āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4836

রিজেক্ট মাল
,,
রোজ সকালে বের হই ফিরি সেই রাতে আমি ফাহাদ এইতো মাত্র এমবিএ শেষ করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি,সবাই বলে এমবিএ স্টুডেন্ডদের জবের অভাব নাই?
মেসে শুয়ে আছি রাত নয়টা শরীরটা তেমন ভাল নয়,হঠ্যৎ দরজায় নক পড়লো,কেউ না মেসের ছোট ভাই সিফাত[কিছু বলবা ভাই]হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল।
ভাবছেন খামটা কিসের কিসের আবার হবে চাকরির ইন্টারভিউ এর এ পর্যন্ত যতটা ইন্টারভিউ এ গিয়েছি সব গুলাতে কমন ডাইলোক লেখা অভিজ্ঞতা থাকা চাই,আরে ভাই অভিজ্ঞতা কি মায়ের পেটের মধ্যে থেকে নিয়ে আসবো।সকাল বেলা ব্রাশ করে ব্রেকফাস্ট করে বের হবো সে সময় শার্টটা পড়বো দেখি শার্ট নাই,থাকবে কি করে ওটা তো আমার শার্ট না রুমমেটের শার্ট।চলে গেলাম আরেক রুমে সিফাতের কাছে[ভাই একটা শার্ট হবে]চাইতেও লজ্জা করছে কি করা অবশেষে সিফাতের শার্টটা পড়ে গেলাম?
.
সিরিয়লে বসে আছি হঠ্যৎ আমার ডাক পড়লো ভিতরে গেলাম নানা রকম প্রশ্ন যা অদৌ জানা নেই।ইন্টারভিউ শেষে রিজেক্ট হয়ে মেসের উদ্দেশ্যে হাটছি আচমকা একটা ওড়না মুখে এসে পড়লো,চারদিকে তাকিয়ে কাউকে পেলাম না হঠ্যৎ একটা বিল্ডিং থেকে[এই যে মিঃ আমার ওড়নাটা দিন]ভ্যাবাচেকা খেয়ে খেলাম,উপরে আসুন বলছি?
উপরে গেলাম তাও ওড়না দিতে,ভাবতেই নিজেরে ফকিন্নির মতো লাগে।
আমি:এই যে নেন।
মেয়ে:ধন্যবাদ।
আমি:ধুর আপনি তো পুরাই ফাউল রিজেক্ট মাল নিজের ওড়না ধরে রাখতে পারেন না।
মেয়ে:মাল মানে।
আমি:ধুর বুঝবেন না,যাই আমি।
হাতটা টেনে ধরে।
মেয়ে:বল বলছি এমন বললি কেন,নইলে এখানে মেরে রিজেক্ট করে দেবো তোরে একদম কেউ চিনতে পারবে না।
আমি:আপনি তো ভারি বান্দর।
আচমকা শার্টটা হেচকা টান মেরে ছিড়ে ফেললো।
মেয়ে:যা এবার।
আমি:কি করলেন এটা ম্যাইনসের শার্ট।
মেয়ে:ম্যাইনসের মানে,আপনার শার্ট নাই।
আমি:কেনার মতো সামর্থ্য নেই।
মেয়ে:কেন?
অতঃপর আমি সব খুলে বললাম মেয়েটার চোখের কোণে জল নেমে এলো।
.
মেয়েটা আমার ফোন নাম্বারটা নিলো,তারপর মেসে চলে আসলাম সকালে ঘুমিয়ে আছি ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
আননোন নাম্বার থেকে ফোন ওপাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসলো বুঝতে পারলাম এটা সেই মাল।
মেয়ে:এই যে মিষ্টার রিজেক্ট আপনাকে একটা ঠিকানা দিচ্ছি ওখানে যাবেন আজ বিকাল তিনটায়।
আমি:কেন যাবো।
মেয়ে:যেতে বলছি যাবেন,ওহ আপনার তো আবার শার্ট প্যান্ট নেই।
আমি:হুম।
মেয়ে:হুম হুম না করে একটু বাইরে আসুন।
আমি:কেন?
মেয়ে:আসতে বলছি আসবি নইলে মেসে থেকে টেনে বের করবো।
আমি:আসতাছি আসতাছি।
বাইরে গিয়ে দেখি মেয়েটা দাড়িয়ে আছে।
মেয়ে:রিকশায় ওঠেন চলেন।
আমি:কোথায় যাবো।
মেয়ে:শপিং এ।
আমি:কেন?
মেয়ে:আপনার জন্য শপিং করবো।
আমি:আমার টাকা নেই।
মেয়ে:চুপ একদম চুপ।
আমি:আচ্ছা আপনার নামটা তো জানা হলো না।
মেয়ে:আমি জান্নাত এবার ইন্টারে পড়ছি।
আমি:আমি ফাহাদ।
অবশেষে শপিং করে বিকেলের দিকে ওর ঠিকানা মতো গেলাম জবটা হলো না আসলে কোনও পোস্ট খালি নেই তাই।
.
এভাবে অনেক দিন কেটে গেল আবার জান্নাতের ফোন।
জান্নাত:আমাদের বাসায় আসবেন একটু।
ফাহাদ:কেন?
জান্নাত:আসতে বলছি আসেন।
পরে গেলাম বাসায় ঠুকে দেখি সেই লোকটা যার কাছে জবের ব্যপারে গিয়াছিলাম,মানে উনি ওর বাবা সালাম দিলাম।
আংকেল:বাবা তোমার তো জব ম্যানেজ হচ্ছে না যতদিন না হচ্ছে আমার মেয়েটাকে প্রাইভেট পড়াও ওহ তোমার কাছে পড়তে চাচ্ছে।
ফাহাদ:জ্বি।
অবশেষে জান্নাতকে পড়ানো শুরু করলাম এভাবে কাটতে থাকলো অনেক দিন মাস ঘুরে বছর পেরিয়ে গেল?
একদিন সকালে পড়াতে যাচ্ছি দেখি বাড়িতে অনেক মেহমান ভিতরে ঠুকতেই আংকেলের সাথে দেখা।
আংকেল:জান্নাতকে দেখতে এসেছে তুমি বসো বাবা।
আমি চুপ করে বসে আছি হঠ্যৎ দেখি জান্নাত শাড়ী পড়ে সবার সামনে এলো সত্যি দেখতে পরীর মতো লাগছে।ছেলে পক্ষ দেখে ওদের পছন্দ হয়েছে,আংটি পড়াবে ঠিক তখনি।
জান্নাত:আমি আংটি পড়বো না।
আংকেল:কেন মা।
জান্নাত:আমি ফাহাদকে ভালবাসি।
আংকেল:একটা বেকার ছেলে যার চাল চুলো কিছুই নেই তাকে।
জান্নাত:আমি ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।
আংকেল:ফাহাদের কি যোগ্যতা আছে তোকে বিয়ে করার।
জান্নাত:ওহ এমবিএ কমপ্লিট,কিছু করবেই।
আংকেল:থার্ড ক্লাশ মার্ক যার,যে ছেলে ইন্টারভিউ এ রিজেক্ট হয় সে তোর কি করে যোগ্য হয়।
জান্নাত:তার মানে সেদিন তুমি ওরে রিজেক্ট করছো।
আংকেল:হ্যাঁ?
জান্নাত:আমি ওরেই বিয়ে করবো সারাজীবন শশুর বাড়ি থাকবে রিজেক্ট মাল হয়ে।
জান্নাত অনেক জেদি মেয়ে যা বলে তাই করে অবশেষে আমাদের বিয়ে হলো,একবছর পর একটা মেয়ে হলো তারপর একটা জব পেলো ফাহাদ অনেক কষ্টে?
আজ দশটি বছর পেরিয়ে গেছে ওদের মেয়ে বড় হয়ে গেছে একদিন ফাহাদ তার মেয়ের জন্য একটা জামা আনছে মেয়ের হাতে দিতেই [বাবা তুমি এটা কি করছো রিজেক্ট জামা আনছো]খেয়াল করি নি মা?
তুমি আসলেই একটা রিজেক্ট মাল¢জান্নাত হেসে।
...
✍Fardin Ahmed Raju (পড়া চোর)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ