āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4893

***************অপরিচিতা***************

.
একটি মেয়ের দিকে আমি দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে আছি । মেয়েটি সুন্দর বা অন্য কোন কারণ নয় । আমার মনে হচ্ছে মেয়েটিকে আমি চিনি সে আমার পূর্ব পরিচিত কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছি না মেয়েটি আসলে কে ? সাহস করে যে মেয়েটি কে জিজ্ঞেস করবো সেই উপায় নেই ।
.
হঠাৎ করে মেয়েটি আমার দিকে এগিয়ে আসছে মনে হচ্ছে সে আমাকে চিনতে পেরেছে । নিশ্চয়ই কথা বলবে ।
.
-- এই যে মিস্টার আমি অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছি আপনি আমার দিকে ভ্যাবলা কান্তের মতো তাকিয়ে আছেন, কারণটা জানতে পারি ?
.
মেয়েটির কথা শুনে আমি আসলেই ভ্যাবলা কান্ত হয়ে গেছি । তার এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলা যায় ভেবে পাচ্ছি না ।
.
-- না মানে আপনাকে আমার খুব পরিচিত মনে হচ্ছিলো, তাই তাকিয়ে ছিলাম ।
.
-- সব মেয়েদের বুঝি আপনাদের পরিচিত মনে হয় ? কেন ? এমনটা না করলে হয় না ! কই আপনাকে তো পূর্বে আমি কখনও দেখেছি বলে মনে হয় না ।
.
-- কিন্তু আমি আপনাকে অবশ্যই দেখেছি । দেখেছি বললে ভুল হবে আপনি আমার বেশ পরিচিত ।
.
-- আজকে গাঁজা মনে হয় একটু বেশি খেয়েছেন তা না হলে একটি অপরিচিত মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে গুল মারতে পারতেন না । যান এখান থেকে আর কখনও মেয়েদের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকবেন না আর যদি এমনটা করেন তবে ইভটিচিং এর মামলা করে দিব ।
.
কি সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা ! শুনেছি সুন্দরী মেয়েরা অহংকারী হয় কিন্তু রগচটা বা অভদ্র হয় না কিন্তু এ দেখি সব গুণে গুণান্বিত ।
.
আমি এখন রাস্তা দিয়ে বাড়ির পথে হাঁটছি আর বারবার মনে করার চেষ্টা করছি মেয়েটি আসলে কে ? আদৌ কি মেয়েকে আমি চিনি নাকি সবটাই আমার অবচেতন মনের ভুল ।

..........বাড়িত এসে বসে বসে ভাবতে লাগলাম মেয়েটাকে আগে কোথায় দেখেছি? কোথায় দেখেছি? ঠিক তখনি হঠাৎ পুরানো একটা ঘটনা মনে পড়লো।  কিন্তু আম্মুর ডাকে ভাবনায় ছেদ পড়লো।

-----রাহিম বাবা আমার কী এত ভাবছিস মন দিয়ে?

------আচ্ছা আম্মু আমাদের বাসার পাশে ফ্ল্যাটে যে সুমনা আন্টি থাকতো তিনি এখন কোথায় থাকে?

------সুমনা ভাবির কথা বলছিস, অনি তো ১০বছর আগে যখন ওনার স্বামি মারা গিয়েছে ফ্ল্যাট বিক্রি করে যেন কোথায় যানে চলে গিয়েছে। তবে যাবার আগে আমাকে একটা ফোন নাম্বার দিয়ে গিয়েছিল কাজে ব্যস্ততার কারণে প্রায় ভুলে গিয়েছি যোগাযোগ করার জন্য।  তবে তোর মুখে থেকে সুমনার নাম শুনে আবার মনে পড়ে গেল।

------আম্মু ঐ নাম্বার কোথায় রেখেছ?

-----আমার ডায়েরিতে আছে হয়তো।

----তুমিও না আম্মু কী একটা পরিবার আমাদের পাশে ফ্ল্যাট থেকে চলে গিয়েছে কিন্তু কোনো খুঁজ খবর নেওয়া মনে করলে না?  এখনি যাও ঐ নাম্বার কল দিয়ে আন্টির সাথে কথা বলে জেনে আস ওনারা এখন কোথায় থাকে আর কী রকম অবস্থায় মাঝে আছে?

------আচ্ছা সব খবর নিবো কলেজ থেকে আসলিই ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আয় বাবা খাবার দিচ্ছে আগে খেয়ে নে।

-----আচ্ছা তবে আজ রাতের মধ্যে যেন তাদের খবর পাই?

তারপর খাওয়া দাওয়া করে টিভি দেখতে বসে গেলাম। সময় যে কখন চলে গেল টেরই পেলাম না।জানালা দিয়ে বাহিরে  তাকিয়ে দেখি অন্ধকার হয়ে আসছে মানে রাত হয়ে গিয়েছে তাই টিভি বন্ধ করে রুমে গিয়ে বই নিয়ে পড়তে বসে গেলাম ঠিক তখনি আম্মুর আগমন।

----আমি কী রুমে আসতে পারি?

----ও আম্মু তুমিও না রুমে আসবে আবার অনুমতি লাগে নাকি।

----তবুও তুই বড় হয়েছিস অনুমতি নিয়ে আসা ভালো বুঝেছিস।

----হ্যাঁ বুঝলাম এখন বলো সুমনার আন্টির কী খবর নিলে? কোথায় থাকে এখন?

----সেটাই তো তোকে বলতে এসেছি রাহিম। সুমনা ভাবি এখন কুমিল্লাতে থাকে তার স্বামির  গ্রামের বাড়িতে আর সেখানে তাদের অনেক জমিজমা আছে সেইগুলো দিয়েই ফসল চাষ করে সংসার চলে।

----তুমি আন্টিকে কল দিয়ে বলে দেও আমি কুমিল্লাতে আসছি আন্টির সাথে দেখা করার জন্য আর কুমিল্লাতে কোথায় থাকে? মানে ঠিকানা সব বিস্তারিত খবর নিয়ে আমাকে বলবে? আমি আগামীকাল সকালেই রওনা হবো আন্টির সাথে দেখা করার জন্য কত বছর ধরে আন্টিকে দেখি না।এখনো মনে পড়ে যখন আন্টির বাসাতে যেতাম তিনি আমাকে যেটা বলতাম রান্না করে খাওয়াতেন আর তা নিয়ে কত ঝগড়া হলো আন্টির মেয়ে সাথে।  যে আমাকেই কেন আন্টি এত ভালোবাসে? আন্টি মেয়ে জান্নাতকে বলে বাসে না, জান্নাত শুধু এটা বলতো তাকে ভালোবাসে না আর আমার সাথে ঝগড়া করতো এই নিয়ে।

---হ্যাঁ আমি জানি তো সব মেয়েটা একটা বান্দরের হাড্ডি ছিল, এখন বড় হয়ে কেমন হয়েছে কে জানে।

-----আচ্ছা আম্মু তুমি গিয়ে আমার কিছু কাপড় ব্যাগে রাখ আর আন্টিকে এখনই বলে দেও আমি সকালে বাস দিয়ে আসছি। আমি অনলাইনে বাসের টিকিট কিনে নিচ্ছি।

----আচ্ছা বাবা যাচ্ছি।

তারপর আম্মু চলে গেল আর আমিও প্রয়োজনিও কিছু জিনিস কাছের টেবিলে রেখে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলাম যাতে সকালে উঠতে পারি।

সকালে এর্লাম দেওয়া ঘড়িটার শব্দ শুনে ঘুমটা ভেঙে গেল। উঠে দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে প্রস্তুত হয়ে নিলাম যাওয়ার জন্য আর কিছু খেয়েও নিলাম আম্মুর জোরাজোরিতে।
আম্মুকে বিদায় জানিয়ে গিয়ে বাসে বসলাম উঠে। তারপর হাতে ফোনটা নিয়ে ভাবতে লাগলাম আম্মুর থেকে যে আন্টির নাম্বার নিলাম কিছুটা কথা বলা যাক আন্টির সাথে তাই কল দিলাম।

----আসসালামু অলাইকুম আন্টি কেমন আছেন?

----ওয়ালাকুম আসসালাম কিন্তু বাবা আমি তো তোমাকে চিনতে পারছি না।

---জি আন্টি আমি রাহিম আর এখন বাসে বসে আছি তাই ভাবলাম যেতে যেতে আপনার সাথে কথা বলি।

---অ তুমি রাহিম আগে বলবে না আর তোমার আম্মু সাথে অনেক কথা হয়েছে তোমাকে নিয়ে।

---কী কথা হয়েছে আন্টি?

---সেইসব তোমাকে না শুনলেও চলবে আর শুন তোমার আম্মুকে যে ঠিকানা দিয়েছিয়াম তোমাকে দেওয়ার জন্য মনে আছে নি?

---ঠিকানা আমি কাগজে লিখে রেখেছি আন্টি আর যদি কোনো সমস্যা হয় পৌঁছাতে আমি কল দিবো।

----আচ্ছা বাবা কল দিও কিন্তু আর এখন রাখি আমি রান্না করছি বাবা তাই।

---আচ্ছা আন্টি।

তারপর সারারাস্তা গাড়িতে বসে বসে ঝিমাতে ঝিমাতে পার করেছি। কুমিল্লাতে নেমে রিক্সা উঠে আন্টির বাসাতে চলে গেলাম কোনো সমস্যা ছাড়া।
আমাকে দেখা মাত্রই আন্টি অশ্রু ছাড়া শুরু করে দিল  যেন নিজের ছেলেকে ফিরে পেয়েছে এই আনন্দে। আন্টির সাথে অনেক কথা বললাম তারপর তিনি বললেন ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসতাম। তখন দুপুর হয়ে গিয়েছিল আর পেটেও প্রচন্ড ক্ষিধা লেগেছিল তাই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বসে পড়লাম।কিন্তু টেবিলে বসার পর দেয়ালে যা দেখলাম নিজে চোখে বিশ্বাস হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে রাস্তাতে যে মেয়েটাকে আমার চিনাচিনা লেগেছিল তার ছবি দেয়ালে লাগানো। মনের ভিতর হাজার প্রশ্ন জন্ম হতে শুরু করলো তাই ছবিটা হাত দিয়ে স্পর্শ করে ভালো করে দেখছিলাম তখনি আন্টি বলে উঠলো।

---কী দেখছ বাবা দেয়ালের মাঝে?

---আচ্ছা আন্টি এই ছবিটা কার?

----আরে এটা আমার মেয়ে জান্নাত চিনতে পারছ না, ছোট্ট থাকতে না কত খেলা করলে জান্নাতে সাথে যখন তোমার বয়স ১০ছিল আর আমার মেয়েটাও তোমার সাথে খালি ঝগড়া করতো।

----আচ্ছা আন্টি জান্নাত এখন কোথায় আছে? ওকে তো দেখছি না।

----জান্নাত তো এখন ঢাকাতে থাকে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে তাই সেখানে ভর্তি করে দিয়েছি। মহিলা হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করে।

----অ আচ্ছা তাহলে আন্টি জান্নাত তো আমাদের বাড়ির কাছে ই পড়ালেখা করে। তবে আমি যে এসেছি  জান্নাতকে কী বলেছেন?

---না বাবা বলা হয়ে উঠে নি আজ বলবো।

---না আন্টি থাক বলতে হবে না আর আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করি জান্নাতকে ঠিক খুঁজে পাবো। আমি চাই জান্নাতকে সারপ্রাইজ দিতে তাই বলবেন না আন্টি প্লিজ।

----আচ্ছা বলবো না টেবিলে বস খাবার দিয়েছি।

তারপর মহাভুজ করে উঠে পড়লাম, ক্ষিধা বেশি লেগেছিল তো তাই সুস্বাদু কোনো খাবার টেবিলে রাখিনি আর আন্টি তো প্লেটে দিয়েই যাচ্ছে দিয়েই যাচ্ছে মনে হয় আমি ঘরের জামাই। যাক অপরিচিতা তাহলে আমার এত আপন কিন্তু আমি কিছুই আগে বুঝতে পারলাম না।

খেয়ে রুমে গিয়ে বসে ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম তখনি আম্মুর কল।  আমি ঠিকমত গিয়েছিনি, খাওয়া দাওয়া করেছিনি আরো অনেক কিছু প্রশ্ন করলো। তখন আম্মুকে বলে দেয় আগামীকাল বাড়িত চলে আসছি, কিন্তু ঠিক তখনি হয় তো আন্টি কথা শুনতে পাই তাই কল রাখার সাথে সাথে এসে বলতে লাগলেন।

---রাহিম বাবা তোমার কী কোনো সমস্যা হচ্ছে? রান্না কী ভালো হয়নি বাবা?

---আন্টি সমস্যা হবে কেন? আর রান্না ভালো না হলে কী এত খেতাম বলেন?

---তাহলে ফোনে তোমার আম্মুকে বললে কেন যে বাড়িত চলে যাবে?

----আসলে আন্টি ক্লাস আছে তো তাই যেতে হবে আর কথা দিচ্ছি আরেকবার যখন আসবো অনেকদিন থেকে যাবো।

---আচ্ছা বাবা এখন ঘুমাও অনেক রাত হয়েছে।

----ঠিক আছে আন্টি তবে ৯টা দিকে একটু ডেকে দিবেন সকালেই বাস দিয়ে চলে যাবো।

---ঠিক আছে বাবা।

তারপর ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে আন্টি ডাকে ঘুমটা ভেঙে গেল ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে বের হয়ে গেলাম যাওয়ার জন্য। বাসে বসে বসে ভাবছি জান্নাতকে কীভাবে সারপ্রাইজ দেওয়া যায় আর তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য যে আমার তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরার উদ্দেশ্য। না জান্নাতকে কোনোভাবে নিজের পরিচয় দেওয়া যাবে না।  অপরিচিত সেজে অভিনয় করে দেখি জান্নাত  আমার সাথে কি ব্যবহার করে আর চিনতে পারে কিনা।

বাড়িতে আসতে প্রায় দুপুর হয়ে গেল। পরেরদিন সকাল সকাল ভার্সিটিতে গিয়ে গেটের ধারে দাঁড়িয়ে রইলাম জান্নাতে অপেক্ষায় হঠাৎ লক্ষ করলাম জান্নাত আসছে কিন্তু আমাকে দেখে এমনভাবে তাকালো যেন গিলে খেয়ে ফেলবে, তবুও আমি তাকিয়ে রইলাম তখন জান্নাত বলে উঠলো।

---এই যে মিস্টার আপনে আবার আমার দিকে চেয়ে রয়েছেন সহস তো কম নয়। আপনার ঘরে কী মা বোন নেই?

---মা, বোন সব আছে কিন্তু gf নেই।

---মানে gf নেই তো আমাকে বলছেন কেন? আজব লোক তো আপনে।

---যদি  হতেন gf তাই বলছিলাম আর কি আর আমি আপনার সিনিয়ার জেনে রাখুন তাই প্রেম করতেই তো পারেন।

---আপনার মনে হয় মাথার তার ছিড়া সরেন আমি কোনো অপরিচিত সাথে কথা বলতে চাই না।

---তাহলে চলেন পরিচয় হয়ে নেয়?

----আপনার সাথে কোনো পরিচয় হবার ইচ্ছেই আমার নেই সরেন আমি যায়।

---এই যে শুনেন।

----বলেন কী বলবেন?

----চলেন না আজ দুইজন ক্লাস না করে বাহিরে কোথাও ঘুরাঘুরি করি।

---আমি কোনো অপরিচিত মানুষের সাথে ঘুরাঘুরি করতে বাধ্য নয়।

----তাহলে আপনার পরিচয় দিয়ে দেয়, আপনার নাম জান্নাত কুমিল্লাতে থাকেন, মা আছে কিন্তু বাবা ১০বছর আগে মারা গিয়েছে আর এইবছর নতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন সব ঠিক বলেছি তো।

---কে আপনে? আর এত কিছু জানলেন কীভাবে?

----বলতে পারি যদি আজ সারাদিন ঘুরাঘুরি করতে রাজি থাকেন আমার সাথে।

-----আচ্ছা তবে বিকালে আমাকে হোস্টেলে চলে যেতে হবে। তাই বিকালে আপনাকে বলতে হবে  কে আপনে?

----আচ্ছা।

তারপর রিক্সা নিয়ে পার্কে উদ্দেশে চলতে লাগলাম। জান্নাতে মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল হাজারো চিন্তা চেহারাতে বাসছে ঠিক তখনি রাস্তাতে একটা অন্ধলোক দেখতে পেলাম রাস্তা পার হবার জন্য দাঁড়িয়ে আছে  কিন্তু রাস্তা পার হতে পারছে না।

-----চাচা রিক্সা থামান আমার একটু কাজ আছে।

----কোথায় যাচ্ছেন আপনে?

----আপনে রিক্সাতে বসেন আমি আসছি।

তারপর গিয়ে সেই অন্ধলোকটাকে রাস্তা পার করিয়ে বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিলাম কিন্তু শেষে মনে পড়লো আরে আমি তো জান্নাতকে রিক্সা মাঝে বসিয়ে দিয়ে এসেছি আর অনেক দেরি হয়ে গেল, যেইভেবে দৌড় দিতে যাবো ঘুরলাম দেখি জান্নাত সামনে।

----সত্য করে বলেন তো আপনে আসলে কে? আপনাকে খুব চিনাচিনা লাগছে।

-----চিনাচিনা লাগলে বলেন আমি কে?

----জানি না বলেই তো জানতে চাচ্ছি। কেন এত ঢং করছেন?

----ঢং সেটা কীভাবে করে বলবেন?

---ঢং এর কথা বাদ দিন বলেন আমাকে একা রেখে চলে আসলেন কেন?

----আসলে একজন অন্ধ চাচাকে রাস্তা থেকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছি আর তখন তোমার কথা মনে ছিল না। সরি তুমি বলে ফেলেছি।

---আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বলতে পারেন, কিন্তু আপনে কেন সাহায্য করতে গেলেন? আর কী মানুষ ছিল না?

----মানুষ তো মানুষের জন্য তাই না জান্নাত আর মানুষের সাহায্য না করলে সে মানুষ হবে কী করে বলো তো?

----বুঝতে পেরেছি চলেন আমার সাথে।

---কোথায়?

---আগে চলেন তো।

তারপর জান্নাত আমাকে টানতে টানতে একটা দোকানে নিয়ে গেল

----ভাইয়া দুইটা ৫০টাকার দামের আইসক্রিম দিন তো?

---২টা আইসক্রিম কিনছো কেন?

---একটা আমি খাবো আরেকটা আপনে খাবেন তাই।

----কিন্তু আমি তো আইসক্রিম খেতে পছন্দ করি না মানে আইসক্রিম খাই না।

---তারমানে আপনে সেই ছোট্টবেলার রাহিম?

---ইয়ে মানে।

---কুত্তা, বিলাই, শয়তান এতক্ষণ ধরে আমার সাথে তাহলে অভিনয়?আমি তো প্রথমে বুঝেছি যে তুমি রাহিম যখন ঐ অন্ধলোকটাকে সাহায্য করলে আর তুমি তো ছোট্টকালের থেকে এইরকমই ছিলে যখন কারো বিপদ দেখতে অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে। ইয়ে মা আমি তো তুমি বলে ফেলেছি সরি।

----ঠিক আছে তুমি যখন বলে ফেলেছ বলতে থাকো।

----তাহলে প্রপোজ করো আমাকে?

----প্রপোজ কেন?

----তুমিই তো বললে gf বানাবে তাহলে প্রপোজ করো, না হলে আমি চলে যায়।

---এই যেও না প্রপোজ করছি।

----তাড়াতাড়ি করো না হলে চলে যাব।

আমি হাটু গিড়ে বসে

-----তুমি কী হবে আমার দিনের আলো
     যার স্পর্শ জেগে উঠবে মনে হাজার খেয়ালুও।

     তুমি কী হবে আমার রাতের সাথি

      যাতে চাঁদের আলোটা প্রতিদিন দেখতে পারি। 
আই লাভ ইউ জান্নাত।

---হ্যাঁ হবো আই লাভ ইউ টু।

(সমাপ্ত)

(লেখক আবু কালাম আজাদ এবং বাড়িত এসে ভাবতে লাগলাম সেইখানে থেকে লেখক রাহিম মিয়া )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ