাকে ভালবাসে,তুমি কি ওকে ভালোবাস??? আমি কি উত্তর ঠিক বুজতিছি না,আমার উত্তর দেয়ার আগেই তন্দ্রা বললো মনে হয় তুমি ওকে ভালবাস না,,,অকে আমি ওকে বুঝিয়ে বলবো নি এই বলেই তন্দ্রা চলে গেলো,,, কিন্তু মাঝ পথ থেকে ফিরে এসে আবার বললো তুমি নিশ্চয় আমাকে ভালবাস তাই তো তনুকে রিজেক্ট করলা।কি আমাকে ভাল.....কথাটা শেষ না করতেই তনু এসে তন্দ্রার গালে একটা থাপ্পড় লেগে দিলো।তারমানে তনু এতোক্ষন আমাদের কথা শুনতিছিলো।
নীল কে আমি ভালবাসি, নীল শুধুই আম.....তনু কথাটা শেষ করার আগেই তন্দ্রা তাকে থাপ্পড় দিয়ে বললো, শুনতে পাসনি উনি তোকে ভালবাসে না।
না উনি আমাকেই ভালবাসে,তুই উনাকে উল্টা পাল্টা বুঝিয়ে আমার থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেস্টা করতিছিস।(তনু)
মোটেই না,আমি আমার ভালবাসা দিয়েই তার মন জয় করবো, ছিনিয়ে নেয়ার ধান্দা তোর আমার না। (তন্দ্রা)
সেইটা তো দেখতেই পাচ্ছি, অকে সময়ই বলে দিবে উনি কার।
.
সেদিন থেকেই শুরু তাদের আমাকে জয় করার পালা,,কিন্তু আমি আজো বুঝতে পারলাম না এটা ভালবাসা নাকি আমাকে জেতার কম্পিটিশন!! খাবার দিলে দুই জনে এক সাথে খাবার দেয়,এক পেটে এক সাথে আর কতোই খাই। ফইন্নি গো ফইন্নিরা খাবার আলাদা আলাদা সময়ে দিলে তোদের সমস্যা টা কোথায়।আবার কোথাও গেলে দুই জনেই এক সংগে নিয়ে যেতে চায়,কার সাথে যাবো আর কাকে মানা করবো তাই ঠিক মতো বুঝতে পারি না।
দুই বোনে সারাদিন এত্তো প্যারা দেয়ার পরো একটা জিনিস ভেবে ভালো লাগে যে, কেউ কেউ একটাই গফ এর আদরই পায় না, আর আমি এক সংগে দুইটা গফ এর আদর পাচ্ছি তাও আবার একি সাদের নিচে। বাইরে বিরক্তের ভাব প্রকাশ করলেউ, ভিতরে ভিতরে কতোটা ইনজয় করি তা শুধুই আমি জানি। যমজ গফ দুটার আদর & কেয়ার গুলা কিন্তু মন্দ লাগছে না,দেখি আর কতো দিন ভাগ্যে থাকে এইসব,,,তবে যতদিন অই থাক না আর একটা দিনো নস্ট করা যাবে না,,,আজকেই কিছু একটা করতে হবে।
.
#লেখক_ঃ ShahaRier Nasim (#রোমান্টিক_হিমু )
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
315
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧝:ā§¨ā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ