4886

***একটা দুষ্টু বাসর রাতের গল্প***
(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
বাবা মার অনেক বলাবলিতে শেষে বিয়ে করতে ই হল।  তবে অনেক ইচ্ছে ছিল প্রেম করে বিয়ে করব তা আর হল না।

sorry আগে  পরিচয় দিয়ে দেই।  আমি রাহিম পড়ালেখা শেষ করে একটা কোম্পানিতে চাকরি করছি সবে মাত্র,  তখনি বাবা মা শুরু করল বলাবলি বিয়ে কর বিয়ে কর, আমরা মরার আগে নাতনীর মুখ দেখে যেতে চায়,  কিন্তু কে শুনে কার কথা শেষে বিয়ে করিয়ে দিল আর আমার হাতে পড়ল হাতকড়া। বাসর রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আয়নার কথা ভাবছি মানে আমার বউ। মেয়েটার শুধু নামই জানি আয়না, অবশ্যই আম্মু বলেছিল দেখা করতে আমি বলে দেই তোমাদের যার পছন্দ তাকে কি আমার অপছন্দ হতে পারে। ছাদে খুব বাতাস বইছে তাই খুব ভাল লাগছে রুমে যেতে মন চাচ্ছে না।  হঠাৎ কারো কাশির শব্দ শুনতে পেলাম মনে হয় মেয়েদের তাই পিছুনে ফিরে তাকালাম।

-----আসসালামু ওয়ালাইকুম আপনে কি রুমে যাবেন না? (আয়না লম্বা ঘোমটা পরে নরম সুরে)

-----ওয়ালাইকুম আসসালাম,  জ্বী যাব তবে একটু পরে আপনার কি খুব কষ্ট হচ্ছে নাকি তাহলে ছাদে থেকে যেতে পারেন আর হ্যাঁ এত লম্বা ঘোমটা কেন ? (আমি সালামের উওর দিয়ে একটু অবাক চোখে)

-----জ্বী আপনে আমাকে তুমি করে বলতে পারেন আমি আপনার ছোট আর তাড়াতাড়ি রুমে চলে আসবেন আমি অপেক্ষা করবো(এই বলে আয়না চলে যেতে লাগল)

আসব গো আসব বলে আমি আয়না চলে যাওয়া দেখছিলাম আর ভাবছি মেয়েটা কত সহজ সরল আর আমি তাকে একা একা রুমে কষ্ট দিচ্ছিলাম,  কি সুন্দর না তার কণ্ঠ পুরা কোকিলের
মত,  তবে মনে হয় আয়নার সাথে অনেক দুষ্টুমি করা যাবে (আমার আবার দুষ্টুমি করতে ভাল লাগে)এই সব ভাবতে ভাবতে চলতে লাগলাম কখন যে রুমে চলে এসেছি টেরই পাইনি।  হঠাৎ মনে হল কেউ আমার পা স্পর্শ করল নিচে তাকিয়ে দেখি আয়না তারপর নিজের জায়গাতে বসে গেল ইয়া বড় ঘোমটা দিয়ে।

-----তুমি প্রস্তুত আছ তো কাবাডি খেলার জন্য? (আমি আয়নার পাশে বসে দু্ষ্টুমি  করে)

----মা মা মানে (আয়না প্রায় তোতলা হয়ে)

---এত মানে মানে করতে হবে না আগে আমার বউটাকে দেখি তারপর না হয় বলব (এই বলে আমি ঘোমটা সরিয়ে ফেলি আর যা দেখলাম পুরা ক্রাশ খেলাম,  এটা কি করে হতে পারে এই তো ডানা কাটা পরী আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম)

----এই যে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন? সারাজীবন পরে আছে আমাকে দেখার জন্য এখন মুখ বন্ধ করুন না হলে মশা ঢুকবে (আয়না লাজ্জায় নরম ভাষায়)

----না না কে বলল আমি হা করে তাকিয়ে আছি তবে বলতে হয় তুমি দেখত সুন্দর না। (আমি বাস্তবে ফিরে লজ্জা পেয়ে বাঁচার জন্য দুষ্টুমি করলাম আর কি)

----হয় তো আমাকে আপনার পছন্দ হয়নি।  (আয়না মন খারাপ করে)

---কে বলল এই কথা আরে আমি তো মজা করছি আমার বউটা সুন্দর হবে না কেন? সে তো একটা ডানা কাটা পরী, যার দিকে  তাকালে চোখ ফিরাতে ইচ্ছে  হয় না। একজনম না হাজার জনম তোমাকে কাছে পেতে চাই, তাহলে এখন কাবাডি খেলা শুরু করা যাক (আমি কথাগুলো বলে দুষ্টুমি লোভ আর সামলাতে পারলাম না)

---যা দুষ্টু কি যে বলে (আয়না লাজ্জায় লাল)

----চলো কাবাডি খেলা শুরু করি।

----তার আগে চলেন দুই রাকাত নফল নামাজ দুইজন পড়ে নেয়।

---আচ্ছা মহারাণী।

(নামাজ পড়ার পর হঠাৎ)

----ওহ খুব ব্যাথা করছে বাসর রাত মনে হয় করা হবে না (আমি শরীরে ব্যাথাই বিছানাতে পরে গেলাম)

---এই আপনার কি হল এমন করছেন কেন? (আয়না কান্নাই)

----কিছু না শরীরটা ব্যাথা করছে প্লিজ একটু টিপে দিতে পারবে?

---কোথায় কোথায়  টিপে দিতে হবে বলুন?

---বেশি না পিঠে আর হাতে দিলে ই হবে।

---আচ্ছা দিচ্ছি ব্যাথা গেলে বলবেন।

তারপর ঘন্টা এক টিপার পর আমার ব্যাথা চলে গেল আমি আমার পরীটাকে দেখছি কি নরম হাতে আমার লোহার শরীর টিপে দিচ্ছে ভালো ই লাগছিল, ভাবলাম একটু পরীক্ষা করি দেখি সে কি করে, ২ঘন্টা টিপার পর দেখি সে  স্বাভাবিক আছে কি মেয়ে রে বাবা একটুও  নেই অলস। আমি বলি আয়না হয়েছে আর টিপতে হবে না ব্যাথা চলে গিয়েছে, এবার কাবাডি খেলা শুরু করা যাক(দুষ্টুমি করে) তোমার চোখ  দুইটি বন্ধ কর তো বলে সাথে সাথে আয়না ঠোটে একেঁ দেই।
(দুর কাবাডি খেলার ঘটনা আপনারা  তারপর কি হয়েছে না শুনলে ভালো প্রাইভেট তো তাই)

তারপর

---ওহ আমার এত শীত করছে কেন? এই শীতে পানি আসল কোথায় থেকে আমার শরীরে? (আমি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে বিছানাতে)

---এই আপনাকে সেই কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি  ফজরে নামাজ পড়ার জন্য উঠার কোনো খবর ই নেই তাই এক বালতি পানি দিয়ে দিয়েছি।

----উঠছিনা বলে পানি এক বালতি দিয়ে দিতে হবে কি জল্লাদ বউ গো আমার।

----শুধু পানি না ফজরে নামাজের সময়   ঘুমালে আগুন দিয়ে দিব শরীরে আর আপনে কি বললেন আমি জল্লাদ, যদি তাই মনে করেন তাই  ই
তবুও আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে (
আয়না রাগী চোখ নিয়ে)

---আচ্ছা বাবা যাচ্ছি নামাজে আর আমার বউটা জল্লাদ না অনেক লক্ষ্মী আর আমি এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব (আমি এই বলে গোসল দিয়ে চলতে থাকলাম মসজিদের দিকে আর ভাবছি একটা মেয়ে কি না পারে)

এইভাবে প্রতিদিন আমাকে পানি দিয়ে ফজরে সময় উঠিয়ে দিত আমার ঘুম খুব গভীর তো তাই বিয়ে করে এখন আল্লাহ দিকে চলে গিয়েছি আর আমাদের সংসার খুব সুখে যাচ্ছে।

(সমাপ্ত)