āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4831


_____তবুও ভালোবাসি_____

___জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া___

আজ ভেলেন্টাইনস ডে তোয়ার সাথে দেখা করার কথা অর্নবের। সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছে তোয়া । এদিকে অর্নবের আসার কোনো নামই নেই আবার ফোনটাও অফ রেখেছে। হয়তো আজও কোনো সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছে,এই ছেলেটাকে নিয়ে আর পারি না। সব কিছুতে সারপ্রাইজ দেওয়াটা আজ কাল অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে অর্নবের। এতে তোয়া রাগ করলেও অর্নব সেটাই পাত্তা দেইনা। তবে অর্নবের এই সারপ্রাইজ গুলোও তোয়া উপভোগ করে। শেষে আর রাগ করে থাকতে পারে না। তবে আজ অর্নবের এইটা অনেক বাড়াবারি হচ্ছে। সেই কখন থেকে রাস্তায় দাড়িয়ে  অপেক্ষা করছি। না আজ এর শাস্তি অর্নবকে পেতেই হবে। তোয়া একটি বেঞ্চে গিয়ে বসলো। আরও কিছুক্ষন অপেক্ষার পর অর্নব আসলো। তোয়ার পাশে এসে বসলো।
__সরি জান পাখি,, আসতে একটু লেট হয়ে গেলো।
__......(চুপ)
__বললাম তো সরি!আর এমন দেরি হবে না প্রমিস করছি।
__প্রতি বারই তুমি এই কথা বলো। আর এটাও জানি একটু পরেই ভুলে যাবে।
__না আর ভুলবো না।
__না আজ কনো কথায় শুনবো না। যাও তোমার সাথে ব্রেক আপ।
__কিহহহ! হিহিহি আচ্ছা তার আগে তোমাকে life এর শেষ সারপ্রাইজটা দিতে চাই। চলো আমার সাথে।
__কোথায়? আমি কোথাও যাবো না😏
__যাবে না তো?
__না😏
আর কিছু না বলেই অর্নব তোয়াকে কোলে তুলে হাঁটা শুরু করলো। তোয়া নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তুু পারলো না।
__প্লিজ অর্নব আমাকে নিচে নামাও, দেখো রাস্তায় কতো লোক।
অর্নবের সেই দিকে খেয়ালি নেই। সে তোয়াকে নিয়েই চললো। তারপর অর্নব একটা ফুলের দোকানের সামনে তোয়াকে নামালো।
__ওইখানে তোমার সারপ্রাইজ আছে।
মানুষের বড় একটা ভীর ইশারা করে অর্নব কথাটা বললো। তোয়া অবাক হয়ে একবার ভীরের দিকে আর একবার অর্নবের দিকে তাকালো। তোয়ার জিঙ্গাসু দৃষ্টি দেখে অর্নব বললো।
__ওইখানেই তোমার সারপ্রাইজ,,, চলো।
তোয়ার হাতটা ধরে অর্নব ভীর ঠেলে ভিতরে গেলো। তোয়া সামনে যা দেখলো তাতে তার পৃথীবি যেন থমকে গেলো। মাথা মধ্যে কেমন যেন করে উঠলো। সারপ্রাইজটা আসলেই বড় সারপ্রাইজ ছিলো। তোয়া এমন   সারপ্রাইজ কখনোই চাইনি। অর্নবের রক্তাত্ব দেহটা পড়ে আছে পিচ ঢালা কলো রাস্তাটাই। কিছুটা দুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এক গুচ্ছো গোলাপ। অর্নবের অপর পাশে পড়ে আছে রাপিং করা একটা গিফট। তোয়া পাশে ফিরে দেখে অর্নব পাশে নেই। আর নিজেকে সামলাতে পারলোনা তোয়া। চোখে সামনের মানুষ গুলো কেমন ভাবে যেন দুলতে লাগলো।
এক বছর পর,
গাড়ি এসে থামলো হাসপাতালের সামনে। গাড়ি থেকে নেমে তোয়া একাই হাঁটা শুরু করলো। তোয়ার  মা পেছন থেকে ডাকছে, কিন্তুু সে দিকে কোনো খেয়ালি নেই তোয়ার। অর্নবের হাতটা ধরে রাস্তার মাঝ বরাবর চলে গেলো। হঠাৎ কোথা থেকে একটা বড় গাড়ি তোয়াকে আাড়াল করে ফেললো। তোয়ার মা চোখ বন্ধ করে তোয়ার নাম ধরে চিৎকার করে উঠলো। তারপর কোনো সারা না পেয়ে তোয়ার মা চোখ খুলে দেখলো তোয়া রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আপন মনে কথা বলছে। __আর একটু হলে কি হতো বলোতো?
তোয়া হেসে বললো।
__তুমি আছো তো। তুমি থাকতে আমার কিচ্ছু হবে না।
অর্নব ছাড়া আর কারো সাথেই তোয়া কথা বলে না। তারপর তোয়ার মা বাবা তোয়াকে নিয়ে ডাক্তারে চেম্বারে গেলেন। সবটা শুনে‌ ডাক্তার বললেন।
__ছেলেটার মৃত্যুতে বড় ধরনের পেয়েছে। এই ধরনের সাইক্লজিক পেশেন্টরা সাধারনত নিজেরা একটি জগৎ তৈরি করে। অন্যদের মতো তারাও তাদের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা বাইরের জগতকে উপল্বদ্ধি করতে পারে না। কল্পনার ব্যাক্তিই তার অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করে।
ডাক্তারের কথা শুনে তোয়ার বাবা জিঙ্গেস করলো।
__তাহলে কি আমার মেয়েটা আর কোনো দিনই সুস্থ হবে না?
__দেখুন এসব পেশেন্টের চিকিৎসা নির্ভর করে পেশেন্টের রেসপন্সের উপর। চিকিৎসা থেকে বেশি যেটা পেশেন্টের দরকার সেটা হচ্ছে। কাছের মানুষ গুলোর ভালোবাসা, সহানুভুতি। এগুলো পেশেন্টের সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠার আসল চিকিৎসা।  তবে একটা কথা মনে রাখবেন পেশেন্টকে জোর করে কিছু মনে করানো বা কিছু করানো যাবেনা। হিতে বিপরিত কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই যতোটা সম্ভব আপনারা পেশেন্টের ইচ্ছা অনুযায়ি ওকে কেয়ার করবেন।
ডাক্তারের  পরামর্শ অনুযায়ি তোয়ার বাবা মা তোয়ার কেয়ার করে। এখন তোয়া তার বাবা মার সাথেও কথা বলে তোবে অর্নবের কথা ছাড়া কারো কথা শোনে না।
__দেখ আম্মু অর্নব চলে যেতে চাইছে😏
__অর্নব এটা কিন্তুু ভারি অন্যায়, তুমি জানো না আমার মেয়েটা তোমাকে কতো ভালোবাসে।
মায়ের কথা শুনে তোয়া বাচ্চাদের মতো খিলখিল করে হেসে বললো।
__তুমি এখন যাও,,
অর্নব সারাক্ষন তোয়ার পাশে থাকে। তোয়ার আজিব আজিব বাইনা পুরন করে। কখনো চাঁদের দেশে নিয়ে যায়।
__চলো আজ ছাদে যায়।
অর্নবকে নিয়ে তোয়া ছাদে গিয়ে গল্প করছিলো। হঠাৎ তোয়া অর্নবকে জিঙ্গেস করলো।
__আচ্ছা অর্নব সবাই কেন বলে তুমি নেই, এইতো তুমি আমার কাছেই আছো, তাহলে কেন সবাই এক কথা বলে, আমি সবাইকে কতো করে বলি তবুও কেউ বিশ্বাস করে না। কেউ নাকি তোমাকে দেখতেই পাই না কেন এমনটা বলে সবাই?
__কেউ তো আর আমাকে তোমার মতো ভালোবাসে না তাই ওরা কেউ আমাকে দেখতে পাইনা
__আমি ও তোমার মতো অদৃশ্য হতে চাই
তোয়াকে আর কিছু বলতে না দিয়ে অর্নব বললো।
__এই কথা আর কখনো বলবেনা, আমি এভাবেই তোমাকে ভলোবাসতে চাই।
আর কিছু না বলে তোয়া অর্নবের বুকে মাথা রাখলো। অর্নবও তোয়ার কপালে একটা উঞ্চ ছোয়া একে দিলো।

💑সমাপ্ত💑

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ