Part 5,6,7(final)-----সিনিয়রের সাথে প্রেম অতঃপর বিয়ে-----
পর্ব:- ৫
.
Writer :-S H Rakib Khan (Kalponik King)
.
.
.
আমার এই আনন্দ বেশিদিনের জন্য স্থায়ী হলোনা। আমার আরেক বন্ধু,যার নাম -মেহদী, ও অনার্স ৩য় বর্ষে।এই হালায় আমার নামে নীলিমার কাছে পেস লাগায়সে। ও বলছে যে আমি নাকি আরেক মেয়ের সাথে প্রেম করি,তাই ওর কাছে যাচ্ছি।
.
--ওই সালা তুই নীলিমার কাছে কি বলেছিস, আমি নাকি আরেক মেয়ের সাথে প্রেম করি।(আমি)
--হে বলেছি তো ? (মেহেদী)
--আবার বলে তো,আমার বারোটা বাজিয়েছিস সালা,তোর জন্য এখন নীলিমা আমাকে বিয়ে তো দূরে থাক প্রেমও করবে না,আমি তোর কি ক্ষতি করে ছিলাম যে আমার সাথে এই রকম করলি?(আমি)
--তুই আমাকে আবার কী ক্ষতি করবি।(মেহেদী)
--তাহলে আমার সাথে এই রকম করলি কেনো? (আমি)
--তুই আমার বান্ধবীর সাথে প্রেম করবি আবার আরেক মেয়ের সাথেও প্রেম করবি তাকি হয়।(মেহেদী)
--তোর বান্ধবী কে আবার,আর তোর কি মনে হয় আমি ঐরকম ছেলে। (আমি)
--পরিস্থিতির কারণে মনে হয় তুই ঐরকমি,আর আমার বান্ধবীর নাম হলো - মেঘলা।
--মেঘলা,নামটা কথায় যেনো শুনেছি। (আমি)
--যে ভাবে ভাব নিচ্ছিস মনে হয় আনেক বছর পর নামটা শুনলি? (মেহেদী)
--হে, এই নামটা শুনে ছিলাম আনেক দিন আগে, প্রায় এক বছর তো হবেই,কিন্তু কার নাম ছিলো এই টা কে হতে পারে কে,হে মনে পরেছে, তুই যার কথা বলছিস তার পুরো নাম কি - মেঘলা আক্তার মেঘা? (আমি)
--হ্যা,আর যে ভাবে বলছিস মনে হয় ওকে ঠিকভাবে চিনিসও না,ভালোই আভিনয় শিখেছিস শুভ,আর পারবিনা কেন,তুইতো আবার লেখক,তুই পারবিনা তো কে পারবে।তুই কল্পনা করে করে কত অভিনয় বানিয়ে ফেলতে পারিস তা আমার জানা আছে,আর তাই, তুই আর অভিনয় করিস নারে ভাই।(মেহেদি)
--আমি অভিনয় করছি, তুই বন্ধু হয়ে এই চিনলি,আর আমি এসেছি তোকে জ্ঞান দেবো, আর এখন তুই আমাকে জ্ঞান দিচ্ছিস। (আমি)
--তুই আবার কি জ্ঞান দিবি,মিথ্যা বলা ছারা। (মেহেদী)
--তা হলে মন দিয়ে শোন আমি কি বলি। (আমি)
--আচ্ছা শুনি,মিথ্যা না সত্য তা কথার দ্বারাই বুঝা যাবে। (মেহেদী)
--মেঘলা আমাকে প্রায় একবছর আগে প্রপোজ করে ছিলো,আর আমি তার প্রপোজ ফিরিয়ে দিয়েছি। আর তখন আমি নীলিমাকে ফলো করতাম,নীলিমাকে ভালোবাসতাম আর তাই তার প্রপোজ ফিরিয়ে দেই।সেই দিন থেকে এখন পর্যন্ত মেঘলাকে আমি দেখিনাই।আর তুই বলছিস আমি মেঘলার সাথে প্রেম করি?(আমি)
--আর কত মিথ্যা কথা বলবি? (মেহেদী)
--আমি মিথ্যা কথা বলি না,তুই কি তা যানিস না? (আমি)
--হ্যা যানি, কিন্তু মানুষ পরিবর্তনশীল সেটা কি যানিস? (মেহেদী)
--হ্যা,কিন্তু আমি পরিবর্তন হবো কেনো? (আমি)
--কারণ তুই দুইজনকে চাস। (মেহেদী)
--সালা তোর মাথায় গোবর ভড়া, আমি বল্লাম মেঘাকে আমি ভালোবাসি না,আর তোর সাথে মিথ্যা বলে আমার লাভ কী? (আমি)
--অবশ্যই তোর লাভ আছে। (মেহেদী)
--তাহলে দেখা কোন দিক দিয়ে আমার লাভ?(আমি)
--সেটা আমি কি করে বলবো? (মেহেদী)
--তুই বলতে পারবিনা সেটাতো আমি জানি,আমি কি শুধু শুধু বলি তোর মাথায় গোবর ভরা।আর আমার কথার প্রমাণ দিতে সিফাত, সাকিব ও শিশির আসছে। (আমি)
--হুম্ম। (মেহেদী)
.
.
--কি হয়েছেরে শুভ? (সাকিব)
--কে, যানিস না কি হয়েছে? (আমি)
--যানি তো,তবুও মেহেদী শালারে শুনাতে চেয়েছিলাম, আমাদের কয়েক দিন পর ফ্রি অনেক কিছু পেটে যাবে,আর শালায় আমাদের খাওয়ার বারোটা বাজিয়েছে, শালারে আমি খেয়েই ফেলবো। (সাকিব)
--তুই কি খাবি তার আগে আমি কুত্তাকে খেয়ে ফেলবো,আমি কত পরিকল্পনা করে ছিলাম, শুভর কাছ থেকে অনেক কিছু খাবো।সেই জায়গায় কুত্তায় পানি ডেলে দিলো। (শিশির)
--থাক কুত্তা বলিস না, কষ্ট পাবে।(আমি)
--কেনো বলবো না, ওকে আমি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো। (শিশির)
--আগে মেহেদি নীলিমার কাছে গিয়ে বলুক, যে, আমি যা বলেছি সব মিথ্যা,তার পর তুই ওকে চিবিয়ে খাবি না ফ্রাই করে খাবি সেটা তোর বেপার (আমি)
--আচ্ছা ঠিকাছে। (শিশির)
--সিফাত তুই বলতো? (আমি)
--কী বলবো? (সিফাত)
--আমাকে এক মেয়ে প্রপোজ করেছিলো সেটা বলবি। (আমি)
--কোন মেয়ে,তোকে তো অনেক মেয়েই প্রপোজ করেছে,তার মধ্যে কোনটা? (সিফাত)
--আরে মেঘলা মেঘলা, যে প্রায় একবছর আগে প্রপোজ করেছিল। (আমি)
--ও মেঘলা, তো আমি কি করবো? (সিফাত)
--কি আর করবি মেঘলার সাথে প্রেম করবি,তোকে কত বার বলেছি যে কথা পেঁচাবি না,তার পরও তুই কথা পেঁচাচ্ছিস।আমি আগে থেকেই রেগে আছি মেহেদী সালার কারণে,তার উপর তুই আমাকে রাগাচ্ছিস। (আমি)
--তুইতো অঙ্কতে কাচা তাই একটা অঙ্ক শিখে নে,মাইনাসে মাইনাসে যদি প্লাস হয় তেমনি আগের রাগ আর এখনের রাগ মিলে হবে রাগের পানি মানে রাগ গলে পানি হয়ে যাবে, মানে রাগ শূন্য হয়ে যাবে,রাগ আর থাকবে না বুঝলি। (সিফাত)
--হ্যা বুঝেছি আর বুঝানো লাগবে না,এখন মেহেদীকে অঙ্ক বুঝা যে শুভ নীলিমা ছাড়া অসহায়। (আমি)
--ওই মেহেদী শুভ নীলিমা ছাড়া অসহায় বুঝলিতো। (সিফাত)
--আরে এইভাবে বুঝায় তে বলছে কে? (আমি)
--তুইতো বল্লি।
--তোরে আমি এইভাবে বলতে বলেছি।
--তাহলে কিভাবে বলবো একটু শিখিয়ে দে তুই। (সিফাত)
--আরে বল, যে সেদিন আমি মেঘলার প্রপোজ গ্রহণ করেছিলাম নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম,আর যা যা সেইদিন ঘটেছে তা বল,সন্ধা হয়ে যাচ্ছে তারাতারি বল? (আমি)
--মেহেদী, সেই দিন শুভ মেঘলার প্রপোজ গ্রহণ করেনাই।কারণ হলো ও তখন থেকেই নীলিমাকে ভালোবাস তো। (সিফাত)
--হুম্ম,বুঝলাম।কিন্তু তুই যে সত্য বলছিস তার কি গেরান্টি? (মেহেদী)
--আরে শালা এখন মেয়ে বন্ধু পাইয়া আমাদের ভুলে গেছো,আর আমাদের সবার কথা মিথ্যা।তুই জানিস না আমি মিথ্যা বলি না,তারপরও তুই বলছিস আমি মিথ্যা বলি। (সিফাত)
--কিছু করার নাই।(মেহেদী)
--কুত্তায়, বেইমান হয়ে গেছে,তার জন্য তোদের কথা সত্য মনে হচ্ছে না ওর কাছে।(শিশির)
--শুভ তুই কি ওকে বিয়ার দাওয়াত দেছ নাই। (সাকিব)
--না,যেই সময়ে ওকে বিয়ের দাওয়াত দিতে যাবো, সেই দিনেই পেস লাগায় দিসে শালায়। (আমি)
--এই জন্যই তোর উপর দিয়ে ঝাল মিটাচ্ছে। (সাকিব)
--তুই আরো প্রমাণ চাস তাই না মেহেদী? (আমি)
--হ্যা। (মেহেদী)
--কাল সকালে ক্যাম্পাসে যাবো তৈরি থাকিস, আর মেঘলাকে ফোন দিয়ে বলবি ক্যাম্পাসে যেনো থাকে,ঠিকাছে। (আমি)
--আচ্ছা। (মেহেদী)
.
.
To be continue.
.
.
বিদ্র:- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন।
.
.
.-----সিনিয়রের সাথে প্রেম অতঃপর বিয়ে-----
পর্ব :- ৬
.
Writer :- S H Rakib Khan (Kalponik King)
.
.
.
অতঃপর সকালে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,আমরা সবাই। যে সময় ভার্সিটিতে প্রবেশ করি সে সময়ে মেঘলা ছিলনা।
.
--কিরে তোর অবুঝ বান্ধবী কোথায়রে। (আমি)
--আসবে কিছুক্ষন পরে আসবে। (মেহেদী)
--তুই মেঘলাকে কয়টা বাজে আস্তে বলছিস? (আমি)
--৯:৩০ টা আস্তে বলছি। (মেহেদী)
--আরে, আমি দেরি করে আসলাম, যে কিছুক্ষন ও বসে থাকুক, সেই যায়গায় আমরা বসে থাকবো।তুই আসলে কাজটা ঠিক করলি না,এখন কি আমরা আঙুল চুবো। (আমি)
-- শুভ তুই কি বললি, মেহেদীর বান্ধবী অবুঝ, যেভাবে তোকে ফাসায় সে,মনে হয় না শালি অবুঝ। (সাকিব)
--আমি কি বলছি যে সত্যি সত্যি অবুঝ, ওটাতো মেহেদী সালাকে বলছি এমনেই।আর তুই কি বললি মেয়টাকে এখন? (আমি)
--কি বল্লাম আমি আবার। (সাকিব)
--শালি বল্লি, তুই কী ওর বড় বোনেরে বিয়ে করছিস,তাহলে বলিস কেনো? (আমি)
--অবশ্য তা না,কিন্তু তুই কথটা এমন ভাবে নিচ্ছিস কেনো? আমিতো এমনেই বলছি। (সাকিব)
--তাহলে অবুঝ কথাটি আমিও এমনেই বলছি। (আমি)
--হে বুঝেছি আর বলা লাগবে না। (সাকিব)
--আমার তো মনে হয় ও সত্যি বিয়ে করেছে। (শিশির)
--আরে কবে করলাম করলে তো দাওয়াত পাতি, তাই না? (সাকিব)
--টাকা বাঁচাবার ভয়ে, আমাদের বলিসনি। (শিশির)
--তুই আর ঠিক হবি না,সব সময় নেগেটিভ চিন্তা করবি ওই। (সাকিব)
--ওই তোরা থাম,মেহেদী দেখতো,একটা মেয়ে আমাদের এখানেই আসছে,এইটা মেঘলা কিনা? (আমি)
--কে তুই চিনিস না,তুই না বল্লি একবছর আগে ওকে দেখেছিস, আর এখনি বুলে গেলি। (মেহেদী)
--কি করবো বল,তুই তো বল্লি মানুষ পরিবর্তনশীল। (আমি)
--তো।
--প্রায় একবছর আগে দেখেছি এখন চেহারা পাল্টায়ছে না?আর মেয়েরা তো দ্রুত পরিবর্তন হয়,গতকাল দেখবো যে মেয়েটা খাটো আর আজ দেখবো লম্বা হয়ে গেছে,গতকাল দেখবো যে মেয়েটার চেহারা শ্যামলা আর আজ দেখবো একেবারে ময়দা সুন্দরি হয়ে গেছে।আর আমি মেঘলাকে দেখেছি একবছর আগে তাকে কিভাবে চিনবো? (আমি)
--হ্যা বুঝেছি আর লেকচার ছাড়া লাগবো না। (মেহেদী)
.
.
--হায় আমার নাম - মেঘলা আক্তার মেঘা। (মেঘলা)
--আমার নামটা কিজানি, ও মনে পরেছে, আমার নাম হলো - রাকিব হোসেন শুভ।নামটা শুনেছেন নিশ্চয়ই? (আমি)
--হুম। (মেঘলা)
--শুভ তুই কি মেঘলার সাথে ফান করছিস? (মেহেদী)
--আরে না। (আমি)
--শুভ তোকে আজ আনেক খুশি খুশি লাগছে? (সাকিব)
--হে রে একটু তো খুশি আছিওই। (আমি)
--তোর না বিয়ে ভেঙে গেছে,তাহলে কিভাবে খুশি থাকিস? (সাকিব)
--বিয়ে ভেঙে গেছে তো কি হয়েছে, আবার জোরা লাগবে। (আমি)
--কিভাবে ? (সাকিব)
--দেখ না কিভাবে,এখন চুপচাপ কথা শোন । (আমি)
--আপনি আমার সাথে এমোন করলেন কেনো? (আমি)
--কি করেছি? (মেঘলা)
--কি করেছেন,আপনি আমার নামে,আমার বন্ধুর কাছে কী বলেছেন?
--কি বলেছি, মেহেদী তোমাকে বলে নাই? (মেঘলা)
--হ্যা বলেছে তো,আপনি আমার সাথে ইটিশ পিটিশ ৪২০ করেন। (আমি)
--মুখ সামলিয়ে কথা বলো। (মেঘলা)
--আমি বলিনিতো, আপনার পেয়ারে বন্ধু বলেছে। (আমি)
--ওই আমি কি তোরে এইভাবে বলেছি? (মেহদী)
--আরে ঘুরে ফিরে তো এই রকমি হয়,তাই না। (আমি)
--হুম (মেহেদী)
--আর, আপনি শুনুন, এতোক্ষন তো শুভর মতো আচরণ করছি, যদি ভালোভাবে আমার প্রশ্নের উত্তর না দেন তাহলে অশুভর আচরণ দেখবেন। (আমি)
--আমি যদি না বলি? (মেঘলা)
--আরে বলেন না, কেনো আমার জীবনটাকে এইরকম করলেন? (আমি) (একটু কান্না কান্না ভাবে বললাম, যেনো মেয়েটা সব বলে দেয়)
.
--করবই না কেনো,যখন আমি তোমাকে প্রপোজ করে ছিলাম,আর তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে ছিলে তখন আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, যখন তোমরা দুইজন ক্যাম্পাসে সবার সামনে জরিয়ে ধরে ছিলে,তখন আমি কষ্ট পেয়েছিলাম।আর তখন থেকেই আমি পরিকল্পনা করি, কিভাবে তোমাদের সম্পর্ক টা ভাঙানো যায়।আর আমি কান্নাকাটি করে মেহেদীকে বলেছি,তুমি আমার সাথে প্রেম করো আর অন্য জনকে বিয়ে করো।আর এতেই মেহেদী নীলিমার কাছে সব কথা বলে দেয়,আর আমার পরিকল্পনার জয় হয়। (মেঘলা)
.
--বাস বাস আর বলা লাগবেনা,এই টুকু আমার জন্য অনেক।মেহেদী সব শুনে ফেলেছে ওই সব সত্য কথা বলে দিবে নীলিমাকে। (আমি)
--মেহেদী সামনে থাকা অবস্থায় আমি কেনো সব সত্য কথা বলে দিলাম,তাই না।মেহেদী শুনেছে তো কি হয়েছে,নীলিমাকে বলে দিবে যে সব মিথ্যা ছিল। মেহেদীর কথা এখন নীলিমা মেনে নিবেনা, বরংচো নীলিমা মেহেদীকে বলবে, শুভ যেইভাব তোকে শিখিয়ে পরিয়ে দিয়েছে সেইভাবে এসে বলছিস।আর নীলিমা কথা গুলো মেনে নিবেনা বলেইতো আমি সত্য কথা বললাম, তানা হলে কি আমি বলতাম। আমাকে কী এতোই বোকা পেয়েছো, যে মেহেদী থাকা সত্ত্বেও আমি কথা গুলো এমনি এমনি বলে দেবো।হি হি হি। (মেঘলা)
.
--আপনি বোকা না,আপনি হলেন। আপনাকে আর আপনি করে বলবো না,এখন থেকে তুই করে বলবো। তুই একটা হিংসুটে,তুই একটা বিড়াল, তুই একটা পেত্নী। শিশির কিজানি বলে, হে মনে পরেছে তুই আসলে একটা কুত্তী। আর কী বলা যায়রে সাকিব? (আমি)
--হ্যা আরো আছে তো বল --ভুত্নী,সয়তানি, গিরগিটী। আর মনে পরছে নারে। (সাকিত)
--সাকিবে যা বললো,সব গুলা তুই।ওই মামা আরেকটা বলা হয়নি তো? (আমি)
--কোনটা আবার বাকি রইলো? (সাকি)
--আছে তো, তুই তখন শালী বললি সেটা। (আমি)
--এইটা বলিছনা (সাকিব)
--চিন্তা করিছ না আমার নামে বলবো না,তোর নামেই বলবো। (আমি)
--ওখানেই তো সমস্যা।
--আরে কোনো সমস্যা নাই,এখন তুই চুপ থাক। (আমি)
--ঠিকাছে। (সাকিব)
--তুই একটা, সাকিবের শালী। (আমি)
--কি (মেঘলা)
--কি নয়, কী। (আমি)
--এই টুকু কথায় আমার কিচ্ছু যায় আসবে না,তোমার যা ক্ষতি করেছি তার তুলোনায় এগুলা কিছুনা। (মেঘলা)
--হা হা হা আমার হাতে দেখেছিস এইটা কী? (মেঘলা)
--এইটা স্মার্ট ফোন। (মেঘলা)
--এইটার মাধ্যমে নীলিমা সব জেনে ফেলেছে। (আমি)
--কিভাবে? (মেঘলা)
--আপনি যখন এখানে এসেছেন, তখনি আমি ওকে কল দেই আর এতোক্ষনে ও লাইনে থেকে সব শুনে ফেলেছে। (আমি)
--এএ। (মেঘলা)
--এ নয়, হে।এখন আপনি যেতে পারেন,যান যান। (আমি)
--যাচ্ছি,আর আমি এর প্রতিশোধ নেবো। (মেঘলা)
--যখন করবেন, তখন দেখা যাবে। এখন যান। (আমি)
.
.
--মেহেদী তুই মেঘলাকে কিছু বললি না (আমি)
--ও আর কি বলবে। (সিফাত)
--কি বলবো আর,মেঘলা আমাকে এতো বড় মিথ্যা কথা বলাবে আমি ভাবতেও পারছিনা। তোদের সাথে আমি অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দেইস। (মেহেদী)
--আরে বন্ধুত্বের মধ্যে কিসের ক্ষমা।মেঘলা বন্ধুত্বের ফাইদা উঠাইসে,এটা ওর দোষ,তর না। (আমি)
.
.
এখন বাসায় যাওয়া যাক।বিকালে আবার নীলিমার কাছে যেতে হবে।
.
To be continue.
.
বিদ্র :-ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন।
.
.
-----সিনিয়রের সাথে প্রেম অতঃপর বিয়ে-----
পর্ব:- ৭ (শেষ)
.
Writer :-S H Rakib Khan (Kalponik King)
.
.
.
--হেলো নীলিমা। (আমি)
--হুম্ম। (নীলিমা)
--কেমন আছ? (আমি)
--ভালো, কেনো ফোন দিয়েছ? (নীলিমা)
--বিকেলে দেখা করতে পারবে? (আমি)
--হুম্ম, কোথায়? (নীলিমা)
--তোমার বাড়ির সামনে।
--ঠিকাছে,এখন রাখি। (নীলিমা)
--হুম্ম। (আমি)
.
.
ভালো ভাবে রেডি হয়ে নেই,অনেক দিন পর নীলিমার সাথে দেখা বলে কথা।
.
--কিরে কোথায় যাচ্ছিস? (মা)
--এইতো এদিকেই যাচ্ছি। (আমি)
--বলতে পারিসনা নীলিমার কাছে যাচ্ছি। (মা)
--ইয়ে মানে, মানে।
--আর মানে মানে করতে হবে না, এখন যা। (মা)
--হুম্ম। (আমি)
.
নীলিমার বাড়ির সামনে এসে পরেছি কিন্তু মহারাণীরতো দেখাই নেই।হে পেয়েছি ওই দিকে দাড়িয়ে আছে।
.
--সকালের সব কথাতো শুনেছো? (আমি)
--কি শুনেছি? (নীলিমা)
--সকালে তোমাকে না ফোন দিয়ে ছিলাম আর ফোনের মাধ্যমে তুমি কিছু শুনতে পাওনি? (আমি)
--তুমি সকালে কখন ফোন দিলে? ( মুচকি মুচকি হাসছে,এইভাবে হাসার রহস্য কি সেটা বুঝতে পারছি না)
--তুমি সকালে ফোন ধরো নাই তাহলে কে ফোন ধরলো? (আমি)
--সকালে ফোন তো নীলের কাছে ছিল,ওই ফোনটা ধরেছে মনে হয়। (নীলিমা)
--আমার পরিকল্পনা সব পানিত যাবে,তাকি হয়।আমি রেকডও করে রেখেছিলাম,তাতেই বোঝা জাবে কে ফোন ধরেছে আর আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর কাউকে না তাও জান্তে পারবে । (আমি)
--এই ফোনটা দেও। (নীলিমা)
--আমার ফোনটা নিলে কেনো? (আমি)
--মন চাইছে তাই নিছি,এতো কথা কিসের? (নীলিমা)
--আমি কি মনে করে নিবো, যে সকালে তুমি ফোনে সব শুনেছো। (আমি)
--আমি কি যানি,তোমার মন,তুমি যা ভাবো? (নীলিমা)
--তাহলে আমাদের বিয়ে টা হচ্ছে তো ? (আমি)
--জি না। (নীলিমা)
--কেনো? (আমি)
--তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না,যদি আমাকে ভালোবাসতে, তাহলে আমাকে জানু বলে ডাকতে বা ভালোবেসে অন্য একটি নাম দিতে ।। (নিলিমা)
--আরে মা আমি তোকে সত্যিই ভালোবাসি। (আমি)
--কি বল্লা তুমি আমাকে,আবার বলোতো শুনি? (নীলিমা)
--কে তুমকি শুনতে পাওনি? (আমি)
--শুনেছি,তবুও আরেক বার বলো।
--শুনে থাকলে আরেকবার বলার কি প্রয়োজন? (আমি)
--তুমি কি বলেছ আমাকে? (নীলিমা)
--আমি আবার কী বল্লাম? (আমি)
--কি বলেছো,তুমি আমাকে মা বল্লে কেনো? (নীলিমা)
--তুমি তো বল্লে ভালোবেসে কোনো এক নামে ডাকতে, তোমার নামতো নীলিমা আর আমি ভালোবেসে নীলি বাদ দিয়ে মা বলে ডাকলাম। (আমি)
--বার করছি মা বলে ডাকা। (নীলিমা)
--শুভ জান থাকতে পালা। (আমি)
--এই দাড়াও দাড়াও, একটু কথা শুনে যাও। (নীলিমা)
--দশ মাইল দূর থেকেই বলো। (আমি)
--আচ্ছা বলছি,বিয়ের আগে আমার সাথে আর দেখা করবে না ঠিকাছে। (নীলিমা)
--কেনো?
--ঘন ঘন দেখা করলে মানুষ কি বলবে বলো, বিয়ে কয়েক দিন পর আর এখন ঘন ঘন দেখা,যেনো ভালোবাসা উল্টিয়ে পরে আরো নানা কিছু বলবে লোকে। (নীলিমা)
--আচ্ছা, তাহলে আর কি করার। (আমি)
--আর আমি আন্টিকে আমাদের বিয়ের কথা বলে দিয়েছি।
--এই জন্যেই তো বলি আম্মু কিভাবে জানলো আমি তোমার কাছে যাচ্ছি ।আর আম্মু কে আন্টি বলছো কেনো, মা বলবে মা ঠিকাছে। (আমি)
--আমার লজ্জা করেনা বুঝি,আর এখন যাওতো, কে না কে দেখে ফেলে তার কোনো ঠিকনেই। (নীলিমা)
--আচ্ছা যাচ্ছি যাচ্ছি। (আমি)
.
.
অবশেষে আহি গায়া আমাদের ইয়ে রাত,বুঝলেনতো কোন রাতের কথা বলছি।এর চেয়ে ভালো ভাবে বুঝাতে পারব না,আপনারা ব্যাক্তিগত ভাবে বুঝে নিয়েন।ইয়ে রাত হলে কি হবে ঘরে তো ডোকতে পারছিনা, ১. লজ্জা করছে, ২. ভয় লাগছে আর ৩. বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব করছি,ওরাতো আমাকে যেতেই দিচ্ছেনা।
.
--এখন যাই তা না হলে নীলিমা আমাকেই আস্ত রাখবেনা। (আমি)
--বিয়ের পর কেউ আর আস্ত থাকেনা মিয়া। (ইলিয়াস ভাই)
.
যে আমার কথার উত্তর দিলো, তার নাম হলো - ইলিয়াস, উনি একজন হাফেজ আর বর্তমানে কী বিষয়ে জানি পড়ছে সেটা আমি যানি না অবশ্য। উনি আমাদের থেকে বয়সে বড় হলে কি হবে, আমাদের সাথে সবসময় বন্ধু সুলভ আচরণ করে আর আমরাও বন্ধু সুলভ আচরণ করি কিন্তু ভাই বলে ডাকি।
.
--মানে? (আমি)
--তুমি তো এখন বিয়ে করলে তাই না।(ইলিয়াস)
--হুম্ম। (আমি)
--আগে তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পারতে, এখনকি তা করতে পারবে? (ইলিয়াস)
--মোটেও না। (আমি)
--তাহলে বলো মিয়া, নিজের ইচ্ছাটা যদি না থাকে, তা হলে তুমি কিভাবে আস্ত থাকলা। (ইলিয়াস ভাই)
--ভুঝলাম। (আমি)
--এরকম আরো উদাহরণ আছে, যার ফলে তুমি আর আস্ত থাকবেনা। (ইলিয়াস)
--হুম্ম (আমি)
--তুমিতো নিজেকে শেষ করে দিলে, এবার আমাদের কেউ শেষ করো? (ইলিয়াস ভাই)
--মানে? (আমি)
--আরে তুমিতো বিয়ে করে ফেলেছ,এখন আমাদেরটাও ঠিক করে দেও। (ইলিয়াস)
--ভাই, আমিতো আগে থেকেই ঘটকালি করেছিলাম আপনার জন্য,কিন্ত আপনিতো বল্লেন,সম্পূর্ণ ঘটক হতে হলে আগে আমাকে বিয়ে করতে হবে।আর আমার জন্য আপনারা পাত্রী দেখছেন,কিন্তু আপনারা কিছু করেননি যা করার আমরি করতে হয়েছে।নিজের ঘটকালি নিজে করেছি একবছর ধরে,শুধু মাত্র একটি মেয়ের পিছনে ঘুরেছি আর আজ সে আমার ঘরের বউ হয়েছে,আমার ঘটকালি সার্থক হয়েছে আজ। (আমি)
--ভাই তোর কথা শেষ হয়েছে? (ইলিয়াস ভাই)
--না একটু বাকি আছে।
--বলে ফেল। (ইলিয়াস)
--আর আপনাদের ঘটকালি করতে আমার একদিন ওই যথেষ্ট। (আমি)
.
--আমার জন্য ঘটকালি করা লাগবো না। (শিশির)
--কেনো? (আমি)
--আমারটা আমিওই পচ্ছন্দ করে রেখেছি, শুধু নীলিমা যদি ওকে বলে দেয় তাহলেই আমার সেটিং ঠিক ঠাক হয়ে যাবে। (শিশির)
--কার কথা বলছিস তুই? (আমি)
--আরে নীলিমার বান্ধবী রিমি। (শিশির)
-- তুই না মিশা না তিশাকে ভালোবাসিস তাহলে এটা আসল কোথা থেকে,কয়টার সাথে প্রেম করিস? (আমি)
--কয়টা,একটার সাথে প্রেম করতে পারিনা, আর তুই বলিস কয়টা।আর মিশাতো কুমিল্লা চলে গেছে, আর এরি মধ্যে রিমিকে আমার পছন্দ হয়ে গেছে। (শিশির)
--মিশা কি একেবারের জন্য চলে গেছে? (আমি)
--না। (শিশির)
--তাহলে তুই মেয়েদের কি পেয়েছিস পুতুল, যখন যে পুতুল পছন্দ হবে আর ঘরে নিয়ে আসবি।এতো জনকে পছন্দ না করে একজনকে পছন্দ কর এবং তার মন জয় করার জন্য যা করার লাগে তা কর, বুঝলি। (আমি)
--হুম্ম। (শিশির)
--এখন সব যার যার বাসায় যাতো যা, নীলিমা কখন থেকে ঘরে একা বসে রয়েছে,আর আমি তোদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি। (আমি)
--আচ্ছা যাই তাহলে। (সিফাত)
--যা যা । (আমি)
.
.
দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি,যদি ভেতরে ঢুকি তাহলে বাঘিনী আমাকে খেয়েই ফেলবে মনে হয়।তবুও তো ঘরে ঢুকতে হবে, কি আর করার তাহলে দরজাটা খুলে যাই।
.
--এই যে মিস্টার বউকে ফেলেরেখে এতোক্ষন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলেন তাইনা। (নীলিমা) (আহ কি মিষ্ট ভাষায় কথা বলছে,সব সময় যদি এইভাবে কথা বলতো। মনে মনে)
.
--উরে বাস ভুত্নীর মুখে রাম নাম। (মুখ ফসকিয়ে বেরিয়ে গেলো)
--কি বল্লা আমাকে ভুত্নী, তোমার সাথে সবসময় রাগ দেখিয়ে কথা বলা উচিত,ভাবছিলাম সবসময় ভালো ভাবে কথা বলবো কিন্তু তুমি তার যোগ্য নও। (নীলিমা)
--আরে এমনি বলে ফেলেছি আর বলবো না। (আমি)
-- উ হু তা হচ্ছে না,আজকে তো তুমি আমাকে ভুত্নী বললে আর যেদিন তুমি আমাকে প্রপোজ করে ছিলে সেদিন আমাকে কি বলেছিলে হুম্ম?
--সেদিন আমি কি বলেছিলাম মনে নেইতো,আর আজ ভুত্নী কথাটি এমনি এমনি বলেছি,সবসময় তুমি রাগ দেখিয়ে আমার সাথে কথা বলো আর আজ কত সুন্দর ভাবে আমার সাথে কথা বল্লা।আর তাই মুখ ফসকে ওই কথাটি বেরিয়ে গেছে। (আমি)
--এতো কিছু বুঝি না আমি আজ ভুত্নী বলেছ আর সেইদিন বলেছ মোটকি। (আমি)
--এটাতো আমি এমনি এমনি বলেছি,আর আমি এতো আস্তে বলেছি তুমি শুনে ফেলেছ।আর তুমি মোটকি নাকি তুমি তো হলে সুইট একটি মেয়ে। (আমি)
--আমার কান কি সাধারণ কান মনে হয়,যাইহোক তোমাকে তো শাস্তি পেতেই হবে। (নীলিমা)
--কি শাস্তি দিবা আমাকে?
--মাথটা না অনেক ব্যথা করছে,আর তাই তোমার শাস্তি হলো আজ সারারাত মাথা টিপে দিবে। (নীলিমা)
--এটা তো আমি এমনেই করে দিতাম তোমার মাথাব্যথা বলে কথা, কিন্তু সারারাত, একটু বেশি শাস্তি হয়ে গেলো না।
.
--আচ্ছা,যে পর্যন্ত মাথাব্যথা না কমছে সেই পর্যন্ত টিপতে হবে।
--ভাবছিলাম আমার যত টুকু ভালোবাসা আছে,সব তোমাকে ছুয়ে দিবো । (আমি)
--হি হি হি ওটি হচ্ছে না বাবু। (নীলিমা)
--কি আর করার,মাথা টিপে দেয়ার মাধ্যমে আমি ভালবাসা খুজে নেবো (আমি)
.
.
.
--তাহলে ওইদিক কেনো যাচ্ছ। (নীলিমা)
--আরে তুমি বুঝবা না। (আমি)
--বুঝালে তো বুঝবো।
--লাইট অফ করতে যাচ্ছি।
--কেনো? (নীলিমা)
--আরে আমরা এখন ভালোবাসা বিনিময় করবো না। (আমি)
--আমার বয়েগেছে। 😊(নীলিমা)
.
.
আরে ভাই এখান থেকে যান তো যান এখানে দাড়িয়ে মজা নিচ্ছেন নেন নেন, কতক্ষণ আর নিবেন এখনি আমি লাইট টা নিবিয়ে দিচ্ছি, তারপর আর কিছুই দেখতে পারবেননা ।এখনো যাচ্ছেন না এই তো লাইট টা নিভিয়ে দিচ্ছি -লাইট অফ।
(সমাপ্ত
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ