āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4843

জুনিয়র যখন বর😜

ইবনাত জান্নাত(তোহা)

সুপ্তি আর সিয়াম.....দুজনের পাশাপাশি ঘর,যদিও সুপ্তি সিয়ামের দেড় বছরের বড়,,, যখন সুপ্তি দ্বিতীয় শ্রেণীতে তখন সিয়াম প্রথম শ্রেণীতে,ওরা বর বউ খেলতো সবাই মিলে!একজনের বাসায় অন্য জন মেহমান যাওয়া ওর লতাপাতা দিয়ে নাস্তা বানিয়ে আপ্যায়ন করা!

,,সুপ্তি অনেক দুরন্তপনা ছিল!!,মার্বেল,ক্রিকেট, হা-ডু-ডু
সব খেলায় ওর অংশগ্রহণ না করলে যেন চলেই না!

একদিন ক্রিকেট ম্যাচ চলছি (ছোটদের আবার ক্রিকেট ম্যাচ😜),খেলোয়াড় ৪জন😜
মাঝারী সাইজের গাছের ডাল দিয়ে স্ট্যাম্প  তারপর বড় সাইজের কাঠ কে ব্যাটের সাইজের কাটা!
সবসময় সুপ্তিই আগে ব্যাটিং করতো এ নিয়ে ওদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া লাগত,কিন্তু ও বড় 😎হিসেবে সবাইকে ওর কথা মেনে নিতে হত!

খেলা শুরু😜....
সুপ্তি ব্যাটিং করছে,...পেছনে অ্যাম্পায়ার হিসেবে সিয়াম🙊😂....
আরেকজন বোলিং এ!আর অন্যজন ক্যাচ ধরার অপেক্ষায় অনেকটা মাছ ধরার স্টাইলে দাঁড়িয়ে আছে😂.....ওভার শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু একটা বলও ঠেকলো না ব্যাটের সাথে----লাস্ট বলে অনেক হুশিয়ারি হয়ে ব্যাট ধরলো সুপ্তি---বল আসছে------উত্তেজনায় আছে সবাই----বলকে ঠেকাতে সুপ্তি অনেকটা ঘুরে গেলো

কথা ছিল বল ঠেকানোর!কিন্তু

হায়!!
এ যে সিয়ামের মাথাকেই বল বানিয়ে ফেললো!

সুপ্তি ভেবেছিল চার/ছক্কা মেরেছে!!সিয়ামের চিৎকারে বুঝতে পারলো!
আর সাতপাঁচ না ভেবেই দিলো ভৌ দৌড় -----তাকে আর পায় কে!!

তারপর আর কি!ওর আম্মুর কাছে নালিশ আসলো-----

প্রতিজ্ঞা করানো হলো তাকে আর কখনো ক্রিকেট খেলবেনা!

সহানুভূতি দেখাতে সিয়ামের কাছে গেলো!

--আরে এ কি"!!!!তুর মাথায় সুপারি দেখা যায় কেন!(সুপ্তি)
---তুই ই তো ব্যাট দিয়ে মারছোস ভুলে গেলি?তুর সাথে আড়ি, আর খেলব না কোনদিন(সিয়াম)
---এবার তো না দেখে খেয়েছিস না খেললে ইচ্ছে করে ব্যাট দিয়ে মেরে দুইভাগ করে দিমু তুর মাথাকে,,এখন মাথা এদিকে আন তুর মাথা ঠিক করে দিচ্ছি,,
আর সিয়ামও বাধ্য ছেলের মত মাথা এগিয়ে দিল---
আর সুপ্তি কি করলো ওর মাথায় ফুলা অংশে দিল চাপ!🙊
অমনি সিয়াম চিল্লানি দিল---
--ওমা!!আম্মু! ব্যথা!! উহহ!!!
আবারও ভয়ে দিল দৌড় সুপ্তি!

কিছুদিন খেলাখেলি বন্ধ ছিল----বেশ কিছুদিন পর!

সিয়ামের জন্য ওর আব্বু একটা সাইকেল আনলো!সিয়াম ওটা দেখাতে আনলো--

-দেখ!!আমার জন্য কি আনছে(সিয়াম)
--ওয়াও!সাইকেল!
--তুকে দিব না আমি এটা আমার সাইকেল(সিয়াম)
--আমি কখন বললাম এটা আমার...???দে আমি শিখিয়ে দিব তুকে(যদিও সুপ্তি সাইকেল চালাতে পারত না,)
সিয়ামকে উপরে বসতে বলল ও দুইপাশে হাত দিলো আর সিয়ামকে বলল প্যাডেল মারতে, একবার অনেক কষ্টে মারলো ২য় বারে সিয়ামের পা গেল আটকে চেইনে এদিকে সুপ্তি সাইকেল এগিয়ে দেওয়াতে ব্যস্ত ছিল,সিয়াম কান্না করে উঠাই দেখলো---
পা কেটে রক্ত বের হছে!
সুপ্তি এটা দেখে কাঁদতে কাদতে ওদের ঘরে নিয়ে গেল সিয়াম কে!

সেদিন অনেক বকা খেয়েছিল
যতটা না বকা খাওয়ার জন্য খারাপ লেগেছিল তার চেয়ে বেশি
সিয়ামের জন্য! অনেক কান্না করে সুপ্তি,
এটা কি করলো  এই ভেবে!আর আল্লাহর কাছে দোয়া করে,,,,সিয়ামকে যাতে খুব তাড়াতাড়ি ভালো করে দেয়-----
কয়েকদিন পর জানতে পারে সিয়ামরা শহরে চলে যাবে,এটা শুনার পর সুপ্তির কিচ্ছু ভালো লাগেনা কত্ত শান্ত একটা ছেলে সিয়াম,,,সুপ্তি যা বলতো তাই ই সে শুনতো,,.আজ হয়ত সুপ্তির কারনেই সিয়ামকে নিয়ে যাচ্ছে ওর মা বাবা,,,

সিয়াম চলে যাওয়ার পর সুপ্তি একদম চুপচাপ হয়ে যায়!কারও সাথেই মিশেনা!

এভাবে কেটে গেলো অনেকদিন,সুপ্তি এখন কলেজে পড়ে ইন্টার ২য় বর্ষে... এতদিনে সিয়ামকে অনেকটা ভুলেই যায়.....

একদিন কলেজ থেকে বাসায় ফিরার জন্য বাসের আশায় দাঁড়িয়ে আছে....অনেকক্ষণ হয়ে গেলো একটা গাড়িও পেলোনা....অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ল.....

আরও কিছুক্ষণ পর একটা বাসের দেখা পেল যদিও বাসে প্রচুর ভিড় ছিল তবুও উঠে পড়লো, মেয়েদের সিটেও দুইজন পুরুষ বসে ছিল,,এর মধ্য থেকে একজন খাতিরর করে উঠে ওকে বসতে বললো!
ওর অনেক ইতস্তত লাগছিল বসতে, পাশের জন গভীর ঘুমে অচেতন দেখে বসে পড়ল,, ফোন টা হাতে নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিল একটু পর ও চমকে ওঠে! ওর কাঁধে কারও মাথা আবিষ্কার করে!তাকিয়ে দেখে অই পোলা ঘুমের মধ্যেই ওর কাধে মাথা রেখে আরও আরাম করে ঘুমোচ্ছে!

সুপ্তি ভেবে পাচ্ছিল না কি করবে সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে,কোন বলিউড নায়ক-নায়িকা বসে আছে!!
বেশ কয়েকবার মাথাটাকে অন্য পাশে করেও কোন লাভ হয়না!!আর না পেরে বোতল বের করে বোতলের সব পানি ছেলেটার মুখের উপর ঢেলে দেয় সুপ্তি,,,

ছেলেতো একেবারে চিৎকার দিয়ে ওঠে!!বাচাও"!বাচাও! ভুত!ভুত আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে জলের ভিতর!বাচাও!
এবার সুপ্তি ঠাস!করে ওর গালে চড় বসিয়ে দেয়!!
পাগল,ছাগল কোথাকার! (ভিড়ভিড় করে বলে)
--এ!এই মেয়ে তুমি আমাকে মারলে কেন?
--এটাকি বাস নাকি আপনার বেডরুম??ঘুমাচ্ছেন তো ঘুমাচ্ছেন তাও আবার মেয়েদের কাধের উপর  মাথা রেখে!(সুপ্তি)
--মা!মানে??(খুব লজ্জা পেয়ে যায় ছেলেটা)সরি ম্যাম!
--ইটস ওকে
একটু পর পর সুপ্তির দিকে তাকাচ্ছে আর যখনই সুপ্তি  ছেলেটার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে তাকায় তখনই চোখ ফিরিয়ে নেয়!!

গাড়ি থেকে নেমে সুপ্তি হাটতে থাকে!ও বুঝতে পারে ওকে কেউ ফলো করছে,,পিছনে তাকিয়ে দেখে অই ছেলেটা ওর পিছু পিছু আসছে---
---এই যে মিস্টার !আপনি আমার পিছু নিয়েছেন কেন???
---কই আমি পিছু নিয়েছি?আমি তো আমার গন্তব্যেই যাচ্ছি!
--মানেকি??হাহ!!এদিকে আমাদের বাড়ি আপনি কেন ঐদিকে যাবেন?(সুপ্তি)
---দেখুন ম্যাম বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু!

আর কথা না বাড়িয়ে হনহনিয়ে সুপ্তি চলে গেলো!!
ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে নিল,,,ওর আম্মুর ডাকছে,
---সুপ্তি,সুপ্তি,দেখ কে এসেছে?

বাহিরে আসতেই দেখে ছেলেটা ---

----এই এই ছেলে আপনার সাহস তো কম না?আপনি আমার পিছু নিতে নিতে আমার বাসা পর্যন্ত এসে পডেছেন???
বের হন,,এক্ষুনি(সুপ্তি)
---সুপ্তি,,কি সব বলছিস তুই??তুই জানিস ও কে?
---তুমি জানোনা মা ও কি করছে আজ কে! এত্ত বড় বজ্জাতের হাড্ডি আমি আর কখনওই দেখিনাই,, বাস থেকে আসতে আসতে সোজা ঘরে?"মা তুমি এখনি বের হয়তে বল অই ছেলেটাকে(সুপ্তি এক নিশ্বাসে বলে ফেলে কথা গুলা)
---ও সিয়াম,তুর সাথে দেখা করতে এসেছে ছেলেটা কতদূর থেকে আসছে ছেলে টা এসব কি বলিস,এদিকে আয় সিয়াম ঘরে আয়(সুপ্তির আম্মু,এটা বলেই উনি চলে গেলেন ভেতরে)
---কিইইই???সিয়াম???কত্তবড় হয়ে গেছিস তুই তুকেতো চেনাই যাচ্ছেনা!আর কিভাবে মনে পড়ল আমাদের কথা???
---আমাদের মানেকি আমিতো তুর সাথেই দেখা করতে আসলাম,,অনেক মিস করি তুকে আসতে চেয়েও আসতে পারিনি!আম্মুকে গ্রামের কথা বললেই রেগে যায়!....আর না পেরে চাচীর কাছে যাব বলে আসলাম,আর তুই কত কিনা---একটু খুশিও হসনি আমায় দেখে(মন খারাপ করে)
---অই তুই আমাকে তুই করে বলছিস কেন আমি তুর চেয়ে বড় এখন থেকে আপু বলবি!
---বয়েই গেছে তুরে আপু ডাকব!আমার উপর যত গুন্ডামি করছিলি সব সুদেআসলে তুলে নিতে এসেছি(সিয়াম এটা বলেই সুপ্তির নাক টিপে দৌড়  দিয়ে ঘরে ডুকে যায়)

আর এদিকে সুপ্তি হালুয়া টাইট হাঁচি দিতে দিতে!

সুপ্তি ছাদে বসে বসে ফেইসবুকিং করছিল! সিয়াম এসেই ওর হাত থেকে মোবাইল্টা নিয়ে নেয়-
---কি কার সাথে চ্যাটিং হচ্ছে??হাহ?বিএফ?দেখি দেখি(সিয়াম)
---দেখ সিয়াম ভালো হবেনা কিন্তু,ফোন দে জলদি!(সুপ্তি)
---নাম্বার বল ফোন দিচ্ছি😜
---😖প্লিজ মোবাইল দে,,,,( সুপ্তি)
---কেন সিক্রেট কিছু আছে নাকি মোবাইলে??(বলতে বলতে ফোন টিপতে থাকে)
---থাকলে তুর কি!মোবাইল দে (সুপ্তি)
---মানেকি তুই আমার বউ, তুর কেউ থাকবে এমন আমি কিছুতেই হতে দিবনা(সিয়াম)
---কার বউ কিসের বউ,কেমন বউ?(সুপ্তি)
---কেন ছোটকালে যে বর বউ খেলতাম!ভুলে গেলি...?(সিয়াম)
সিয়াম সুপ্তির দিকে তাকাতেই সুপ্তি ছোঁ মেরে মোবাইলটা নিয়ে দৌড়ে পালায়!

আর সিয়াম মনে মনে বলতে থাকে!পালিয়ে যাবি কোথায়!বউ তো আমি তুকেই বানাবো!হুম!

সুপ্তিও বুঝতে পারে সিয়াম ওকে ভালবাসে কিন্তু সিনিয়র হওয়াই এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে!

পরদিন কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়

ক্লাস শেষে গেইটে আসতেই বৃষ্টি শুরু হয়!সুপ্তি বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে ছাতাও আনেনি,,,বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত ওয়েট করা ছাড়া উপায় নাই,,,,
সবাই চলে যায় সুপ্তি একাই দাঁড়িয়ে থাকে!
হঠাৎ কাউকে গেইট দিয়ে ডুকতে দেখা যায়!সামনে আসতেই দেখে,সিয়াম ছাতা নিয়ে দারিয়ে আছে"
---তুই??এখানে কেন?(সুপ্তি)
--বেশি কথা না বলে ছাতার ভিতর আয়!
-- ছাতা আরেকটা আনলিনা কেন আমি তুর সাথে যাব না,
---না গেলে থাক দাঁড়িয়ে থাক আমি তুর আম্মুকে গিয়ে বলবো, আপনার মেয়ে একটা ছেলের সাথে ডেটে গেছে(সিয়াম)
---কিই?😱ব্ল্যাকমেইল!!!
---আয় জলদি(সিয়াম)
বাধ্য মেয়ের মত ছাতার নিচে চলে আসে!দুজন হাটছে সমান তালে!হাটতে হাটতে সিয়াম,সুপ্তির হাত ধরে,,আর,,মুখটা কানের কাছে নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে"আমি তুকে ভালবাসি, আই লাভ ইউ সুপ্তি"
সুপ্তি কেঁপে উঠে,
--কি কি হচ্ছে এসব হাত ছাড়"!
--ছাড়ার জন্যতো ধরিনি!আমি জানি তুইও আমাকে ভালবাসিস,বল ভালবাসি?
---কে বলেছে?আমি তুকে ভালবাসিনা!আর এসব আবেগ মাত্র তুই আমার চেয়ে ছোট!মন মানলেও পরিবার,সমাজ কেউওই মেনে নিবেনা!(সুপ্তি)
---আমি কিচ্ছু জানিনা!তুকে ছাড়া আমি আর কাউকেই ভাবতে পারিনা আর পারবও না,,,,
--আমি দুঃখিত! এটা হয়না!ভুলে যা আমাকে এই বলে সুপ্তি চলে যাই,,,,

আর সিয়াম কাঁদতে থাকে,,কেউ দেখতে পায় না বৃষ্টিরর জলের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায় ওর কান্না গুলো!

পরদিন সুপ্তির কলেজে যাওয়ার পথেই সিয়াম দাঁড়িয়ে থাকে,সুপ্তি কোন কথা না বলেইই পাশ কাটিয়ে চলে যায়----সিয়ামও পিছু পিছু যেতে থাকে,,

সুপ্তি ভাবতে থাকে---

সিয়ামের এমন পাগলামি তে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে,,ও বুঝতে পারছে না
,কি করবে কি করা উচিৎ তার!

পিছন দিক থেকে সিয়ামের ডাকে বাস্তবে ফিরে আসে---
---এই সুপ্তি দাড়া! তুই আমার সাথে কথা না বলে চলে এলি কেন?(সিয়াম)
---দেখ সিয়াম,আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে, আর এসব পাগলামি বন্ধ কর শহরে ফিরে যা!(সুপ্তি অনেকটা রেগে কথা গুলো বলে অন্য দিকে ফিরে হাটতে থাকে)
হঠাৎ  করে সিয়াম ওর হাত ধরে টান দেয় যার দরুন সুপ্তি সিয়ামের বুকে এসে পড়ে!এই আকস্মিকতায় সুপ্তি রেগে গিয়ে জুরে চড় বসিয়ে দেয়----

---কি পেয়েছিস তুই হাহ???সহজ কথা মাথা ডুকেনা কেন করছিস এসব??হাহ??কি প্রমাণ করতে চাইছিস এসব করে??বার বার বলেছি আমাদের রিলেশন সম্ভব না তবুও কেন অবুঝের  মত করিস!এখনি চলে যাহহহহ তুই!(চিৎকার করে কথা গুলো বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলে)

সিয়াম নির্বাক হয়ে সুপ্তির দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে!চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছে!

সুপ্তি কাছে এসে--

---দেখ সিয়াম,এসব জাস্ট আবেগ,এটা হয়না,হতে পারেনা ভুলে যা আমাকে,,
পারলে ক্ষমা করিস আমায়--আর শোন---
ওটা বলার আগেই মুখ ফিরিয়ে চলে যায় সিয়াম!

ওর পুরো পৃথিবী যেন অন্ধকার লাগছে!যখন থেকেই বুঝতে শিখেছে সিয়াম

সব কিছুতেই সুপ্তিকে জড়িয়ে রেখেছিল!কখন দেখবে ওকে!কেমন হয়েছে ও দেখতে এসব ভাবতে ভাবতে পাগলামির হাসি দিতো!আর আজ কি থেকে কি হয়ে গেলো!কান্নায় বুক ভাসায়ে দেয়😭

সেদিনই শহরে চলে যায় সিয়াম!

এদিকে সুপ্তি বাড়িতে এসেই সিয়ামকে পাগলের মত খুজতে থাকে যখন জানতে পারে যে সিয়াম চলে গেছে,,...

কান্নায় ঝাপসা হয়ে যায় ওর চোখ!ধীরে ধীরে সিয়ামের শূন্যতা অনুভব করতে থাকে!পাগলের মত মিস করে ওকে!মনে হয় যেন ওর প্রতিটা পায়ে পায়ে সিয়ামের স্মৃতি জড়িয়ে আছে,নিজে নিজেই বলতে থাকে""কেন এসেছিলি এত বছর পর,ভালই তো ছিলাম এতদিন,কেন আসলি? হয়ত তুর নাম্বার নেই আমার কাছে কিন্তু তুর কাছেতো নিশ্চয় আছে,একবারও কি মনে পড়ছেনা আমার কথা""..?

এসব বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে -----
হঠাৎ ওর ফোন বেজে ওটে আননাউন নাম্বার!বুঝতে পারে নিশ্চয়ই সিয়াম  ফোন দিয়েছে!তাড়াতাড়ি রিসিভ করে নেয়!ফোনের ওই পাশে সিয়ামের কন্ঠ শুনে হু হু করে কেঁদে ওটে সুপ্তি---

--অই পাগলী আমার কাঁদছিস কেন??আমি জানি তুই আমাকে ভালবাসিস তাহলে কেন নিজের ভেতর চেপে রেখে নিজে নিজেই কষ্ট পাচ্ছিস???(সিয়াম)
---সিয়াম,প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দে,এরকম আচরণ করার কোন ইচ্ছে ছিল না আমার প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দে(কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বলে সুপ্তি)
---চুপ!বল এবার আমাকে ভালবাসিস,???
---নিশ্চুপ(সুপ্তি)
---কি বলবিনা?
---নিশ্চুপ
---বলবিনা তাহলে?😒 ঠিক আছে,ভালো থাকিস---
আর কিছু বলতে যাবে অমনিই সুপ্তি বলে দেয়--
--ভালবাসি,,তুকে, খুব ভালবাসি আমার পাগলটাকে!😊😂

অনেক ভালই চলছিল কয়েকদিন--
এর মধ্যে কয়েকবার গ্রামেও আসে সিয়াম
সুপ্তির সাথে দেখা করতে

একদিন সন্ধ্যা থেকে ফোন দিয়ে চলে সুপ্তিকে,কিন্তু কেউই রিছিভ করেন্স,টেনশন বাড়তেই থাকে..., খুব অস্থিরতায় এক এক টা মিনিট পার করে সিয়াম---
নাহহহ!!সব কিছু অসহ্য লাগছে,,,,

সকালে উঠেই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেই-----

বাড়ির ভিতর ডুকতেই মানুষ এর ভীড় দেখা যায়,
ওর বুক ধক করে উঠে---

কান্নাকাটিরর শব্দও শুনতে পায়,ওর পা যেন সামনে আগাতেই চাইছেনা!
ভীড় টেলে ভিতরে ডুকে,,

সুপ্তির আম্মু,আব্বু,ভাই সবাই কাঁদছে, কিন্তু সুপ্তি নাই,,

জানতে পারে সুপ্তিকে পাওয়া যাচ্ছেনা! অনেক খুঁজাখুঁজির পরও কেউই তার হদিস দিতে পারলোনা!সবাই খুব ভেঙে পড়ে,.... ওর আম্মুতো নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেয়!
একটু পর ওর আব্বুর মোবাইলে ফোন আসে---

জানানো হয়,একটা মেয়েকে রেপ করে কেউ ফেলে রেখে যায়,এই ফোন তারই হ্যান্ড ব্যাগ থেকে পাওয়া গেছে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে!শীঘ্রই যাতে হাসপাতালে চলে আসেন,,...

ওর বাবা কাউকে জানাইনি ব্যাপারটা মান সম্মানের কথা চিন্তা করে!

সবাই হাসপাতালে দৌড়াই  সাথে সিয়ামও!

কয়েকদিনের মধ্যে কিছুটা সুস্থ হয় সুপ্তি!ওর মা বাবার চেহারার দিকে তাকালেই বুক ফেটে কান্না আসে ওর,কিভাবে কি হল কিছুই বলতে পারেনা,শুধু কিছুক্ষণ চিৎকার করে কেঁদে আবার

নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে আর চোখ বেয়ে পানি ঝরে শুধু!পাড়া-প্রতিবেশীরা দেখতে আসে ঠিক কিন্তু একেকজন, একেক কথা বলে যায়!কেউ কেউ তিরস্কার ও করে যায়!

সুপ্তি ভাবে-----সিয়ামও ওকে রেখে চলে গেল,যাকে সে এতটা ভালবেসেছিল
...একবারও দেখতে আসেনা ওকে,
ফোনে ট্রাই করে দেখে ফোন বন্ধ!এসবের পর সুপ্তি কয়েকবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কিন্তু বার বার বেঁচে যায় ওর আম্মুর জন্য!

কাঁদতে কাদতে মুখটা কংকালসার হয়ে যায়!চোখের নিচে কালি পড়ে যায়!

এভাবেই কেটে যায় আরও কিছু সময়!

সবাইকে অবাক করে দিয়ে সুপ্তির বিয়ে ঠিক হয়!ও শুধু এটুকুই জানতে পারে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,যদিও একবারও জিজ্ঞেস করেনি ওর কাছ থেকে ওর মত আছে কিনা,,,
তাতে ওর কোন অভিযোগ নেই!ওর আব্বু খুশি এতেই সুপ্তি স্বস্তি পায়!

কিছুটা ধুমধামের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়!

সব কিছু কেমন স্বপ্নের মত লাগছে ওর কাছে!সিয়ামকে বড্ড বেশি মিস করছে এই মুহুর্তে!!কতটা স্বার্থপর সিয়াম!এত এত ভালবাসা,,.... সব নিমিষেই শেষ করে দিল!এমন কঠিন সময়েও পাশে এসে দাঁড়াবে দুর নিজেকে আমার কাছ থেকে চিরতরে সরিয়ে নিলো! ভাবতেই কান্না এসে যায় ওর"

হঠাৎ  বুঝতে পারে কেউ রুমে ডুকেছে"!
নিজেকে নর্মাল করার বৃথা চেষ্টা করে সুপ্তি!

বুঝতে পারে এই সেই মহা মানব যার সাথে সারাজীবনের  জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে!

কানের কাছে কিছু অনুভব করে সুপ্তি!!
"পাগলী আমি তুকে খুব ভালবাসি!

চমকে উঠে সুপ্তি,সেই চেনা কণ্ঠস্বর "ফিরে তাকাতেই

""""সিয়াম"বলদের মত দাত খিলায় হাসছে"আর বলছে ---
"আমার পাগলী টা না সারপ্রাইজ পছন্দ করে!তাই সারপ্রাইজ দিলাম---কেমন দিলাম?

কুত্তা,,,বুকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি দিতে দিতে বলে

তুই--!কেন কেন এত কষ্ট দিয়েছিলি এতদিন হ্যা?একবারও খবর নিলিনা আমার,কেমন আছি আমি,!

ছিঃ বরকে কেউ তুই বলে??(সিয়াম)

একদম মজা নিবিনা উত্তর দে আমার কথার(সুপ্তি)

আসলে আম্মু আব্বু তোমার ঘটনার কথা শুনার পর চাইনি আমি তোমার সাথে কন্টাক্ট রাখি!আর আমিও রাগ করে ফোন বন্ধ করে রাখি
খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম.....
আম্মু আমার অবস্থা দেখে একেবারেই ভেঙে পড়েন----


আমিতো আমিই,আমার জায়গায়ই অটুট ছিলাম!পরিষ্কার বলে দিয়েছি
,আমি তোমাকেই বিয়ে করবো,আর যদি রাজি না হয়,আমাকে আর পাবেন না উনারা.....আমার কষ্ট দেখে রাজি হতে বাধ্য হন দুজনই, তোমার আব্বুর সাথে আমার আব্বু  কথা বলে সব ঠিক করে নেয়!?

তোমার বাবাকে বলেছি যাতে তোমাকে এই ব্যাপারে কিছুই না বলেন!কারন আমি জানতাম পাগলী টা কখনওই রাজি হবেনা! কারন ওর চোখে যে আমিই সবচেয়ে বড় অপরাধী "

সুপ্তি একদৃষ্টে তাকায় থাকে সিয়ামের দিকে চোখ দিয়ে পানি ঝরছে!

এই!পাগলী কাদছো কেন হাহ???
আজ থেকে তোমার সব কষ্ট আমি দুর করে দিব,,একদম কাদবানা!(সুপ্তির দুগালে হাত রেখে কথা গুলো বলে)

আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে,কিছুই নাই তুকে দেওয়ার মত,তুই যে আমাকে সারাজীবনের জন্য ঋণী করে দিলি😭

,, সিয়ামের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে থাকে সুপ্তি!

এই!এই!চুপ!!একদম চুপ!আমি তোমার মন টাকে ভালবেসে এসেছি,একদম নিজেকে দোষারোপ করবানা,,,,,,আর মহারাণী এখনো কি তুইতোকারিইই করবা?

থাকো তুমি আমি রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছি, (এই বলে উঠতে যাই সিয়াম)

অই কই যাও!সরি আর হবেনা!(সুপ্তি)

হুম!যাও মাফ করে দিলাম,,,,হে হে!(সিয়াম)

অই বলদের মত হাসো কেন,(সুপ্তি)

কাছে এসে কানে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,,আজকে পাগলী আমার পরী হলো কি করে??হুম?

(খুব লজ্জা পেয়ে যায় সুপ্তি)

আলতো করে সুপ্তির কপালে ঠোট ছুঁয়ে দেয় সিয়াম

                  (সমাপ্ত)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ