story:এরই নাম ভালোবাসা
Writing by Ariyan Raj
______?_______?_____?
অধরাকে ছেরে দে অনন্ত ।
অনন্ত: না আমার অনেক টাকা লস হয়েছে আমি ওকে ছাড়বো না ।
শেষ বারের মতো বলছি ওকে ছাড় অনন্ত ।
অনন্ত: আরিয়ান তুই আমাকে থ্রেট দিচ্ছিস।তুই জানিস না আমি কে।
আরিয়ান: তুই যেই হোস না কেন ওকে ছাড়তে বলেছি ছার।
না ছারবো না।তোকে আগে শেষ করব তারপর অধরাকে নিয়ে ফুর্তি করে আমার টাকা আদায় করব ওর ভাই এর কাছ থেকে অনেক টাকা পাই আমি (অনন্ত)
অনন্ত ওর বন্ধুদের ডাকলো আরিয়ানকে মারতে।কিন্তু আরিয়ান তার পিস্তল বের করে সবাইকে হাতে ও পায়ে গুলি করল।সবাই ভয় পেয়ে আরিয়ানের কাছে ক্ষমা চাই।আরিয়ান তবুও মারতে যায় কিন্তু অধরা আরিয়ানকে বাঁধা দেয় আরিয়ান আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসে নিজের বাসায় ।
ও আপনাদের তো পরিচয় দেওয়া হয় নি ।আমি আরিয়ান রাজ।এলাকার বখাটেদের মধ্যে একজন ।আমার বাবা মা আর ছোট্ট একটি ভাই আছে।পরিবারের কেউ আমাকে দেখতে পারে না আমি নাকি বাবা মায়ের ক্ষতি ছাড়া লাভ করতে পারি না তাই বাসা থেকে বের করে দিসে ।আর তারপর থেকে আমি বখাটে ।মাস্তানি করে যা পাই তা দিয়ে চলে যায় দিন।
আর যার সাথে কথা বললাম সে হচ্ছে অধরা আঞ্জুমান মিম।আমার থেকে দুই বছরের বড়।সেই রকম দেখতে ।বাবা মায়ের চারমাত্র মেয়ে ।বড় গুলোর বিয়ে হয়ে গেছে ।আর ওর বাবা ও ভাই বিজনেস করে।কয়েক মাস তাদের অফিসে লস হওয়ায় তারা অনন্তর কাছে থেকে টাকা ধার নিছে ।এখন সেই টাকা দিতে না পারাই বাধ্য হয়ে অধরাকে দিতে হয়েছে তাদের।অধরাও বাবার সম্মান রক্ষা করতে রাজি হয়েছে ।
আমি অনন্তর বাসায় একটা কাজের টাকা আনতে গিয়ে দেখি অধরা ওর রুমে।আমি তো দেখে অবাক।তারপর বললাম অধরা তুমি এইখানে আর অনন্ত তোমার হাত ধরে আছে কেন।(আমি)
তাতে তোমার কি(অধরা)
আমার কি মানে তুমি কিছু লুকোচ্ছ আমার কাছে কারণ তোমার চোখে পানি টলমল করছে।(আমি)
অামার যেখানে ইচ্ছে যাবো,যা ইচ্ছে করব তাতে তোমার কি ,আর আমি এখানে কেন সেটা শোনার তুমি কে(অধরা)
এবার আমার রাগ কন্ট্রল করতে পারলাম না ঠাস ঠাস ঠাস ঠাস করে চারটি চড় দিলাম ওকে তারপর ও কেঁদে দিছে ।আমি ও ওকে আমার বুকে জড়িয়ে ধরে সব জিজ্ঞেস করলাম ।
তখন ও কাঁদতে কাঁদতে বলল
অধরা:বাবা ব্যবসায় লস খাওয়ার পর ওর থেকে টাকা ধার নিছে কিন্তু আবার লস হওয়ায় আর টাকা দিতে পারে না ।পরে অনন্ত আমাদের বাসায় গিয়ে টাকার জন্য সবাইকে মারতে শুরু করে।আর আমি চিতকার শুনে ড্রইংরুমে আসি।আমাকে দেখে ও আর কাউকে কিছু না বলে বাবা ও ভাইয়াকে বলে যদি আমাকে বলেয় কেঁদে দিল আমাকে জড়িয়ে ধরে ।আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে কি বলেছে।আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেল ।
তারপর তো বাকিটুকু উপরে শুনলেনই ।
তারপর অধরাকে নিয়ে ওর বাব মায়ের কাছে নিয়ে গেলাম।তারপর বললাম আমি অধরাকে ভালোবাসি।ওকে বিয়ে করতে চাই ।
অধরা আমাকে ভালোবাসে আমি জানি ।অধরা খুব খুশি হল।
কিন্তু
কিন্তু অধরার বাবা বললেন তোমার মতো নাম পরিচয়হীন ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবনা।
এবার দেখলাম অধরার চোখে পানি টলমল করছে ।
তারপর বলল যদি মাস্তানি ছাড়তে পারো আর তোমার বাবা মাকে নিয়ে আসতে পারো তাহলে তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিব ।
আমি বললাম আমি মাস্তানি ছেড়ে দিলাম কিন্তু বাবা মাকে আমি কিভাবে রাজি করাব তারা তো আমাকে ভালোবাসে না আর আমার সাথে কথাও বলে না ।
তখন অধরার বাবা বললেন এটা আমার দেখার দরকার নেই তুমি যদি তোমার বাবা মাকে নিয়ে আসতে পারো তাহলে বিয়ে দিব নইলে না ।
আমি পরলাম মহা চিন্তায় ।শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিলাম যা হবার হবে আগে বাবা মাকে রাজি করাতেই হবে। চুল কেটে ছোট করে আগের মতো ভদ্র হয়ে বাড়িতে গেলাম ।কলিংবেল চাপ দিলাম মা দরজা খুলে আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে কারন মা জানে যে আমি একজন মাস্তান এবং বখাটে ।
মা কিছু না বলে ভেতরে গেল ।আমিও মায়ের পিছনে পিছনে গিয়ে মায়ের পা ধরে কেঁদে দিলাম আর বললাম
আমি:মা আমাকে ক্ষমা করে দাও ।আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি ।মা আমাকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল।মনে হয় আমার জন্য তার বুকটা ফাকা ফাকা লাগত।
পরে বাবা আসলে বাবার কাছেও আমি ক্ষমা চাই ।সবাই আজ অনেক খুশি ।আমি বাবা মায়ের সাথে রাতে খাওয়ার সময় বললাম বাবা আর মা তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা আছে।তারপর সব খুলে বললাম অধরার বিষয়ে ।বাবা মা খুশি হয়ে বললেন কাল সকালে যাবো।
পরেরদিন সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙে গেল উঠে ফ্রেশ হয়ে অধরাদের বাড়িতে গেলাম তারপর সেইদিন আমাদের বিয়ে হয়ে যায় কারণ অধরার বাবা আর আমার বাবা নাকি ছোট্ট বেলার বন্ধু ।কিন্তু বাবা অন্য এলাকায় চলে যাওয়ার পর তেমন একটা যোগাযোগ ছিলনা।
আজ আমার বাসর রাত।আমার বাসর ঘরে যেতে কেমন যেন লাগছে তাই যাচ্ছি না ।হঠাৎ মা আর ছোট্ট ভাই এসে জোর করে ঢুকিয়ে দিল ।ঘরে ঢুকার পর অধরা এসে আমাকে সালাম করল আমি ওকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলাম ।তারপর বললাম খুব ভালোবাসি।
অধরা: ভালোবাসো না ছাই যদি ভালোবাসতে তাহলে এতরাত আমাকে একলা রেখে যেতে না।
আমি:আসলে কেমন যেন লাগছিল প্রথমবার তো পরেরবার ঠিক হয়ে যাবে ।
অধরা: কি ২য় বিয়ে করার ইচ্ছে আছে নাকি থাকলে বাদ নইলে
আমি: নইলে কি
অধরা: নইলে আগে তোমাকে খুন করব তারপর নিজেকে শেষ করে দেব।
আমি ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম পাগলি একটা তুমিই আমার প্রথম তুমিই আমার শেষ ।তোমাকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসবো না।
অধরা: তাই।
আমি:হুম এখন একটা পাপ্পি দাও।
অধরা: না দিবনা।
আমি: তাহলে আর কি রিয়ার কাছে যায় বলে যেই চলে আসতে যাবো ওমনি অধরা আমাকে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোট আমার ঠোটের সাথে এক করে দিল।
বাকিটুকু ইতিহাস সবাই কি দেখছেন আরে কারেন্ট নাই অন্ধকারে দেখা যাবে না ।পারলে বিয়ে করেন পরে নিজেই বুঝবেন
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ