4840

লে ছক্কা
,,,
বিকেলের আবছায় আলোয় পাড়ার মাঠে ছক্কা হাকিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি,সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে বাসার প্রায় কাছে এসে গেছি।বলে রাখা ভাল আমার বাসায় যেতে একটা ঘুটঘুটে অন্ধকার গলি পড়ে মানে সেটা সন্ধ্যার সময় গলিটাতে সন্ধ্যার সময় এত অন্ধকার হয় যে বোঝার মতো অবস্থা একদম নেই।গলির মাথাটাতে হুড়মুর করে ঠুকতেই একজনের সাথে ধাক্কা খেলাম,ওহ মা বলে চিৎকার মুখ চেপে ধরলাম আচমকা নইলে কেলেংকারি হয়ে যাবে।
_চিল্লাচ্ছেন কেনো(আমি)
_ব্যথাটাতো আমি পাইছি(অচেনা)
ধাক্কা ছেলেদের সাথে খায়নি মেয়েদের সাথে খেয়েছি তাই এতো চিল্লানি,মেয়েরা খায় কম চিল্লাই বেশি?
_কাকে বললেন(মেয়েটা)
_কাউকে না আপাদত আপনাকে(আমি)
_ইডিয়ট,ফালতু অর লুচু(মেয়েটা)
_এই যে হ্যালো আমি ইচ্ছা করে ধাক্কা মারিনি,যে লুচু বলবেন(আমি)
_চুপ চোরের মায়ের বড় গলা(মেয়েটা)
হুস মেয়েটা চলে গেলো কি আজিব চিস মাইরি প্রশ্নটা ছুড়ে চলে আসলাম?
,
রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম তারাতারি হঠ্যৎ ধাক্কা খাওয়ার দৃশ্যটা অকপটে চোখের সামনে ভেসে উঠলো,মেয়েটার চাহনি মেয়েটার কথা সবকিছুতেই নিজেকে ফিদা করার কলাকৌশল রপ্ত করে নিয়েছে আমার হৃদয়টা।কখন ঘুমিয়ে পড়ছি এসব অ ক ভাবতেই,বিকেলের দিকে আবার খেলার মাঠে গেলাম খেলতে মাঠের পাশের রাস্তাটাতে আচমকা মেয়েটাকে হাটতে দেখলাম।বিকেলের উঞ্চ আহব্বানে নিজেকে সাড়া দিতে রৌদ্রময় ঝলমলে নিজের সৌন্দর্যকে উন্মাদ রেখে দিয়েছে ইচ্ছে করছে দৌড়ে বলি ডু ইউ লাভ মি অর ম্যারি মি।তখন আমি ব্যাট করছিলাম হঠ্যৎ বোলিংকে বললাম[ভাই প্লিজ লেগ স্টাম্পে বলটা দিস]হ্লা বোলিং নামে কুখ্যাত যা চিস মাইরি,বলতে বলতে লেগ স্ট্যাম্পে বল সোজা ডাউন দ্যা ইউকেট লে ছক্কা গিয়ে বলটা সোজা মেয়েরে শরীরে পড়লো।
বান্দর,কুত্তা,বিলাই,রাম ছাগল,গিরগিটি,চামচিক্কা গালি দিতে দিতে ফুড়ুৎ।
_এই যে আপু সরি মিসটেক দৌড়ে কাছে গিয়ে(আমি)
_বলতে হবে না ইচ্ছে করে করছেন(মেয়েটা)
_আমি শচীনের মতো খেলোয়ার না।
_তো কে হুম।
_হুট করে লাগছে সরি তো বাবা।
_ইটস ওকে।
_নাম কি আপনার।
_সঞ্চিতা,আপনার।
_দীপ।
কথাটা বলে মেয়েটা চলে গেল?
,
সন্ধ্যার দিকে আবার গলির মধ্যে দিয়ে যাবে আচমকা আবার মেয়েটা সামনে আমি একবার এদিক যাচ্ছি আবার ওদিক,কাটু টু কাট দ্যাটস মিন কাটাকাটি।আপনি জান আগে(সঞ্চিতা)
আমাকে জান বললেন কেন?
_জান না,যান বলছি।
_ওহ সেটা তো ঠিক।
হঠ্যৎ কই থেকে ঝুম বৃষ্টি নেমে এলো,দুজনে ভিজে একাকার।
_চলেন আমাদের বাসায়(দীপ)
_হুম(সঞ্চিতা)
বাসায় ঠুকে আম্মুকে সব বললাম মাথা মুছে ছোট বোনের ড্রেস পড়লো।
_আমি বাসায় যাবো।
_বৃষ্টিটা কমুক তারপর যাবেন।
_দেরি হয়ে যাবে আম্মু দুঃশ্চিন্তা করবে।
কি করা একটা ছাতা নিয়ে ওকে নিয়ে বের হলাম।
একটু যেতেই ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো মেঘের বাজ পড়ছে,বাতাসে ছাতাটা হাত থেকে উড়ে গেল।
বিকট বাজের তান্ডবে সঞ্চিতা বিচলিত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো,ঝুম ঝুম এই বৃষ্টিতে হাওয়ার ওহ উদ্বিগে নিজেকে বড়ই ভাল লাগছে এই প্রথম কোনও মেয়ের স্পর্শে নিজের মনটা শিহরিত হলো?
,
একটু পরেই সঞ্চিতা ভয়ের সঞ্চয় অর্জন করে আমাকে ছেড়ে দিলো,একটু পরেই ওর বাসায় পৌছে গেলাম বাসায় অনেক লোকজন দেখলাম সঞ্চিতার মা'কে সব খুলে বললাম।অতঃপর চলে আসলাম রাস্তায় হাটছি আর আনমনে ভাবছি যদি সঞ্চিতা থাকতো,এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো বলোতো।মেয়েটা এভাবে জমকালো বরফের ন্যায় ঠুকে শিহরনে বিকর্ষিত করে ঘর্ষিত মেঘের ন্যায় বর্ষিত হয়ে আমাকে চূর্ণ করে দিয়ে গেল?অবশেষে আমি আমার বাসায় পৌছে গেলাম আবার বিকেলে মাঠে খেলতে গেলাম গতকালের ন্যায় আজো ব্যাট লেগ স্ট্যাম্পে বল সোজা ছক্কা গিয়ে পড়লো একটা গাড়ির কাচে লে ছক্কা,কাচ ভেঙ্গে গেছে দৌড়ে সরি বলবো ভাবছি ভাঙ্গা কাচের মধ্যে তাকিয়ে দেখি সঞ্চিতা কনের সাজে সাথে বর কি বলবো ভাষা হারিয়ে ফেলছি।ওর বরটা[ভাই সেইরকম খেলেন আপনি,লে ছক্কা গুড শর্ট বাট ডোন্ট ওয়ারি।
বলেই গাড়িটা চলে গেল,কাচের টুকরার ন্যায় মনটা ভেঙ্গে গেছে।বাসায় আনমনে শুয়ে আছি সপ্নে সঞ্চিতাকে দেখতে পাই,চিৎকার করে বলছে দীপ জোরে লে ছক্কা।
অতঃপর আমি আর খেলি না ক্রিকেট হয়ত ছক্কার টার্গেট টা মিসিং পয়েন্টে আছে?
...
✍Fardin Ahmed Raju ( পড়া চোর)