গল্প:-- স্পর্শেন্দ্রি
.
M J Masum Billa
.
আষাঢ়ের আসার ঝরছে অখিলে । আসার এর রোমাঞ্চকর স্পর্শেন্দ্রিয়ে ত্রপিত মৃত্তিকা । ক্ষণেক্ষণে নভশ্চরের সঙ্গম নির্মল গগনে । অভ্র কখনো রোষাবেশে কখনো দীপ্তমান । চিত্তহারী এক অনুপল । অভ্রটা আজ দীপ্তিমান । দিগ্বর্তী হলাম নদ এর তটে । অদ্য আর হচ্ছে না ধারা । দিনের সেই তীব্র আপত ক্লান্ত হয়ে আগুয়ান বৈকাল । অবসন্ন সূর পাশ্চাত্ত্য ডুবুডুবু প্রান্তে । সূরের রক্তবর্ণ আভা নদ এর নীর তরঙ্গিত । তটে পড়া সাধা সারস পশ্চাদগামী কুলায় ।
.
.
কীর্তনখোলা নদের দুই তটে কিশতি সারণী বেঁধে আছে । সেই নদে কিস্তিকরে মাছ ধরছে দাঁড়ী । পাতিহাঁসগুলো ভেসে চলছে নদের কোষে । শিশুদের কলকোলাহলে মুখরিত নদের দুই তটা । ছোট ছোট বাচ্চারা পুনশ্চ নদের নীরে স্নান করছে । সূর যত নিচে নামছে, গাছপালার আড়ালে ছড়িয়ে পড়ে এ সময়কার স্নিগ্ধ মহিমা । নদের তটে দিগ্বর্তী হয়ে, গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে দেখছি সূর এর মাধুর্য । কতটা মনোমুগ্ধকর সেই সময়টা যদি আপনি না দেখন বুঝবেন না, নদের তটে দিগ্বর্তী হয়ে সূর্যাস্ত দেখার অনন্দ ।
.
.
নদের পাশে কিছু জনবসতি । দীনহীন কিছু মানুষের বসবাস সেই বসতির মাঝে । দেখছি কিছু বাচ্চা না খেয়ে কান্না করছে নিবসতির উঠানের পুরতে । সাত বছরের ছেলে-মেয়ে যাচ্ছে নদের কোষে মাছ ধরতে কিস্তি নিয়ে বাপের সাথে । যাদের লেখাপড়ার বয়স তারা করছে কাজ । কি করে পরের দিন বেঁচে থাকা যায় সেই সংগ্রামে জন্য । জেলিয়ারা জাল দিয়ে ধরছে গুড়া মাছ । সেই গুড়া মাছ বিক্রি করছে গঞ্জের হাটখোলায় । যে পয়শা পাচ্ছে তা দিয়ে খরিদ করছে, দৈনন্দিন প্রয়োজনি চাল, ডাল, লবণ, তৈল, মসলা । পরতে পারে না ভালো পোশাক । কত পীড়া সেই মানুষগুলোর ।
.
.
চর্চিত ছিলাম এই হা-শূন্য মানুষদের নিয়ে । হঠাৎ পাশে শুনতে পেলাম একটি তীক্ষ্ন অর্তনাদের হিক্কার । মনে হলো এক মেয়েলী কুহর । নদের নীর থেকে অক্ষিটা তার দিকে ফিরালাম । দেখলাম সে ছুটছে মুখে কিছু বাচ্য ।
.
.
কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম সেই মেয়েলীর চিৎকার, তার চার বছরের ঝি গত হয়েছে । এযে এক ঝি হারা মাতৃ চিৎকার । লোকজন জড়ো হয়ে গেলো ক্ষণকালে । শুনতে পেলাম নদ চূর্ণনের কবলে পড়ছে । এমন নাকি প্রায় ক্ষণে হয় । আগে নাকি অনেক হয়েছে এমন, শাসন যারা আছেন কোন ধাপ নিচ্ছে না ।
.
.
পুনশ্চ নদের নীরে তাঁকালাম কখন যে উষসী হয়ে আসলো বিদিত হতে পারলাম না । নদের কোষে ছুটে চলা কিছু কিস্তি ছুটে আগুয়ান তটে । তটের কিছু কিস্তি ছুটে চলছে নদের কোষে জীবিকার অন্বেষণের তাগিদে।
.
.
লঘু নিরংশু অক্রিয় চারদিক । নদে তটে দিগ্বর্তী হয়ে কত রচক গুটান ছন্দোবদ্ধ রচনা গদ্যরচনা ।
এমনি একটি রচনা এটি
.
“ মনের হল, এ পাখার বাণী
দিল আনি
শুধু পলকের তরে
পুলকিত নিশ্চলের অন্তরে অন্তরে
বেগের আবেগ।”
ইহা স্বয়ং চিত্তে উদীরিত হয় ।
.
,
নদের কোষে দেখা যাচ্ছে সামুদ্রিক কোনত্ত আলোক বর্তিকা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরঙ্গে হিন্দোল করছে বর্তিকা ।
রবীন্দ্রনাথ একটা কবিতা লিখেছিলে,
“দিন শেষ হয়ে এল, আঁধারিল ধরণী
আর বেজে কাজ নেই তরণী।”
.
.
নদের তট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কবিতাটা পড়তে পড়তে বাসায় ফিরছিলাম । নদের তটে দিগ্বর্তী হয়ে সূর্যাস্তকালের শ্রী উপভোগ করার একটা দিন আজ পেয়ে ছিলাম । এমন কিছু মুহূর্ত আছে যা আমাদের মনে স্বচ্ছ ভাবে গাঁথা আছে । এমন কিছু সময়ের মধ্যে নদীর তটে বসে দেখা সূর্যাস্ত । সেই দৃশ্য নিশ্চিহ্ন করার মতো নয়।
.
ছোট গ্রামের মৃত্তিকার আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে ফিরতে ছিলাম পাড়াগাঁ কুটিরে । হঠাৎ কার যে চিৎকার মঁজরীবেদ করিলো । পোষণ না পাবার আর্তনাদ । কোন মাতৃ তার শিশুকে অসত্য বলছে । আর শিশুটি চিৎকার করছে ।
স্বয়ং চিত্তে চিত্তে ঝঁঝাট করলাম, “আমরা নন্দকানাই আর ওরা আলাল।”
কখনো কি দূর হবে না এ বিয়োগফল?
জ্বলবে না সেই সিদ্ধি বাতি ?
তাহলে কি হবে না সোনার বাংলা ?
আহ! কত ক্ষুব্ধ কত বেদনা।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4855
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ŧ:ā§Ēā§§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ