4833 (1)

❤❤...Love Story...❤❤

Writter: জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া 👸

এক পর্ব

হঠাৎ ডাকের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো..! আরে ভাই এ ডাক সেই ডাক নয়|| এ ডাক আকাশ থেকে আসে না,,, এ ডাক আসে আমার sweet আম্মুর কন্ঠ থেকে হি হি😁
>>কলেজে যাবি না? ওঠ মা আর কত ঘুমাবি![আম্মু]
>>উমমম আর একটু ঘুমায়,[আমি]
>> এরপর যদিকলেজে যেতে লেট হয় আমাকে কিছু বলবি না কিন্তু|| [আম্মু] (রাগী গলাই কথাটা বলে আম্মু চলে গেলো)
না আর ঘুমানোটা নিরাপদ নয়,,,, তাই ফ্রেস হয়ে কলেজের জন্য রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম| নাস্তা করতে করতে ফোনটা বেজে উঠলো|||
>>হ্যালো বাবু... বলো..
>>জানপাখি তুমি কইইই..
>>এই তো বাবু দানা খাচ্ছি
>>জানপাখি তুমি তারাতারি কলেজে চলে আসো||
>>মানে তুই কোথায় এখন!!!
>>কলেজে.‌‌...
>>প্রতিদিন তো ট্রেন ফেল করিস!! আজ হঠাৎ,,,, হেলিকাপ্টারে আসেছিস নকি??
>>বাইকে এসেছি!!
>>কি.... বাইক!!
>>হুম, তুই তারাতারি আই||
>>ok বাবু, একটু wait করো আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই কলেজে উদয় হচ্ছি হি হি
>>ok জানপাখি
ফোন রেখে নাস্তা শেষ করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম|| বাসা থেকে কলেজ বেশি দুরে নয়, তাই প্রায়ই হেটেই যাওয়া আসা করি|| কিন্তুু আজ রিক্সায় যাবো, কারনটা তো বুঝতেই পারছেন, আমার ট্রেন ফেল বাবুটা আজ আগেই কলেজ চলে এসেছে||
>>এই মামা... কলেজ গেট যাবেন?
>>হ্যাঁ.. যাবো
এবার কলেজ যেতে যেতে আপনাদের আমার পরিচয় দিয়ে ফেলি|| আমি তোয়া, অনার্স ২য় বর্ষের বাংলা ডিপাটমেন্টের ছাত্রী|| ফোনে যার সাথে কথা হলো,, সে হলো আমার বেস্ট ফেন্ড তানিসা|| তানিসার সাথে আমার পরিচয় হয় অনার্স ১ম বর্ষে|| একই ডিপাটমেন্টে পড়ি , সেই থেকে আমাদের ভালো একটা ফেন্ডশিপ তৈরি হয়..|| কলেজ থেকে ওর বাসাটা একটু দুরে বলে আর রাস্তার যানযটের কারনে প্রতিদিনই ও সবার শেষে আসে|| এই জন্যই কি তানিসা বাইক কিনেছে অজব!!  ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখি তানিসা সহ আরো কিছু ফেন্ড বসে আছে||
আমি চুপি চুপি গিয়ে পেছন থেকে তানিসার চোখ চেপে ধরলাম|| আর সবাইকে ইশারা করলাম চুপ থাকতে||
>>বাবু তোমার আসতে এতো লেট হলো কেনো? [তানিসা]
>>ধুরর... খেলবোনা [আমি]
>>হা হা হা তুই কি ভেবেছিলি! আমি বলতে পারবো না? [তানিসা]
>>আচ্ছা এটা মাহীও তো হতে পারতো!! ঔ তো এখনো আসিনি! [আমি]
>>হি হি হি এটাই তো ফেন্ড ম্যাজিক বাবু| [তানিসা]
>>তাই বুজি হা হা হা..., বাই দা পথ, আজ ট্রেন ফেল করিসনি কেনো!! why? [আমি]
>>ট্রেন ফেল করি বলেই তো আজ বাইকে এসেছি|| [তানিসা]
>>সত্যি....! যাক এখন থেকে আমারও আর হেটে হেটে কলেজ আসতে হবে না| [আমি]
>>কেন?? [তনিসা]
>>আজিব!! কেনো আবার তোর বাইকে তোর সাথে আসবো,,, তুই বাইক চালাবি আর আমি পেছনে বসে পাখির মতো ডানা মেলে দেবো হি হি কতো মজা হবে,,,[আমি]
>>এ্যয়য়,,, আমি বাইক চালাবো!!? [তনিসা]
>>হ্যাঁ,,,[আমি]
>>কন্তু আমি তো বাইক চালাতেই পারি না! [তনিসা]
>>কি....!! তাহলে আজ বাইকে আসলি কিভাবে? [আমি]
>>আরে আজতো তৌসিফ ভাইয়া বাইকে করে কলেজে রেখে গেলো|| [তনিসা]
>>ও...!! [আমি]
>>হুম.. গতকাল ভাইয়া বাসাই এসেছে| [তনিসা]
>>ও আচ্ছা| [আমি]
শুনেছি তনিসার একটা ভাই আছে.. জবের জন্য বাইরে থাকে||
>>ওই আমার স্যার থুক্কু আমাদের হীমু স্যার এসেছে?? [আমি]
>>জানি নারে,,, এখনো দেখিনি স্যারকে| [ঐশী]

❤❤...Love Story...❤❤

Writer: জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া 👸

দুই পর্ব

বাংলা স্যারকে আমরা সবাই হীমু নামেই সম্বর্ধন করি|অবশ্য স্যারের একটা সার্টিফিকেটি নাম আছে রণজয় মজুমদার||ওই নামে কেউ ডাকে না|| আসলে স্যারের মধ্যে একটা হুমায়ুন আহমেদের হীমু হীমু থেরাপিটা কাজ করে|| তাই তো স্যার কলেজের সব মেয়েদের ক্রাশের ডিব্বা|| কিন্তুু ছেলেদের কাছে স্যার কি?! সেটাই তো বুঝতে পারিনা| যাই হক স্যার যে একটা মেজিশিয়ান সে বিষয়ে কনো সন্দেহ নাই|| ছেলে মেয়ে সবাই বাংলা স্যার বলতে পাগল|| অনান্য ক্লাসে কেউ পেজেন্ট থাকুক আর না থাকুক,বাংলা স্যারের ক্লাসে সবাইকে পাওয়া যাবে| যাই হক বাংলা স্যারের ক্লাস শেষ করে|আমি আর তানিসা ফুসকা খেতে গেলাম| তারপর তনিসার থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে হাটা দিলাম| হঠাৎ পেছন থেকে আমার নাম ধরে কে যেন ডাকলো| পেছনফিরে দেখি অচেনা একটি ছেলে হাপাচ্ছে|
>>এই আপনি কি অলিম্পিক খেলাই নাম দিয়েছেন??
ছেলেটির এমন প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে বললাম
>>কেন,,!!?? [আমি]
>>সেই কখন থেকে ডাকছি আপনাকে,,,, দেখেছেন কেমন হাপিয়ে গেছি,, এতো জড়ে হাটছেন তাই,,, ভাবলাম আপনি হয়তো এখন খেলার জন্য পেক্টিস করছেন| [অচেনা ছেলে]
>>আপনি কে?আপনাকে তো চিনলাম না! [আমি]
>>বাবার দেওয়া একটা নাম আছে| but আপনি আমাকে জান নামে ডাকলেই আমি খুশি হবো😋 [অচেনা ছেলে]
>>what..?? [আমি]
>>yes.. [অচেনা ছেলে]
>>tnx,, আপনার নাম জানার বা ডাকার জন্য ইচ্ছা বা সময় কনোটাই আমার নেই,,বাই [আমি]
>>আরে আরে কই জান,, আসল কথায় তো এখনও বলা হলো না [অ ছেলে]
>>কি বলবেন তারাতারি বলেন [আমি]
>>এতো তাড়া কিসের?? কলেজ তো শেষ [অ ছেলে]
>>সেটা কি আপনাকে বলতে হবে? [আমি]
>>হুম,, বলতে হবে বৈকি,,, আজ না হলেও দুদিন পর,, সব কথা তো আমাকেই বলতে হবে [অ ছেলে]
>>আজাইরা কথা বার্তা,,, ডিসকাস্টিং [আমি]
এই বলে চলে আাসছিলাম অমনি ছেলেটি সামনে এসে পথ আটকালো,,
>>আরে রাগ করেছেন কেন,,, কথাটাতো শুনুন [অ ছেলে]
>>ok,,, বলুন? [আমি]
>>বলবো?? [অ ছেলে]
>>এখন কি বলতে বলার জন্য এপলিকেশন পাঠাতে হবে😡 [আমি]
>>না মানে বলছিলাম,ভয়ে বলবো না নির্ভয়ে? [অ ছেলে]
>>as u'r wish,, [আমি]
>> উইল ইউ ম্যেরি মি,,,😘[অ ছেলে]
>>কি...😱 😠 [আমি]
>>কি না বলুন জি😋 শুনেন আমি কিন্তু আগে থেকেই বলে দিচ্ছি,,, বিয়ের আগে আমি কিন্তুু আপনার সাথে প্রেম টেম করতে পারবো না,,, যদি বলেন তাহলে বউ হিসেবে প্রেম করতে পারি😋 এখন আপনিই বলেন কি করবেন? [অ ছেলে]
একটু আদুরি গলাই বললাম
>>আপনার নামটা কি বলবেন? [আমি]
>>কেনো গো,,, [অ ছেলে]
কি বজ্জাত ছেলেরে বাবা,,, এবার যথারিতী রাগী কন্ঠে বললাম||
>>থানায় যাবো আর আপনার নামে ডায়রী করবো,, রাস্তা ঘাটে মেয়েদের শুধু টিস করা😠 [আমি]
>>থানার ডায়রীতে নাম লিখার কি দরকার,, তোমার মনের ডায়রীতেই তো নামটা লিখতে পারো [অ ছেলে]
না আর এই পাজি ছেলেটাকে কিছু বলতে দেওয়া যাবে না,,,
>>দেখেন সব কিছুর একটা লিমিট থাকে,, আর আপনি কিন্তু সেটা ক্রস করে ফেলছেন😠 [আমি]
>>তাই নাকি,,,? তবে যাই বলেন রাগলে কিন্তু আাপনাকে হেব্বি লাগে👌 [অ ছেলে]
>>আমি কিন্তুু চিৎকার করে লোক ডাকবোনি,,, আমার পথ ছাড়েন😡 [আমি]
হঠাৎ আমাকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটিই চিৎকার করে লোক জড়ো করে ফেললো| আমি তো পুরাই আবুল হয়ে গেলাম😱 ছেলেটার মতলব কি? সবার মাঝখান আমি আর ওই ছেলেট দাড়িয়ে আছি| ছেলেটি একজন জিঙ্গেস করলো কি হয়েছে চিৎকার করলেন কেনো,,, অন্যজন বলে কনো pblm হয়ছে ভাই?? আমি তো চুপ না জানি এই ছেলে কি ঘোট পাকাই|
>>আসলে আমার বউ আপনাদের কিছু বলতে চাই|| কিন্তুু ডাক্তার ওকে চিল্লা চিল্লি করতে বাড়ন করেছে,,, তাই আর কি আমিই ডাকলাম..[অ ছেলে]
এই ছিলো শয়তানটার পেটে,,আমি রাগে কসমস করছি সেটা দেখে পাজি ছেলেটা মিটমিট করে হাসছে,,, সেটা দেখে আমার আরও উফ...😡 একজন মহিলা আমার কছে এসে বললো কি বলবে মা? যাকে ভয় দেখানোর জন্য লোক ডাকতে চাইলাম আর সে যদি ভয় না পেয়ে মজা পায়,, তাহলে আর কি করা| আর এখন আমি কিছু বললেও এই লোক গুলো বিশ্বাস করবে না| তাই সবাইকে বললাম কিছুই না আপনারা সবাই এখন যেতে পারেন| তারপর যে যার মতো চলে গেলো|
>>কি জন্য লোক ডাকতে চাইলেন,,, কিছুই তো বললেন না উনাদের,, [অ ছেলে]
>>এই যে মি:ফাজিল.. লোক গুলোকে আমি ডাকিনি,, আপনি ডেকেছেন,,, so আপনার বলার কথা ছিলো... ফালতু লোক একটা😠[আমি]
এই বলে আমি হাটা শুরু করলাম,,, আর ছেলেটি চিৎকার করে বললো আবার কাল দেখা হবে বাই......
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে খেয়ে একটা ঘুম দিলাম....
রাতে খাবার খেয়ে একটু গল্পের বই পড়ছিলা,,এমন সময় তানিসার ফোন
>হ্যালো বাবু... তুমি কেমন আছো? [তনিসা]
>আর বলো না গো... অনেক প্যারায় আছি 😥[আমি]
>>বল কি!কি হয়েছে? [তনিসা]
>>একটা বজ্জাত ছেলেকে টাইড দিতে হবে [আমি]
>>কি হয়েছে বলবি  তো?? [তনিসা]
>>কাল কলেজ গিয়ে তোকে সব বলবো [আমি]
>> ok বাবু [তনিসা]
>>আচ্ছা এখন রাখছি.. [আমি]
ফোনটা কেটে একটু ফেবুকে ডুকলাম... ডুকেই দেখি একটি আইডি থেকে অনেক গুলো মেসেজ রিকুয়েস্ট,,, মেসেজ সিন করে দেখি একই মেসেজ অনেক গুলো
❤❤উইল ইউ ম্যেরি মি❤❤
আবার ওই বজ্জাত ছেলেট উফপপ| আইডিটা চেক করে দেখলাম তেমন কোনোই ক্লুই পেলাম না,, শুধু নিক নেমে দেওয়া আছে {T+T}
তারপর আমিও রিপ্লাই দিলাম
>>ইদুর,বানর,বিলাই,গাধা,হাতি,ঘোরা ETC [আমি]
সাথে সাথে রিপ্লাই দিলো
>>হা হা হা রাস্তাই এই গুলো বললে না কেনো [অ ছেলে]
>>ওই আপনার pblm টা কি?? [আমি]
>>কনো pblm নাই... আমি একদম সুস্থ সবল আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতই| বাই দা ওয়ে,, আপনার কি কনো pblm আছে, থাকলে আমাকে বলতে পারেন,,, আর pblm থাকলেও no pblm আমি সব এডজাস্ট করে নেবো😝😋[অ ছেলে]
>>আপনাকে...... 🔫 উফপপ বাজে ছেলে একটা [আমি]
>>হা হা হা,,, বাই দা ওয়ে কালই আপনার সাথে বিয়ের ডেটটা ফিক্স করতে হবে,, তাই আপনার সাথে দেখা করতে হবে😁 [অ ছেলে]
>>ওই হ্যালো,,, আমাকে কি পাগল কুত্তায় কামরাইছে যে আপনাকে বিয়ে করতে যাবো,,, বিয়েতো দুরের কথা আপনার সাথে দেখাও হবেনা [আমি]
মেসেজটা দিয়েই ফেইবু থেকে বেরিয়ে আসলাম,,, সত্যি এই ছেলেটা আমাকে জালিয়ে মারছে| তারপর ঘুমের জন্য পহর গুনছি এমন সময় একটা unknown নাম্বার ফোনের স্কিনি ভেসে উঠলো... ধরবো কি ধরবো না ভাবতে ভাবতে ফোনটা রিসিভ করলাম
>>উইল ইউ ম্যেরি মি,,,, এইটা আমার নাম্বার [অ ছেলে]
আমি কিছু বলতে যাবো অমনি টুং টুং করে ফোনটা কেটে গেলো|
ধুর..... ভাল্লাগেনা! একে যদি টাইড না দিয়েছি তো আমার নামও তোয়া না😡
তারপর ভাবতে ভাবতে কখন যেনো ঘুমিয়ে পরলাম| এক ঘুমে সকাল||
...চলবে...

❤❤...Love Story...❤❤

Writer: জান্নাতুল বাকিয়া তোয়া 👸

তিন পর্ব

আম্মুর ডাকের আগেই আজ ঘুম থেকে উঠে পরেছি|
>>কি ব্যাপার...‌ আজ দেখছি মেঘ না চাইতেই জল!! না ডাকতেই উঠে পরেছিস? [আম্মু]
আম্মুকে জরিয়ে ধরে বললাম
>>আরে আম্মু...আমি কি আর ছোট আছি,,, যে আমাকে রোজ ডেকে তোলা লাগবে[আমি]
>>সত্যি তো আমার মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেছে! এখন একটা রজকুমার দেখে বিয়ে দিতে হবে.‌‌...[আম্মু]
>>আম্মু তুমিও না..‌[আমি]
>>হা হা হা,,আচ্ছা... নাস্তা রডি করেছি খাবি আই [আম্মু]
নাস্তা করে কলেজে গেলাম|ভাবলাম তানিসাকে একটা ফোন দিয়ে দেখি ও কোথায়|
>>হ্যালো বাবু..[তনিসা]
>>কোথায় তুই... [আমি]
>>ক্রিকেট মাঠে বসে আছি..[তনিসা]
>>আচ্ছা ওখানেই থাক আমি আসছি [আমি]
ওখানে গিয়ে দেখি তনিসা,অধরা আর মাহী বসে আছে,, আমাকে দেখে তনিসা বললো
>>কি হয়েছে তোয়া? তোকে এতো আপ সেড দেখাচ্ছে কেনো!! [তনিসা]
তারপর তনিসাকে গতকালের ঘটনা সবটা খুলে বললাম| তনিসা সব শুনে বললো টেনশন করিস না আমরা আছি না সব ঠিক করে দেবো| তারপর তনিসা একটা আইডিয়া দিলো| আমি প্রথমে রাজি হচ্ছিলাম তারপর ভাবলাম ট্রাই করে দেখি কি হয়|
>>না মানে.‌.. এটা কি ঠিক হবে? [আমি]
>>আরে তুই ভয় পাস না,,, আমি আছি না.. তুই ওই ছেলেকে ফোন দে আর যে গুলো বললাম সে গুলোই বল,, তারপর দেখ আমারা ওই ছেলের কি করি [তনিসা]
ওর কথা মতো ফোন দিয়ে ওর শেখানো কথা গুলোই উদগির করলাম|
>>আমি জানতাম তুমি ঠিক আমায় ফোন দিবে [অ ছেলে]
>>আসলে আমি কাল সারা রাত আপনার কথা ভেবেছি... আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো [আমি]
>>বলো কি কথা বলো? [অ ছেলে]
>>না মানে আমি ও না আপনাকে পছন্দ করে ফেলেছি[আমি]
>>এর থেকে ভালো কিছু হতেই পারে না [অ ছেলে]
>>কিন্তুু pblm টা আমার মা বাবাকে নিয়ে তারা কিছুতেই আমাদের মেনে নেবে না,,, উনার আমার খুশির কথা ভাববে না,, তাই আমি চাচ্ছি কেউ যানার আগেই আপনার সাথে বিয়েটা সেরে ফেলতে আর সেটা আজি,, প্লিজ আপনি না বলবেন না| এখনি আপনি কলেজ মোড়ে চলে আসুন নইলে আজই আমার বাবা মা আমাকে অন্য একটি ছেলের বিয়ে দিয়ে দিবে,,
>>তুমি কনো টেনশন করো না,,, কিন্তুু এখন তো যেতে পারবো না অনেক বিজি আছি [অ ছেলে]
>>মানে না না এখনি আপনাকে আসা লাগবে [আমি]
>>সরি বাবু,, কথা দিচ্ছি ঠিক সময় পৌছে যাবো,, আচ্ছা এখন বাই [অ ছেলে]
বলেই ফোনটা কেটে দিলো| তনিসা এখন কি হবে| তনিসা বললো ছেলেটি না আসলে কি ভাবে টাইড দেবো| সব দোস তনিসার কেনো যে ওর কথা শুতে গেলাম| ওই ছেলেটা এখন কি ঘোট পাকাই কে জানে| তারপর কলেজ থেকে বাসায় ঠুকে ১২০০ ভোল্ডের একটা শক খেলাম| ওই শয়তান ছেলেটা আমাদের বাসায়| সাথে আবার এক জন ভদ্র মহিলা আর এক জন ভদ্র লোক| সম্ভবতো ওই ছেলেটার মা বাবা| আম্মু আব্বুও উনাদের সাথে বসে কথা বলছেন| আমাকে দেখে আম্মু উনাদের কাছে ডাকলেন| কছে যেতেই ভদ্র মহিলা আমাকে তার পাশে বসতে বললেন|
>>এখন থেকে আমার দুই মেয়ে [ছেলের মা]
>>বিয়াই সাহেব... অনেক আগেই আপনাদের এখনে আসতে চেয়ে ছিলাম,, কিন্তুু কজের চাপ আর এদিকে তৌসিফের মিশন চলছিলো তাই ওর ছুটিনা পাওয়ার কারনে আজ আসলাম..‌[ছেলের বাবা]
হিটলারটা নাম তৌসিফ| আর এদের কথা শুনে তো মনে হচ্ছে সবাই সবটা আগে থেকেই জানে| আমি তো কিছুই বঝতে পারছিনা| না জানি এখানে আর কতক্ষন বসে থাকা লাগবে,,,সামনে তাকাতেই দেখি শয়তান ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,, চোখে চোখ পরতেই তার হিটলার মার্কা হাসিটা দেখিয়ে দিলো|তারপর হঠাৎ তৌসিফ বললো সে আমাদের ছাদে ফুল গাছ দেখতে যাবে| আজব আমাদের ছাদে ফুল গাছ আছে ও জানলো কিভাবে| আম্মু  তৌসিফকে নিয়ে ছাদে যেতে বললো| তারপর দুজন ছাদে গেলাম| তনিসার উপর এতো রাগ হচ্ছিলো না| ওর জন্যই তো ফোনে ওই গুলো বলছি..‌ আর এই ছেলেটা ও সব সময় এক কাঠি উপরে থাকে,,, আমরা গেম সাজাতেই পারলাম না আর ছেলেটা গেম ওভার করে দিলো উফফ আর ভাল্লাগেনা,,, ইচ্ছে করছে ছাদ থেকে ফেলে দিই|
>>ফেলে দাও.. [তৌসিফ]
তৌসিফের কথা শুনে আমি চমকে ওঠলাম,,, অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলাম
>>কি..!![আমি]
>>বলছি সব pblm তো মিটেই গেলো,,, তাই টেনশন মাথা থেকে ঝেরে ফেলো [তৌসিফ]
>>আসলে সকালের ঘটনার জন্য সরি,[আমি]
>>it's ok,,, তুমি আমাকে বিয়ে করছো এটাই ফাইনাল,, [তৌসিফ]
>>না.... আপনাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না [আমি]
>>কেনো পারবা না? [তৌসিফ]
>>কেনো করবো?? [আমি]
>>কারণ তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই [তৌসিফ]
>>কখনো না,[আমি]
>>বাসো[তৌসিফ]
>>কি প্রমান আছে যে আমি আপনাকে ভালোবাসি? [আমি]
তারপর সকালে তৌসিফের সাথে কথা বলা রেকটিং শুনালো,,,
এই রে এই শয়তান ছেলেটাকে শিক্ষা দিতে গিয়ে আমিই উল্টা ফেসে গেলাম|
>>আপনি কি আমাকে ব্ল্যাকমেল করছেন? [আমি]
>>ব্ল্যাকমেলই বলো আর হোয়াইটমেলই বলো, বিয়ে আমি তোমাকেই করছি এটাই ফাইনাল,,, [তৌসিফ]
একে বলে কনো লাভ নাই,, যা বলার আম্মুকে বলতে হবে|| তারপর আর কিছু বললাম না|| নিচে নেমে রুমে চলে গেলাম| কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না| তানিসাকে ফোন দিতে যাবো তখনিই আম্মু রুমে আসলো|
>>আম্মু তোমরা আমার বিয়ে ঠিক করেছো! অথচ আমাকে একবার জানানোর প্রয়োজন মনে করলে না!! [আমি]
...চলবে...