āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

180

বিকাল ৫টা বেজে ২০মিনিট
ছেলেটি বিদ্যুৎগতিতে ব্যাস্ত রাজপথের যানবাহনের ফাঁকফোকর দিয়ে অবিরামে একেবেকে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে... অতিরিক্ত পরিশ্রান্ত হওয়ার পরে ও সে না থেমে বিপজ্জনকভাবে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে... কারণ আজ সে দেরি করে ফেলেছে.....
অন্যদিকে মেয়েটি ভাবছে ছেলেটি এত কেয়ারলেস কিভাবে হলো... কিছুটা বিরক্তিমাখা অভিমান নিয়ে মেয়েটি তার সবচেয়ে প্রিয় হাতঘড়িটার যান্ত্রিক ডায়ালে নজর বুলিয়ে নিলো... অন্যদিকে ছেলেটি নিজেকে শাপশাপান্ত করতে করতে দূরন্তগতিতে তার পা চালাচ্ছে...
ওহ আপনাদেরকে তো তাদের পরিচয়টাই দিতে ভুলে গেলাম... ছেলেটি আকাশ, মুক্তমনা সাইকেলপাগল এক প্রকৃতিপ্রেমিক.
..অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে...

আর মেয়েটি সুমি সেও আকাশের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষে পড়ে... নম্র,ভদ্র কিন্তু রাগি স্বভাবের এই মেয়েটিকে দেখলেই যেকেও তাকিয়ে থাকতে বাধ্য.. আকাশের সাথে তার ব্যাপারটা তাদের ব্যাপারে জানা প্রত্যাকটা মানুষের কাছে এখনো ঘোলাটে....

তাদের পরিচয়টা হয়েছিল আকাশের সাইকেলটির কারণে...
বলে রাখা ভালো আকাশ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান... তার বাসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে হওয়ার সুবাদে তার সাইকেলের প্যাডেল চেপে সে যাওয়া আসা করে....
একদিন তাড়াহুড়োতে কলেজে সাইকেল নিয়ে ঢোকার পর সে দেখতে পায় যে সে যেই গাছে সাইকেলটা তালা দেয় সেই গাছটিতে অন্যএকজন সাইকেল রেখেছে...
সে উপায়হীন হয়ে কলেজের লাইব্রেরীর দরজার পাশেই কলাপ্সিবল গেটের সাথে সাইকেলকে তালাবন্দি করে ক্লাস করতে চলে যায়....

ক্লাস শেষেই আকাশ ফুরফুরে মেজাজে আর্টসেলের গান হেডফোন দিয়ে শুনতে শুনতে তার সাইকেলের কাছে গিয়েই দেখে যে তার সাইকেলের ২টা চাকাতেই ফুটো...
রাগে দূঃখে ক্ষোভে তার চোখে জল চলে আসে... যেই সে তার সাইকেল মুক্ত করে বাসার পথে মন খারাপ করে রাওনা দিল তখনি ডান পাশ থেকে একটি ঢিল এসে তার সাইকেলে লাগলো এতে সে আরাও রেগে যখন ঢিলের নিক্ষেপকের দিকে তাকায় তখন তার মনে হয় সে যেনো ১০০০ভোল্টের শক খেলো।। কারণ মেয়েটা আর কেউ না তার একমাএ ক্রাশ সুমি... কলেজের নবিনবরণ থেকেই সুমিকে দেখে তার মনে এক অজানা অনুভুতির জন্ম হয়েছিল তখন থেকেই আকাশ সুমিকে ভালোবাসে যদিও কেও জানে না আর আকাশ তার ভালোবাসা লুকিয়ে রেখেছে নিজের ভেতরেই....কিন্তু তার প্রতিদিনকার রুটিনের মধ্যে সুমিকে দেখার কাজ ও উল্লেখ ছিল বিভিন্ন ভাবে তাকে দেখতো আকাশ... সুমিও লক্ষ করতো ব্যাপারটা কিন্তু কিছু বলে নি..এবার ঘটনায় ফেরা যাক...

ক্রাশ সুমি হলেও আকাশের কাছে তার সাইকেল মা-বাবার পরেই স্থান পায়।।
আকাশ : হ্যালো মিস আপনার যদি ফল পাড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে কলেজের পেছনে যান!! আমার সাইকেলে ফল ধরে না!!! আর আপনার সাহসতো কম না আপনি আমার সাইকেলকে পাথর মেরেছেন!!! পেত্নি কোথাকার!! অসহ্য....(রাগি মুড নিয়ে)
সুমি : বাব্বাহ আপনিতো রাগ ও দেখাতে পারেন দেখি!!! লজ্জা করে না মানুষকে জ্ঞান আহরন থেকে বঞ্চিত করতে!!! নিজের চেহারা আয়নায় দেখসেন!!? বান্দর কোথাকার!!!! সাইকেল আনেন ভালো কিন্তু লাইব্রেরীর সামনে সাইকেল রাখলেন কেনো?? আপনার জন্য আজ আমার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারলাম না!! লাইব্রেরি আজ আপনার জন্য খুলেনি!!!! ( রাগি + দুখি কন্ঠে)
আকাশ : দেখুন মুখ সামলে কথা বলুন! আমি আমার সাইকেল যেখানে ইচ্ছা রাখবো তাতে আপনার কি!!? (রাগ)
সুমি : আমার কি মানে!!!আপনার জন্যে আজ লাইব্রেরি খুলেনি!! আমি আজ আমার কাজটি ও করতে পারলাম না!! কিন্তু আমি এতে হতাশ না কারণ আমি ই আপনার সাইকেলের চাকায় কলম দিয়ে ফুটো করেছি।।হিহিহিহি।।। আপনাকে উচিত শাস্তি দেয়া হয়েছে!!! এই বলেই সুমি চলে গেলো...
আকাশ হাবার মত সেদিন বাসায় হেটে হেটে ফিরলো....

৪কিলোমিটার রৌদ্রতাপে হাটার ফলস্বরুপ আকাশের জ্বর উঠে সেদিন.... ৫দিন কলেজে যেতে পারে নি আকাশ।।।।
অন্যদিকে সুমি আকাশকে কয়েকদিন কলেজে না দেখে আকাশের সাইকেলে লিক করে দেয়ার জন্য মনে মনে নিজেকে দোষারোপ করতে থাকে।।।
৫দিন পর জ্বর কমলে আকাশ সাইকেল ঠিক করে কলেজে যায়।। এই পাচদিনে সে একমূহুর্তও সুমিকে না ভেবে থাকেনি...কলেজে ঢুকিতেই আকাশ দেখলো সুমি তার দিয়ে এগিয়ে আসছে... আকাশ ভাবছে আবার কি করলো....
সুমি এসেই বলতে শুরু করলো

:আপনি এতদিন আসলেন না কেনো??
আকাশ : তা আপনাকে কেনো বলবো?? (ভাব নিয়ে)
সুমি : তাও ঠিক.. আপনাকে আমি আসলে সরি বলতে এসেছিলাম সেদিনের জন্য... আসলে খুব রাগ লেগেছিল তাইকিছু না ভেবেই মুখে যা এসেছে তাই বলে দিয়েছি..(মন খারাপ করে)
আকাশ : ওকিছু না ঠিক আছে... আপনার জায়গাতে আমি থাকলে আমিও এমন করতাম কিন্তু আপনি চাকা দুটো ফুটো না করলেও পারতেন আমি খুব কষ্টে বাসাই গিয়েছিলাম আর এই কয়দিন জ্বর ছিল... আমিও সরি আমার সেখানে সাইকেলটা রাখা উচিত হয় নাই...
সুমি : আমি সত্যিই সরি।। আমি জানতাম না এমনটা হবে... (কান্না কান্না ভাব)
আকাশ : আচ্ছা বাদ সব।। একটা কথা বলতে পারি?
সুমি : (অবাক হয়ে) হ্যা বলুন?
আকাশ :আমরা কি বন্ধু হতে পারি? (হাল্কা ভয়মিশ্রিত কন্ঠে)
সুমি :।হি হি।। কেনো নয়? (হাত বাড়িয়ে)
আকাশ : (হাত মিলিয়ে) যাক অবশেষে একটা বন্ধু হলো... (আকাশের কলেজে তেমন কোন বন্ধু ছিল না)

শুরুহয় তাদের বন্ধুত্তের পথ চলা।।
তাদের লুক্কায়িত ভালোবাসা ধিরে ধিরে তাদের বন্ধুত্তে প্রতিফলিত হয়... একসাথে ঘুরাঘুরি, আইস্ক্রম খাওয়া,ফুচকা খাওয়া,সাইকেল চালানো,ফোন-ফেবুর কথা ও লম্বা মেসেজিং হিস্ট্রি তাদের বন্ধুত্তের সাক্ষি....
একজন অন্যজনকে ছাড়া কিছু বোঝে না...
মাঝখানে সুমিকে তার এক ক্লাসমেট প্রপোজ করলে আকাশের অনেক খারাপ লাগে যদিও সুমি না বলেছিল.... সুমিকে হারানোর ভয় আকাশকে ঘিরে ধরতে শুরু করলো...
অনেক চেষ্টার পরওও আকাশ সুমিকে কিভাবে বলবে বুঝতে পারছিলো না তার মনের কথা টা... বন্ধুত্বটা যতি নষ্ট হয়ে যায় তা ভেবে.... নিজের সাথে ২দিন যুদ্ধের পর অবশেষে আকাশ কাল রাতে সুমিকে বলে তার সাথে আজ বিকাল ৪টা ৩০এ দেখা করার জন্য কিন্তু নিজেই দেরি করে ফেল্লো সে...
৪কিলো সাইকেল চালিয়ে কলেজের পাশের পার্কে এসেই সে দেখলো সুমি দাড়িয়ে আছে এবং রাগে ফুঁসছে... আকাশ ভয়ে ভয়ে সুমির কাছে যেতেই সুমি বলে
সমস্যাটা কি তোর?৫০মিনিট লেট করসোস!বল তাড়াতাড়ি কি এমন কথা যা ফোনে বলা যায় না? আর অপেক্ষা করতে পারছি না জলদি বল!আর বলার আগে স্থির হ আগে কুকুরের মত হাপাইস না।।। আর গোসল করে গা মুছিস নাই কেন??? এভাবে কেও ঘামে???। আস্তে আসলে ও পারতি হুহ।।। (অভিমান + উত্তেজনা নিয়ে)
আকাশ দম ফিরে পেয়েই ভয়ে ভয়ে চোখ বন্ধকরে তাড়াতাড়ি বলতে শুরু করলো...
: সুমি তোকে আমি নবিনবরণে দেখেই তোর পটলচেরা কাজল কালো চোখের মায়ায় পরেছি...
তোর রিনিঝিনি হাসি আমার ভেতরে ঢেউ তুলে যায়...
তোর হাতের কোমল স্পর্শ আমায় বাচার আশা জোগায়...
হ্যা সুমি আমি তোকে ভালোবাসি... বেশি ভালোবাসি...
ঠাসসসসস
হটাথ চর খেয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম কারণ আমাকে মেরে সুমি নিজেই কান্না করছে...
সুমি : আগে ফুল দিয়ে হাটুগেরে প্রপোজ কর তাইলে হয়তো তোর কাজ হতে পারে...
আকাশ : (আনন্দের অতিশয্যে) এখনি আনছি!!!
সাইকেলের স্যাডলে উঠে প্যাডেলিং শুরু ককরলো আকাশ গন্তব্য পার্কের সামনের রাস্তার অন্যদিকে... সে আনন্দের চাপে ভুলে গেলো যে সে ব্যাস্ত রাস্তায় আছে!! তারপর কিছু র্হন আর কয়েকটা চাকার একসাথে বিকট শব্দ, কাচ আর হাড় ভাংগার ভয়নংকর শব্দের সাথে সাথে ধূসর আ্যস্ফল্টের রাস্তা লাল লাল বিতিকিচ্ছিরি ছোপে ভরে গেলো.......

ঘটনাটা এখানেই শেষ হতে পারতো কিন্তু হয়নি... ভালোবাসা হয়তো তাদের বেশি ই ভালোবাসতে বাধ্য করেছিল... সুমি নামের মেয়েটিও আজ নেই... সে ও আজ আকাশের বুকে ধ্রুবতারা... হ্যা আকাশ সেদিন মারা গিয়েছিলো এক্সিডেন্টে... আর তার যাওয়ার ৪দিন পর পর ই সুমির জৈবিক সত্তাও হাল ছেড়ে আকাশের বুকে পাড়ি জমায়... মন তো আকাশের সাথেই চলে গিয়েছিলো.....


।(সমাপ্ত)
লিখা : Rci Akash Biswas (Black Vaiper

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ