.
গল্প:- অতঃপর তুই ফাঁকি দিলি
.
লেখা:- Shariar Mahmud Tanzim (unsocial)
.
ফেইসবুক থেকেই আমাদের প্রথম কথাবার্তা। তারপর ভালোলাগা; অতঃপর ধীরেধীরে ভালোবাসা থেকে অনেক কিছু। যাইহোক, এভাবেই চলছিল আমাদের প্রেম,ভালোবাসা ইত্যাদি ইত্যাদি। ও আমার ছবি ফেইসবুকে দেখেছে। কিন্তু আমি ওর ছবি কোনদিন দেখিনি আর ওর ফোন নাম্বারও চাইনি।
তখন আমি S.s.c পরিক্ষার্থী ছিলাম আর দেখতে দেখতে এক্সামও শেষ। আগেই জানতাম রেজাল্ট কি হবে। এককথায় লাস্ট ব্রেঞ্চের ছাত্র হলে যা হয়। ভাগ্যিস বালিকার বাড়ির কাছের একটা কলেজেই সীট পাইছি! আমার আনন্দ আর দেখে কে?
.
তো নতুন গন্তব্য নতুন কলেজের দিকে লোকাল বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলাম। অনেক দূরের পথ, তাই বিরক্তিও কম লাগছিলো না। তবে মনে আজ অনাবিল আনন্দ হচ্ছে। কারণ, আজযে পাগলিটার সাথে দেখা করার দিন।
তো কথামতো কলেজ শেষ করে সেই পার্কে গেলাম; ১৫ মিনিট লেট হয়েছে। না জানি কি না কি বলে। পার্কে গিয়ে ওকে খুঁজতে লাগলাম, ও আমাকে হলুদ পাঞ্জাবি ওয়ালার বেশে হিমু সাঁজতে বলেছিল আর আমি ওকে নীল শাড়ী পরে নীল অপন্সরী হয়ে আসার কথা বলেছিলাম। পার্কের গেট থেকেই একটা নীলশাড়ী পরা মেয়ে দেখতে পেলাম।
দেখতে দারুণ লাগছিলো একেবারে স্বর্গের অপন্সরীর মত। আমি ওর সামনে গেলাম, ওর নাম ও চেহারার মধ্যে দারুণ মিল। ধুর ওর নামটাইতো বলিনি, ওর নাম মিথিলা। আমি ওকে আদর করে মিথি বলে ডাকতাম।
এবার গল্পে আসি!
তারপর ও আমাকে বলল !
মিথি:~তুই সুমন?
আমি;~মাথাটা হ্যাঁ সূচক নারিয়ে বললাম হুম।
মিথি:-বসে পর, কেমন আছিস?
আমি:~ভালো,তুই?
মিথি;~ভালো নেই?
আমি;~কেন?
মিথি;~তুই ১৫ মিনিট লেট করলি কেন, কান ধর?{অভিমানি সুরে}
আমি;~সরি ম্যাডাম, ভুল হয়েছে! আর কোনদিন দেরী হবেনা।
মিথি;~আমি বল্লাম কান ধর;
আমি;~এখানে লোকজন দেখবে তো?
মিথি;~তাতে আমার কি কান ধর?
আমি;~ওই কুত্তী এবার মাফ কর প্লিজ আর দেরী হবেনা?
মিথি;~আচ্ছা ঠিক আছে আর যেন ভুল না হয়। আমি;~থ্যাংকু।
মিথি;~ওই তুই এত আনরোমান্টিক কেনরে? আমি;~কেন?
মিথি;~আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারিস না?
আমি;~তোর চোখের দিকে তাকালে আমার গলা শুকিয়ে যায়।
মিথি;~ওই কুত্তা, তা বাসা থেকে পানি আনতে পারিসনি? পানি গিলতি আর আমার সাথে কথা বলতি।
আমি;~আচ্ছা ঠিক আছে। এখন থেকে পানি নিয়ে আসব নয়তো তোর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলব।
মিথি;~এইতো লক্ষী ছেলে।
আমি;~হইছে আর গ্যাস দিতে হবেনা।
.
এভাবে আরো অনেকক্ষণ দুষ্টমি করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
!
এভাবে আমরা রোজ দেখা করতাম। আমার বাড়ি দূরে হওয়ার কারনে একটা মেস ও খুঁজছিলাম। কিন্তু কোথায় মেস ,কোথায় কি? একটা পেলাম তা ৫ হাজার টাকা মাস নিবে ; তাই ওখানে থাকিনি। ব্যাপারটা মিথি জানার পর ওদের বাসায় থাকতে বলল।
আমি~তোর বাবা ব্যাচেলারদের বাসা ভাড়া দিবে তো?
মিথি;~হুম।
আমি:-কত টাকা মাস ভাড়া নিবে?
মিথি~ভাড়া লাগবেনা।
আমি;~তাহলে তোর বাবা থাকতে দিবে?
মিথি;~এত বেশি বুঝিস কেন?
আমি;~না, এমনি বললাম আর কি।
মিথি:~হবু জামাই হয়ে থাকবি।
আমি:~আমাকে এতো ভালোবাসিস?
মিথি:~হুম, একটা রিকুয়েস্ট রাখবি?
আমি;~কেন নয়?
মিথি:~আমাকে রোজ সময় দিবি তো?
আমি;~খুব দিবো।
মিথি:~সত্যি?
আমি;-হুম.
মিথি;~আর কিছু দিবি না?{চোখের দিকে তাকিয়ে}
.
তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু এঁকে দিলাম; ও লজ্জা পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল। ধরার চেষ্টা ও করলাম কিন্তু পারলাম না।
!
প্রতিদিনের মত আজও বিকালে ওদের ছাদে তিনজন (আমি,মিথি আর নিধা) সময় কাটাচ্ছি। নিধা মিথির ছোট বোন, ক্লাস ফাইভে লেখাপড়া করে। আমার সাথে ওর খুব ভাব। প্রতিদিন বিকালটা একটু গড়িয়ে আসলে নিধা পড়ার জন্য চলে যেত। তখন আমি পাগলিটাকে জড়িয়ে আকাশ দেখতাম, দেখতাম কর্মমুখী মানুষদের ঘড়ে ফেরার ভিড়; আরো দেখতাম সূর্যাস্তের অপরুপ দৃশ্য, পাখির কলতান।
!
কিন্তু ওর ব্যবহারটা দিনদিন কেমন যেন পাল্টাতে থাকে; একদিন বিকালের কথা;~
!
ও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে কাঁদছে আর বলছে আমাকে খুব বেশি ভালবাসিস তাই না?
আমি;~হুম।
মিথি;~আমাকে হারিয়ে যেতে দিবি না তো?
আমি;~একদম না।
মিথি;~তুই পারবি নারে।
আমি;~কেন পারব না? তোর জন্য সব করতে পারব।
মিথি;~নারে তুই পারবিনা, আমাকে ভুলে যা (অবিরাম ধারার কেঁদে চলছে আর আবল তাবল বলছে)তারপর বলল আজ ডাক্তার এর কাছে গিয়েছিলাম; এটা বলেই চলে গেল।
আমিও দ্রুত ওর বাবার কাছে গেলাম ঘটনাটা জানার জন্য। কিন্তু ওর বাবা যা বলল তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। ও নাকি বেশি দিন আমাতে থাকতে পারবে না, ওর ব্রেইন ক্যান্সার। ডাক্তার তাই বলেছে, এটা শোনার সাথে সাথে আমার মাথাটা ঘুরে উঠল। পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যেত লাগল। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম, অশ্রুপাত হতে লাগল চক্ষু যুগল থেকে। কোনমতে নিজেকে সামনে নিয়ে, কপালের উপর দোষ ছেড়ে দিলাম।
কিন্তু এতে আমার ভালোবাসা বিন্দু মাএও কমেনি বরং বেড়ে গেছে। ওকে পাগলের মতো ভালবাসতে লাগলাম। তখন ও কেমন যেন বাচ্চাদের মত আচরণ করতো; রোজ কলেজ থেকে আসার সময় চকলেট,আইসক্রিম আনার জন্য বায়না ধরতো আমিও নিয়ে আসতাম ও খুব খুশী হতো। আমি তাকিয়ে দেখতাম আর হাসতাম। আমি বলতাম আমাকে দিবি না? ও বলতো তোকে পরে দিব। তারপর চকলেট মাখা ঠোট নিয়ে আমার মুখে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিত। একদিন রাতে ওর অসুখ বেশি হলো।
যথারীতি যথাসময়ে আ্যম্বুলেন্স ও আসল। কিন্তু ওপারের ডাকে সারা দিতে গিয়ে ছেড়ে যতে হয়ে গেছিলো আমাকে। স্বার্থপর ছিলি তুই! ঠকিয়ে গেলি আমাকে।
তবে এখনও আমি তোদের বাড়িতে যাই। কেন যাই জানিস? তোর বোনের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি তোকে খুঁজে পাই, খুঁজে পাই সেই হারানো ভালবাসাকে। একদিন তোর বোন আমাকে তার স্কুলে নিয়ে গিয়ে বলেছিল? এটা আমার ভাইয়া হয়; আর তোর বোনের ফ্রেন্ডরা বলেছিল এই পাগলা তোর ভাইয়া। তারপর ও খুব কষ্ট পেয়েছিল তাই আর ওর সাথে স্কুলে যাইনি। তবে লুকিয়ে লুকিয়ে গিয়েছি তোর বোনের স্কুলে, কারণ আমি যে তোর বোনের দিকে তাকিয়ে তোকে দেখতে পাই, তোর বোনেতেই আমার মাঝে পায়চারী করতি তুই।
জানিস, একদিন স্কুল ছুটি হলে বাচ্চা ছেলে,মেয়েরা আমার গায়ে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছুটেছিল। এতে আমার মাথা ফেটে যায়; তাই ভয়ে আর তোর বোনের স্কুলে যাইনা।
তোর কি মনে আছে সেই পার্কের কথা, যেখানে আমারা রোজ দেখা করতাম? সেই সীটে বুঝলি এখন অন্য প্রেমিক-প্রেমিকা বসে। তবে পার্থক্য এতটাই তারা দামি দামি খাবার খায় আর আমরা ২টাকার কালাই,বাদাম খেতাম। সে জন্যই বুঝি তুই আমাকে ফাঁকি দিছিস তাইনা? তবে একটা সুখবর আছেরে; আমার একটা কিডনিতো তোকে আগেই দিয়েছিলাম আর একটা ভালো কিডনি ছিলো সেটাও একজনকে দান করেছি। আরো খুশির খবর আছে জানিস? আমার মাথা ফেটে যাওয়ার পর,সেলাই না করার জন্য মগজ পঁচে যাচ্ছে আর আমার ফুসফুসটাও এখন পোকার দখলে। আমি খুব শ্রীঘই তোর কাছে যাবো; এবার ফাঁকি দিবিনা তো? [সমাপ্ত]
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4857
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ŧ:ā§Ēā§Ē AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ