*****প্রথম ভালোবাসা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে খুঁজতে লাগলাম আব্বু আর মামাকে, কথা ছিল আমাকে নিতে তারা দুইজন আসবে। কিন্তু অনেক খুঁজাখুঁজি করে যখন পাচ্ছি না, তখন ভিতরে হতাশায় পড়ে গেলাম। হঠাৎ কারো স্পর্শে শরীরে শিহরণ জেগে উঠলো, চেয়ে দেখি একটি মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকের মাঝে মাথা লুকিয়ে আছে। আমি মেয়েটাকে দুইহাত দিয়ে ছাড়িয়ে মুখের দিকে যখন তাকালাম, আমি যেন অন্য জগতে হারিয়ে গেছি এমন মনে হলো, এত সুন্দর মানুষ হয় এই প্রথম দেখে হা করে তাকিয়ে রইলাম। ভাবনায় ছেদ পড়লো মেয়েটা হাতে আংগুলের দেওয়ার শব্দ শুনে, বাস্তবে ফিরে বলতে লাগলাম।
---কে আপনে বলেন তো?
---আমাকে চিনতে পারছিস না, আরে গাধা ভালো করে দেখ।
তারপর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলাম তারপর বলতে লাগলাম।
-- না তো চিনতে পারছি না, কে আপনে? আর আমাকে তুই করে বলছেন কেন? দেখুন ভদ্রতার সাথে কথা বলেন।
---জানতাম গাধা তুই আমাকে ভুলে যাবি আর একশবার বলবো তুই করে কী করবি আমাকে দেখি। তোর সাথে কথা নাই ভুলে যখন গেলি, আমি যাই।
--আরে আরে যাচ্ছেন কোথায় পরিচয় তো দিয়ে যান, কেন জানে খুব চিনাচিনা লাগছে আপনাকে।
---বসে বসে মুড়ি খা চিনাচিনা লাগলে আমি যাই, গাধা একটা।
তারপর মেয়েটা চলে গেল আর আমি হা করে তার চলে যাওয়া দেখতে লাগলাম। কেন জানে বারবার মনে হচ্ছিল মেয়েটাকে আমি চিনি কিন্তু কিছুতে মনে করতে পারছিলাম না। কী সুন্দর তার চোখ যেন মনে হয় হরিণের চোখের থেকেও সুন্দর আর তার কাজল মাখা চোখের মাঝে যেন মায়া ভেসে রেড়াচ্ছিল। এইসব কথা ভাবতে ভাবতে দেখি আব্বু আর মামা আমার কাছে এগিয়ে আসছে। আব্বু কাছে এসে বলতে লাগলো।
--- তোর মামার মেয়ে ইভার সাথে কথা হয়েছি কী রাহিম বাবা আমার?
---কই ইভা আব্বু?
---কিছুক্ষণ আগে না তোর সাথে দেখা করে গেল। কিরে কথা বলেছিসনি, মেয়েটা বড় জেদ্দি তোকে এয়ারপোর্ট থেকে দেখা করে বাসাতে নিবে বলে আমার কানগুলো ফাটিয়ে ফেলেছে,ওকে নিয়ে আসতাম এয়ারপোর্টে।
---নীল শাড়ি যে পরানো কিছুক্ষণ আগে যে গেল এটা কী ইভা আব্বু?
---হ্যাঁ এটাই তো ইভা।
---কি বলো তুমি, ব্যাগ ধরো আমি আসছি।
তারপর দৌড় দিয়ে বের হয়ে রাস্তাতে গিয়ে দেখি ইভা গাড়ি সাথে হেলান লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাছে এসে গলা জাকিয়ে বলতে লাগলাম।
--আপনে না দেখতে অনেক সুন্দর, যদি কিছু মনে না করেন একটা পাপ্পি নিতে পারি।
--কি অপরিচিতা মানুষ থেকে তুই এইসব চাস ছি ছি।
হাত ধরে টান দিয়ে নিজের শরীর সাথে লাগিয়ে
---আরে কিসের অপরিচিতা ইভা বউ আমার, তুই কি মনে করিস আমি তোকে ভুলে যাবো সেটা কখনো সম্ভব না।
---আরে ছাড় এখানে অনেক মানুষ আছে দেখছে আর তোর আব্বু আর আমার আব্বু যেকোনো সময় আসতে পারে।
--আচ্ছা যা ছেড়ে দিলাম, এইবার বল নিজের পরিচয় না দিয়ে চলে আসলি কেন?
--আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুই আমাকে চিনসনি,কিন্তু তুই সেই গাধা ছিলি গাধাই রয়ে গেলি।
--কী আমি গাধা? তুই ইভা একদম ঠিক করছিস না বলে দিলাম।
---কী করবিই শুনি? একশবার বলবো গাধা, গাধা, গাধা।
-তোকে তো রে।
এতপর ইভার মুখ থেকে গাধা কথাটা শুনতে শুনতে, ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দিলাম আর তখনি কথা বন্ধ
--এইবার বল গাধা।
---নিশ্চুপ
--কিরে গাধা বল এখন, কথা বলছিস না কেন?
তখনি আব্বু আর মামার আগমন, তাই আব্বু কথাতে ইভাকে নিয়ে পিছুনে বসে পড়লাম। তবে আব্বু আর মামা সামনে বসে পড়লো। গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে আর আব্বু গাড়ি চালাতে চালাতে মামার সাথে কথা বলছে। ইভার দিকে চেয়ে দেখি কি যেন ভাবছে। হঠাৎ ইভা আমাকে
(চলবে,,)
*****প্রথম ভালোবাসা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
২য় পর্ব, প্রথম পর্বের পর থেকে।
--হঠাৎ ইভা আমাকে ধরে লম্বা একটা কিস নিয়ে নিল, আর আমি তো যখন ইভা ছাড়লো চোখ খুলে অবাক। যে ইভাকে ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করার কারণে লজ্জায় কথা বলেনি, আর সে কিনা কিস করলো। নিজেকে হুশে এনে বলতে লাগলাম
---এটা কী হলো?
--কি আর হবে, ঐ সময় যে গাড়িতে উঠার আগে চেয়েছিস সেটা আমি না হয় দিয়ে দিলাম।
---এতদিন আমেরিকাতে দেখেছি এইসব খোলামেলাভাবে হয়, আজ তুই এটা করে প্রমাণ করলি বাংলাদেশের মেয়েরাও কম না।
---ঐ এইসব ইংরেজির মেয়েদের সাথে আমাকে তুলনা দিবি না, তুই আমার প্রথম ভালোবাসা আর আমি যখন যা খুশি তাই করবো।
---আস্তে বল আব্বু আর মামা শুনতে পাবে।
---সরি রে।
---ঠিক আছে, আচ্ছা আমার ছোট্ট মহারানিটা কেমন আছে?
---আইরিনের কথা বলছিস, ওতো অনেক ভালো আর সারাদিন খালি তোর পিক নিয়ে বসে থাকে চেয়ে চেয়ে চোখ দিয়ে দেখে। এমন কি ঘুমানোর সময়ও তোর পিক নিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকে। আমি বুঝি না আইরিন খালি তোর ছবি দিকে তাকিয়ে তাকে কেন? মাঝে মাঝে খুব রাগ উঠে এইসব ওর দেখলে।
---দেখবেই তো যতহোক তোরই তো ছোট্ট বোন আইরিন তাই না, তুই যদি ক্রাশ খেতে পারিস, আইরিন খাবে না কেন?
--ঐ আমি ক্রাশ খেয়েছি কে বলেছে তোকে?আর ক্রাশ ছেলেরা খাই মেয়েরা না ।
---তবুও কিছু মেয়েরা খাই তোর মতো যা প্রকাশ করতে চাই না, আচ্ছা বাদ দে ঐসব। কিন্তু আমি জানতে চাই আমার এত পিক নিলি, আর আমাকে তোরা দুইবোন নিজেদের পিক দিলি না কেন?
---রাগ করিস না রাহিম বাবু আমার, আসলে তোকে আমি সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছি, পিক দেখলো তো আর আমাকে দেখে ভালো লাগতো না তাই দেয়নি আর দেখতে চেয়েছিলাম তুই আমাকে চিনতে পারিস কিনা। কিন্তু আইরিন কেন দেয়নি আমি জানি না আর ওকে জিজ্ঞাসাও করিনি।
তারপর আরো অনেক কথা হলো ইভার সাথে গাড়িতে। এক সময় গাড়ি নিয়ে বাসাতে পৌঁছে গেলাম সন্ধার দিকে, নেমে তো আমি অবাক দেখে। গত ১০বছরে অনেক বদলে গেছে। আমাদের টিনের বাড়িটা আজ তিন তালা দালানে রুপান্তরিত হয়ে গেছে। বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখি অনেক অপরিচিত মুখ তার মাঝে আম্মুকে দেখতে পেলাম। আম্মু দৌড় দিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন। আর বলতে লাগলো, আমার ছেলেকে আর কোথায় যেতে দিবো না, বাবা তুই আর কোথাও যেতে পারবি না। আমিও আম্মুকে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি ফেলে দিলাম, এটা যে সুখের পানি গো, কষ্টের নয়। তারপর সব নতুন মুখের সাথে আম্মুই পরিচয় করে দিলেন। চাচাতো ভাইবোন, ফুফাতো ভাইবোন আর আমি কিছু ছোট্টবেলার বন্ধুরাও এসেছে দেখার করার জন্য, সবাই দেখলাম প্রায় বড় হয়ে গেছে। কিন্তু আইরিনকে দেখতে পেলাম না মানে আম্মু আইরিনকে চিনে দেননি। আম্মুকে প্রশ্ন করলাম, আইরিন কোথায়? আম্মু বলে আইরিন কোথায় জানে না। তারপর আম্মু আমাকে নিয়ে নিজের রুম দেখিয়ে ফ্রেশ হয় টেবিলে আসতাম বলে চলে গেল। রুমে গিয়ে শার্ট খুলে যেই রাখলাম হঠাৎ কেউ পিছনে জড়িয়ে ধরলো। মনে মনে ভেবে ফেললাম এটা ইভাই হবে।
--আরে ইভা তুইও না ছাড় আমি গোসল দিবো,পরে দুষ্টামি যা খুশি করিস।
---কি আমাকে ইভা মনে হয়,তুই আমাকে ভুলে যেতে পারলি। ছোট্ট থাকতে কত খেলা করলাম আর আজ ভুলে গেলি আমাকে রাহিম।
নিজেকে ঘুরিয়ে দেখে তো আমি অবাক, এই মেয়ে কে আর আমাকে জড়িয়ে ধরলো কেন? পাঁচ, সাত না ভেবে প্রশ্ন করে ফেললাম।
>>আপনার সাহস তো কম নয়, অন্য কারো রুমে এসে তাকে জড়িয়ে ধরেন, লজ্জা শরম নেই নাকি।
---আমার কি মনে চাচ্ছে জানিস তোকে ঠাস ঠাস করে দুইটা থাপ্পড় দিতে, আরে আমি আইরিন হাদারাম।
---আরে আইরিন তুই, সরি চিনতে পারিনি আর আমাকে আপনে করে বলবি বয়সের আমি তোর থেকে অনেক বড়। ছোট্ট থাকতে যা করেছি সেইসব নিয়ে এখন বসে থাকলে চলবে না । বড়দের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলবি আর ভাইয়া বলে ডাকবি ঠিক আছে।
--পারবো না ভাইয়া ডাকতে আর এইসব মানতেও পারবো না। ছোট্ট থাকতে তুই বলে ডেকেছি তুই, তুই বলেই ডাকবো, যা করার তুই করিস দেখে নিবো, কিন্তু আপনে বলে ডাকবো না কখনো ।
--ছোট্ট থাকতে জেদটা এখনো আছে দেখছি তোর, আচ্ছা যা খুশি ডাকো মহারানি। এখন যা এখান থেকে আমি গোসল দিয়ে নেয় আগে, তারপর জমিয়ে কথা হবে।
আইরিন চলে গেল আর আমিও বাথরুমে গিয়ে গোসল দিয়ে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসে পড়লাম। চারদিকে দিয়ে চেয়ে দেখি আব্বু, মামা, মামি আর তার দুই মেয়েও বসে আছে । আম্মু খাবার বেড়ে দিয়ে দিচ্ছি আর আমি খাচ্ছি। হঠাৎ আমার পায়ে কারো পায়ের স্পর্শ পেলাম। ইভাকে আস্তে আস্তে বললাম।
---ইভা পা দিয়ে খেলা করছিস কেন? শান্তিতে খেতে দিবি না নাকি।
--আমার পা তো জায়গাতেই আছে।
---তারমানে আইরিন।
---আইরিন মানে?
--কিছু না, তুই আমার চেয়ারে বস আমি তোর চেয়ারে বসছি।
--কিন্তু কেন?
---আরে মামার পাশে বসে খাবো তাই উঠ তো।
মামা ইভার সাথে বসে ছিল, এই বাহানায় ইভা চেয়ারে গিয়ে বসে পড়লাম। খাওয়া দাওয়া শেষে ছাদে গিয়ে সবাই মিলে আড্ডা দিতে বসে গেলাম, এর মাঝে আইরিন বলে উঠলো কানামাছি খেলবে আর আমার চোখ বলে বাঁধা হবে। কি আর করার ইভাও চাপ দিচ্ছিল তাই রাজি হয়ে গেলাম চোখে কাপড় লাগানোর জন্য। চোখে কাপড় লাগিয়ে যখন কানামাছি খেলছি কাউকে ধরলাম মনে হয় কাপড় সরিয়ে দেখি আইরিন। তাই আইরিনের চোখ এইবার বাঁধা হলো। কিন্তু বারবারই আমাকে ধরতে আসছে, একসময় জড়িয়ে ধরে ফেলে।
---আইরিন ছাড় বলছি আর কত ধরে রাখবি, আর আমার পিছু এইভাবে পড়ে গেলি কীভাবে? তোর চোখ নিজের হাতে ভালো করে বেঁধেছিস তো আইরিন?
--হ্যাঁ অবশ্যই অনেক টাইট দিয়ে বেঁধেছি আর তুই যদি সামনে আসিস আমার কি দোষ।
---আচ্ছা তোর কোনো দোষ নেই, আমি আর খেলবো না রুমে যাচ্ছি।
রুমে গিয়ে উল্টা হয়ে শুয়ে শুয়ে রবীন্দ্রনাথ এর বই পড়তে লাগলাম। হঠাৎ কারো নরম শরীর আমার পিঠের উপর পড়ে গেলো মনে হলো।
--আইরিন তোর জ্বালা আর ভালো লাগছে না বলে দিলাম, পিঠের উপর থেকে সর না হলে।
এইবলে আমি শরীর নাড়িয়ে খাটের উপরে ফেলে দিলাম আর যা দেখলাম ঘুরে আমি তো অবাক
কারণ
(চলবে,,)
*****প্রথম ভালোবাসা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
৩য় পর্ব, ২য় পর্বের পর থেকে।
--কারণ এটা তো ইভা। এখন কি হবে ভাবতে যেই লাগলাম, ইভা রাগি চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন শুরু করলো।
----কিরে পিঠ থেকে আমাকে ফেলে দিলি কেন? আর আইরিন করে ডাকছিলি কেন? আসলে আইরিনের সাথে তোর কী হয়েছে বল তো?
---সরি রে ইভা আমি বুঝতে পারিনি তুই ছিলি আর ইভা তোকে খুলে বলা দরকার সব আমার মনে হয়। আসলে আমি যখন বাসাতে এসে কাপড় খুলে গোসল করতে যাবো, তখন শার্ট খুলে রাখা মাত্রই আইরিন আমাকে পিছুনে দিকে জড়িয়ে ধরলো। আমি সত্যি করে বলছি ওটা যে আইরিন আমি বুঝতে পারিনি, পরে ঘুরে আইরিনের মুখে ওর নাম যখন শুনলাম বুঝতে পেরেছি আর আইরিনকে বুঝালাম আমাকে যাতে ভাইয়া বলে ডাকে, কিন্তু তোর ছোট্টবোন কোনো মতেই আমার কথা শুনতে চাই না।
----বুঝলাম আইরিন তোকে মনে হয় অনেক ভালোবেসে ফেলেছে, তুইও ভালোবেসে আইরিনকে নিয়ে থাক আমি যাচ্ছি।
দাঁড়ানোর থেকে চলার সময় ইভাকে হাতে ধরে টান দিয়ে খাটে ফেলে ওর উপর দেহ ভর দিয়ে চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলাম
---কিসের ভালোবাসা রে, আমি তো শুধু তোকে ভালোবাসি, আর তুই আমার প্রথম ভালোবাসা। যদিও আইরিনকে ভালোবাসতে যায় সে হবে ২য় ভালোবাসা আর প্রথম ভালোবাসার মতো কোনো ভালোবাসা হয় না। ওকে ভালোবাসলেও মন যে তোর কাছে পড়ে থাকবে।
---ছাড় আমার লাগছে, আর আমি কিছু বুঝতে চাই না আইরিনকেই তোকে ভালোবাসতে হবে।
---তুই যদি এইভাবে বলিস, আমি কিন্তু বিষ খেয়ে জীবনটা শেষ করে দিবো।
---না রাহিম বাবু আমার সেটা কখনো করবি না।
---তাহলে বল ভালোবাসি।আমাকে ছেড়ে যাবি না।
---ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি,অনেক ভালোবাসি আমার এই রাহিম বাবুটাকে। আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধর যাতে কখনো আমরা আলেদা না হয়।
---এই তো ধরলাম তোকে কখনো হারিয়ে যেতে দিবো না, এই বুকের মাঝে সব সময় এইভাবে রাখবো।
---হয়েছে ছাড় এখন, আমাকে যেতে হবে অনেক কাজ আছে।
---একটা পাপ্পি তো নিয়ে নেয় আগে।
---যা দুষ্টু বিয়ে পর পাবি, এখন আর কিছু দেওয়া যাবে না, ছাড় তো।
এই বলে ইভা আমাকে তার বুকের মাঝ থেকে ঠেলা দিয়ে খাটে ফেলে চলে গেল, আর আমিও হাতে রাখার চান্সটা মিস করে ফেললাম, যা প্রতিফলে আপসোস করতে লাগলাম। ইসস কাছে এসেও একটা পাপ্পি পেলাম না, যা বিয়ে পর তো দিবে সেটাই যথেষ্ট আর তার জন্য বিয়েটা যত সম্ভব পরিবারকে বলে তাড়াতাড়ি করতে হবে। এইসব ভাবতে ভাবতে কাপড় চেঞ্জ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে জোরে চিৎকারে ঘুমটা ভেঙে গেল। চোখ খুলে দেখি ইভা আমার রুমে মাঝে দাঁড়িয়ে আছে পিছুনে মুখ করে দরজার দিকে।
---কিরে ইভা এত বড় চিৎকার দিলি কেন? তোর কী হয়েছে?
---আমার কিছু হয়নি, কিন্তু তোর অনেক কিছু হয়েছে মনে হয়। ছি ছি কি সব কাপড় পড়ে ঘুমাস এত ছোট্ট প্যান্ট। তাড়াতাড়ি লম্বা প্যান্ট পড়, আমি চা নিয়ে এসেছি।
প্যান্ট পড়তে পড়তে
---আচ্ছা পড়ছি আর কি করবো বল সেই দেশে এইসব পড়েছি তাই অভ্যাস হয়ে গেছে, তুই কিছু দেখিসনি তো।
ঘুরে এগিয়ে আসতে আসতে
---হ্যাঁ দেখেছি তো আর ভিডিও করেছি, এখন তা ফেসবুকে ছেড়ে দিবো। এই নে চা আগে এটা খা তারপর আমি ফেসবুকে ভিডিও ছাড়বো।
---কি বলছিস এইসব, তুই না আমাকে ভালোবাসিস আমার মান ইজ্জত ডুবাতে এইভাবে পারবি।
--আরে গাধা আমি মজা করছি, আর তোর কী মনে হয় যে এইসব কাপড় পড়া দেখে বিপরিত দিকে চেয়ে থাকে সে ভিডিও করবে?গাধা একটা, তাড়াতাড়ি চা খেয়ে ফ্রেশ হয়ে টেবিল আয়, আমি নিজে হাতে রান্না করেছি তোর জন্য।
---আচ্ছা চা তাহলে নিয়ে যা সব একসাথে খাবো, আর তুই ভিডিও করবি হা হা হা, যে দেখেই চিৎকার দেয়, সে তো কখনো না। আরে গাধী আমিও মজা করছিলাম তোর তালে তালে।
---কি আমার সাথে চালাকি দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।
--আরে বালিশ দিয়ে মারছিস কেন?
---একশবার মারবো।
---আমি কি ছেড়ে দিবো নাকি, আমিও মারতে পারি।
দুইজনই বালিশ নিয়ে একে অপরকে মারতে লাগলাম। একসময় ইভাকে জড়িয়ে ধরলাম, দুইজনে ঠোঁট প্রায় কাছাকাছি ইভার নিশ্বাস আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। যেই কিস করতে যাবো ঠেলা দিয়ে পাগলীটা আমাকে খাটে ফেলে চলে গেল। ইসস আরেকটা চান্স মিস করলাম, বুঝা যাচ্ছে বিয়ে আগে আর কিছু দিবে না।
ফ্রেশ হয়ে টেবিলে গিয়ে অবাক, আমার সব পছন্দের খাবার টেবিলে রাখা আছে।কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবো ভেবে পাচ্ছি না। প্রথমে নুডুস থেকে শুরু করলাম। আমি যে নুডুস মুখে দিয়ে খেতে যাবো মনে হলো আমি যেন নুডুস না অন্যকিছু খাচ্ছি যা লবণবিহীন আর অনেক ঝাল।কিছু খেয়ে গিয়ে কাচ্ছি বিরিয়ানিতে ধরলাম খেতে মুখে দিয়ে মনে হলো এটাও সেই অবস্থা। তাই কিছু খেয়ে বলতে লাগলাম।
---আচ্ছা ইভা সব কী তুই সত্য রান্না করেছিস।
---হ্যাঁ আমি করেছি, কেন ভালো হয়নি নাকি।
--হ্যাঁ অনেক ভালো হয়েছে তোকে তো আমেরিকাতে থাকা দরকার।
---তাহলে খাচ্ছিস না কেন?
--আসলে পেট ভরে গেছে, তাই আর খেতে পারছি না।
এমন সময় আব্বু বলে উঠলো খাওয়ার শেষে ব্যাগ ঘুচ্ছিয়ে নিতাম, কয়েকদিনে জন্য মামার বাড়িতে গিয়ে বেড়িয়ে আসতাম মামা সাথে করে নিয়ে যাবে। আমি আব্বুকে হ্যাঁ বলে উঠে পড়লাম,এমনিতেও মামা বাড়িটা দেখা দরকার তাই আব্বু কথাতে একটু খুশিই লাগলো।রুমে এসে ব্যাগে কিছু কাপড় ঘুচ্ছাতে লাগলাম,তখনই ইভার আগমন।আমি কাপড় রাখতে রাখতে বলতে লাগলাম।
---কিছু কী বলবি ইভা?
--তুই এমন কেন রে?
--আমি আবার কী করলাম?
---এই যে একটা রান্নাও ভালো হয়নি, আর তুই এইসব খেয়ে বললি ভালো হয়েছে কেন রে?
---ভালোবাসি যে আর রান্না করা সেইসব কিছু না, আমি না হয় শিখিয়ে দিবো বিয়ে পর কীভাবে ভালো করে রান্না করতে হয়। এমনিতেও আমার অনেক রান্না শিখানো আছে বুঝেছিস।
---হ্যাঁ বুঝেছি,সরি রে তোকে ভালো করে রান্না করিয়ে খাওয়াতে পারিনি রাহিম বাবু আমার।
হাত ধরে টান দিয়ে নিজের দেহে সাথে লাগিয়ে
---এই পাগলী এখানে সরি বলার কি আছে। তবে একটা পাপ্পি দিয়ে দে সব চলে যাবে ক্ষিধা।
দুইজনই ঠোঁট প্রায় কাছাকাছি, শুধু কাছে যাওয়া
আশায় যেই ছুঁতে যাবে তখনি।
(চলবে,,,)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ