āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4878

*****কর্মফল*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
>>দোস্ত ফারাবি এইবার নতুন বছর উপলক্ষে কি প্লান করলি?

>>কেন তুই কি ভুলে গেছিস রাহিম?

>>তার মানে।

>>হ্যাঁ এইবারও এই বছরে পার্টি হবে আর রোমান্স হবে প্রতি বছরের মতো।

>>দোস্ত তোর বাবার তো অনেক টাকা আছে,  তাই পার্টি দেওয়া তোর পক্ষে কোনো কঠিনসাধ্য কাজ নয়। কিন্তু মেয়ে পাবি কোথায়? কয়েক মাস আগে না তোর gf এর সাথে ব্রেকআপ করলি।

--আরে শালা ব্রেকআপ তো আমিই করেছি, মধু খাওয়া শেষ বলে। আর gf আছে রে, তোকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম নতুন gf এর কথা।

>>এটা নিয়ে কয়টা হলো?

>>এই তো বেশি না মাত্র ৮টা রে।

>>দোস্ত বয়স তো কম হয়নি একটা বিয়ে করে ফেল। এইভাবে কত মেয়েকে খাবি আর আরেকজনের হক নষ্ট করবি।

>>তুই বুঝবি না, নতুন জিনিসের স্বাদ ই আলেদা। বিয়ে করলে প্রতিদিন একই খাবার খেতে হবে। তাঁর চেয়ে ভালো নতুন নতুন খাবার টেষ্ট করবো।
আরে আমি তো ভুলেই গেছি, তুই খেলে তো বুঝবি, না খেলে বুঝবি বা কেমনে ?চল এইবারে কাবাবটা দুইজন মিলে খাবো।

>>নারে আমি ঐসব মেয়েদের শরীরের প্রতি লোভ নেই। আর বিয়ে করিনি বলে ভাবিস না, আমি চুপিচুপি ঐসব খাই।

>>শালা তুই তো একটা হিজড়া মনে হয়।

>>হিজড়া টিজড়া যায় বলিস তোর কথাটা সাড়া দিবো না মনে রাখিস। তবে আশা করি আমার বিয়ের দাওয়াত তাড়াতাড়ি পাবি। তবে একটা কথা রে, যে যেমন কর্ম করে তেমন ফল পায় কিন্তু।

>>তোর আলগা জ্ঞান, তোর মাথাতে রাখ আমাকে দিতে আসিস না। তবে বল বিয়ে করছিস কবে?

>>এই তো নতুন বছরে জানুয়ারি মাসেই করবো ভাবছি।

>>আচ্ছা বুঝলাম। তবে আমি এখন উঠি সন্ধ্যা হয়ে এসেছে বাসাতে যেতে হবে। আগামীকাল মাঠে ৩১তারিখে বিকালে তোর সাথে অনেক কথা আছে।

>>চল আমিও বাসাতে যাবো।

>>আচ্ছা চল একসাথে যাই।

তারপর ফারাবির সাথে হাঁটতে শুরু করে দিলাম। ফারাবির বাসা কাছে হওয়াতে, ওকে পৌঁছে দিয়ে আমি আমার গন্তব্যে রওনা দিলাম। হাঁটছি আর ভাবছি। ফারাবিকে এত করে বুঝলাম বুঝলো না, কিছু তো একটা করতেই হবে। কি করা যায়? কি করা যায়? এইসব মস্তিষ্ক মাঝে ভাবতে ভাবতে কখন যে বাসাতে চলে এসেছি টেরই পাইনি। তাই আর ভাবনায় মগ্ন থাকা হল না। বাসাতে এসে আম্মুকে বলে দিলাম, তোমার অনেক ইচ্ছে বউ আনার তাই না আম্মু। এইবার তাহলে সেইকাজ করতে পার নিশ্চিন্তভাবে। আম্মু শুনে পাগল ছেলে বলে হাসি দিয়ে চলে গেল। বিয়েটা এখন করতাম না, সবে মাত্র চাকরি হয়েছে কয়েকমাস হয়েছে তাই। কিন্তু ফারাবি মুখে ঐ কথাটা শুনে কিছুটা হলেও রাগ উঠে গেল, তাই ফারাবিকে বুঝতে না দিয়ে রাগ, বিয়ের কথা বলে ফেললাম। আর সেই কথার জন্য তো বিয়ে করতে হবে তাই না। রাতে ডিনার করে অফিসের কিছু কাজ ল্যাপটপ এর মাঝে করে ঘুমিয়ে গেলাম তাড়াতাড়ি । সকালে উঠে অফিসে চলে গেলাম। তারপর অফিস শেষে বিকালে বাসাতে এসে ফ্রেশ হয়ে দেখা করতে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি ফারাবি বসে আছে।

>>সরি রে দোস্ত একটু দেরি হয়ে গেল আসতে।

>>ঠিক আছে। তুই তো এখন চাকরি করিস দেরি হতেই পারে, আমি কিছু মনে করিনি।

>>আচ্ছা বল কি কথা বলবি বলেছিলি?

>>এইবারের পার্টি বড় করে দিব, আর দামি দামি বাজি কিনে আনবো।শুন তোকে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে প্রতিবারের মতো।

>>বল কি কাজ?

>>এই নে ১০০টাকা দোকান থেকে আসল পুরুষ কিনে আনবি, কেউ যাতে না বুঝে আমার জন্য। আর বাকি টাকা তুই রেখে দিস।

>>আচ্ছা তুই বসে থাক আমি কিনে আনছি।

দোকানের যাওয়ার পর

>>ভাই এক প্যাকেট আসল পুরুষ কনডম দিন তো।

>>নেন ভাই, তা বিয়ে করেছেন কবে?

>>না মানে সেইসব কথা বাদ দিন, আপনার এটা দাম কত বলেন?

>>১৫টাকা দিন।

>>নেন আপনার টাকা।

কিনার পর যেই আসার জন্য পা বাড়াবো, লোকটার কথা মস্তিষ্কের প্রতিধ্বনি হতে লাগল। বিয়ে করেছেন কবে? তাই ভাবলাম আজ প্যাকেট খুলে দেখি তো কি আছে এর মাঝে। যেইভেবে সেইকাজ,প্যাকেট খুলার পর একটা কাগজ পেলাম আর কিছু বেলুন জাতীয় জিনিস। কাগজ পড়ে যা বুঝলাম এটা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা লিখা আর এটা ব্যবহারের উপকারিতা।
আরো কিছু লেখা দেখতে পেলাম আর বুঝলাম এই তো সুযোগ ঘুঘুকে ফাঁদে ফেলানো। তাই আবার দোকানে গেলাম।

>>ভাই ছোট সুই আছে আপনার কাছে?

>>জ্বি আছে, কয়টা দিব?

>>একটা দিন।

>>নেন ভাই।

>>দাম কত?

>>১টাকা দিন।

>>এই নেন।

তারপর একটা খালি হোটেলে ঢুকে সবগুলো কনডমের মাথা ছিদ্র করে দিলাম ছোট ছোট করে,তারপর  আগের মতো রেখে দিলাম।

>>এই নে তোর আসল পুরুষ আর টাকা।

>>টাকা না বলেছি তুই রেখে দিতি।

>>দোস্ত তুই কি ভুলে গেছিস আমি যে চাকরি করি? তোর টাকা দরকার নেই, নিজেরটা নিজের কাছে রাখ।

>>আচ্ছা। তবে উঠি অনেক কাজ আছে রে বাজি কিনতে হবে। তুই কিন্তু আজ রাত ১১টা দিকে আমাদের বাসাতে চলে আসবি। ছাদে পার্টির আয়োজন করেছি, গানের শিল্পীও আসবে গান গাইতে।

>>আচ্ছা চলে আসবো।

তারপর রাতে নতুন পোশাক পড়ে পার্টির উদ্দেশ্যে চলতে লাগলাম। গিয়ে দেখি মানুষ দিয়ে ভরপুর।
আমি যে মাত্র ফারাবির কাছে কথা বলতে কাছে গেলাম, সে তাঁর পাশের মেয়েকে বলতে লাগল।

>>মারিয়া এটা আমার বন্ধু রাহিম আর দোস্ত এটাই আমার gf বুঝেছিস।

>>আসসালামু অলাইকুম ভাবি।

>>ওয়ালাকুম আসসালাম।

>>মারিয়া তুমি এখানে থাকো আমি আসছি। দোস্ত একটু ঐ দিকে আয়।

গিয়ে

>>বল।

>>ঐ শালা  মারিয়া তোর ভাবি হল কেমনে?

>>সেটা সময় বলবে দোস্ত। আচ্ছা তুই থাক এইখানে নতুন ভাবির সাথে কথা বলে আসি।

তারপর নিজের প্লান মতো আরেকটা কাজ করে ফেললাম। ১২টার পর অনেক দামি দামি বাজি ফুটানো হল টানা আধা ঘন্টা ধরে। তারপর শিল্পীরা গান গাইতে শুরু করে দিল বাজনার ধ্বনিতে। রাত তখন ১টা ৩০মিনিট বাজে এক পর্যায় দেখতে পেলাম ফারাবি আর মারিয়ে চেয়ারে নেই, কিন্তু গান বেজে যাচ্ছে। আমিও বাসাতে চলে আসলাম ফারাবির ফোনে মেসেজ দিয়ে আর আংকেল, আন্টিকে বলে।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে দেরি হয়ে গেল, নাস্তা না করি অফিসে চলে গেলাম। এরই মাঝে অফিসের কাজের সময় ফারাবি কল দিয়ে বললো দেখা করতে। আর আমিও অফিস শেষে বাসাতে এসে ফ্রেশ হয়ে দেখা করতে চলে গেলাম।

>>কিরে ফারাবি দোস্ত বসে বসে কি করছিস?

>>তোর অপেক্ষা করছিলাম বস পাশে। দোস্ত গতকাল রাতে না যে মজা পেয়েছি বলার মতো নেই।

>>তো আমাকে এইসব বলছিস কেন?

>>এই এমনি আর কি।

>>আচ্ছা দোস্ত ফারাবি আমি উঠি রে অনেক কাজ আছে। তোর বাবার তো টাকা অভাব নেই, তাই কাজকর্ম না করলেও চলবে। ঠিক আছে ভালো থাকিস।

সময় তাঁর আপন গতিতে চলতে লাগল, এরই মাঝে জানুয়ারি মাসে আমি বিয়ে করে ফেললাম।
একদিন ফারাবি ফোনে কান্না কান্না ভাবে কথা বলে বললো দেখা করতে।
আসার পর বলতে লাগল।

>>দোস্ত রাহিম আমি তো শেষ রে, কেমনে কি হয়েছে কিছুই বুঝতাছিনা।

>>আরে কি হয়েছে খুলে বল?

>>মারিয়া ঐ মারিয়া মা হতে যাচ্ছে রে, আর সেই বাচ্চার বাবা বলে আমি।

>>সেটা তো খুশি খবর।

>>রাখ তোর খুশি খবর। আমি তো কনডম ব্যাবহার করেছি তাহলে বাবা হলাম কীভাবে বল?

>>সেটাও তো ভাবনার বিষয়।

>>তাই ই তো ভাবছি, অন্যজনের বাচ্চা আমার গলাতে ঝুলিয়ে দিচ্ছে নাতো।আবার কি বলে গিয়েছি জানিস, যদি বিয়ে না করি নারী নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের মামলাতে জেলের মাঝে ঢুকিয়ে দিবে। আমার খুব ভয় করছে রে।

>>ভয় কিসের বিয়ে করে ফেল, আমিও দেখ বিয়ে করে অনেক সুখে আছি।

>>তাই বলে অন্য জনের ফসল নিজে কাঁধে নিতাম।

>>নিয়ে নে, না হলে কত বছরের জেল খাটতে হবে ভেবে দেখ। এখন নারীদের মামলা কিন্তু অনেক
কঠিন শাস্তি দেয় রায়। আর বাচ্চা হলে তুই ডি এন এ পরীক্ষা করলে বুঝতে পারবি এটা তোর বাচ্চা নি, তখন যা করার করিস।

>>আচ্ছা দোস্ত তুই যখন বলছিস বিয়েটা করে ফেলি।

তারপর অনেক ধুমধামে ফারাবি আর মারিয়ার বিয়ে হয়ে গেল। বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চা যখন কয়েক বছর পার করে বড় হল। সেইদিন ফারাবি আমাকে বললো ওর সাথে দেখা করতাম কি জানে কথা বলবে। গিয়ে ভাবির থেকে শুনি আমাকে ছাদে যেতে বলেছে।

>>এসেছিস দোস্ত রাহিম।

>>বাহ্ না তাঁকিয়ে পায়ে শব্দে শুনে বুঝে ফেলেছিস।

ঘুরে ফিরে

>>তোকে তো সেই স্কুল জীবন থেকে দেখে আসছি তাই চিনাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

>>আমাকে তুই পুরাভাবে চিনিস না জেনে রাখিস।

>>হুম পুরাভাবে চিনি না বলেই তো ডেকেছি আজ। আমার মেয়ের সাদিয়ার ডি এন এ পরীক্ষা করেছি আর কি পেয়েছি জানিস ওর বাবা আমি ডাক্তার বলেছে।

>>ঠিক ই তো বলেছে ডাক্তার।

>>তাহলে তুই সব আগে জানিস?

>>হ্যাঁ আমি তোকে পাপের জগত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য এইসব করেছি। তোর মনে আছে শেষেবার যখন আমাকে দিয়ে কনডম এনেছিলি। তখন আমি কনডমগুলো প্রতিটি মাথা সুই দিয়ে ছোট  ছোট ছিদ্র করে দিয়েছিলাম শুক্রাণু যাতে বের হয়ে যায়।আর আমিই মারিয়াকে সব শিখিয়ে দিয়েছিলাম বাচ্চার আসার পর।  দেখ আজ তুই কত সুখি বউ আর বাচ্চা নিয়ে।

>>দোস্ত রে তোকে যে কীভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো বলে বুঝাতে পারছি না।

>>মার খাবি এইসব বললে।

১৭বছর পর সাদিয়া কারো প্রেমে পড়ে স্বর্তী হারায়

(সমাপ্ত)

পরিশেষে মেয়েদেরকে বলছি, কারো ফসল ভুলে চলে গেলে ভেঙে পরলে চলবে না,কিংবা জীবনে প্রতি হতাশা হয়ে আত্মহত্যা করলে চলবে না। মনে রাখতে হবে আপনাদের কিন্তু অনেক ক্ষমতা দিয়েছে সরকার আর অধিকারও।আর যেমন কর্ম করবেন তেমন ফল আপনে না পেলেও, আপনার রক্তের কেউ পেতেও পারে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ