āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4880

*****অপারেশন মাইন*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
--তুই ভালোভাবে দেখে এসেছিস তো আকাশ, ওরা এখনো  যায়নি ছেড়ে?

--হ্যাঁ দোস্ত আমি ভালো করে দেখে এসেছি, ঐ পাকিস্তানিরা এখনো স্কুলঘর ছেড়ে যায় নি।

--তাহলে তো অপারেশন করতে হবে রে। দেশ স্বাধীন হয়ে গেল আজ ১৬ডিসেম্বরে, কিন্তু আমাদের জেলার থেকে কুত্তাগুলো গেল না। এখন তো মনে হচ্ছে বড় ধরনের অপারেশন করতে হবে রে,  যাতে একটাও কুত্তা জীবন নিয়ে পালিয়ে না যেতে পারে ।

--হ্যাঁ তাই ই করতে হবে মনে হয় রাহিম দোস্ত আমার।

--জয় বাংলা আজ রাতেই অপারেশন হবে। তোরা সবাই কি বলিস?

--জয় বাংলা, আজ রাতেই আমরা মিলে ওদেরকে মারবো (ক্যাম্পের সবাই একসাথে বলে উঠলো)

--তাঁর আগে অনেক কাজ করতে হবে। মাসুদ তুই আমাদের পাশের সেক্টরে এই চিঠিটা দিবি সেখানের কমান্ডারকে। আর আকাশ তুই আমাদের পূর্ব পাশের জেলার সেক্টরে এই চিঠিটা দিবি কমান্ডারের হাতে। এইখানে লেখা আছে আমাদের লোক রাখবে আর অস্ত্র ও মাইন আর বোমা লাগবে। আর হৃদয় তোকে একটা মেয়ে জোগার করতে হবে যেখান থেকে পারিস। জয় বাংলা।

--জয় বাংলা কমান্ডার। (সবাই একসাথে বলে উঠলো)

তারপর সবাই যার যার কাজে চলে গেল। আর কমান্ডার রাহিম ভাবছে অপারেশনটার কি নাম দেওয়া যায়। রাতে ১০টার দিকে সবাই ফিরে আসলে আবার আলোচনা বসে।

--তোমরা এসেছো আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য দেখে ভালো লাগল। তবে তোমাদের কমান্ডার কি কি দিয়েছে শুনি আর তোমাদের পরিচয় দেও?

--আমরা ৫জন আপনার পূর্ব পাশের সেক্টর থেকে এসেছি কমান্ডার আর আমাদের কমান্ডার অনেক মাইন ও কিছু বোমা দিয়েছে। আমি মোহাম্মদ আলী, আমার ডানপাশে বসে আছে শফিক আর বাম পাশে রফিক, আর সাদা শার্টে যে দেখছেন সে আরাফাত হোসাইন আর আমার পিছুনে যে সে রাজিব ।

---পরিচয় হয়ে ভালো লাগল। তা আমার পাশের সেক্টরে কমান্ডারের অধীনে বীরপুরুষদের খবর কি? তোমাদের কমান্ডার কি কি দিয়েছে আর তোমাদের পরিচয় দেও?

-জ্বী কমান্ডার আমাদের ৪জনের কমান্ডার অনেক মাইন আর অস্ত্র ও মেশিনগান দিয়েছে।আর আমি রাকিব আমার ডানপাশে ইমরান নীল শার্টে আর বামদিকে তানজিম কালো শার্টে। আর একজন কে আপনে তো হয়তো বুঝতে পারছেন সে জাকির।

---সবাই নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত আছো তো?

--জ্বী কমান্ডার। (সবাই জোরে বলে উঠলো)

--জয় বাংলা, ইনআশাল্লাহ্ আমরা পারবো।

--জয় বাংলা কমান্ডার।

--এখন সবাই মন দিয়ে শুনো। যেহেতু মাইন বেশি এসেছে তাই আমি ভেবে ফেলেছি এই অপারেশনটার নাম হবে "অপারেশন মাইন"।আর অপারেশনটা কীভাবে হবে, আমি একটা প্ল্যান মাথাতে বানিয়ে ফেলেছি। তাঁর আগে একটা মেয়েও লাগবে। হৃদয় তোকে যে বলেছিলাম একটা মেয়ে আনতে এনেছিস নি?

--হ্যাঁ এনেছি, ঘরের ভিতরে বসে আছে।

--ঐ মেয়েকে আমাদের মাঝে আসতে বল। প্ল্যানটা তো ওকেও বলতে হবে তাই না।

--আমি এখনি ঘর থেকে ডেকে আনছি।

আনার পর

--কি নাম তোমার?

--জ্বী কামন্ডার ইভা আক্তার।

--তুমি কি নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত আছো?

--মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ।

--মাথা নাড়িয়ে বললে হবে না, মুখে জোরে  বলো।

--জ্বী কমান্ডার আমি নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত আছি আর ততক্ষণ যুদ্ধ করে যাবো যতক্ষণ দেহে প্রাণ থাকবে।

--বাবা তুমি তো দেখছি অনেক সাহসী আর তেজ গঠিত মেয়ে।

--জ্বী কমান্ডার ওরা আমার বাবা, মাকে আর ছোটভাই ও বোনকে  মেরে ফেলেছে। আর আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমি ওদেরকে ছাড়বো না কুত্তাগুলোকে কাঁচা গিলে খেয়ে ফেলবো।

--দেখা যাবে কি করতে পার। এখন সবাই শুনো 
আজ রাতে ৩টার দিকে অপারেশন মাইন হবে। আর তার জন্য ইভাকে আমাদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, সেখানে রাতে দুইজন পাকিস্তানি সৈন্য পাহাড়া দেয় আর স্কুলে কোণার  ঘরটাতে অনেক মেয়েকে বন্দি করে রেখেছ। সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে দুইজনই পাহাড়া দেয়। ইভা আমার কথা মন দিয়ে শুনো তোমার কি করতে হবে।

--হ্যাঁ বলুন কমান্ডার।

--শুনো তাহলে ----------------------আশা করি বুঝতে পেরেছ কি করতে হবে।

--জ্বী বুঝতে পেরেছি।

--এখন সবাই শুনো, এই অপারেশনটার নাম অপারেশন মাইন এই কারণে দেওয়া হয়েছে যে আমাদের কাছে মাইন বেশি। আর তাই সেই মাইন  স্কুলের প্রতিটি ঘরের দরজার সামনে বসাতে হবে। আর তারপর কি করতে হবে সেখানে বলবো আমি। কিন্তু এর আগে ঐ মেয়েগুলো ঘর থেকে বের করতে হবে। আবারো বলছি সবাই কি নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত আছো নি?

জোরে সবাই বলে উঠলো

--  জ্বী কমান্ডার।

--জয় বাংলা।

--জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা।

সবাই হাতে অস্ত্র নিয়ে উচ্চস্বরে হাত তুলে। তারপর যথা সময়ে কমান্ডার রাহিম মুক্তিবাহিনী নিয়ে স্কুল ঘরের পিছুনে বাঁশ বাগানে অবস্থান নিলো ।

--ইভা কি কি বলেছিলাম মনে আছে তো? যাও তোমার কাজ শুরু করো।

--জ্বী কমান্ডার মনে আছে আর এখনি শুরু করছি।

তারপর ইভা ঐ দুই পাহাড়াদারের কাছে যায়।

--কি করেন লোহার টুপির মাথাতে দেওয়ার ভাইরা?

--দেখতা নেহি হে হাম পাহারা দেতা হু। কিন্তু তুম এদার কেসে আয়ে?

--আপনাদেরকে দেখতে এসেছি, সারারাত তো গরুর মতো  কাজ করেন তাই ভাবলাম একটু সুখ দেয় আপনাদের মতো মানুষকে।

--কে বলা কুছ সামজা নেহি মে।

--চলেন আজ রাতে আমি আর আপনে শুধু।

--অ আপ সামজা মে। চলো ঘারমে।

--ভিতরে যাব না, ভিতরে গেলে আপনার বড় স্যারও খেতে চাইবে। চলেন পিছুনে বাঁশ বাগানের আড়ালে খাবার দিব। আমার বয়স কিন্তু কম, আপনি মজা পাবেন।

--তুমকা ওম কম হে লা যাবাব। চলো আজ হাম আর তুম সারিরাত একসাতে।

---চলেন তাহলে (হাত ধরে টানতে টানতে)

--তু এদার থাক হাম আতা হু ok।

--আচ্চা।

তারপর ইভা ঐ পাকিস্তানের সৈন্যকে যখন বাঁশ বাগানে নিয়ে আসলো। তখন সবাই মিলে ওকে ধরে চাকো দিতে মেরে ফেললো।

--ইভা একটা তো শেষ করলাম আরেকটা আছে। ওটাকে যেভাবে হোক আনতে হবে তোমাকে আর শরীরে কিছু কাপড় ছিঁড়ে নেও, না হলে বুঝে ফেলবে তোমার সাথে কিছু করেনি।

---আচ্ছা কমান্ডার ঠিক আছে।

--আর এখন যাওয়া ঠিক হবে না ১০মিনিট পরে যাও। নিজের মাঝে শক্তি আনো।

--আচ্ছা কমান্ডার।

১০মিনিট পর

--তুম এদার কা করতে হু মেরা দুচ কেহা হে?

--ওনি খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে গেছে তাই এখন ঘুমাচ্ছ আর বলেছে আপনাকেও খাবার দিতাম।

--মেরা দুচ ঘুমাগায়া তুমকা আদুর পাকে। চলো হাম বি তুমকে খাওনগা সারিরাত।

--চলেন এমন আদর দিব, যে আপনিও ঘুমিয়ে যাবেন।

তারপর ইভা যখন ঐ সৈন্যকে বাঁশ বাগানে নিয়ে আসলো, আগের মতো এটাকেও মেরে ফেললো।

---অপারেশন ১সফল হলো ইভা তোমার জন্য। অপারেশন মাইন ২তোমাকেই করতে হবে। আমরা পুরুষরাই করতে পারতাম, কিন্তু সেখানে যেহেতু সব মহিলা আর কাপড় শরীরে আছে কিনা সন্দিহান। কারণ অন্য জেলাতেও কাপড় বিহীন নারী পাওয়া গেছে। তাই আমি আসার সময় অনেক কাপড় নিয়ে এসেছি ব্যাগে নেও। আর তোমার সাথে একজন মুক্তিবাহিনীও যাবে, সে দেখে রাখবে পাক বাহিনী বের হয় কিনা। আমরা এইদিকে মাইন মাটিতে বসিয়ে দিব। তুমি ঐ মেয়েদেরকে নিয়ে কোণার এইদিকেই চলে যাবে পিছুনে। সাবধান সামনে দিকে আসবে না, আর তুমি সবাইকে বের করা পর ও আমাদের মাইন বসানোর পর, আমরা গুলি ছাড়বো। আর তখন কুত্তাগুলো বের হতে যাবে মাইনে পা রাখবে আর সাথে সাথে শেষ। এটা হলো অপারেশন মাইন এর ৩নাম্বার।

--আচ্ছা কমান্ডার বুঝলাম।

---আকাশ তুই ইভার সাথে যা, তুই তো কোণার ঘরটা চিনিস তাই না।

--হ্যাঁ চিনি যাচ্ছি।

--দাঁড়া মেশিনগান নিয়ে যা।

তারপর ইভা আকাশে সাথে কোণার ঘরে গেল আর সে দরজা খুলে মহিলাদের কাপড় বিহীন দেখতে পায়, সাথে সাথে নিজের ব্যাগের কাপড় ওদেরকে দিয়ে দিল, আর বললো আস্তে আস্তে যাতে ইভার পিছুনে পিছুনে আসে সবাই। আকাশ তখন চারদিকে মাথা ঘুরে দেখছিল পাক বাহিনী বের হয় কিনা। হঠাৎ প্রায় একটা মহিলা লাইন থেকে দৌড় দিয়ে পাক বাহিনী এইদিকে দৌড়ে যাচ্ছে আর বলছে, কুত্তা আমি তোদেকে না মেরে যাবো না। তখন প্রায় অধেক এই বেশি মাইন বসানো হয়ে গিয়েছিল। মহিলার দৌড়ের কারণে আকাশও মহিলাকে ধরার জন্য দৌড় দিল আর তখনই মাহিলার পায়ে মাইন পরে বিষফরণ। সাথে সাথে আকাশও ছিটকে পরলো মাইনে আঘাতে দূরে গিয়ে। আর তখনি গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল যেদিকে মাইন বসানো হয়নি। ইভা অনেক কষ্ট করে আকাশকে দুইটা আরো মহিলার সাথে মিলে বাঁশ বাগানে নিয়ে গেল। গুলি চলছে তখন সামনে দিক দিয়ে, মুক্তি বাহিনী সবাই মাটিতে শুয়ে গুলি করছে আর হাত দিয়ে বোমা ছাড়ছে। এক সময় পুরা স্কুলঘর বোমার আঘাতে আগুন ধরে গেল আর পাকিস্তানি সৈন্যরা সব মারা গেল।

---জয় বাংলা আমরা পেরেছি।

---জয় বাংলা কমান্ডার কিন্তু আমাদের দুইজন সদস্য দেখা যাচ্ছে না যে।

কমান্ডার রাহিম তখন পাশে মাটিতে শুয়ে থাকা দেখতে পাই মোহাম্মদ আলী আর রফিক পাশে গুলি খেয়ে পরে আছে। কিন্তু তিনি এটা আশা করেনি। শুধু একটা মহিলার ভুলের জন্য গোলাগুলি করে দুইজনকে হারাতে হলো। তারপর কমান্ডার বাঁশ বাগানে গিয়ে দেখতে পাই, আকাশ আহত অবস্থায় পরে আছে।তাই কয়েকজন মুক্তি বাহিনীকে দিয়ে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিল চিকিৎসার জন্য। তখন মধুর শব্দে ফজরের আজান শোনা যাচ্ছিল। দুইজনের লাশ দুইজন মুক্তিবাহিনীর কাঁধে দিয়ে মসজিদের দিকে যেতে শুরু করে দিল।

(সমাপ্ত)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ