______না বলা ভালোবাসা______
_____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া_____
পাঁচ
পর্ব
ঘুম থেকে উঠে আম্মু পিঠা তৈরি করেছে| বেলকুনিতে বসে রোদ পোহাচ্ছি, আমি ম্যাগাজিন পড়ছি আর ফারিয়া গান শুনছে, আম্মু এসে পিঠার প্লেট রেখে গেলো|
শিতের সকালের মিষ্টি রোদে বসে গরম গরম মিষ্টি পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা|
_ফারিয়া... তুই কি গান শুনছিস? লাউড দে আমিও শুনি (আমি)
_wait, তোর জন্য স্পেশাল গান দিচ্ছি..! (ফারিয়া)
এই বলে ফারিয়া গানের লাউড দিলো,
বড় ইচ্ছে করছে ডাকতে,
তার গন্ধে মেখে থাকতে,
কেন সন্ধে সন্ধে নামলে সে পালায়....
তাকে আটকে রাখার চেষ্টা,
আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে তেষ্টা,
আমি দাড়িয়ে দেখছি শেষটা জানালায়...
বোঝেনা সে বোঝেনা, বোঝেনা সে বোঝেনা
🎶🎶🎼🎻🎹🎸🎵🎵🎶🎶🎹🎻🎻
গান শুনছি আর পিঠা খাচ্ছি, এর মধ্যে ফোনটা বেজে উঠলো, একি অয়নের ফোন দেখছি|
_কার ফোন?? (ফারিয়া)
_অয়নের(আমি)
_তাই, বসে আছিস কেন? রিসিভ কর! (ফারিয়া)
ফোনটা রিসিভ করলাম,
_তোয়া...... I am the very happy, তুই তারাতারি কলেজে আই,তোকে না বলা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিনা (অয়ন)
একদমে কথা গুলো শেষ করলো অয়ন, এর মানে অয়নও আমাকে,তাহলে গাধাটা এতদিন বলেনি কেন! যাই হোক অয়নের কথা শুনে ইচ্ছে করছে এক্ষুনি উড়ে চলে যাই, but সেটাতো possible নয়|
_কি রে কথা বলছিস না? (অয়ন)
অয়নের কথাই আমার ভাবনায় ছেদ পরলো|
_না মানে,আচ্ছা আমি আসছি(আমি)
_আচ্ছা (অয়ন)
ফোনটা টাবিলে রেখে, ফারিয়াকে নিয়ে ঘুরতে নাগলাম,আসতে ঘোরা আমি তো পড়ে জাবো, আমি ওর কনো কথা শুনলাম না| তারাতারি ফ্রেস হয়ে কলেজে গিয়ে দেখি অয়ন আগেই এসেছে, আবিরের কথা বলছে, আবির আমাদের ক্লাস ফ্রেন্ড| অয়ন আমাকে দেখতে পেয়ে চলে আসলো, কিছু না বলেই আমার হাত ধরে গাড়ির কাছে গেলো|
_গাড়িতে ওঠ (অয়ন)
_কেনো! কোথায় যাবি? (আমি)
_গেলেই দেখতে পাবি! (অয়ন)
আর কিছু বললাম না,গাড়ি চলতে লাগলো,আজ অয়নকে অনেক happy দেখাচ্ছে, আমি চাই ও সব সময় এমনই খুশিতে থাকুক| গাড়ি এসে থামলো নদীর পাড়ে, এখানে আমারা প্রায়ই আসি,অনেক সুন্দর জায়গাটা, বিস্তৃর্ন খোলা মাঠ, বিশাল আকাশ শান্ত প্রকৃতি বিরাজ করছে এখানে|
আমারা নদীর পাড়ে বসলাম|
তারপর অয়নের মুখে যা শুনলাম,তার জন্য আমি মটেও প্রস্তুত ছিলাম না| কথাটা ছিলো এই রকম!
_যানিস তোয়া, কলেজে প্রথম যেদিন জেরিনকে দেখেছিলাম , দেখেই ক্রাশ খাইছি, আমি জেরিনকে অনেক পছন্দ করি, but বলতে পারিনি| আর জেরিন যে আমাকে এই ভাবে চমকে দেবে ভাবতেই পারিনি, এই দেখ তোয়া কাল রেস্টুরেন্টে জেরিন আমার ব্যাগে মধ্যে চিঠি রেখে গিয়েছে| তুই তো আমার সব থেকে ভালো বব্ধু, সব সমস্যার সমাধান করেছিস, আজ তাই তোর help চাই, কি করবো বল, কি রে কি ছু তো বল?? (অয়ন)
সবটা শুনে আমার মুখ দিয়ে কনো কথা বের হচ্ছেনা, অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম
_হুম তোকে জেরিনের মনের মতো হতে হবে, জেরিন যা যা পছন্দ করে তুই সে গুলোই করবি তাহলে ও খুশি হবে! আচ্ছা জেরিনের পছন্দে লিস্ট তোকে বলে দিবো
এখন চল,,, এই বলে সোজা বাসায় চলে আসলাম..,
...চলবে...
_____না বলা ভালোবাসা____
_____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া_____
ছয় পর্ব
বাসায় ফিরে সোজা রুমে চলে গেলাম,কিছক্ষণ পর ফারিয়া রুমে আসলো|
_কিরে, খবর কি? (ফারিয়া)
_ফারিয়া এখন তুই যা!(আমি)
_কি, হয়েছে? (ফারিয়া)
_কিছু না!(আমি)
_দেখি তুই আমার দিকে তাকা! (ফারিয়া)
ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে আমি নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না...
_কাদছিস কেনো?(ফারিয়া)
ফারিয়াকে সবটা বললাম, শুনে ফারিয়া বললো;
_তুই কিছু বললি না? চিঠিটা তুই দিয়েছিস (ফারিয়া)
_বলতে পারিনি, কারন অয়ন জেরিনকে পছন্দ করে|
_আমি অয়নকে অয়নকে সবটা বলবো.. (ফারিয়া)
_না তুই কিছু বললবি না, ফারিয়া তুই বোঝার চেষ্টা কর, অয়ন আমাকে ওর সব থেকে ভালো বন্ধু ভাবে আর কিছু না, বাকিটা জীবন আমি ওর বন্ধু হয়েই থাকতে চাই|(আমি)
এমন সময় অয়নর ফোন আসলো, ফারিয়া ফোন রিসিভ করতে বারন করলো, ফোনটা কেটে গেলো| আবার ফোন দিয়েছে আবারও ফারিয়ার বারন.. আমি বললাম ওরতো কনো দোষ নেই, কনো দরকারে ফোন করছে হয়তো বা! তোর যা ইচ্ছে হয় তুই তাই কর, এই বলে অভিমান করে রুম থেকে চলে গেলো| তারপর ফোনট রিসিভ করলাম|
_এতো সময় লাগে ফোন ধরতে, কোথায় ছিলি,কতক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছি! (অয়ন)
_না মানে আমি, কেন ফোন দিয়েছিস বল? (আমি)
_কেন মানে, তুই বললি না জেরিনের কি কি পছন্দ তার আইডিয়া দিবি!(অয়ন)
অয়নের সাথে কথা বলতে পারছিনা, গলাটা ভারি হয়ে আসছে, কথা গুলো আটকে যাচ্ছে|
জেরিন আধুনিকতা পছন্দ করে, কিছু টিপস দিলাম অয়নকে| আচ্ছা এখন রাখিরে, বলে ফোন টা রেখে দিলাম|পরের দিন তোয়া কলেজে গিয়ে দেখলো, অয়ন আর জেরিন ক্যামপাসে বসে কথা বলছে| তাই তোয়া আর ওখানে গেলো না| অয়ন এখন সব সময় জেরিনকে নিয়ে বিজি থাকে|
এভাবেই তোয়া থেকে অয়ন দুরে চলে যেতে থাকে, দুজনের মধ্যে যোগাযোগও তেমন হয় না,যদিও বা কলেজে দু একবার দেখা হয় but কথা হয়না, কারন জেরিন সাথে থাকে|
একদিন ক্যমপাসে বসে তোয়া অয়নের কথা ভাবছিলো, আবিরের ডাকে তোয়া বাস্তবে ফিরলো|
_তোমাকে সেই কখন থেকে ডাকছি, কি ভাবছো এতো? (আবির)
_না মানে, কিছু বলব? (আমি)
_হ্যাঁ, আমাদের কলেজে দুজনকে স্কলাশিপ দিবে, পাঁচ বছরের জন্য জাপানে পড়ারসহ সব রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে| এর জন্য কলেজে exm এর ফর্ম ছেড়েছে! ফর্ম উঠানোর মতো কেউ নেই| আর অয়নোতো মনে হয় ফর্ম নেবে না| এখন বাঁকি রইলাম আমি আর তুমি, চলো আমরা দুজনেই ফর্ম উঠাই তাহলে দুজনই সিলেক্ট হয়ে যাবো| (আবির)
_হুম, ভেবে দেখি.. (আমি)
_কেন! আসলে আমি বলেছিযে তাই তোমায় আজ ভাবা লাগছে, যদি অয়ন এসে বলতো তাহলে ঠিকিই রাজি হতে! (আবির)
_হুম হতাম, কারন অয়ন আমার বেস্ট ফেন্ড| (আমি)
_হ্যাঁ তাই তো, অয়নই তো তোমার একমাত্র ফেন্ড, অন্যরা তো ফেন্ডই না 😔(আবির)
এই বলে আবির চলে যাচ্ছিলো
_আবির... দাড়াও আমি ও যাবো (আমি)
আমারা প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে যাচ্ছিলাম, পিছন থেকে অয়ন ডাকলো,
_কিরে তোরা দুজন কই যাস? (অয়ন)
_অয়ন কলেজে একটা স্কলাশীপ এসেছে, সেটার জন্যই যাচ্ছি....(আমি)
_ও আমিও শুনেছি (অয়ন)
অয়নের কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে, আগে হলে হয়তো এই খবরটা ওই আগে বলতো আমাকে, এরই মধ্যে অয়নের ফোন বেজে উঠলো, বুঝতে পারলাম জেরিন ফোন করেছে|
_আচ্ছা অয়ন, আমারা এখন আসছি| (আমি)
এই বলে আমরা ওখান থেকে চলে গেলাম
...চলবে...
_____না বলা ভালোবাসা____
____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া_____
অন্তিম পর্ব
একদিন অয়ন ফোন করে বলল বিকেলে দেখা করতে|কারন জিঙ্গেস করলাম ,কিছু খোলসা করে বললনা| তারপর বিকেলে অয়নের সাথে দেখা করলাম| আজ ওকে দেখে খুব upsad মনে হচ্ছে|তারপর অয়নকে জিঙ্গেস করলাম কি হয়েছে? অয়ন তখন সবটা বললো;
_তোয়া... জেরিন আমাকে ভালোবাসে না| (অয়ন)
_ মানে..! (আমি)
_কাল যখন আমি জেরিনকে প্রপোজ করেছিলাম, তখন ও কি বললো জানিস? (অয়ন)
_কি বললো জেরিন? (আমি)
_ও বললো; তোমার সাথে দুদিন মিশেছি, দুটো ভালো কথা বলেছি বলে তাই তুমি প্রপোজ করছো? but আমি তোমাকে কখনই ভালোবাসিনি আর কখনো বাসবোও না| আরে আমি তো তোমার সাথে just ফ্রেন্ডলি মিশেছি! এসব বলেই জেরিন আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে|
কিন্তু আমি ওকে সত্যি খুব ভালোবাসিরে!
সবটা শুনার পর আমার অয়নের জন্য খুব খারাপ লাগছে😥😥
অয়নকে বললাম মন খারাপ করিসনা|
_কলেজে ফর্ম উঠায়ছিস?(আমি)
_হ্যাঁ,but exam এ কিছুই পারবো না! (অয়ন)
_tention করিসনা, এখন বাসায় চল| (আমি)
তারপর রাতে অয়নের কথা ভেবে ঠিক করলাম, আগামী কাল exm দিতে যাবো না| তাহলে আর exm ও হবেনা, অয়ন আর আবিরকে কলেজ থেকে সিলেক্ট করবে| এতে হয়তো অয়নের মনে জেরিনের কষ্টা কিছুটা কমাবে, দুরে গিয়ে নিজের জীবনটাও গুছিয়ে নিতে পারবে| আর আমি সারা জীবন ওর বন্ধু হয়েই ওর পাশে থাকতে চাই| তাই পরের দিন আর exm দিতে যাইনি| ফোনটাও off রেখেছিলাম, কারণ আমি জানতাম অয়ন ঠিক আমাকে ফোন করবে| তারপর বিকেলে অয়ন আমাদের বাসায় আসলো|
_তোয়া exm দিতে গেলিনা কেনো! আর ফোনটাও off কেনো??? (অয়ন)
_আসলে সকাল থেকে ফোনটা off হয়ে যাচ্ছে, মনে হয় নষ্ট হয়ে গেছে| (আমি)
_আর exm???(অয়ন)
_দেখ অয়ন, আমি ছাড়াতো আমার আম্মু আব্বুকে দেখার আর কেউ নেই,so আমি তাদেরকে একা রেখে বিদেশে যেতে পারবোনা| (আমি)
_কিন্তু!!!! (অয়ন)
_আর কোনো কিন্তুু নই, তোরা কবে যাচ্ছিস তাই বল? (আমি)
_এই তো ১০-১৫ দিনের মধ্যে সব ok হয়ে গেলেই, ফ্লাইট ✈✈ (অয়ন)
_ও good (আমি)
দেখতে দেখতে অয়নের যাওয়ার দিন চলে এলো| সকাল বেলা অয়নের ফোন এলো|
_হ্যালো (আমি)
_৯ টার মধ্যে রেডি থাকিস,আমি আসছি এক দুজনে এক সাথে এয়ারপটে যাবো! (অয়ন)
_আচ্ছা আমি রেডি হচ্ছি| (আমি)
ফোনটা রেখে আমি রেডি হয়ে নিলাম| কিছুক্ষন পর বাইরে গাডির হর্ন শুনতে পেলাম| তাই আমি তারাতারি নিচে গেলাম, দেখি অয়ন গাড়িতে বসে আছে| আজ অয়নকে বিদায় দিতে হবে ভাবতেই বুকের বাম পাশটা কেমন করে উঠলো!
_কি রে ,, দাড়িয়েই থাকবি না কি গাড়িতে উঠবি?(অয়ন)
অয়নের কথাই গাড়িতে গিয়ে উঠলাম, তারপর গাড়ি চলতে লাগলো|
হঠাৎ আমি অয়নকে জিঙ্গেস করলাম
_অয়ন তুই,ওখানে গিয়ে নতুন বন্ধু পেয়ে আমায় ভুলে যাবিনা তো!!?? (আমি)
_তুই তো আমার best ফ্রেন্ড, তোকে যদি ভুলে যাই, তবে তো আমি আমার life এর সব best গুলোই হারিয়ে ফেলবো!! (অয়ন)
_জানিস অয়ন, আমার কাছে প্রিয় কি? (আমি)
_কি??? (অয়ন)
_আমার প্রিয় বন্ধুর নাম! (আমি)
_কে সে?? (অয়ন)
_ অয়ন (আমি)
_তাই!!!!!!! (অয়ন)
_হুম.... আচ্ছা অয়ন, তুই দেশে ফেরার সময় আমার জন্য কি আনবি???? (আমি)
_তোমার জন্য কি আনবো সোনা!!!! তোমার জন্য একটা......... চকলেট আনবো!!!!! হি হি হি😀😀😀
আজ অয়নকে বিদায় দিতে মনটা এমনিতেই খারাপ আছে| কিন্তুু অয়নের কথা শুনে না হেসে পারলাম না☺☺
এমন সময় মাথায় প্রচন্ড একটা আঘাত পেলাম, কিছু বোঝে উঠার আগেই চোখের সামনে আঁধার নেমে এলো| যখন চোখ খুললাম তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম হাসপাতালের বেডে|রুমের মধ্যে সবাই আছে শুধু অয়ন নেই|আম্মুকে জিঙ্গেস করলাম আম্মু অয়ন কোথায়?
_অয়ন বাইরে আছে|(আম্মু)
_ও জাপানে যাইনি|(আমি)
আম্মু কিছুই বলছে না শুধু কাঁদছে|এমন সময় ডাক্তার এসে ইনজেকশন পুস করলো আর আমি ঘুমিয়ে পরলাম|
১০ বছর পর
_ অয়ন, অয়ন..... কোথায় তুমি?(আমি)
_আসছি আম্মু|(অয়ন)
_এখানে এসো তারাতারি তোমায় রেডি করে দিই|আমরা আজ নানুর বাসায় যাবো|(আমি)
_হিপহিপ হুররে.....জন্য মজা আজ নানুর বাসায় যাব!!(অয়ন)
_তোয়া ...আমার শার্টটা কোথায়|
_আসছি....উফ...আর পারিনা,এই নাও তোমার শার্ট|(আমি)
এই হলো আদনান অয়নের বাবা|আর অয়ন হলো আমার ৫ বছরের ছেলে|এদের নিয়েই আমার জীবন সংগ্রাম|
আজ ১০ বছর হলো সেদিন ওই দূর্ঘটনায় অয়ন আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে| কিন্তুু রেখেগেছে শুধু ওর স্মৃতি গুলো| যখন আমি আমার ছেলে অয়নের নাম ধরে ডাকি, তখন আমার প্রিয় বন্ধুর স্মৃতি গুলো একবার আমাকে ছুঁয়ে যাই|
কখনো স্মৃতি ভরা ডায়েরির পাতাটা উলটালে মনের অজান্তে, চোখের কোনে এক ফোটা জলের ঝিলিক দেখা দেয়| তারপর পরিবারের সকলের কত্যবের স্রোতে সেই এক ফোটা জল আবার অকুল সমুদ্রের ভেসে যায়|🚣🚣🚣🚣
______সমাপ্ত______
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ