"ভাবোদয়"
________________
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই ওয়েস্টার্ন চ্যানেল গুলোতে চোখ দেই আমি। সেখানে মেয়েদের রাম্প শো দেখলেই ইচ্ছে করে ওদের মতো নিজেও কিছু শিখি। বিশেষ করে তাদের পোশাকের দিকে তাকিয়ে থাকি মনোমুগ্ধকর দৃষ্টিতে। এই সবকিছুই আধুনিকতা। বর্তমান সময়ে পুরো সমাজ এখন আধুনিকতায় ছেয়ে গেছে, সেখানে আমার মনও ছাপিয়ে উঠেছে এই আধুনিকতার মাধ্যমে।
.
রাম্প শো দেখার এক ফাঁকে কলিং বেল বেজে উঠলো। নীলুর মা প্রতিনিয়ত দরজা খুলে দেয় এ সময়। ড্রইং রুমে শিহাব এসে দেখে আমি টিভি দেখছি। সারাদিন ব্যস্ত ছিল বিধায় হয়ত আমাকে না দেখার ভান করে আমাদের ঘরে চলে গেল সে। আমিও তেমন কিছু বললাম না। সকালে দু'জনের মধ্যে ভীষণ রকমের ঝগড়া বেঁধেছিল। আমরা কেউ কাউকেই ছাড় দেই না। কি জানি! এইটা আমার পক্ষে কতটা ভালো। শিহাব যখন রুমে চলে যায় তখনো রাম্প শো শেষ হয়নি। এরপর ফ্রেশ হয়ে সে ড্রইং রুমে এসে বসলো। ফোনে কিছু একটা দেখছে সে। আমি তখনো চুপ। ইচ্ছে করেই কথা বলছি না তার সাথে। হঠাৎই সে উঠে দাঁড়ালো, টেবিলে থাকা রিমোট নিয়ে আঁছড়ে ফেলে দিল তা। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। অগ্নিশর্মা চোখে তাকিয়ে তাকে শুধু দেখছি।
-"কতবার বলবো তোমায় এসব অশালীন বেশভূষা দেখায় এমন প্রোগ্রাম দেখবা না!"
চেঁচিয়ে উঠলো শিহাব।
আমি গাল ফুলিয়ে রেগে মেগে বললাম, তাতে তোমার সমস্যা কই?
শিহাবকে দেখে আজ বড্ড বেশি রাগী মনে হচ্ছে। এর আগের দিনগুলোতে এমন তাকে দেখি নি। তবে কী সত্যিই আজ কিছু ঘটতে চলেছে?
এক গ্লাস পানি ঢকঢক করে খেয়ে নিলো সে। আমার সামনে এগিয়ে এলো ও, বললো- তোমাকে এর আগেও বলেছিলাম বাইরে বের হলে পর্দা করে বের হবে। তুমি এখন বিবাহিত। এত রূপ সজ্জার চাকচিক্য বাইরের মানুষকে দেখিয়ে লাভ কী?
আমি এতক্ষণে বুঝতে পারলাম টিভির প্রোগ্রাম মূল নয়, আমি দুপুরে টাইট জিন্স আর কামিজ পড়ে বের হয়েছিলাম বলে শিহাবের এত রাগ। তবে তার এসব রাগ দেখার সময় নেই আমার। এর আগেও বহুবার শিহাব এমন রাগ দেখিয়েছে, এমন কথাবার্তা শুনিয়েছে এমনকি বুঝানোরও চেষ্টা করেছে আমাকে। তাই বলে কী আমার স্বাধীনতার কোনো দাম নেই?
আমাদের চিল্লানো ক্রমশ বেশি হয়ে যাচ্ছে। বুঝাপড়া কম আর দোষারোপ করা বেশি হয়ে যাচ্ছে। শিহাবের কথা গুলো আমার কাছে মনে হচ্ছে কেউ যেন বিষমন্ত্র পাঠ করছে আর আমার রাগের মাত্রা চরম পর্যায়ে উঠছে। অবশেষে নিজেকে যখন আর দমিয়ে রাখতে পারলাম না তখন হাতের কাছে থাকা গ্লাসটা ভেঙ্গে ফেলে দিলাম সজোড়ে ফ্লোরে ছুঁড়ে মেরে। এতে অবশ্য কাজ হয়েছে। শিহাব আর কোনো কথা না বলে ঘরে চলে গেল। আমি বেশকিছু সময় সেখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলাম। এরপর নীলুর মা এসে ফ্লোর পরিষ্কার করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। পুরো ঘটনার জন্য শিহাব বরাবরই আমাকে দোষারোপ করে এসেছে এর আগেও। সে কোনো ভাবেই আমার মডার্ন লাইফস্টাইল পছন্দ করে না। অথচ আমাদের হাই সোসাইটিতে এসব কমন ব্যাপার। নিত্যদিন ক্লাব, পার্টি এসব যেন আমাকে বারবার টানে। কিন্তু শিহাব কখনো আমার সাথে কোনো পার্টিতে অংশগ্রহণ করে না। তার কথা, আমাকে পর্দা করে চলতে হবে। এতেই নাকি আমাদের সংসারে সুখ ফিরবে। কিন্তু পর্দাকে আমি ব্যাকডেটেড বৈকি অন্যকিছু হিসেবে নিতে পারি না। সময় যখন ফূর্তির সুযোগ দিচ্ছে তবে তো লুটেপুটেই তা উপভোগ করতে হয়। কিন্তু শুধুমাত্র আমিই এসব ভাবি, শিহাব এমন করে কোনোদিন ভাবে নি। শুধু ওর সাথে তর্কই হয়েছে এই যা।
..
খুব সকালে কলিং বেল বেজে উঠলো। নীলুর মা দরজা খুলে দিয়ে ভেতরে একজনকে নিয়ে আসে। আমি তখন নাস্তার টেবিলে আর শিহাব ওর অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজ গুছাচ্ছিল। আসলে যে এসেছে তাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। অনিতা, আমার বান্ধবী। পুরনো বান্ধবীকে অনেকদিন পর দেখে নয়ন জোড়া আশ্চর্যের ঢেঁকি তে গিয়ে বেঁধে গেল। ভেতরে ঢুকেই আমার গলা জড়িয়ে গালে একটা চুমু দিল। আমিও ফিরতি চুমু দিয়ে অনিতাকে ব্যঙ্গ করে জিজ্ঞেস করলাম, "এতদিন পর কী মনে করে এলি?"
ও বললো, শপিং এ যাবে। এমনিতে অবশ্য যতদূর জানি সে শপিং এ ভীষণ দূর্বল। তাই অল্প স্বল্প সখেই হয়ত আজ বেরিয়ে পরেছে।
আমি অনিতাকে নাস্তা করতে বললাম। সে শুধু কফি খাওয়ার প্রস্তাবেই রাজি হলো। শিহাব তখন তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছিল। অনিতা ওর পথ আগলিয়ে ধরে।
হাই, হ্যান্ডসাম বলে মুচকি হাসি দেয় অনিতা।
ওর প্রকাশ ভঙ্গিমায় বিরক্ত আসে শিহাবের। তবুও সম্পর্ক এবং সমাজ সাম্যাবস্থায় রাখতে দুই একটি কথা বলেই বেরিয়ে পরলো সে। আমি অবশ্য জানতাম যে, অনিতার সাথে শিহাবের খুব একটা পড়তা পরবে না। কারণ শিহাব কখনোই আধুনিক পোশাক পছন্দ করে না। আর অনিতার টপ, জিন্স পরা পোশাক তো আরোই না। শিহাব চলে গেলে অনিতা আমাকে প্রশ্ন করে আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়েছে কিনা! আমি মাথা নেড়ে হাল্কা স্বরে উত্তর দিলাম, "না"। মনে মনে ভাবলাম এমন ব্যাকডেটেড হ্যাজবেন্ডের সাথে সারাজীবন কাটাবো কীভাবে?
.
সংসারে হুটহাট ঝগড়া লেগেই চলেছে আমার আর শিহাবের মধ্যে। শিহাব বরাবরই আমাকে পর্দা করার জন্য বলে যাচ্ছে কিন্তু আমি পর্দার বিপরীতে চলছি। আমার কাছে পর্দা করার দাম খুবই কম। ইনফ্যাক্ট, আমি তো চাই এদেশের মেয়েরা আরো আধুনিক হয়ে উঠুক। তাদের রূপের সৌন্দর্য দেখে মূর্ছিত হোক অন্য দেশ। আজকাল ম্যাগাজিন গুলোতে চোখ বুলালেই বুঝা যায়, কতটা উন্নতির শিখরে আমরা। সেক্ষেত্রে আমি পর্দা করে চললে সমাজের দৃষ্টিতে আমাকে জোঁকার ছাড়া অন্যকিছু ভাববে না। তাই ঠিক করেই নিয়েছি, আমি পর্দা করবো না।
এভাবেই চলে যাচ্ছে বেশ।
মাস খানেক পর শিহাব একটা গুড নিউজ নিয়ে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায়। ভালো পারফরমেন্সের জন্য প্রমোশন হয়েছে ওর। খবরটা সত্যিই আনন্দের। এ খুশিতে শিহাবের কাছে বায়না করলাম, আগামীকাল ওর সাথে শপিং এ বের হবো। হয়ত শিহাবের মন ভালো থাকায় আমার এক কথাতেই রাজি হয়ে গেল।
.
প্ল্যান মতো, প্রায় সকাল ১১টার দিকে আমরা বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে পৌঁছালাম। আজ অনেক বেশি শপিং করবো বলেই মন স্থির করে এসেছি। শিহাব গাড়ি পার্কিং করছে। আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বরাবরের মতো আজও পর্দা করি নি। বেশ আধুনিক টাইপের ড্রেস আমার পরনে। শিহাব না ফিরতেই চার পাঁচটা বখাটে ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে বাজে কথা বলে গেল পাশ কেটে। আমি নাক শিটকিয়ে কিলবিলিয়ে ভাবলাম, দেশের কী অবস্থা! মেয়েদের দেখলেই লালা ঝরে ছেলেদের। এরপর মধ্য বয়সী এক লোক আমার দিকে ড্যাবডেবে চোখে তাকিয়ে আছে এমন দৃশ্যই আমার নজরে পরলো। খুব বিরক্ত লাগলো তাতে। মুখ ঘুরিয়ে আমি আরেকটু সামনে এগিয়ে গেলাম। শিহাবের না ফেরাতে মেজাজ আরো বেশি খারাপ হতে লাগলো। অল্প কিছুক্ষণ পর দেখছি শিহাব পর্দা করা এক মেয়ের সাথে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। মেয়েটি এসে পরিচয় দিলো সে শিহাবের বান্ধবী। অথচ শিহাব আমার পরিচয় তার কাছে দিতে গেলে লজ্জাবোধ করছিল। নিজের স্ত্রীর পরিচয় দিতেও পুরুষের এত লজ্জা জানা ছিল না। এরপর আমরা তিনজন শপিং মলের ভিতরে গেলাম। শপিং এর এক পর্যায়ে দেখলাম সবাই শিহাবের বান্ধবীকে বেশ সম্মান দেখিয়ে জিনিষপত্র দেখাচ্ছে কিন্তু অসভ্য দোকানদার গুলো কেবল আমাকে পণ্য বস্তু না দেখিয়ে আমার শরীরের দিকে চেয়ে রয়েছে যেন আমার শরীর ভোগ্যবস্তু । খুব ইচ্ছে হচ্ছে তখন নিজের শরীরকে আবৃত করে নেই। আবার শিহাবের বান্ধবীর দিকে চোখ গেলেই এক অসহ্য রকম হিংসাত্মক মনোভাব জেগে উঠছে। আমি আর তাই শপিং মলে বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না। শিহাবকে বলে ওর সাথে তখনই বাসায় রওনা দিলাম। ফিরতি পথে হঠাৎ আমার নজর গেল শিহাবের দিকে। আমাদের গাড়ি তখন ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে আছে। শিহাব একটি মেয়েকে আড় চোখে দেখছে। মেয়েটিও বেশ সুন্দরী, আধুনিক পোশাকাদি পরে রয়েছে। বিষয়টা আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। মনের ভেতর কিছু একটা অনুধাবন করতে লাগলাম। ইচ্ছে হচ্ছিল খানিক সময় কাঁদি। এরপর সবুজ সিগন্যাল দেখে শিহাব গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বাসায় নিয়ে গেল।
.
দুপুরে খাবার টেবিলেই একবার শিহাবকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছিল, বিবাহিত হবার পরেও কেন সে অন্য মেয়েদের দিকে অমন কুনজরে তাকাবে? তবে কী আজ শপিং মলের দোকানি গুলোর লোভাতুর চোখ কেবল আধুনিকতার চাটুর্যে যে শরীর অর্ধ উন্মুক্ত তাকেই খুঁজছিল? কিন্তু আমি তো জানি আধুনিক বলতে এই পোশাকই বোঝায় তবে সম্মান পাবার কথা ছিল আমার, শিহাবের বান্ধবীর নয়।
.
অস্বস্তিকর এক উন্মাদনা চিন্তায় ঘুম হলো না সেদিনের রাতে। সকালে নীলুর মাকে কফি দিতে বলে খবরের কাগজে চোখ বুলাচ্ছি। শিরোনামের প্রথমেই ছিল, ২২ বছরের এক তরুণী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। আধুনিক সমাজে বাস করত মেয়েটি। আধুনিক ড্রেস, রাত ১২ টার পর নাইট ক্লাব, সিগারেট টানা এসবই ছিল তার নিত্যদিন। অদ্ভুত! সবকিছু যেন নিয়মের বাইরে চলে যাচ্ছে। খবরের কাগজের অপর এক পৃষ্ঠায় দেখলাম, শালীন পোশাক আর হিজাব পরিহিত ২৫ বছরের এক মেয়ে পড়াশোনায় স্কলারশিপ পেয়েছে। দেশ তাকে সুনামের সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে আর অন্যদিকে সে আধুনিকতার নামে বলি হওয়া ধর্ষিত মেয়েকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে সমাজ থেকে। আমি তখন বুঝতে পেরেছি, ভুলটা আমার কোথায়! শিহাব বারবার আমাকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। তখনই একবার নিজে থেকে বিষয়টা ভাবার প্রয়োজন ছিল, ওয়েস্টার্ন চ্যানেল গুলোকে পুরোটা সময় না দিয়ে কিছু সময় ইসলামিক চ্যানেল কিংবা শালীনতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে হতো। এখন স্পষ্ট শিহাবের বান্ধবীর এত সম্মানের হেতু। আমরা মেয়েরা যদি শালীনতা বজায় রেখে চলতে পারি তাতে একদিকে যেমন ছেলেদের কুনজর থেকে বাঁচা যাবে ঠিক তেমন নিজের আত্মসম্মান অক্ষুণ্ণ থাকবে। সে প্রচেষ্টায় আমি স্থির করে নিলাম আর আধুনিকতা নয়, শালীনভাবে থাকতে চাই। এতে আমার সংসারেও ফিরবে সুখ। কোনো লোভাতুর চোখ আর আমার শরীরে চোখ ফিরাবে না, এমনকি কোনো বিব্রত অবস্থায় পরতেও হবেনা। বখাটে কিংবা যারা আমার শরীরের আকাঙ্ক্ষা করে সেই আধুনিকতা কে ছুঁড়ে ফেলে নতুন ভাবে বাঁচার অবলম্বন পর্দাকে আঁকড়ে ধরতে চাই।
.
এতে শিহাব অবশ্য খুশি হয়েছে। কিন্তু আমার একার পর্দাতে যুব সমাজকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি মেয়ে যদি তাদের নিজের কথা ভেবে আত্মসম্মান বাঁচাতে পর্দা করে তবে একদিকে যেমন তারা পাবে সম্মান ঠিক তেমন নিপীড়ন থেকে রক্ষা পাবে। এতে অন্য পরিবারের মধ্যেও সুখ বিদ্যমান রবে।
পরদিন থেকে তাই আমি পর্দা এবং শালীনতা সম্পর্কে মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা করি। এখন আমি আর শিহাব বেশ আছি। কোনো ঝগড়া নেই আমাদের মধ্যে। তিন বছর পর আমাদের ঘর আলো করে এক ফুটফুটে মেয়ে জন্ম নিলো। ওকে কোলে নিয়ে মনে মনে ঠিক করে নিলাম, আমি ওর মাঝে আধুনিকতার ছাঁয়া ফেলতে দিব না।
..
লেখা : জান্নাতুল মমি
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4865
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ŧ:ā§Ēā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ