গল্পের নাম: "বৈশাখী পরী"
.
.
সুমিঃ হ্যালো দেখা করতে পারবে?
.
আবিরঃ না মানে আজকে এখনই দেখা করতে হবে?
.
সুমিঃ হ্যাঁ আজকেই,আমি দাঁড়িয়ে আছি জলদি এস।
.
আবিরঃ আসলে আমি পাঞ্জাবী নিতে আসছি,কালকে দেখা করবোই বাবুনি কালকেই করি প্লিজ।
.
সুমিঃ না কালকে দেখা হবে না আজকেই দেখা করতে বলছি আজকেই দেখা করবে ফুল এন্ড ফাইনাল।
.
আবির বাধ্য ছেলের মত পাঞ্জিবাটা রেডি করতে বলেই রওয়ানা দেয় সুমির সাথে দেখা করতে।প্রায় ১০ মিনিট পড়ে সুমির কাছে গিয়ে পৌঁছায়। বল কি এত জরুরী তলব?
.
সুমি বলে বেশি কথা বলতে পারব না,সরাসরি বলি তোমার সাথে আমি রিলেশনশিপ রাখবো না।আজকে থেকে আমাদের ব্রেকাপ।আর এই ব্রেকাপের কোন কারণ জানতে চেও না।
.
এই বলেই হন হন করে হাটা দেয় সুমি। আবির কিছু বলার আগেই সে রিক্সা ডাক দেয়।আবির যখন তার পিছু পিছু ছুটে যায় তত সময় মোটরচালিত রিক্সাটা অনেক দূরে চলে গেছে।
.
আবির দ্রুত কল দেয়।দুইবার ফোন বাজলেও তৃতীয় বার থেকে ফোন অফ। আবির বুঝতে পারেনা কালকে সকালে পহেলা বৈশাখ আর আজকে এমন করার মানে কি?কত প্লান ছিলো দুজনার।
.
এক সাথে ঘুরতে যাবে ফুসকা খাবে কত কি,সব এক নিমিষেই শেষ।আবির মন খারাপ করে বাসার দিকে রওয়ানা হয়।পাঞ্জাবী নিয়ে আর কি করবে যেখানে কালকে সুমি দেখাই করবে না।চিন্তা করল তার থেকে ঘুমের ঔষধ কিনে নিয়ে যাই দিব্বি খেয়ে ঘুম দিব।তবে সুমি এমন করল কেনো বুঝতেই পারছেনা আবির।
.
ঔষধ কিনে বাসায় নিয়ে যায় আবির।রাত্রে বেলা ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক দেড়ি।পুরানো স্মৃতি গুলি কষ্ট দিচ্ছে আবির কে।যেই সুমির সাথে এত দিনের সম্পর্ক এক নিমিষেই শেষ করে দিলো ভাবলো না পুরাতন কথা গুলি? রাত জেগে মুঠোফোনের এপাশ ও পাশের মানুষ দুটি কতই না খুশি ছিলো এক নিমিষেই সব।আসলে মেয়েদের মন বোঝা বড় দ্বায়।
.
রাগ করে ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে গেলো আবির।রাত তখন ৩টা বাজেতে যাচ্ছে।অনেক বার চেষ্টা করেছে সুমির ফোনে কল দেওয়ার কিন্তু কোন চেষ্টাই সফল হয়নি।
.
সকাল বেলা আবিরের মায়ের ডাক আবির ওই আবির উঠিস না কেনো দেখ কে আসছে।আবির তখন ও ঘুম অনেকবার ডাকার পড়েও বলল মা পড়ে উঠবো কাজ নেই আমার,বাহিরে যাব না।আবিরের মা বলছে মা তুমি গিয়ে ডাক দেও।রাত্রে বেলা ৩টার পরেও দেখেছি ওর রুমে লাইট জ্বলে।
.
সুমি আবিরের ঘরে গেলো। গিয়ে দেখে বিছানা পত্র সব অগোছালো।তার দেওয়া গিফট গুলি সব বিছানার উপর ছড়ানো।সুমি বুঝতে পাড়ে রাত্রে অনেক কাঁদছে অনেক কষ্ট পেয়েছে এতটা কষ্ট দেওয়া উচিত হয়নি।কিন্তু সে তো মজা করতেই এমন করেছে।
.
আবির কে ডাক দিতে দিতে যখন ক্লান্ত তখন ও মরার মত ঘুমাচ্ছে।পাশের জগে থাকা পানি যখন মাথায় ঢেলে দেয় আবির লাফ দিয়ে উঠে।একটু অবাক হয়ে যায় সুমিকে দেখে।বলে তুমি? সুমি বলে কেনো আসা নিষেধ নাকি?আবির আমতা আমতা করে কিছু একটা বলে।আবিরের বলার আগেই সুমি বলে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হও আমি বাইরে বের হব।আবির আবার বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে বলে আমি পারব না আমার গায়ে একটুও শক্তি নেই আমি ঘুমাবো।
.
সুমি বুঝতে পারে আবির আবার স্লিপিং পিল খেয়েছে।এইটাই তার অভিমান দূর করার উপায়।সুমি যত রাগ করুক কিছুই বলবে না শুধু বাসায় এসে ঔষধ খেয়ে পড়ে-পড়ে ঘুমাবে।সুমি জোড় করে উঠিয়ে বাথরুমে পাঠালো।গোসল করতে যখন আর আসেনা তখন সুমি আবিরের রুম গোছাতে-গোছাতে বলে বাথরুমেও গিয়ে কি ঘুমালে নাকি?
.
একটু পর আবির আসে।সুমির হাতের পাঞ্জাবী টা আবির কে দিয়ে বলে এইটা তোমার নববর্ষের গিফট।আবির গায়ে দেয়।রেডি হতে হতে আবিরের মা ডাক দেয় দুজনকেই।পান্তা-ইলিশ সহ ভিবিন্ন আইটেম দিয়ে সাজানো টেবিলে।খেতে খেতে সুমি বলে আন্টি আপনি আর কত বছর এই গাধাটার জন্য কষ্ট করবেন?এবার আবির কে একটা বিয়ে দিয়ে দিন।
.
আবিরের মা বলে হ্যাঁ মেয়ে আমি দেখেই রেখেছি,দেখি সামনের সপ্তাহে তোকে নিয়ে যাব মেয়ে দেখতে।সুমি তুই যেতে পারবি না?সুমির হাসি মাখা মুখটা এক নিমিষেই মলিন হয়ে যায়।কই তার কথা বলবে তা নয় অন্য মেয়ে।আবির মা হেঁসে দিয়ে বলে আরে পাগলী মন খারাপ করা লাগবে না।আমার বাঁদর ছেলেটার জন্য তোর মত একজন কেই লাগবে ঠিক করতে,তুই আমার ছেলের বউ হবি চিন্তা করিস না।
.
সুমি এবার লজ্জায় লাল, এর মাঝে আবির বলে উঠে না মা ওকে বিয়ে করব না।সাত দিনের ভিতর আট দিন ই করে ব্রেকাপ।একটা দিন ধার করে আনছে।সুমি বলে হ্যাঁ বিয়ে কে করবে না বাইরে চল তার পর দেখাচ্ছি।
.
সুমি আর আবির বের হয়ে গেলো।সুমিকে আজকে শাড়িতে দারুণ লাগছে।একদম "বৈশাখী পরী" আবিরের দিকে তাকিয়ে একটু একটু মুচকি হাসছে সুমি।আবির জিজ্ঞেস করে কি ব্যাপার এত হাসি কিসের জন্য।সুমি লজ্জা লজ্জা ভাবেই বলে আচ্ছা আমাদের একটা বাবু হলে তখন আমাদের মাঝে থাকবে,দুজন পাশাপাশি হাঁটবো আর বাবু মাঝে।
.
আবির বলে কই রইলো বিয়ে আর কই বাবু।বাবু কি আকাশ থেকে পড়বে।এখন পর্যন্ত হাতটাও ঠিক মত ধরেনা আবার বাবু।সুমি বলে যা ফাজিল তোরে লাগবে না আমি বাজার থেকে একটা সুন্দর দেখে বাবুর পুতুল কিনে আনবো তুই শুধু ঘুমিয়েই কাটাবি।আবির বেলি ফুলের মালা কিনে সুমিকে পড়িয়ে দিলো খুব সুন্দর লাগছে তাকে।পাশাপাশি হাঁটলেও আবির কখনো সুমির অনুমতি ছাড়া তাকে ছুঁয়ে দেখতে চায়না।আবিরের ভিতরটা হয়ত সুমি বুঝতে পারে। পাশাপাশি হাটতে হাটতে হাতটি বাড়িয়ে দেয় আবিরের দিকে।
.
আবির শক্ত করে হাতটি ধরে।এই বাঁধন যেন কখনো না হারায়।ভালোবাসি ভালোবাসি শুধু তোমায়।দুজনের মুখে কথা না থাকলেও মনের মাঝে শুধু ভালোবাসার শব্দ দুজনেই বুঝে যায়।
.
রিক্সা করে যখন বাসার দিকে যাবে তখন আবির রিক্সায় সুমির কাঁধে মাথা দিয়ে বলে আমি ঘুমাই।সুমি বলে মানে কই আমি তোমার কাঁধে মাথা রাখব তা না তুমি আমার কাঁধে রাখলে।আবির বলে আমার বড্ড ঘুম পেয়েছে,আজকে বৈশাখী পরীর কাঁধে মাথা রেখে আমি হারিয়ে যাব ভালোবাসার রাজ্যে।সুমি আবিরের চুল গুলি একটু টান দিয়ে বলে আদর পাগল বর আমার। আবির মাথাটা উঁচু করে সুমির মাথাটা তার কাঁধে রাখতে বলে,বলে আদর পাগল বউ আমার।সুমি হাসতে থাকে সেই হাঁসি মিশে যায় বাতাসে বাতাসে। (সমাপ্ত)
.
.
ডেডিকেটেড টু: "লাজুক রাজকন্যা"
.
.
লেখক: Naimul Islam Rubel (নিশ্চুপ জীবনের লুকোচুরি)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§
477
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§Ļ:ā§Ģā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ