অপ্রত্যাশিত পাওয়া
লেখা:নীল পরী
শ্রাবন রুমে ডুকেই,দেখতে পেল মেয়েটা জড়সড় হয়ে খাটের এক কোণায়,হাটুর ভাজে মুখ লুকিয়ে বসে আছে,শ্রাবন আস্তে আস্তে গিয়ে খাটে বসে,মেয়েটার গায়ে হাত দিতেই মেয়েটা ভয়ে চমকে উঠে!
কিছুক্ষনের জন্য শ্রাবন স্তব্ধ হয়ে যায়!!এত্ত মায়াবী একটা চেহেরার মেয়ে!সে এমন জায়গায় আসলো কিভাবে....?চোখের দিকে তাকিয়েই যেন সব ভুলে গেছে শ্রাবন!
কান্নার শব্দে সম্বিৎ ফিরে পেল!
এই এই!তুমি কাঁদছ কেন?ভয় পেয়োনা,দেখো আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না তুমি শুধু বল তুমি এখানে কেন,,,,
আবারও কাঁদতে থাকে মেয়েটা-----
শ্রাবন বলতে লাগল---দেখো -কষ্টের কথা শেয়ার করলে কিছুটা ককমে যায় আমাকে বিশ্বাস করতে পারো,বলো...?
আমি কলেজ থেকে বাসায় ফিরার পথে কোন গাড়ি না থাকায় সিএনজি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই!কিছুক্ষন বুঝতে পারি আমার গন্তব্যে যাচ্ছেনা গাড়িটা,,,,খুব ভয় পেয়ে গেলাম আর এমন একটা জায়গা দিয়ে গাড়ি টা যাচ্ছিল আশেপাশে কোন মানুষ এর চিহ্নই ছিল না,,,,আমি লাফ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি,,,,, জ্ঞান ফিরে আসার পর দেখি,,,,এক মহিলা সামনে আশেপাশে অনেক মেয়েও ছিল কিন্তু তাদের পোশাকাদি ছিল অশালীন !!! চিৎকার দিয়ে আবারও অজ্ঞান হয়ে যায়!
একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর জানতে পারি আমাকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছে!!!আজকে প্রথম কোন একজন মহিলা এসে আমাকে ঝাড়ি দিয়ে ববলে গেলো.....আমার রুমে যেই পুরুষ আসবে তার ইইচ্ছে মতোই যাতে আমি কাজ করি,,
এই বলে কাঁদতে থাকে মেয়েটা!
প্লিজ!কেঁদো না!!!আচ্ছা তোমার নাম কি??
রাইমা
একটা কথা জিজ্ঞেস করি?(রাইমা)
হ্যা করো...?
এখানেতো ভালো মানুষ আসেনা, আপনাকেতো দেখতে শুনতে ভালই দেখাচ্ছে আপনি এখানে কেন?
সে অনেক কথা--(শ্রাবন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল)
বলতে চাইলে বলতে পারেন(রাইমা)
তাহলে শোনো -
ছোট কালে রোড এক্সিডেন্ট এ আমার মা বাবা দুজনই মারা যায়,,,,চাচা-'চাচীর কাছে বড় হই!আমার বাবার বিজনেসের দায়ভার চাচায় নেন.....
বাবা মার মৃত্যুর পর আমি ভুলেই যায় কিভাবে হাসতে হয়!সবসময় একা থাকতেই পছন্দ করতাম,এভাবেই কেটে যায় অনেক বছর,
যখন অনার্স ৩য় বর্ষে,
প্রতিদিন ক্লাসের পর কিছু সময় ক্যাম্পাসের পাশে থাকা পুকুর পাড়ে একাকি কাটাতাম!একদিন--
একটা মেয়ে এসে আমার পাশে থাকা বাকি জায়গায় বসলো,,তখনও আমি আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম,,, মেয়েটা কথায় ঘোর কাটল,,,
আমিকি আপনার বন্ধু হতে পারি???খুব ভাল বন্ধু.?
(নিশ্চুপ আমি)
আবারও বলল,একই কথা
তখন আমি উত্তর দিলাম,
একটা ছেলে আর এএকটা মেয়ে ককখনওই বন্ধু হতে পারেনা
শুরু থেকেই দেখছি আপনি প্রতিদিন এখানে বসে থাকেন,অনেকদিন ধরে চাচ্ছিলাম আপনার সাথে কথা বলবো,কিন্তু পারিনি,,এখন যখন সাহস যুগিয়েই ফেলেছি তাহলে আর আপ্নাকে একা ছাড়ছিনা
কিসের কষ্ট আপনার,,আমাকে শেয়ার করুন ভালো লাগবে(মেয়েটা)
দেখুন আমাকে একা থাকতে দিন আমার কোন বন্ধুর প্রয়োজন নেই,,,বাই
এই বলে ওখান থেকে ওঠে নিজের গন্তব্যে পা বাড়ালাম,
কিন্তু এই মেয়ে নাছোড়বান্দা,,,,
যেখানে যায় সেখানেই হাজির!এত্ত অপমান করেছি কিন্তু কিছুতেই কিছু হলোনা,,,,,মেনে নিতেই হয় তবে বন্ধু হিসেবে-----
কিন্তু ও আমার জীবনে আসার পর আমার সব কিছুই পালটে যায় আমার এএত্ত এত্ত খেয়াল রাখতো,,,,আর ওর সংগ পেয়ে আমিও একদম স্বাভাবিক হয়ে গেলাম,......সাথে ওর প্রতি খুব দুর্বলতা অনুভব করছিলাম,
হ্যা আমি ওকে ভীষণ ভালবেসে পেলেছি নিজের অজান্তেই....কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে এএকদিন ওই ইই আমাকে প্রপোজ করে বসে........
শ্রাবণ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারও বলতে থাকে---
প্রচন্ড রকমের ভালবাসতাম ওকে!
কিছুদিন পর,,জানতে পারলাম ওর ফ্যামিলি ওকে বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে,,,আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি,,,,একটা ছোট খাটো একটা জবে জয়ন করি কিন্ত কিছুই হলোনা.......ওর বাবা ওর মোবাইল নিয়ে নিল সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিল আমার সাথে..........আজ সকাল একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে,,,,আজ নাকি ওর বিয়ে!!????😂
আত্মহত্যা করতে গিয়ে করলাম না,,,, সব অগোছালো করে দিয়ে ও অন্য কারও সাথে ঘর করবে মানতে পারছিলামম না তাই ওকে ভুলার চেষ্টায় এখানে এসে পড়ি,
চোখে কান্না নিয়েই শব্দ করে হেসে উঠে!
আচ্ছা শোনো ----এই অন্ধকার জগত থেকে তোমাকে বের করার দায়িত্ব আমার,তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পার,,আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি যেভাবেই হোক আমি তোমাকে তোমার মা বাবার কাছে নিয়ে যাবই,
শ্রাবন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাইমাকে বের করে আনে পতিতালয় থেকে-----
---রাইমা,এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি?মনে আছেতো??তোমার বাসার ঠিকানা???(শ্রাবন)
--হ্যা,,আছে চলুন যাওয়া যাক,,একটা কথা ছিল!
---হ্যা বলো??(শ্রাবন)
---আপনি খুব ভালো,,,(রাইমা)
এটা শুনে শ্রাবন মুচকি হাসে
উদের বাড়ি পৌছাতে ভোর হয়ে যায়,,,,
বাড়ির কাছে আসতেই রাইমা দৌড় দেয়,,আর জুরে জুরে দরজায় আঘাত করতে থাকি কিছুক্ষণ পর এক মধ্য বয়স্ক মহিলা দরজা খুলে দেয়,,,সম্ভবত উনিই রাইমার আম্মু!
উনি কোন কথা না বলেই রাইমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন আর রাইমাও
শ্রাবন দূর থেকেই এমন সুন্দর একটা দৃশ্য আনমনে দেখে যাচ্ছে খুব ভাললাগা ছুঁয়ে যাচ্ছে ওর মনকে!নিজের অজান্তেই শ্রাবনের চোখে পানি এসে যায়
এরপর একে একে ওর পরিবারের সবাই এসে পড়ে,,,,,
কান্না জড়িতো চেহারায় রাইমা শ্রাবনের দিকে তাকায় আর হাতের ইশারায় ডাকে!
রাইমা ওর আব্বু আম্মুকে সব কথা খুলে বলে,,উনারা কি বলবেন বুঝতে পারছিলেন না,,,,
তুমি কে জানিনা বাবা!আজ তুমি আমাদের কত বড় উপকার করেছ আমাদের কলিজার টুকরা কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো
এই ঋণ আমরা কখনওই শোধ করতে পারব না এই বলে রাইমার আম্মু কাঁদতে থাকে.....
না না একি বলছেন আন্টি,,,ঋণ শোধ করতে হবেনা আপনারা আমার জন্য দোয়া করলেই হবে,,আমি তাহলে এখন যায় আন্টি...?(শ্রাবন)
সেকি!এভাবে যেতে পারনা তুমি খাওয়া দাওয়া করে তারপর যাবে,,,
না আন্টি,,, আমার যেতে হবে এখন,আমি পরে একদিন আসবো (শ্রাবন)
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে শ্রাবন,,,কিছুদূর যেতেই কারও হাতের স্পর্শ অনুভব করে,....পিছনে ফিরেই দেখলো......
,রাইমা হাঁপাতে থাকে,,,,,
কি??আমার সাথে কথা না বলেই চলে আসলে??
শ্রাবন অবাক হয় রাইমার মুখে "তুমি"সম্মোধন শুনে!
দেখো,,এই হাতটা যে ধরেছি এটা আর ছাড়ছিনা আর তুমিও ছাড়তে পারবানা!
কথা দাও আমাকে(রাইমা)
শ্রাবন কি বলবে বুঝতে পারেনা
রাইমা আবার বলতে থাকে--
আমি ডিসিশন নিয়ে নিয়েছি আমি তোমার বউ হবো,,,,তোমার হাসি মুখের কারন হবো,আর এএত্ত এত্ত জালাবো তোমাকে,কি???পারবেতো আমার জালাতন সহ্য করতে???(রাইমা)
হ্যা মহারাণী সব কন্ডিশন মানতে রাজি(শ্রাবণ)
দুজন শব্দ করে হেসে উঠে
(সমাপ্ত)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ