______না বলা ভালোবাসা______
_____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া_____
এক
পর্ব
কুয়াশা ঘেরা শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগে, যেন মনে হয় আমি মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যাচ্ছি
তারপর সকালের সোনালি সূর্যদয় সে এক অপরূপ দৃশ্য , সূর্য তার সোনার থালায় একটা সকাল উপহার দেয় পৃথীবিকে
এই মনরম দৃশ্য দেখছি এমন সময় ফোনের রিংটন বেজে উঠলো
_ হ্যালো (আমি)
_ দোস্ত আজ একটু তারাতারি কলেজে আসবি...
_ কেনো? কি হয়েছে?(আমি)
_ আসতে বলছি আসবি, এখন রাখছি
বলেই টুঃ টুঃ ফোন কেটে দিলো
আমার নাম তোয়া| আর যে ফোন করেছিলো সে আমার ব্রেস্ট ফেন্ড অয়ন|
আমরা অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি|
কলেজে যাওয়ার জন্য রিক্সার জন্য wait করছিলাম
অয়ন রিক্সায় চরে আসছে
_এই মামা এখানে দাঁড়ান(অয়ন)
আসুন মহারানী 👸রিক্সায় উঠে এসে আমাকে ধন্য করুন হিহি😀(অয়ন)
_ওই তোর over acting বন্ধ করবি...(আমি)
_কেন মহারানী আমি কি কোন অন্যায় করেছি? তাহলে আপনি আমাকে শাস্তি দিন
আপনার অসহায় প্রজা আপনার সামনে হাজির মহারানী👸হি হি(অয়ন)
_তুই আর কখনই সুধরালি না , সব সময় মজা করা... এর জন্য তারাতারি আসতে বললি😬
_না মহারানী... (অয়ন)
_আবার....! তুই এখান থেকে যা আমি অন্য রিক্সায় কলেজ যাবো(রাগি লুকে)(আমি)
_এইরে পেত্নিটা রেগে গেছে (অয়ন)
_ওই কি বললি তুই (আমি)
_ না না সরি তোয়া, এমনি মজা করছিলাম সরি সরি এত্ত গুলো সরি. প্লিজ এই দেখ কানে ধরেছি.. (অয়ন)
অয়নের উপর রাগ করে বেশিখন থাকতে পারি না| শুধু ওর জন্যই আমি এই কলেজে ভর্তি হয়েছি|ও বলেছিলো তোয়া তুই অন্য কোথাও চলে গেলে আমাকে পড়াবে কে?
আমি এবার হেসে বললাম
_ হয়েছে over acting এর দোকান আর সরি বলতে হবে না, আমি বসবো কোথায় সরে বস....(আমি)
তারপর আমরা এক সাথে কলেজে গেলাম
......চলবে.......
______না বলা ভালোবাসা______
_____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া_____
দুই পর্ব
কলেজ থেক বাসায় ফিরে দেখি ফারিয়া এসেছে...!
ফারিয়া হলো আমার মামাতো বোন, তার থেকে বেশি হলো ও আমার থেকে কাছের ফ্রেন্ড সব কথা ওর সাথে শেয়ার করি, ও চিটাগাং এ থাকে
ফারিয়াকে দেখে আমিতো সেই.... খুশি ওকে যাপটে ধরে ঘুরাতে লাগলাম
_পড়ে যাবি তো...(আম্মু)
_ফারিয়া তুই কখন এসেছিস, আর তুই ঢাকায় আসবি আগে জানাসনি কেন?☺(আমি)
_হিহিহি আগে জানালে কি আর এমন সারপ্রাইজ দিতে পারতাম মিসেস অয়....😷(ফারিয়া)
কথা শেষ না হতেই হাত দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরলাম| ওকে টেনে রুমে নিয়ে আসলাম
_ওই হারামি আম্মুর সামনে কি বলছিলি, হু..?
_কই কি বললাম, বলতেই তো দিলিনা তার আগেই....(ফারিয়া)
_থাক হয়েছে আর বলা লাগবে না,, আম্মুকে দেখে কথার মোর ঘুরলাম
_ফুপিজান এখানে বসো, তোমরা তো আর যাবে না তাই আমিই চলে আসলাম (ফারিয়া)
_হ্যাঁ রে ফারিয়া ভাইজানের কি অবস্থা...(আম্মু)
_তোমরা গিয়ে দেখে আসো আমাকে বলছো কেনো[অভিমানের সুরে] আব্বু কতো করে তোমাদের যেতে বললো গেলে না কেনো?(ফারিয়া)
_আমি তো চাইলাম,তোর ফুপাও তো রাজি ছিল(আম্মু)
_তাহলে গেলে না কেন?(ফারিয়া)
_ওই যে তোয়ার জন্য,ওর না কি পড়ার চাপ(আম্মু)
_ও...! তোমার মেয়ের তো পড়ার থেকে পড়ানোর চাপই বেশি থাকে(ফারিয়া)
_মানে....! ও তো টিউশনি করায় না(আম্মু)
_আম্মু তুমিও না,ও বলছে আর তুমি শুনছো| আমার ক্ষুধা লেগেছে,আমাদের এখন খেতে দাও(আমি)
_আচ্ছা তোর আই ,আমি খাবার রেডি করছি, দেরি করিস না(আম্মু)
_উফ! তুই কি রে ফারিয়া, আমি পড়ানোই ব্যস্ত থাকি হু???(আমি)
_হুম থাকিস তো! তাই তো কোথাও যাওয়ার সময় পাসনা|আচ্ছা বাদদে এখন বল তোর অয়নের কি খবর???(ফারিয়া)
_হুম ভালো(আমি)
_শুধু ভালো, জল কতদুর গড়িয়েছে হু?(ফারিয়া)
_তোয়া... ফারিয়া.... খেতে আই তোরা(আম্মু)
_আসছি আম্মু... চলুন আাপনার ফুপিজান খেতে ডাকছে(আমি)
তারপর রাতে খাবার খেয়ে ফারিয়ার সাথে আড্ডা শুরু করলাম
_তোয়া বললিনা তো অয়নের কথা(ফারিয়া)
_কি বলবো বল....(আমি)
_ও কি জানে তুই ওকে ভালোবাসিস(ফারিয়া)
_ও জানবে কি ভাবে|(আমি)
_শোন তোয়া, ওই হাদারামটা সারা জীবনেও বুঝতে পারবে না যে তুই ওকে ভালোবাসিস| বুঝার হলে এতো দিনে ঠিকই বুঝতো...(ফারিয়া)
_ তাহলে কি করা উচিত??(আমি)
তুই ওকে বলে দে যে তুই ওকে ভালোবাসিস (ফারিয়া)
_তোর মাথা খারাপ? আমি এটা ওকে কি ভাবে বলবো|আর ওর মনে যদি এসব কিছু না থাকে, তাহলে তো ফ্রেন্ডশীপ টাও নষ্ট হয়ে যাবে|আর আমি সেটা সহ্য করতে পারবোনা(আমি)
_তোয়া দেখ এতো কিছু ভেবে love করা যায় না, একবার বলেই দেখনা...! তা না হলে দেখবি অনেক দেরি হয়ে যাবে| তখন শুধু আফসোস ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা (ফারিয়া)
ফারিয়ার কথা গুলো সত্যি ভাবার বিষয়
_কিন্তু....(আমি)
_কোনো কিন্তু না...😷 তুই শুধু এখন ভাব অয়নকে কি ভাবে বলবি ok এখন আমি ঘুমায়, তুই ও ঘুমা কাল এটা নিয়ে আলোচনা করবো(ফারিয়া)
এই বলেই ফারিয়া পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পরলো but আমার আর ঘুম আসছে না| নানা রকম চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো... ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমায় পড়ি......
.....চলবে.....
______না বলা ভালোবাসা______
_____জান্নতুল বাকিয়া তোয়া_____
তিন
পর্ব
সকাল বেলা ফারিয়ার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেল|
_চা গড়ম চা গড়ম... শুভ সকাল, এই নিন ম্যডাম (ফারিয়া)
_শুভ সকাল (আমি)
ফারিয়ার থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে, চায়ের কাপে চুমুক দিলাম
_এই তোয়া (ফারিয়া)
_হুম (আমি)
_কিছু ভাবলি? (ফারিয়া)
_কি ভাববো? (আমি)
_উফ...! ওই যে অয়নকে কি ভাবে বলবি| (ফারিয়া)
_থাক না ফারিয়া, পরে দেখা যাবে| (আমি)
_আমি এখানে থাকতে থাকতেই তোকে বলতে হবে (ফারিয়া)
_আমি বলতে পারবো না (আমি)
_ok, লিখতে তো পারবি? (ফারিয়া)
_মানে...!? (আমি)
_মানে, চিঠি লিখবি I mien ❤ letter.. (ফারিয়া)
_এখন চিঠি হিহিহি... (আমি)
_হ্যাঁ, চিঠিই হলো ভালোবসা প্রকাশের সব থেকে উন্নতো মাধ্যম বুঝলি? (ফারিয়া)
_ but আমি যে চিঠি লিখতে পারি না..! (আমি)
_উফ..! তোয়া তোকে পারতেই হবে| আমার চা খাওয়ানোর দাম দে |(ফারিয়া)
_মানে কি! এক কাপ চা খাওয়ালি এর জন্য তোকে দাম দেওয়া লাগবে!!! (আমি)
_হুম লাগবে, আর দাম টা হলো অয়নের জন্য এখন একটা চিঠি লিখবি ব্যস..
all the best👍 (ফারিয়া)
এই বলে ফারিয়া আম্মুর কাছে চলে গেল| চা টা শেষ করে, কাগজ আর কলম নিয়ে বসলাম| কি দিয়ে শুরু করবো বুঝতে পারছি না| শুধু প্রিয় লিখে বসে আছি! শব্দের পর শব্দ লিখছি আর কাটছি..📝 যাই হোক অনেক কষ্টে life এর fast ❤letter লিখা শেষ করলাম|
তারপর নাস্ত করে ফারিয়া সাথে বসলাম কি ভাবে চিঠি টা দেওয়া যায়... দুজন ভাবছি এমন সময় অয়নের ফোন আসলো📲
_লাউড দে (ফারিয়া)
_হ্যালো (আমি)
_কি রে কলেজে যাবি না? (অয়ন)
_না রে, আজ একটু busy আছি| (আমি)
_কিসের busy..?? (অয়ন)
_ফারিয়া এসেছে (আমি)
_তাই নাকি, কবে এসেছে? (অয়ন)
_ গতকাল (আমি)
_তাহলে এক কাজ কর! বিকেলে তোরা দুজন আই, তিন জন ঘুরতে যাবো! (অয়ন)
_ok, but কয়টাই?? (আমি)
_3 টাই ok? (অয়ন)
_ok, bye (আমি)
_bye (অয়ন)
_ইয়াহু... idea (ফারিয়া)
আমি চমকে উঠি ফারিয়ার হঠাৎ চিৎকারে
_ কি হয়েছে? এমন ফড়িং এর মতো লাফাচ্ছিস কেনো?? (আমি)
_বিকেল বেলাতেই কেল্লাফতে করতে হবে! (ফারিয়া)
_মানে কি?? (আমি)
_ মানে, বিকেলে চিঠিটা অয়নকে দিবি| (ফারিয়া)
_আমার কেমন যেনো লাগছে রে ফারিয়া (আমি)
_কিছু ভাবিস না, আমি আছি না! no tention my dear (ফারিয়া)
_হুম (আমি)
tention না করতে চাইলেই কি tention চলে যায়, আমারও tention রয়েই গেলো|
....চলবে....
_____না বলা ভালোবাসা______
_____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া_____
চার
পর্ব
আাজ আমি নীল রং এর শাড়ি পরেছি| অয়নের পছন্দের রং এটা..!
"" নীল নীল নীলান্জনা...
চোখ দুটো টানা টানা.....
ওই কপালের টিপ, যেন জোনাকি দীপ
আমি প্রেমে পরেছি,তুমি করো মানা...! 😘
_my dear তোমাকে তো সেই লাগছে! আমি যদি ছেলে হতাম, তাহলে এই মুহুর্তে আমিই তোকে প্রপজ করতাম🌹 (ফারিয়া)
_Tnxx dear. (আমি)
_wlc. আমি এখন ভাবছি, তোকে এই লুকে দেখে তোর আগে না অয়নই প্রপজ করে বসে| (ফারিয়া)
_তাহলে সেটা হবে আমার good luck. (আমি)
_তা যাই হোক, আমার কিন্তুু ট্রিট চাই হুম.. (ফারিয়া)
_ok, দেবো যা, এখন তো চল... (আমি)
_আচ্ছা, এখন আমরা যাচ্ছি কোথাই? (ফারিয়া)
_এক মিনিট, অয়নকে ফোন করি📱(আমি)
_হ্যালো (অয়ন)
_কি রে তুই কোথায়?? (আমি)
_তোরা কোথায়?? (অয়ন)
_বাসা থেকে বের হবো (আমি)
_আচ্ছা, তোরা এক কাজ কর পার্কে চলে আই, আমি ওখানেই থাকবো, ok? (অয়ন)
_ok, আমারা আসছি| bye.. (আমি)
_ok (অয়ন)
পার্কে এসে অয়নকে খুঁজতে ছিলাম|
_ওই তো অয়ন, ওর সামনে ওই মেয়েটা কেরে??
ফারিয়ার কথা শুনে ওই দিকে তাকালাম, দেখলাম জেরিনের সাথে কথা বলছে অয়ন| জেরিন আমাদের সাথেই পড়ে| বড়লোক বাবার নাকুচু মেয়ে জেরিন! এক কথাই জেরিন সব দিক থেকে আধুনিক একটি মেয়ে|
_ওই টা জেরিন| (আমি)
অয়নকে ডাকলাম, তারপর জেরিন চলে গেলো, অয়ন আমাদের কাছে এসে কনো কথা বলছে না, ভুত দেখার মতো আমার দিকে তাকিয়েই আছে, ওকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার খুব অসস্তি বোধ হচ্ছে, তাই জোরে করে বলে উঠলাম
_কি রে! এখানে দাড়িয়ে থাকবি? নাকি ঘুরতে যাবি? (আমি)
_না মানে, আজ মহারানীকে মহারানীর মতোই লাগছে!তাই না ফারিয়া?? (অয়ন)
_হ্যাঁ,আজ মহারানী মহারাজের খোঁজে এসেছে মনে হয়! হিহি (ফারিয়া)
ওদের কথা শুনে আমি কিছু বললাম না, শুধু একটু হাসলাম| অন্যদিন হলে হয়তো কথাগুলো শুনে রেগে যেতাম| but, আজ রাগ হচ্ছে না শুনতে ভালোই লাগছে|
_কি ব্যপার!আজ সূর্য কোন দিকে উঠেছে?? (অয়ন)
_প্রতিদিন যে দিকে ওঠে,আজও সে দিকেই উঠেছে| (আমি)
_আমার মনে হয়, ভাইয়ার জন্য পশ্চিম দিকে উঠেছে.. হিহি (ফারিয়া)
_আমারও তাই মনে হচ্ছে|জানো ফারিয়া? অন্যদিন মহারানী বললে তোয়া তো রেগে বোম হয়ে যেতো| but আজ কিছুুই বলছে না!! (অয়ন)
_ভাইয়া আমার মনে হয়, তোয়া এত দিন বুঝতোই না মহারানী কাকে বলে? এখন হইতো বুঝেছে মহারানী মানে রাজার রানিকে বুঝায়! হিহি.. (ফারিয়া)
আমি শুধু একটু হাসলাম, কিছু না বলেই হাটতে নাগলাম| আজকে বিকেলের পরিবেশটা অনেক সুন্দর লাগছে| এমন সময় একটা ফুটবল এসে অয়নের পায়ের কাছে থামলো, দেখলাম কইটা বাচ্চা আমাদের কাছে বল নিতে আসলো| অয়ন ব্যাগটা আমার কাছে রেখে বাচ্চাদের সাথে খেলতে শুরু করলো| আমি আর ফারিয়া এক জায়গায় বসলাম| হঠাৎ ফারিয়া বলে উঠলো|
_এই তোয়া (ফারিয়া)
_হুম (আমি)
_চিঠিটা কোথায়? (ফারিয়া)
_এই তো আমার ব্যগে| (আমি)
_তুই তো সরাসরি অয়নকে চিঠিটা দিতে পারবি না| so এখন অয়নের ব্যাগে চিঠিটা রেখে দে.. (ফারিয়া)
_তুই ঠিকই বলেছিস! (আমি)
এই বলে অয়নের ব্যাগের মধ্যে চিঠিটা রেখে দিলাম| তারপর অয়নকে ডেকে নিয়ে আমার সবাই রেস্টুরেন্টে গেলাম| ভিতরে ঢুকতে যাবো এমন সময় একটা বাজে ঘটনা ঘটলো| অয়নের সাথে জেরিনের ধাক্কা লাগলো!😮ধাক্কা লেগে অয়নের ব্যাগটা নিচে পরে যায়, আর জেরিনের হাত থেকেও শপিং গুলো পরে যায়|যাই হোক জেরিন অয়নের ব্যাগটা তুলে দেয়, আর আমারা জেরিনের শপিং গুলো|👍
_sry, আসলে আমি খেয়াল করিনি তুমি আসছো..🙏 (অয়ন)
_it's ok, আমিও ঠিক খেয়াল করিনি! (জেরিন)
তারপর জেরিন চলে গেলো, আর আমরা ভেতোরে গিয়ে বসলাম| অয়ন খাবাবের অডার দিলো,তারপর রাতে বাসায় ফিরলাম|
আজ অনেক ঘুরেছি খুব ক্লান্ত লাগছে, আর tention ও লাগছে.....
_এই ফারিয়া... (আমি)
_ হুম... ঘুমাচ্ছি কাল বলিস (ফারিয়া)
যা বলতে বলতেই ঘুমিয়ে গেলো, আজব মেয়ে রে বাবা! তাই আমি আমার tention নিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম...😎😎
...চলবে...
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ