*****সত্যি কারের ভালোবাসা******
:
লেখা:-Hridiy Khan(অদৃশ্য পরীর জামায়)
:
----এই তুই এখানে বসে আছিস কেন??
----তোমার জন্য জান।
----এই দেখ ফাজলামো করিস না।
----কেন জান আমি কি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে পারি না???
----না পারিস না। তুই রিপার জন্য অপেক্ষা করসি তাইনা??
----হ্যাঁ, তো জানিস যখন জিজ্ঞেস করলি কেন।
----ওকে বাবা ভুল হয়ে গেছে মাফ কর।
----হুমম হয়েছে।
অতক্ষণ অণু আর হৃদয় এর মধ্য কথা হচ্ছিল।
অণু আর হৃদয় খুব ভাল বন্ধু।
কিন্তু অণু হৃদয়কে ভালবাসে,
সেটা অণু আজও হৃদয়কে বলেনি।
মনের মধ্য ভালোবাসাটা চেপে রেখে আছে।
কথায় আছে ,
মেয়েরা বুখ ফেঁটে মরবে তো মুখে কিছু বলতে রাজী না।
অণু হৃদয়কে বলল,
----দেখ হৃদয় রিপা তোর জন্য ঠিকনা।
ও তোর সাথে খালি টাইম পাচ করে, ও তোকে ভালবােসনা। তুই ওর সাথে রিলেশন করিস না কষ্ট পাবি।
-----তাই তো আমি কষ্ট পেলে তোর কি আসে যায়।
----আমার আসে যায়, কারণ?
----কারণ কি বল?
----আমি বলতে পারবনা।
----না তোকে বলতেই হবে,
----আমি যাকে ভালবাসি সেই রিপাকে নিয়ে তোর এত কেন চিন্তা?তাছাড়া আজনা তুই প্রায়ই এই কথা বলিস।
তোকে আজ বলতেই হবে?
হৃদয় জোর জবরদস্তি করে অণুর ওপর।
অণু একটা থাপ্পড় দিয়ে হৃদয়কে বলে,
----কারণ আমি তোকে ভালবাসি আজ থেকে না পাঁচ বছর
আগে থেকে আর আমি তোকে সেটা বলতে পারেনি।
(হৃদয় অতক্ষণ মাথা নিচ করে ছিল,)
----সে জন্য আমি কারো সাথে প্রেম করলে তোর জ্বালা হয়।
সেজন্য রিপার মত একটা ভাল মেয়ের সম্পর্কে বাজে
কথা বলতে তোর একটুও মুখে আটকালো না।
আমি তোকে আমার বেস্ট বন্ধু ভাবি আর তুই,,?
----দেখ তুই আমাকে ভুল বুঝসি,
----আমি কোনো ভুল বুঝছি না।
----আমি তোর ভালোর জন্য বলছি রিপা মেয়েটা ভাল না ও তোকে কষ্ট দেবে, আমি তোকে সত্যিই খুব ভালবাসি হৃদয়।
----তুই আর একটা কথা বলবি না আমি তোর কোন কথা শুনতে চাইনা আর পারলে তোর মুখ আমাকে আর দেখাস না?
এই বলে হৃদয় ওখান থেকে চলে গেল।
এদিকে অণু সব কিছু হারিয়ে কাঁদতে লাগল।.............
হৃদশ রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় দেখল রিপা আরেকটা ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেরাচ্ছে।
তখন হৃদয় রিপাকে কল দিয়ে শুনলো ও কি করছে,
রিপা বললো ও এখন ক্লাস করছে।
এই কথা শুনে হৃদয় আর রাগ ধরে রাখতে পারলোনা।
তখনি রিপার সামনে গিয়ে দুই গালে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে বললো,
----এই তোমার ক্লাস?তোমার জন্য আজ আমি আমার প্রিয় বন্ধু কে হারালাম।তাকে কত খারাপ খারাপ কথা বলছি শুধু তোমার জন্য।
এই বলে আরও কয়েক টা থাপ্পড় দিয়ে হৃদয় ওখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
তখন হৃদয়ের এর শুধু অণু কথা মনে পড়তে লাগল,
সেজন্য অণুর কাছে মাফ চাওয়ার জন্য ছুটে গেল।
কিন্তু যাওয়ার পথে হৃদয়ের একটা প্রাইভেট গাড়ির এর সাথে একসিডেন্ট করল।
অণুও কাঁদতে কাঁদতে ওই পথ দিয়েই যাচ্ছিল একটা রিকশা করে,
তখন খেয়াল করল রাস্তার পাশে অনেক লোক জড় হয়েছে। দেখল হৃদয়ের এর বাইক রাস্তার পাশে পরে রয়েছে।
অণু রিকশা থামিয়ে দেখল হৃদয়ের একসিডেন্ট করে পড়ে আছে আর তার দেহ থেকে প্রচুর রক্ত পড়ছে।
অণু দৌড়ে গিয়ে হৃদয়কে কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতালে নিয়ে গেল...
"""অণু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে হৃদয়ের এর সব বন্ধুকে খবর দিল,
বাড়িতেও খবর দিলো অণু।
হৃদয়ের এর শরীর থেকে অনেক রক্ত বেড়িয়ে গিয়েছিল সেজন্য অনেক রক্তের দরকার ছিল,
কিন্তু ওই সময় হাসপাতালে ওই গ্রুপের কোন রক্ত ছিল না। হৃদয়ের এর রক্তের গ্রুপ আর অণুর রক্তের গ্রুপ একছিল।
তাই অণু ডাক্তার কে তার থেকে রক্ত নিতে বলল।
অণু হৃদয়কে রক্ত দিয়ে বাচিয়ে দিল।
কিছুক্ষণ পরেই হৃদয়ের সব বন্ধুরা চলে আসল।
তার সাথে হৃদয়ের পরিবার ও চলে আসে।
হৃদয়কে ভাল হতে দেখে অণু ওখান থেকে বেরিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে হৃদয়ের এর হুস ফিরে এলো।
হৃদয় এর পরিবার ও সব বন্ধুরা তাকে দেখার জন্য ভিতরে আসল।
হৃদয় বললো তোরা কিভাবে জানলি আমি একসিডেন্ট করছি?
আর আমাকে হাসপাতালে কে নিয়ে আসল??
হৃদয় এর বন্ধুরা বলল,
অণু আমাদের খবর দিল আর এসে দেখি অণু তোকে রক্ত দিচ্ছে।
ওই তো তোকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
হৃদয় এসব শুনে কান্না আর ধরে রাখতে পারল না।
"হৃদয় কান্না কান্না শুরে বলল,
অণু কোথায়????
হৃদয় এর বন্ধুরা বলল,
তোকে রক্ত দেওয়ার পড় ওকে তো আর দেখিনি।
হৃদয় অস্থির হয়ে উঠল অণুর সাথে দেখা করার জন্য।
হৃদয় অণুর মোবাইলে ফোন দিল কিন্তু ফোন বন্ধ।
হৃদয় অণুর এক বান্ধবীর সাথে কথা বলে জানতে পারল,
অণু একটু পড়ে ট্রেনে করে ওদের গ্রাম এর বাড়ি চলে যাবে ।
হৃদয় কারো কথা না শুনে সেই অবস্থায় train station চলে গেল।
গিয়ে অণুকে খুজতে লাগলো।
দেখল অণু একপাশে বসে কাঁদছে ।
হৃদয় অণুর পাশে গিয়ে বসে পড়ল।
হৃদয় কে দেখে অণু ওখান থেকে উঠে যাচ্ছিল।
তখন হৃদয় অণুর হাতটা ধরে বলল,,
----আমাকে একা রেখে চলে যাচ্ছ।
----কেন তুমি তো আমার মুখ দেখতে চাউনা সেজন্য আমার মুখ যেন না দেখতে হয় সেজন্য আমি চলে যাচ্ছি।
----চলেই যখন যােব তাহলে আমাকে তোমার রক্ত দিয়ে বাচালে কেন?
----জানি না!
----please অণু আমাকে মাফ করে দাও?তুমি ঠিক বলেছিলে রিপা মেয়েটা ভালনা। প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও। আমিও তোমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি প্লিজ আমাকে একা রেখে চলে যেওনা?
(এরই ভিতর ট্রেন চলে এসেছে,)
----হৃদয় আমার হাত ছাড় আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে?
----আমাকে ছেড়ে যাসনা প্লিজ?
----আর তুমি তো কখনো আমাকে ভালবাসোনি আর আমি তোমার কে যে আমাকে ভালোবাসবা আর আমার মুখ ও তো তুমি দেখতে চাউনা। সেজন্য আমার চলে যাওয়াই ভাল। প্লিজ আমার হাত ছাড়?
----ঠিক আছে অণু যা তুই চলেই যা?
এই বলে হৃদয় অণুর হাত ছেড়ে দিল।
অণু ট্রেনে ওঠার জন্য হাটা দিল।
পেছন থেকে হৃদয় বললো?
----ঠিক আছে যাও কিন্তু তুমি যে রক্ত দিয়ে আমাকে বাচালে সেই রক্ত আমি আমার শরীর থেকে বের করে দিতে চাই।
এই বলে,
হৃদয় তার একসিডেন্ট এ যে জায়গাতে আঘাত পেয়েছিলো
যে জায়গা থেকে রক্ত পরছিলো।
সেই সব জাইয়াগে আঘাত করতে লাগল।
অণু পেছন ফিরে দেখল হৃদয়ের খতো থেকে রক্ত পড়ছে।
অণু দৌড়ে গিয়ে বলল,
-----কি করছ তুমি এমন করলে তে তুমি মারা যাবা তো?
----আমি মারা গেলে তোমার কি আসে যায়?
----পাগল হয়ে গেছো তুমি?
----হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি। ছাড় আমাকে?
অণু হৃদয়কে থামিয়ে হৃদয়ের এর গালে দুইটা আদরের চড় দিয়ে জামার কলার ধরে বলে,
----আমার আসে যায় আমি যে তোমাকে অনেক বেশী ভালবাসি,
এই বলে অণু কাঁদতে কাঁদতে হৃদয়কে শক্ তকরে জড়িয়ে ধরল।
হৃদয়ও অণুকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
----আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি আমি তোমাকে ছাড়া বাচবোনা অণু,
তুমি আমাকে কোনদিন ছেড়ে যেওনা? গেলে আমি সত্যি সত্যি মারা যাব,,
অণু হৃদয় কে থামিয়ে দিয়ে বলে,
----কোনদিন আর এ কথা মুখে আনবানা,
----তাহলে কোনো দিন ছেড়ে যাবি না বল?
----মরনের পরেও না।
----সত্যি তো?
----৩ সত্যি।
----ভালোবাসি।
----আমিও খুব।
হৃদয় আবার অণুকে জড়িয়ে ধরলো পরম আদরে।
অণুও হৃদয় কে জড়িয়ে ধরে আছে।
station এর মানুষ গুলো সব তাদের কে দেখে হাত তালি দিচ্ছে।
অণু লজ্জা পেয়ে হৃদয়কে ছেড়ে দিলো।
ওখান থেকে তার একটা রিকশা নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলো হৃদয় আর অণু।
******* সমাপ্তি ******
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ