❤_তোকে অনেক ভালোবাসি_❤
____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া___
এক পর্ব
ও মধু,,,ও মধু,,, I love u,,,, I love u,,
__উউউঃ লাগছে,,, কানটা ছাড়|
__লাগুক,, তোর মধু love u বলা বের করছি|
__যা বলার বল, আগে কানটা তো ছাড়|
এবার তোয়া ফারহানের কান ছেড়ে দিয়ে বললো
__সেই কখন থেকে তোকে ডাকছি, কানে কথা যায় না😠??
__যাবে কি ভাবে? তুই যে ভাবে আমার কানে টরচার করিস! না যানি কবে অকালে বইরা হয়ে যাবো😜
__তোর সেটাই হওয়া উচিত
__না বাবা,,,,,! তাহলে তোর টরচার আরও বৃদ্ধি পাবে
__হুম বুঝেছিস তাহলে,,,,, good
ক্যাম্পাসে বসে বন্ধুদের সাথে গলা মিলিয়ে গান গাইছিলো ফারহান, তখনই তোয়া এসে ফারহানকে কান ধরে তুলে কথাগুলো বললো|
__এখন চল
__কোথায়!?
__আমার সাথে!
__কিন্তুু এখই ওরা চলে আসবে
__ওরা কারা??
অমনি সাকিম হাত তুলে বললো
__আমি বলি ওরা কারা
__কারা রে??
__না মানে,,,
ফারহান সাকিমকে চোখ টিপে বললো না বলার জন্য, সেটা তোয়া দেখে ফেললো|
__ওই দিকে তাকাচ্ছিস কেন? ফারহান কিছু বলবেনানে তুই বল!
__ওই যে আমাদের ক্লাসে কয়টা উড়াধুড়া মিষ্টি মিষ্টি মেয়ে গুলা আছে না,,, ওরাই ওরা
__ও আচ্ছা,,, ওদের জন্যই বুঝি বাদরগুলা এখানে বসে গান চর্চা করছিলি?
ফারহান বললো ধুর ওই গুলা কনো মেয়ে হইলো নাকি? সব এক একটা ভাবের ডিব্বা! তোয়াকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ফারহান আর কিছু না বলে বললো আমি এমনি মজা করলাম চল কোথায় যাবি
__,, বাই গাইজ
এতোক্ষণ যারা কথা বলছিলো ওরা হলো তোয়া আর ফারহান| দুজনই অনার্স ১ম বর্ষে একই ডিপাটমেন্টে পড়ে|তার থেকে বড় কথা হলো দুজন খুব ভালো বন্ধু| ওদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সব আইটেম গুলোই বিদ্যমান|দুজনের পরিচয় হয় ইন্টার ফাস্ট ইয়ার থেকে|তারপর ভাগ্য ক্রমে অনার্সেও দুজন একই ডিপাটমেন্টে পরেছে|
হাটতে হাটতে দুজন কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসলো|
__তোর হাতে ওইটা কিরে??
__কোনটা!!
তোয়ার হাতে ম্যাগাজিনের কাগজটা উদ্দেশ্য করে ফারহান বললো
__ওই কাগজট!! ❤লেটার নয়তো??
__হুম,, দেখছিসনা কতো বড় ❤লেটার😀
__কিহহ!তাহলে সায়িম ভাইয়ার কি হবে?
__কে সায়িম??
__ওই যে ২য় বর্ষের সায়িম আছেনা উনি!
__ও,, তো উনার আবার কি হবে?
__ওই ভাইয়া তো তোকে লাইক করে
__তোকে কে বলেছে?
__ওই ভাইয়া,,, আর তোকে বলতে বলছে
__ও,,, তো তুই কি বললি?
__কি আর বলবো,, সিনিয়র ভাইয়া বলে কথা,,, তাছাড়া আমি আবার বড়দের অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মান করি তো! তাই বললাম ঠিক আছে ভাইয়া আমি তোয়াকে আপনার কথা বলবো|
__ওয়াও,,, ফেন্টাসটিক!!
তোয়ার কথা শুনে ফারহান অবাক হয়ে গেলো| বিষয়টা কি হলো! অন্যদিন হলে তো এতোক্ষনে চড় নইতো অগ্নিবর্ষ কিছু একটা হতো আজ রাগছে না কেনো! ধাপ্পাটা কি সফল হবে নাকি,,,,
__কিরে কি ভাবছি??
__না কিছু না! তুই খুশি হয়ছিস??
__হবো না,,, তোর বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে আমি তো শুন্যে ভাসছি হাহাহা
__এমন করে বলছিস কেন! আমি তো সবার কথায় শুনি
__তাই নাকি!!আমার কথা রাখবি??
__রাখবো না মানে,,,, একবার বলেই দেখ কেমন বিনা শর্তে রাখি
__কথা দিলি কিন্তুু?
__হ্যাঁ রে বল?
__এখন তুই সায়িম ভাইয়াকে গিয়ে একটা চড় মেরে আসবি,,,,
__কিহহহ😵
__হুম
__না মানে,,, উনি তো সিনিয়র ভাইয়া
__তাতে কি?
__কেনো মারবো??
__তুই সবার কথা রাখিস তাই আমার কথাও রাখবি
__না মানে,,,, আমাকে যে ওরাও মারবিনি
__তার মানে তুই আমার কথা রাখবি না তাই তো,,,, ok আমি গেলাম
__না না
__না না কি??
__সরি রে,,,,,
_কেন,,,??? (রাগি কন্ঠে)
__আমি তোর সাথে মজা করে বললাম,,, সায়িম ভাইয়া কিছু বলেনি
মাথা নিচু করে ফারহান কথা গুলো বললো
___হা হা হা,,,, ও, ও তোকে এখন দেখতে যা লাগছে না হাহা হিহি
ফারহান অবাক হয়ে তোয়া দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বুঝতে পারছে না|
__মানে!!
__বুদ্ধু তুই কি একাই অভিনয় করতে পারিস হুম??
__কিসের অভিনয়??
__তুই যে বড়সড় ধাপ্পা মারছিস আমার সাথে,,, আমি কি বুঝিনা? তাই আমিও পাল্টা চাল দিয়েছিলাম,,,, আর তুইও ফেসে গেলি হিহিহি
__তুই আসলেই একটা সাইনইস্টিক
__হুম,,,, ভবিষ্যতে হতে হবে তো
__আমাকে তোর কমপাউন্ডার করিস হিহি
__হিহিহি,,, আর যেনো ভুলোও আমার সাথে লাগতে আসিস না,,
__তোর থেকে আমিও সব থেরাপি শিখে নেবো হা হা হা
এভাবেই বার বার তোয়াকে ফারহান ফাঁদে ফেলতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়ে বসে থাকে| কেন জানি আাগেই সবটা বুঝে ফেলে| তবে এতে তাদের মাঝে কোনো সম্যসা সৃষ্টি হয়না বরং মজাই হয়|
ফারহান যতোটা চঞ্চল প্রকৃতির,তোয়া ততটাই শান্ত ও বুদ্ধুমতি| তবে ফারহানের ক্ষেত্রে তোয়া একদমই আলাদা প্রকৃতির| রাগ,অভিমান,শাসন সবগুলোই ফারহানের জন্য প্রজোয্য|
তারপর,,,,
...চলবে...
❤__তোকে অনেক ভালোবাসি__❤
____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া____
দুই পর্ব
তারপর তোয়া বললো
__এখন ক্লাসে চল
__না রে,, আজ চল ঘুরতে যাই
__তুই যা আমি ক্লাসে গেলাম
এই বলে তোয়া উঠে দাড়ালো, অমনি ফারহান তোয়ার হাতটা টেনে বসিয়ে বললো|
__আরে কই যাস?
__ক্লাসে!
__আরে গাধা, আজ প্রথম ক্লাস হবে না
__কেন?
__স্যার আসেনি
__ওহ,,, তাহলে এখন ৪৫ মিনিট বসে থাকতে হবে!
__তাই তো বললাম চল ঘুরে আসি, সময় কেটে যাবে
__তুই যা,, আমার ঘুরতে ইচ্ছে করছেনা
__আচ্ছা তাহলে চল ফুচকা খেয়ে আসি!
ফুচকার কথা শুনে তোয়া দপ করে জ্বলে উঠলো|
__হ্যাঁ চল
__হিহিহি কি রাক্ষস দেখো ফুচকার কথা শুনেই জিব্হে জল এসে গেছে😀
__ওই একদম উল্টা সিজা কথা বলবি না😠
__ঠিকই তো বলছি,আর ফুচকা খাওয়ার পরতো আবার গঙ্গা যমুনা বইতে লাগবে (চোখের পানি আর নাকের পানি)হিহিহি
__ওই বেশি বকবি না😡
__হিহিহি আচ্ছা চল
__মামা ঝাল বেশি দিয়ে দুই প্লেট ফুচকা দেন
__না মামা,,, আমারটাই কম আর ওরটাই বেশি দেন
__না মামা দুটোতেই ঝাল দেন😀
__তাহলে পুরটাই তুই খা😠
বলেই তোয়া চলে যাওয়ার জন্য পা বারালো,ফারহান হাতটা ধরে ফেললো|
__কই যাস দাড়া,,, মামা দুটোতেই কম ঝল দেন
তারপর দুজনে ফুচকা খাওয়া শেষ করে ক্লাসে গেলো। ক্লাস শেষ হলে যে যার বাসায় চলে গেলো। রাতে খাবার খেয়ে ফারহান পড়তে বসলো। তখনি তোয়া ফোন করলো ফারহানকে।
__হ্যালো
__কি করছিস?
__এই তো টাকলু স্যারের পড়াটা পড়ার চেষ্টা করছি😀
__এই তো গুরু ভক্তি না!
__হুম হিহিহি,,,
__ওই তোর এ্যাওয়ার্ড পাওয়া হাসি থামা,, আর শুন কাল একটু তারাতারি কলেজ আসিস
__কেন,,,, কাল কি আছে?
__আব্বু আজ নতুন ল্যাপটপ এনেছে,,, কিছু বুঝতে পারছি না,তাই তুই একটু হেল্প করবি।
__ok তুই কোনো চিন্তা করিসনা,,, আমি আছি না😋
__তুই থাকতে চিন্তা!!তুইতো একটা চিন্তার ডিব্বা,,,!!
__হাহাহা আচ্ছা কাল তোকে এক মাথা চিন্তা দেবো যা😋
__লাগবে না,,,ওটা তুই রেখে দে, আচ্ছা কাল তারাতারি আসিস।
পরের দিন তোয়া আগেই কলেজে এসেছে, এখনও ফারহান আসেনি।তাই সে ল্যাপটপ অন করে গান শুনছিলো। হঠাৎ তোয়ার চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসলো। পেছন থেকে কেউ তার চোখটা চেপে ধরেছে।
__ফারহান চোখটা ছাড়।
ফারহান চোখটা ছেড়ে সামনে এসে দাড়ালো।
__উফফ তুই কি রে!
__আমি একটা মানবী,,, তোর মতো গাধা না😀
__আমি গাধা!!!!
__তাতে কনো সন্দেহ আছে তোর, আমার তো নেই😁
__এক মাঘে শীত যায় না,, আমারও দিন আসবে হুম,,, তুই কি সেটা প্রমান করার
__তাই নাকি!!!
__হুম
__আচ্ছা দেখা যাবে, সেই মহা লগ্ন কবে আসে😀
__মনে হচ্ছে খুব তারাতারিই সেই দিনটা দেখতে পাবি😋
__আমি প্রহর গুনতে থাকলাম সেই মহা তিথির জন্য😁
__যথার্থ শির্ষ্য,,,,তোর আসা পুরন করবো😋
__তোর মহান বক্তিতা শেষ করে,ল্যাপটপ সম্পর্কে বল?
__ও হ্যাঁ,,, কই তোর ল্যাপটপ দে!
তারপর ফারহান ল্যাপটপ নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করে দিলো।
__ওই সাবধানে!!
তোয়ার কথায় কান না দিয়ে ফারহান একমনে ল্যাপটপে গুতগুতি করেই যাচ্ছে।
হঠাৎ তোয়ার ফোনটা বেজে উঠলো।
__হ্যালো আম্মু?
__তুমি আজতো না খেয়েই চলে গেলে। তোমার আব্বু শুনলে কিন্তুু খুব রাগ করবে।
__আম্মু তুমি চিন্তা করোনা,, আমি বাইরে খেয়ে নেবো।
__না তোয়া!তোমার না বাইরের খাবার খাওয়া নিষেধ।জলদি বাসায় এসো।
__আচ্ছা আম্মু আসছি।
__ফারহান আমি এখন বাসায় যাচ্ছি কাল শিখবোনি।
__আচ্ছা
__তুই থাকবি না যাবি
__তুই থাকছিস না! আমি আর থেকে কি করবো! চল,,,,
তারপর যে যার বাসায় চলে গেলো। রতে যখন তোয়া ল্যাপটপ অন করলো। দেখেতো তার মাথা ঘুরে গেলো। সাত পাঁচ না ভেবে ফারহানকে ফোন দিলো।
__হ্যালো
__ফারহান ল্যাপটপতো কাজ করছে না!
__কিহহ!তুই ল্যাপটপকে দিয়ে কাজ করাস😵
__চুপ শয়তান,,, মজা করিস না, সিরিয়াসলি কোনো ফল্ডারই ওপেন হচ্ছে না!!
__আচ্ছা কাল নিয়ে আসিস, কি সম্যসা দেখবানি।
আচ্ছা বলে ফোনটা রেখে, মনের আনান্দ একটু ডি জে ডান্স করলো ফারহান। কাল তোয়ার কাছ থেকে ট্রিট নেবে এটা ভেবে আর একটু বেশি ডান্স দিলো। আসলে তোয়ার ল্যাপটপের কিছুই হয়নি ফারহান একটু কেরামতি করেছে এই আর কি! তোয়া এই কেরামতিটা বুঝতে পারেনি তাই আর কি। যাই হোক এবারের প্লেনটা তোয়ার ধরা ছোয়ার বাইরে তাই ভবিষ্যৎ বিজয়ের আনন্দ নিয়ে ফারহান ঘুমিয়ে পরলো সকাল হওয়ার আসাই।
...চলবে...
❤__তোকে অনেক ভালোবাসি__❤
____জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া____
তিন পর্ব
পরের দিন ফারহান কলেজে গিয়ে দেখলো তোয়া একাই ক্যাম্পাসে বসে আছে। ওকে দেখে খুব চিন্তিতো মনে হচ্ছে। ফারহান হাসি চেপে রাখতে পারছে না। যাই হোক সে তার হাসিটা ধামা চাপা দিয়ে, ও তরিঘরি করে তোয়ার সামনে গেলো। মনে হচ্ছে অনেক তারাহুরো করে এসে হাপিয়ে গেছে।
__কই কি হয়েছে তোর ল্যাপটপের?
__তুই এসেছিস!এই দেখনা কি হয়েছে!
বলে তোয়া ল্যাপটপটা ফারহানের কাছে দিলো। ফারহান ল্যাপটপটা নিয়ে কিছুক্ষন গভীর মনোযগ দিয়ে ল্যাপটপটা পর্যবেক্ষণ করে তার ভ্রু কুচকে বিপদ সংকেত প্রকাশ করলো। ফারহানের ভাব দেখে তোয়া অস্থির ভাবে বলে উঠলো।
__কি হয়েছে ল্যাপটপের?
__হুম,,, সত্যিই কোনো কাজ করছে না!
__এখন উপায়😨
__আরে চিন্তা করিস না!
__কি বলিস চিন্তা করবো না! কাল কিনে আজই এই অবস্থা!
__সম্যসা যেমন আছে তার পতিকারও আছে, শুধু একটু খরচ করতে হবে এই আর কি!
__কত খরচ হবে?
__এই ধর হাজার দুই!
__সবই তো ঠিক আছে কিন্তুু কাল এনে আজই যদি আব্বুকে বলি ল্যাপটপ সারার কথা!
__আর একটা উপায় আছে!
__কি উপায় তারাতারি বল?
__আমিও এটা সারতে পারি।
__কিহহ সে কথা আগে বলবি না!
__হুম,,, সারতে পারি তবে শর্ত আছে।
__কি শর্ত?
__আমাকে ট্রিট দেওয়া লাগবে😜
__কিহহহ?
__হুম,,,, না হলে নাই।
__আচ্ছা ঠিক আছে দেবো, এখনতো সেরেদে।
তারপর ফারহান কিছুক্ষন ল্যাপটপটা গুতিয়ে তোয়াকে দিয়ে বললো সব ঠিক আছে কিনা দেখতে। তোয়া দেখে বললো ঠিক আছে ।
__তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
__ধন্যবাদ দেওয়া লাগবে না আমার ট্রিট কখন পাবো তাই বল?
__পেয়ে যাবি বিকেলে।
তারপর যে যার বাসায় চলে গেলো। ফারহান বাসায় ফিরে বিকেলে তোয়াকে ধামাকা দেওয়ার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো। হঠাৎ ফোনের বিকট শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো ফারহানের । ঘুম ঘুম চোখে ফোনটার নিশানা খুজে পেতেই ফোনটা কেটে গেলো। আবার ফোন বেজে উঠলো,
__হ্যালো
__কখন থেকে ফোন দিচ্ছি কই তুই?
__ঘুমাচ্ছি
__কিহহহ, এখন কইটা বাজে, তোর না বিকেলে রেস্টুরেন্টে আসার কথা?
__ও মাই গড,,,
__যদি ৫ মিনিটে না আসিস তাহলে,,
__আর বলিস না তুই ৫ মিনিট দাড়া আমি ১০ মিনিটে পৌছে যাবো।
বলেই ফোনটা কেটে দিয়ে এক দৌড়ে রাস্তায় গিয়ে একটা রিক্সা ডেকে তাতে চেপে বসলো ফারহান। তারপর রিক্সা গিয়ে থামলো রেস্টুরেন্টের সামনে। ফারহানকে দেখে তোয়া রিক্সার কাছে এগিয়ে আসলো। ফারহান ভারা দেওয়ার জন্য যখন পকেটে হাত দিলো তখন আর সে হাতটা বের করতে পারছে না। যেনো ভেতরে আটকিয়ে গেছে। তোয়া এটা দেখে বললো
__কিরে যাবি নাকি রিক্সাতেই বসে থাকবি?
__তুই এতো তাড়া দিলিনা তখন,ভুল করে মানিব্যাগটাই ফেলে আসছি।
তারপর রিক্সার ভাড়াটা তোয়া দিলো। এরপর দুজনে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গিয়ে একটা টেবিলে গিয়ে বসলো। তোয়া ফারহানকে অর্ডার করতে বললো। তারপর দুজনে খাওয়া শেষ করে বিল পে করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে একটা পার্কে গিয়ে বসলো। ফারহান অনেক খুশি কারন এই প্রথম সে তোয়াকে বোকা বানাতে পেরেছে। তাই সে ভাবলো এখন তোয়াকে সবটা বলে দিয়ে একটা ধামাকা দেবে। যেই ভাবনা সেই কাজ।
__তোয়া তুই সত্যি খুব ভালো
__কেন! আগে কি খারাপ মনে করতি?
__না তা নয়!
__তাহলে কি?
__বলতে পারি তবে তুই রাগ করবি নাতো?
__কি এমন কথা যে রাগ করবো,,, আচ্ছা রাগ করবোনা বল?
__আসলে তোর ল্যাপটপে কিছুই হয়নি,, আমি মজা করে তোর থেকে ট্রিট নিলাম।
__হিহিহি এইটা কনো কথা হইলো,,,, এখন সব থেকে বড় ধামাকাটা তো আমি তোকে দিবো।
__মা মা মানে😨
__তোর হাবভাব দেখে আমি আগেই বুঝেছিলাম এইটা তোর প্ল্যান, আর যখন ট্রিট চাইলি তখনই আমি কনফম হলাম।
__আগেই বুঝেছিলি! তাহলে ট্রিট দিলি কেন?
__তোর টাকাই তোকে ট্রিট দিলাম!
__মানে😵
__তুই যখন ল্যাপটপ নিয়ে বিজি ছিলি তখন তোর মানিব্যাগে থেকে ৫০০ টাকার নোটটা রেখে দিয়েছিলাম তোকে ট্রিট দিবো বলে। তাতে থেকেই তোর রিক্সা ভাড়া দিয়েছি আর এই নে বাকি ২০ টাকা এইটা বাসায় যাওয়া ভাড়া।
তোয়ার কথা গুলো শুনে ফারহানের বাক রুদ্ধ হয়ে গেছে। বাশ দিতে গিয়ে নিজেই আর বাশটা সামলাতে পারছেনা।
__তুই আমার সাথে এতবড় বাটপারি করলি?
__তোর মতো চোরের সাথে বাটপারি করাই ফরজ😂
এভাবেই ফারহান আর তোয়ার বন্ধুত্ব চলতে লাগলো। হঠাৎ একদিন ফারহান কলেজে গিয়ে দেখে তোয়া কলেজে আসেনি। তাই সে তোয়াকে ফোন করে কিন্তু ফোনটাও বন্ধ পাই,,,,
...চলবে...
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ