āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4898

*****ভূতের সাথে বিয়ে*****
(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
শিক্ষামূলক গল্প
'
'
'
আজও শব্দ শুনে মাঝরাতে ঘুমটা ভেঙে গেল, বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসে গেলাম। জানালা দিকে চেয়ে দেখি সেই ছায়া সাথে সাথে শরীরে লোমগুলো আমার দাঁড়িয়ে গেল, সেই সাথে গলাটা প্রায় শুকিয়ে গেল তাই হাতে কাছে পানি রাখা গ্লাস থেকে ঢগ ঢগ করে পানি খেয়ে নিলাম। কিন্তু ছায়াটা বারবার মনে হচ্ছে আমার কাছে চলে আসবে আর আমাকে মেরে ফেলবে। প্রচন্ড ঘামতে শুরু করলাম এসির মাঝে রুমের ভিতরে। না আমাকে ভয় পেলে হবে না দেখতে ই হবে জানালা পাশে ছায়াটা আসলে কী? কিন্তু যে ই মাটিতে পা দিলাম সেই নুপুরের শব্দ শুরু হয়ে গেল, মনে হচ্ছে ছায়াটা আমাকে এসে ঘাড় মটকাবে। না ভূত বলতে কিছু নেই আমাকে দেখতে ই হবে,তাই এক পা দুই পা করে হাঁটতে লাগলাম, যে ই আমি দরজা খুললাম ছায়াটা অন্ধকারে মিশে গেল।  তারমানে এটা ভূত ছিল কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব, আমি তো ভূত আছে কখনো বই এ উল্লেখ পায় নি। না মাথাটা কাজ করছে না, আচ্ছা এমনও তো হতে পারে আমার আগে ঐ মেয়ের ছায়াটা এখানে থাকতো মানে আমার ফ্ল্যাটে আমার রুমে থাকতো পরে মরে ভূত হয়ে গেছে। হুম এটা ই হতে পারে কিন্তু মানুষ মারা গেলে ভূত হয় কীভাবে? না আমাকে ঘুমিয়ে যেতে হবে এইসব চিন্তা করলে আর ঘুমাতে পারবো না, তাই দরজা লাগিয়ে বিছানাতে গিয়ে শুয়ে পড়লাম দরুদ শরীফ পড়ে, না জানি কখন আবার ছায়াটা চলে আসে।

অ পরিচয়টা দিয়ে দেয় আমি রাহিম, ঢাকা শহরে একটা প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করি ভালো বেতন কিন্তু রুম ভাড়া নিতে যাব যত ঝামেলা, কেউ ব্যাচেলার কাছে ভাড়া দিতে চাই না। পরে অনেক খুঁজাখুঁজি করে উওরার ১ এ একটা ফ্ল্যাট পেলাম ২টা রুম নিয়ে তাও ডাবল ভাড়া দিয়ে আর কিছু শর্ত জড়িয়ে দিল বাড়ির ছাদে যাওয়া চলবে না, বাসার সামনে বাগানে ঘুরাঘুরি চলবে না, কারো রুমে প্রবেশ চলবে না, যদি প্রয়োজন পড়ে বাড়ির মালিকের ফোনে কল দিতাম তিনি নিজে আসবে। আমার আবার বই পড়া শখ বেশি তাই ঘুমানোর রুমটা বড় নিলাম আর তার চারপাশে বই দিয়ে ভরপুর করে দিলাম আর হ্যাঁ ছোট্ট রুমটা রান্নাঘর মানে সেখানে রান্না করি। অবশ্যই বাড়ির মালিক বলেছিল আমার মতো ব্যাচেলার একটা ছোট্ট রুম ই চলে, বড় রুম আর রান্নাঘর  দিয়ে কী করবো। তখন বলে দেয় নিজের ইচ্ছাগুলো, যে আমি বাহিরের খাবার খেতে পছন্দ করি না আর বই পড়ার শখ বেশি তাই নিজের থাকার রুমে অনেক বই রাখবো। আর হুম আমার রুমের বরাবর দরজা আর দরজার দুইপাশ কাঁচের গ্লাসের জানালা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের বানানো নাস্তা খেয়ে অফিসে চলে গেলাম। বসে বসে কাজ করছিলাম তখন পাশে বসে থাকা মাসুদ বলে উঠলো

>>কিরে দোস্ত রাহিম রাতে কী চুরি করতে যাস নাকি?

>>কেন রে? আর আমাকে দেখে কী তোর চোর চোর মনে হয়?

>>না মানে চোখের নিজে কালি পড়ছে তো তাই বলছিলাম আর কী। ব্যাপার কী দোস্ত রাতে নেশাটেশা করস না তো জেগে জেগে?

>>দুর এইসব করতে যাব কেন। আর বলিস না এতদিন যা বিশ্বাস করতাম না আজ তা আমার চোখের সামনে ঘুরছে।

>>কী হয়েছে দোস্ত খুলে বল তো?

>>তাহলে শুন প্রতিরাতের মাঝ সময়ে আমার ঘুম ভেঙে যায় নুপুরে শব্দ শুনে আর যখন সজাগ হয়ে জানালা দিকে তাকায়, তখন দেখি একটি মেয়ের ছায়া আর তার হাতে বড় বড় নখ। বুঝতে পারছিস তো আমি কী বলছি ভূতের কথা।

>>দুর বেটা এই যুগে ভূত আছে নাকি?

>>আরে আমিও আগে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু নিজের চোখে দেখে বিশ্বাস করতে বাধ্য আর গত ১৫দিন ধরে মানে যখন থেকে রুমগুলো ভাড়া নিয়েছি তখন থেকে মাঝ রাতে ভূত এসে আমাকে দেখা দেয়।

>>আচ্ছা দোস্ত তুই এত শিক্ষিত হয়ে ভূত বিশ্বাস করলি কীভাবে? দুনিয়াতে ভূত বলতে কিছু নেই আর একটা কথা তুই কী ভূতকে সরাসরি দেখেছিস মানে ছুঁয়ে কিংবা কথা বলেছিস?

>>আরে ভূত দেখে ই গলা শুকিয়ে যায় আবার কথা বলতাম তবে হ্যাঁ গতকাল রাতে ভূতটা দেখতে গিয়েছিলাম কিন্তু অন্ধকারে মিশে গেল।

>>তার মানে তুই দেখতে পাস নি ঠিক তো?

>>হ্যাঁ দোস্ত।

>>রাহিম তোকে আমি বলছি যেভাবে হক রাতে যে ছায়াকে দেখছস সেটাকে ধরতে হবে তোকে।

>>কিন্তু ভূতকে কীভাবে ধরবে বল তো দোস্ত?

>>বুকে সাহস আনবি আর সে ছায়া যখন দেখবি মনে করবি ভূত বলতে কিছু নেই আর নিজের ভিতর ভূতহীন মনোভাব আনবিই।

>>আচ্ছা দোস্ত তোর কথাগুলো আজ রাতে পালন করবো যদি মরাও যায় আপসোস নাই।

>>এমন করে বলিস না আচ্ছা আমিও আজ তোর সাথে তোর বাসাতে গিয়ে থাকবো, দেখবো ভূত দেখতে কেমন।

>>ঠিক আছে এখন নিজের কাজ কর না হলে বসের চিল্লাচিল্লি শুনতে হবে দুইজকে।

তারপর অফিস শেষে মাসুদকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম, রাতে রান্না করে খেয়ে কিছুক্ষণ বই পড়ে দুইজন ই ঘুমিয়ে গেলাম হঠাৎ বাতাসে  জানালাগুলোর শব্দ করতে লাগলো, আমি ঘুম ভেঙে জানালা দিকে দেখেও আবার ঘুমাতে যাবে যে ই চোখ বন্ধ করলাম মনে হলো কেউ দাঁড়িয়ে আছে তাই চোখ খুলে মাসুদকে ডাক দিলাম

>>কিরে মাসুদ উঠ উঠ দেখ ভূ ভূ ভূত। (আমি প্রায় তোতলা হয়ে)

>>তোর বাসাতে এসেছি বলে ঘুমাতে দিবি না নাকি।

>>আরে উঠ ঐ দেখ ভূত দাঁড়িয়ে আছে জানালা সামনে।

>>কই দেখি তো, ইয়া আল্লাহ এটা তো সত্যি ভূত, বড় বড় নখ দোস্ত আমাকে বাঁচা বিয়ে না করে মরতে চাই না (মাসুদ জানালা দিকে তাকিয়ে ভয়ে কাঁপা)

>>শালা নিজে ই আমাকে সাহস দিয়েছিস আবার নিজে ই বিলাই হয়ে গেলি।

>>আরে আমি কী জানতাম এটা সত্য সত্য ভূত হবে, দোস্ত তুই কিছু একটা কর, আমার অনেক স্বপ্ন বিয়ে করবো, বছরে বছরে একটা করে বাচ্চার বাবা হবো, দোস্ত আমি বিয়ে না করে মরতে চাই না।

>>আচ্ছা তুই থাক এইখানে কম্বলের নিচে লুকিয়ে আমি ভূতকে যেভাবে হক আজ দেখে ছাড়বো। 

যেইভেবে সেইকাজ আমি বিছানা থেকে উঠে দৌড় দিয়ে দরজা খুলে সাদা কাপড় দিয়ে ডাকা ছায়ার মানুষটাকে জড়িয়ে ধরলাম

>>দোস্ত তাড়াতাড়ি লাঠি তাঠি নিয়ে আয় ভূত ধরেছি, আজ ভূতকে মেরে ই ছাড়বো (আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)

>>এই কী হচ্ছে ছাড়ুন বলছি বলে দিলাম। (মেয়ে কণ্ঠে)

>>দোস্ত ধরেছিস তাহলে ভূত এই নে লাঠি (মাসুদ কাছে এসে মুখে হাসি)

>>দাঁড়া দাঁড়া কণ্ঠে শুনে মনে হল মেয়ে মানুষের কণ্ঠে কাপড় আগে সরিয়ে দেখি

আমি এই বলে কাপড় সরিয়ে দেখি এক মায়া পরী আমার সামনে, তার চোখে যেন মায়াতে ভরা, ঠোঁট যেন গোলাপী পাপঁড়ি। আমি তো হা করে তাকিয়ে রইলাম লাঠি হাতে করে

>>এই যে হা করে তাকিয়ে কী দেখছেন? আপনে যদি চান সারাজীবন চেয়ে দেখতে পারবেন (মেয়ে লাজ্জা মাখা মিষ্টি সুরে)

>>দোস্ত এটা তো মেয়ে রে রাহিম ভূত গেল কই?

>>কী বলেছিস জানে তুই (আমি বাস্তবে ফিরে)

>>আরে শালা এটা তো মেয়ে ভূত গেল কই?

>>দাঁড়ান দাঁড়ান আমি আপনাদের দুইজনকে সব বলছি। আসলে ভূত টুট কিছু নেই, আমি প্রতিরাতে আপনার বন্ধুকে দেখতে আসি। আর যেদিন প্রথম দেখতে এসেছিলাম সেইদিন আপনার বন্ধু আমার মনের আঁকা হয়ে গেছে কিন্তু প্রথম দিন আপনার বন্ধুকে নুপুরে শব্দে শুনিয়ে ঘুমটা ভেঙে দিলাম, তিনি তো আমার ছায়া দেখে প্রায় ভয়ে শেষ মনে হলো পরে ভাবলাম তাহলে ওনাকে একটু ভয় দেখানো যাক তাই প্রতিরাতে একটু না আরেকটু ভয় দেখতাম।

>>কিন্তু আপনে কে আর আমার বন্ধুকে এত ভয় দেখানোর কী প্রয়োজন ছিল? আপনে জানেন বেচারা কত ভয় পেয়েছে।

>>হুম জানি তো আর আমি এই বাড়ির মালিকের মেয়ে জান্নাত । এই রুমটা আমার পছন্দের কিন্তু আব্বু বলে দেয়, এই রুমটা আর রান্নার রুমটা ভাড়া দিয়ে দিবে আর আমাকে অন্য ফ্ল্যাটে অন্য রুমে গিয়ে থাকতে হবে, শুনে মাথা নষ্ট হয়ে গেল তাই যেদিন আপনার বন্ধু এসেছে রাতে এসেছিলাম ওনাকে ভয় দেখিয়ে বিদায় করার জন্য কিন্তু যখন আমি আপনার বন্ধুকে দেখি ঘুমানোর অবস্থায় মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমার স্বপ্নের রাজপুত্র কী সুন্দর নিষ্পাপ ভাবে ঘুমাচ্ছে । আর তখন থেকে (জান্নাত লজ্জা সুরে বলতে বলতে থেমে গেল)

>>আর তখন থেকে কী বলুন? আমার দোস্ত শুনতে চাই। তবে জান্নাত ভাবি একটা কথা বলি আপনার নখগুলো  দেখি তো?

>>তখন থেকে কী জানি না আর আমি ভাবি হলাম কী করে হুম? নখ দেখে কী হবে এই নেও দেখ।

>>হুম ভাবি নখ তো বড় ই আছে দেখতে পাচ্ছি আর ছায়া মাধ্যমে হয় তো আরো বড় দেখায় যার কারণে আমার দোস্ত মনে করেছে ভূত।

>>ঐ মাসুদ তুই থামবি (আমি জোরে সুরে)

>>আচ্ছা দোস্ত থেমে গেলাম তুই কথা বল এইবার (মাসুদ মুখে হাত রেখে)

>>আচ্ছা তুমি কী আমাকে ভালোবাস জান্নাত?

>>হ্যাঁ(মাথা নাড়িয়ে উওর)

>>আচ্ছা তুমি বাড়িতে যাও তোমার আব্বুর সাথে আমাদের বিষয় কথা বলবো।

তারপর জান্নাত মাথা নিচু করে চলে গেল আর মাসুদ শালা বলে উঠলো

>>দোস্ত তাহলে তোর বিয়েটা তাড়াতাড়ি খেতে পারবো দেখছি কিন্তু দোস্ত এতদিন ধরে এইখানে থাকিস মেয়েকে আগে দেখিস নি এমন মনে হচ্ছে, তোর চোখে আজ প্রথম নাকি দেখা?

>>আর বলিস না, ভাড়া নিবার আগে বাড়ির মালিক কতটা শর্ত দিয়ে দিল বাড়ির ছাদে যাওয়া যাবে না, বাড়ির সামনে বাগানে ঘুরাঘুরি করা যাবে না, এমনি কী কারো ফ্ল্যাটে প্রবেশ করা যাবে না তাই আগে দেখতি পায় নি তোর ভাবিকে বুঝেছিস


>>হ্যাঁ বুঝলাম রে দোস্ত।

তারপর জান্নাতে বাবার সাথে কথা বলে নিজের বিয়েটা ঠিক করে ফেললাম শুক্রবারে । আজ শুক্রবার আমার ভূতের সাথে বিয়ে থুক্কু জান্নাতে সাথে বিয়ে।

(সমাপ্ত)

পরিশেষে ভূত বলতে কিছু নেই, প্রাচীনকালে মানুষ গুহায় বসবাস করতো তখন নিজের ছায়াকে দেখে ভূত মনে করতো সেই থেকে ভূতের নামটা মানুষের মুখে লেগে থাকে তবে বাস্তবে বলতে ভূত বলতে কিছু নেই আর আমি লেখক হয় সত্যিকারে ভূত বানাবো কীভাবে যদি সেটা বাস্তবে ই না থাকে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ