āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4859

ভালোবাসার ছায়া
লিখা:জান্নাতুল মমি
.
প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ অপারেশন থিয়েটারের সামনে
দাঁড়িয়ে আছে কিশোর।ভিতরে তার প্রাণ প্রিয়
স্ত্রী সুজানা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
অনেক ঝড় যাওয়ার পর সুখের একটু মুখ দেখেছিল
তারা।ভালোবাসায় পথ চলা এই জুটি টি একে অপরের
পাশে থেকে বিয়ের প্রায় ২ টা বছর কাটিয়ে দেয়
একসাথে।
তাদের ভালবাসার ফলস্বরূপ সুজানার পেটে আজ
কিশোরের বাচ্চা।
আজ সুজানার ডেলিভারি চলছে।ডাক্তার বলেছে
সুজানার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল না।
কথাটি শোনার পর থেকেই ভেঙে পড়েছে
কিশোর।
তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত পাশে কেউ নেই।
বাড়িতে না জানিয়েই কিশোর আর সুজানা বিয়ে
করেছিল।
বিয়ের এই দুই বছর চলে যাওয়ার পরও দুই পক্ষের
বাড়ির লোকজন তাদের এখনো মেনে নেয় নি।
সুজানা আর কিশোরের আশা ভরসা এই একটাই বাচ্চা যা
তাদের কে তাদের নিজ পরিবার এবং আপনজনদের
ফিরিয়ে দিতে পারে।
.
মেয়ের এমন অবস্থা শুনে আজ এত দিন পরে
সুজানার মা বাবাও দেখতে এসেছে
মেয়েকে।
নিজ মেয়ে আর রাগ দুইটাই কখন যে ভয়ংকরী
হয়ে যায় বলা যায়না।
সুজানার বাবা মো: আব্দুল খালেক সাহেব
নিজের মেয়ের থেকে নিজের রাগ এবং বংশ
মর্যাদা কে গুরুত্ব দিয়েছিল।নিজের
মেয়েকেও তিনি আবিষ্টের চাকায় বলি
দিতে পিছুপা হন নি।
কিন্তু আজ!!!
আজ মেয়েকে হারানোর ভয় তাকে গ্রাস
করে ফেলেছে।
সুজানার মা জাহানারা বেগম মাঝে মাঝে
মেয়ের শোকে আর্তনাদ করে উঠছেন।
আল্লাহর দরবারে নিজ মেয়ে এবং মেয়ের
বাচ্চার জন্য হাত তুলেছেন।
...
এছাড়াও আজ ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছে
স্বয়ং কিশোরের বাবা জনাব শিকদার
সাহেব এবং মা কুলসুম বিবি।
.
সবাই আজ নিরবে কাঁদছে।কেউবা খুব জোড়ে
চিৎকার করে বুক ফুলিয়ে কাঁদছে।
দুই বছর আগে কিশোর আর সুজানার একটি
ভুলের জন্য তারা এই দুই বছর পিতা-মাতার
স্নেহ ভালবাসা পায়নি।
আর আজ যখন নিজ সন্তানকে মেনে
নিয়েছে তখন স্নেহ মাখা মুখ নিয়ে
মেয়েটির সামনে যেতে পারছে না
সুজানার মা-বাবা।
.
কিছুক্ষন পর ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার
থেকে বেরিয়ে আসলেন।
মুখটা শুকনো।
এসেই কিশোরকে একটা খুশির সংবাদ
দিলেন।
কিশোর আর সুজানার একটা ফুটফুটে মেয়ে
হয়েছে।
কিশোর অস্থির গলায় নিজ স্ত্রী সুজানার
কথা জিজ্ঞেস করলে ডাক্তার বলে--------
আমরা খুব দু:খিত কিশোর সাহেব আপনার
স্ত্রীকে আমরা বাঁচানোর অনেক চেষ্টা
করেছিলাম কিন্তু পারি নি।
আমাদের ক্ষমা করবেন।
এই বলে ডাক্তার চলে গেল।
চারিদিকে কাঁন্নার স্বর ভেসে গেল।
কিশোরের পুরো পৃথিবী থমকে গেল ভালবাসার
মানুষকে হারিয়ে।
কাছের মানুষের চলে যাওয়া এতটা তীব্র যন্ত্রণার
তা নিজে ছাড়া অন্য কেউ উপলব্ধি করতে পারেনা।
আজকের এই কাঁন্না হয়ত কিশোরকে সারা জীবন
কাঁদিয়েই যাবে
হয়ত পাবে না সে এই কাঁন্না থেকে মুক্তি।
কারন সত্যিকারের ভালবাসা মরে যায় না।
হয়ত মানুষটির অস্তিত্ব পাওয়া যায় না
কিন্তু তাকে ঘিরে ভালবাসার ছায়া আজীবন ঘিরে
থাকে ভালবাসার অপর মানুষটিকে।
সুজানা আজ নেই কিন্তু তার ভালবাসার ছায়া মনের
মন্দিরে কিশোরের চিরজীবন ম্লান হয়ে
থাকবে,হয়ে থাকবে উজ্জীবিত।
সুজানার শেষ স্মৃতি তাদের এই বাচ্চা কে নিয়েই
ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকবে
কিশোর।
এই ভালবাসার মাঝেই এখন সে খুঁজে নিবে পরম
তৃপ্তি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ