*****প্রথম ভালোবাসা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
৪র্থ পর্ব, ৩য় পর্বের পর থেকে।
তখনি
-------আপু আর রাহিম তোরা এইসব কী করছিস জড়িয়ে ধরে?
আমি নিজেকে বিদ্যুৎ গতিতে ইভার থেকে ছাড়িয়ে স্বাভাবিক হয়ে বলতে লাগলাম।
---কই কিছু নাতো, আর কারো রুমে আসলে অনুমতি লাগে সেটা জানিস না আইরিন।
---জানি, তবে এখন যদি না আসতাম তোকে বলতে যে তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে নে যাবার জন্য, তাহলে এইসব এর কিছু দেখতে পেতাম না হয়তো। সত্য করে বল তো আসলে কী করছিলি আপুর সাথে?
---কাউকে বলবি নাতো যদি বলি?
---আচ্ছা বলবো না, তাড়াতাড়ি বল।
---আসলে আমি আর ইভা একে অপরকে ভালোবাসি অনেক আগের থেকে।
---কি বলছিস এইসব, আপু রাহিম যেটা বলেছে সত্য নি আর তুই কী ওকে সত্য ভালোবাসিস?
---হ্যাঁ বোন আমি রাহিমকে সত্য ভালোবাসি।
---তাহলে তো হয়েই গেল আমি থেকে কি করবো।
---বোন তুই থেকে কী করবি মানে?
---কিছু না, আমি যাচ্ছি আপু আর হয়তো দেখা হবে না।
---বোন আমার আইরিন কোথায় যাচ্ছিস দাঁড়া বলছি।
ইভা আইরিনের পিছু দৌড় দিলো, আর আমি ভাবতে লাগলাম আইরিন কান্না করে এইভাবে দৌড় দিয়ে চলে গেল কেন? আমিও দৌড় দিলাম কিন্তু বাহিয়ে গিয়ে দেখি ইভা ও আইরিনের দেখা নেই। কোথায় গেল ইভা আর আইরিন?ফোনটা বের করে ইভার নাম্বারে কল দিলাম, কিন্তু রিং হচ্ছে কল ধরছে না। মনের মাঝে চিন্তা বসে পড়লো, তাই গাড়িটা নিয়ে বের হয়ে গেলাম খুঁজতে। অনেক খুঁজাখুঁজি করে যখন পেলাম না বাসাতে ফিরে আসলাম। কিন্তু গাড়িতে বসে বসে যখন খুঁজছিলাম অনেক কল দিলাম, প্রতিবার রিং হচ্ছে কল ধরছে না। তাই বাসাতে এসে ইভা আর আইরিনের কথা বলা শ্রেয় মনে করলাম। কিন্তু বাসাতে এসে আমি অবাক আইরিন বারেন্দাতে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু ইভাকে দেখতে পারছি না। তাই দৌড় দিয়ে আইরিনের কাছে গিয়ে বলতে লাগলাম।
---আইরিন তোর আপু ইভা কোথায় রে?
---আপু রুমে আছে, এত চিন্তা করছিস কেন?
--চিন্তা করবো না, হঠাৎ এইভাবে দৌড় দিয়ে বের হয়ে গেল আর আমি খুঁজেও পাচ্ছিলাম না, রিংও ধরছে না।
--আমার জন্য একটু চিন্তা করলে কী হয় রে?
---সর এখন বেশি কথা বলিস না, বকবক শুনতে আমার একদম ভালো লাগে না।
--আমাকে তো তোর ভালো লাগবেই না, আমি যে আর আপুর মতো সুন্দর না।
আমি আইরিনের কথা কানে না দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ইভার রুমের সামনে গেলাম, আর গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ তাই ডাকতে লাগলাম।
---ইভা ইভা, এই ইভা দরজা খুল তোর সাথে কথা আছে।
---নিশ্চুপ।
---কিরে কথা বলছিস না কেন? আর দরজা লাগিয়ে রেখেছিস কেন?
এইবারও কোনো সাড়া পেলাম না, তাই রেগে গিয়ে আইরিনকে ধরে একটা চড় মেরে বলতে লাগলাম।
---তুই ইভাকে কী বলেছিস?
--সেটা তোকে বলবো না আমাকে যতই মারিস।
--দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু আইরিন।
--গিয়ে আপু থেকে জেনে নে আমাকে জিজ্ঞাসা করছিস কেন? সর আমি গাড়িতে গিয়ে বসবো,তুই ব্যাগ নিয়ে চলে আয়।
---তোকে যে কি করতে মনে চাচ্ছে।
রেগে মেগে আবার গেলাম ইভার রুমের কাছে গিয়ে দেখি দরজার খোলা, ভিতর ঢুকে দেখি কেউ নেই। তাই মামার কাছে গিয়ে বললাম। মামা ইভা কোথায়? তিনি বলে দেয় ইভা গাড়িতে, আর এতক্ষণ ধরে আমি কোথায় ছিলাম? কল দিয়ে বলে পাচ্ছে না, দেরি বলে হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি চলে আসতাম ব্যাগ নিয়ে।
আমি মরি আমার জ্বালায় আর তারা আমাকে নিয়ে যাওয়ার জ্বালায় নিয়ে পড়ে আছে।
ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে গিয়ে দেখি পিছুনে গাড়িতে ইভা বসে আছে। মুখ দেখে মনে হচ্ছিল কান্না করেছে, কিন্তু ইভা কান্না করবে কেন? বসতে যাবো দেখি সিট খালি নেই। মামা, মামি, ইভা পিছুনে সিটে বসে আছে আর ইভার ছোট্ট ভাই সামনের সিটে। সরি বলতে ভুলে গিয়েছি ইভার একটা ছোট্ট ভাইও আছে মানে আমার মামাতো ভাই নাম রাজিব। রাজিবকে অনেক বুঝলাম সামনের গাড়িতে গিয়ে বসতে, আমি পিছুনের গাড়িতে ডাইবারে সাথে সামনে বসবো,কিন্তু সে কোনোমতে যাবে না বারবার বলে দিলো। কি আর করার সামনে গাড়িতে গিয়ে বসতে হবে। যে বসতে যাবো দেখি আইরিন বসে আছে পিছুনের সিটে, তাই সামনে সিটে গিয়ে বসে পড়ালাম।
পুরা রাস্তাটা আইরিনের বকবক শুনতে শুনতে পার করে দিলাম, ছোট্ট থাকতে এই করেছে, ঐ করেছে। ছোট্ট থাকতে বউ, জামাই এর খেলার কথা মনে আছেনি আরও কত কি।
শেষেমেষ বকবক শুনতে শুনতে মামার বাড়িতে চলে এসে গেলাম। বের হয়ে দেখি মামার বাড়িও অনেক পরিবর্তন হয়েছে, যেই ইভার কাছে যাবো ইভা আমার সামনে দিয়ে দৌড় দিয়ে চলে গেল। ডাক দিলাম কিন্তু না শুনার ভান করে চলে গেল, আমি বুঝতে পারছি না আমার সাথে ইভা এইরকম ব্যবহার করছে কেন? তখন প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিল মামি বললো ফ্রেশ হয়ে টিভি দেখতে, তিনি রান্না শেষ হলে ডাক দিবে লান্স করার জন্য। কিন্তু আমার মন যে ইভার সাথে কথা বলার জন্য ছটপট করছে। ফ্রেশ হয়ে ইভার ছোট্ট ভাই সাহায্যে ওর রুমে সামনে গেলাম, কিন্তু দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও খুললো না। এইদিকে আইরিন এসে আমাকে টানছে টিভি দেখতে, পারলে জড়িয়ে ধরে টানছে। আইরিনের এমন স্বভাব দেখে নিজে ইচ্ছায় চলে গেলাম ড্রয়িংরুমে, তবুও ওর জড়িয়ে ধরা টানাটানি মাঝে থাকতে পারবো না। টিভি দেখতে দেখতে হঠাৎ মামি বলে উঠলো খাবার দিচ্ছি টেবিলে এসে বসো।গিয়ে বসে দেখি সবাইও বসে আছে, ইভাও বসে আছে তবে মাথা নীচু করে। মুখটা কেমন জানে শুকিয়ে গেছে। আমি বলতে লাগলাম।
---ইভা তোর কী হয়েছে? একটু খুলে বলবি।
--নিশ্চুপ।
হঠাৎ মামি বলে উঠলো
---বাবা রাহিম ওর আসলে কি হয়েছে আমিও বুঝতে পারছি না, তোমাদের বাসা থেকে আসার পর থেকে এইরকম দেখছি কথা কম বলে চুপচাপ থাকে, এমন কি রুমে মাঝে দরজার লাগিয়ে থাকে।
---হ্যাঁ মামি সেটা আমিও বুঝতে পারছি না।
তখন আমাদের কথা মাঝে মামা বলে উঠলো
---আচ্ছা ভাগিনা তুমি আমেরিকাতে পড়ালেখা শেষ করে কিসের চাকরি কর যানে বলেছিলে।
---আরে মামা ভুলে গেছ ফোনে কতবার বলেছি গাড়ির ইঞ্জিনিয়ার।
---সরি ভাগিনা ভুলে গিয়েছিলাম আর তুমি তো যানো আমার একটু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আছে।
তখন কথার মাঝে আবার আইরিন বলে উঠলো
---রাখ তো আব্বু তোমার ভুলাভুলি। বাড়িত এসে আমার এক বান্ধবীর থেকে শুনেছি আমাদের পূর্ব পাড়াতে মেলা বসেছে, আব্বু তুমি রাহিম ভাইয়াকে বলো না আমাকে মেলাতে নিয়ে যেতে।
আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম এখন সবাই সামনে ভাইয়া আর আমার সামনে নাম ধরে ডাকে কেমন মেয়ে রে বাবা ভাবনার ছেদ পড়লো মামার ডাকে।
----ভাগিনা আইরিনকে নিয়ে আজ রাতে আমাদের এইখানে মেলাতে নিয়ে ঘুরিয়ে আনো,তুমিও অনেক কিছু দেখতে পাবে সেখানে, আর মেলাতে কিন্তু অনেক জিনিস উঠে আমাদের এইদিকে।
--মামা যাবার ইচ্ছে নেই, তবে ইভাও যদি মেলাতে যেতো তাহলে তিনজন মিলে মেলাতে ঘুরে আসাতাম।
--আচ্ছা ইভাও যাবে তাহলে ভাগিনা।
---না আমি যাবো না আব্বু।
---প্লিজ আপু রাজি হয়ে যা যেতে, আব্বু তুমি আপুকে প্লিজ বলো আমাদের সাথে মেলাতে যেতে।
---মা ইভা মেলাতে চলে যা মা, একটু ঘুরে না হয় চলে আসবি।
--আব্বু তুমিও না, আচ্ছা যাবো তবে একটু ঘুরে চলে আসবো আমি।
আমি ইভার কথা শুনে মনে মনে খুশিই হলাম। যাক এইবার তাহলে মেলাতে নিয়ে ইভার সাথে কথা বলা যাবে, আর জানতে হবে কেন আমাকে এত অবহেলা করছে।খাওয়ার শেষে উঠে পড়লাম।
অনেক সময় অপেক্ষা করার পর সন্ধার দিকে ইভা ও আইরিনকে নিয়ে মেলাতে চলে গেলাম। যদিও আমি চিনি না, তবে ওরা আমাকে চিনাতে চিনাতে নিয়ে গেছে। আইরিন আমার পাশাপাশি হাঁটছে আর ইভা সামনে আসতে মানে আমার পাশাপাশি হাঁটতে চাইছে না, পিছুনে হাঁটছে। হঠাৎ আইরিন তার এক বান্ধবীর দেখা পেয়ে তার সাথে কথা বলতে শুরু করলো ভিড় এর মাঝে। আমি এই সুযোগ বুঝে ইভার হাত ধরে টানতে টানতে একটা চিপার মাঝে নিয়ে গেলাম। তারপর দেয়ালে সাথে ইভাকে দুইহাত দিয়ে ধরে দেয়ালে সাথে ঠেকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট কাছে নিয়ে বলতে লাগলাম।
(চলবে,,,)
*****প্রথম ভালোবাসা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
৫ম পর্ব, ৪র্থ পর্বের পর থেকে।
----কেন আমাকে এত অবহেলা করছিস ইভা? কেন আমার সাথে কথা বলছিস না? কেন আমার সাড়ার উওর দিচ্ছিস না? কী অন্যায় করেছি আমি?
---তুই কোনো অন্যায় করিসনি রাহিম, অন্যায় করেছি আমি তোকে ভালোবেসে।এইবার ছাড় আমার লাগছে আর কেউ দেখে ফেলবে।
---কি বলছিস এইসব ইভা, তোর মাথা ঠিক আছে তো, আর ছাড়বো না আগে আমার প্রশ্নের উওর দে।
---কিসের উওর।
---তুই আমাকে অবহেলা করছিস কেন? আর আমাকে ভালোবেসে অন্যায় করেছিস মানে কী?
---কারণ আমি তোকে ভালোবাসি না, ব্যাস আর কিছু বলতে পারবো না।
দেয়ালের থেকে টান দিয়ে ইভাকে নিজের দেহের সাথে লাগিয়ে চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলাম
---আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল, তুই আমাকে ভালোবাসিস না ইভা।
--পারবো না কিছু বলতে, ছাড় দুইজনের কেউ এইভাবে দেখলে খারাপ মনে করবে।
---না ছাড়বো না, আগে সত্যি কথা বল তোর এই পরিবর্তন এর কারণ কী?
---বলবো যদি তুই আমাকে কথা দিস, আমার একটা কথা রাখবি তাহলে।
---আচ্ছা যা রাখবো, কিন্তু কী কথা?
---তোকে আইরিনকে বিয়ে করতে হবে।
শুনে আমার পায়ের নিচে থেকে যেন মাটি সরে গেল,আমি যেন কারেন্টের শক খেলাম, ইভাকে ছেড়ে দিয়ে বলতে লাগলাম।
---কি বলছিস এইসব। আমি তো আইরিনকে ভালোবাসি না, যে আইরিনকে বিয়ে করবো। আমি তো শুধু তোকে ভালোবাসি ইভা।
----কিন্তু আইরিন তোকে ভালোবাসে আর নিজের জীবনের থেকেও বেশি। তোর মনে আছে রাহিম সকালে আমাদের বাসাতে আসার আগে আইরিন কান্না করতে করতে দৌড় দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিল আর আমি আইরিনের পিছুনে দৌড় দিয়েছিলাম। তখন আইরিন কোথায় গিয়েছিল জানিস? ট্রেন এর নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য গিয়েছিল আর আমি সেই সময় ওকে যদি না বাঁচিয়ে কথা না দিতাম, তাহলে আমার বোনটা হয়তো বাঁচাতে পারতাম না। আইরিন তোকে ছোট্টবেলা থেকে ভালোবাসে আর তোকে না পেলে বোনটা মনে হয় আমার বাঁচাবে নারে, তাই ওকে কথা দিয়েছি তোর সাথে ওর বিয়ে দিয়ে দিবো আমি।বোনটা আমার কোনোদিন বলতে পারেনি যে তোকে অনেক ভালোবাসে।
আমি যেন ইভার কথা শুনে দুনিয়া অন্ধকার দেখছি, নিজেকে খুব অসহায় লাগছে, কিছুটা শক্তিবল এনে বলতে লাগলাম।
---কিন্তু আমি যে ইভা ছোট্টবেলা থেকে তোকে ভালোবেসে আসছি,তোর মনে পড়ে যখন আমার বয়স ১০ আর তোর বয়স ৬বছর ছিল। তখন মামার বাড়িতে গেলে আমরা জামাই বউ খেলতাম, আর তুই হতি বউ আর আমি হতাম জামাই। তখন তুই বউ সেজে থাকতি বলে আইরিন রাগ করে গাল ফুলিয়ে থাকতো, আর তা দেখে তুই আইরিনকে নিজের শরীরের ছোট্ট শাড়িটা দিয়ে বউ সাজিয়ে আমার কাছে আনতি। কিন্তু এখন তুই সত্যি সত্যিই বউ বানিয়ে আমার জন্য রাখবি রে কথা দিয়ে ফেললি। তখন না হয় আইরিনের বয়স ৫ ছিল বুঝতো না, তুইও বুঝতি না। কিন্তু এখন তো তুই বুঝিস ইভা, তাহলে কথা দিলি কী করে আমাকে আইরিনের সাথে বিয়ে দিবি?
---আমি কিছু বুঝতে চাই না, বল তুই আইরিনকে বিয়ে করবি।
---আমি তোকে ভালোবেসেছি আর তোকেই বিয়ে করবো।অন্য কাউকে জীবন গেলেও না।
---তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিস রাহিম, আর যদি আমাকে ভালোবেসে থাকিস তাহলে তোকে করতেই হবে আইরিনকে বিয়ে। না হলে আমি এই জীবন শেষ করে দিবো বিষ খেয়ে।
---কি পাগলামী করছিস ইভা শান্ত হ।
---পাগলামী না, আমি যা বলছি সত্য বলছি। আর আমার বোনের সুখের জন্য আমি আমার ভালোবাসা,এমন কি নিজের জীবনও কুরবানী দিতে রাজি আছি।
---আচ্ছা যা তোর সব কথা মানতে রাজি আছি, কিন্তু নিজের জীবন শেষ করার কথা বলবি নারে। তোর কিছু হলে যে আমিও বাঁচবো না।
---ঠিক আছে আমি বাবা, মাকে বলবো। তোর আর আইরিনের বিয়ে কথা, আর আগামী এক সাপ্তাহ মাঝে তোদের বিয়ে হবে। এখন চল এখানে বেশি থাকা ঠিক না কেউ দেখে ফেলতে পারে, আর অনেক সময় হয়ে গেছে, আইরিন হয়তো আমাদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
নিজের চোখে পানি মুছে, ইভার দিকে তাকিয়ে দেখি সেও হাত দিয়ে পানি লুকানোর চেষ্টা করছে।তারপর ইভা সাথে করে মেলার ভিতরে চলে গেলাম, গিয়ে দেখি আইরিন আগে জায়গাতেই আছে কিন্তু তার বান্ধবী নেই। আমাদের দেখা মাত্রই প্রশ্ন করতে লাগলো।
---আপু আর রাহিম তোরা দুইজন আমাকে একা ফেলে কোথায় গিয়েছিলি বল তো?
---কোথায় আর যাবো বোন, আমরা তো চুরখির মাঝে বসে ছিলাম। তুই তোর বান্ধবীর সাথে কথা বলছিলি তাই ভাবলাম চুরখির মাঝে একটু উঠে আসি।
---বুঝলাম, কিন্তু তুই না চুরখির মাঝে উঠতে ভয় পেতি তাহলে আজ কীভাবে উঠলি?
---আসলে আইরিন আমি ছিলাম তো সাথে তাই তোমার আপু ভয় পাইনি।
অনেক কথা বলে শেষমেষ আইরিনকে বুঝালাম যে আমরা সত্যিই চুরখির মাঝে ছিলাম। তারপর মেলাতে ঘুরে অনেক কিনাকাটা করলাম। ইভার জন্য চুড়ি, কানের দুল আরো অনেক কিছু কিনে দিলাম।আইরিনকেও কিনে দিলাম যেটা যেটা বললো, তবে ইভার দেওয়ার জিনিস কিনে জোর করে ব্যাগে ভরে দিলাম। বাড়িতে এসে চিন্তা করতে লাগলাম, কী করবো এখন আমি? তখনি মামি ডিনার করার জন্য টেবিলে ডাক দিলো,তাই টেবিলে গিয়ে বসে পড়লাম। বসে দেখি আইরিন ইভার সাথে হাসছে, আমার এইদিকে বুকে সাত সাগরের সমান কষ্ট আর ইভা কিনা হাসছে মনে হয় কিছু হয়নি।মামি ভাত দিচ্ছে খেতে লাগলাম তখনি ইভা বলে উঠলো মামাকে।
---আব্বু তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
---খাবার সময় কিসের কথা মা ইভা, আচ্ছা বল তোর কি কথা।
---আসলে আব্বু রাহিম ভাইয়া আর আইরিন একে অপরকে ভালোবাসে আর দুইজন বিয়ে করতে চাই। প্লিজ আব্বু তুমি রাজি হয়ে যাও।
---কিন্তু মা তুই তো বড়, তোর বিয়ে না দিয়ে আইরিনের বিয়ে দেয় কীভাবে বল তো?
---কিছু হবে না আব্বু, তুমি আইরিনের বিয়ে দিয়ে না হয় আমার বিয়ে দিবে।
---আচ্ছা আমি দুলাভাই এর সাথে মানে রাহিমের বাবার সাথে গিয়ে আগামীকাল সকালেই কথা বলবো। জানি দুলাভাই নিশ্চয় রাজি হবে আর বেশি কথা বলিস না এখন ভাত খা।
--আচ্ছা খাচ্ছি
আমি তো আইরিনকে ভালোবাসি না তাহলে ইভা কেন বললো আমি আইরিনকে ভালোবাসি। ভাত খেতে খেতে ভাবতে লাগলাম। খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি কখন ইভা যাবে নিজের রুমে। যেহেতু আমার আর ইভার রুমে পাশাপাশি তাই ইভাকে আমার থাকার রুমটা অতিক্রম করে যেতে হয়। হঠাৎ দেখতে পেলাম ইভা আসছে। তখন দরজার কাছাকাছি আসার মাত্রই টান দিয়ে নিজের রুমে নিয়ে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলাম।
---এইসব এর কি হচ্ছে ইভা, আমি কি কখনো বলেছি তোর বোন আইরিনকে ভালোবাসি।
--ছাড় আমাকে যখন তখন জড়িয়ে ধরা তোর কোন ধরনের অভ্যাস। কয়েকদিন পর ছোট্টবোনে জামাই হবি ছাড় আমাকে।
--না ছাড়বো না আমি শুধু তোকে ভালোবাসি।
--- ঠাস ঠাস
----তুই আমাকে থাপ্পড় মারতে পারলি ইভা।
---হ্যাঁ পারলাম আর যাতে কোনদিন আমাকে জড়িয়ে না ধরিস বলে দিলাম।
এই বলে ইভা দৌড়াতে দৌড়াতে চলে গেল আর আমি গালে হাত দিয়ে অশ্রু ফেলতে লাগলাম। যাকে কিনা এত ভালোবাসি আর সে কিনা আজ আমাকে থাপ্পড় মারলো।
মন খারাপ করে বিছানাতে শুয়ে পড়লাম। সকালে ফোনের রিংটোন এর শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল। মোবাইলে দিকে চেয়ে দেখি ১০টা ২০মিনিট বাজে কিন্তু কেউ আমাকে ডাকার প্রয়োজন মনে করলো না। ফোনে নাম্বারে দিকে তাকিয়ে বুঝলাম এটা আব্বু নাম্বার তাই কলটা রিসিভ করলাম আর যা শুনলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
(চলবে,,,
*****প্রথম ভালোবাসা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
৬ষ্টম পর্ব আর শেষ পর্ব।
--আব্বু যখন বললো ফোনে আইরিনের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে, তখন নিজের ভিতরে যেন ঝড় বয়তে শুরু হয়ে গেল। বুকের ভিতর যেন কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। আমি তো জীবনে কাউকে কষ্ট দেয়নি, তাহলে কেন হচ্ছে আমার সাথে এইসব। ভেবেছিলাম আব্বুকে মামা যখন আইরিনের সাথে আমার বিয়ের কথা বলবে রাজি হবে না, কিংবা আমার থেকে মতামত নিবে আমি বিয়ে করতে রাজি আছি কিনা আইরিকে। কিন্তু এইসব কি হয়ে গেল, এখন আমি কী করবো? তাহলে সত্যিই কি ইভাকে আমি পাবো না।না তা হতে দেওয়া যাবে না, আমি আজই বাসাতে গিয়ে আব্বুকে বুঝাবো যাতে এই বিয়ে ভেঙে দেই কোনো অজুহাত দিয়ে। এইসব ভাবতে ভাবতে ফোন হাত থেকে রেখে ব্যাগে কাপড় ঘুচ্ছাতে লাগলাম। যাওয়ার সময় মামি যখন আমার মুখ থেকে শুনলো বাড়িতে চলে যাচ্ছি নাস্তা করে যেতে বললো। আমি বাসাতে নাস্তা করে নিবো বলে বের হয়ে গেলাম। গাড়িতে উঠে চালাতে চালাতে ভাবছি, যাকে এত ভালোবাসি তাকে না পেলে বিয়ে করার প্রশ্নই উঠে না, আর যদি বিয়ে হয়ে যায় আইরিনকে কখনো স্ত্রীর মার্যাদা দিবো না।
বাড়িতে এসে ঢুকার মাত্রই আব্বু বলে উঠলো।
---রাহিম বাবা তোকে আমি এখনিই কল দিতাম আসার জন্য, এসে খুব ভালো কাজ করেছিস। আগামী শুক্রবারেই তোর সাথে আইরিনের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি। আজ সোমবার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে, এখন অনেক কাজ করতে হবে। মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে, বাড়ি সাজাতে হবে আরো কত কি।তুই আমাকে সাহায্য করবি বল।
---আব্বু তোমার সাথে কিছু কথা ছিল।
---কী কথা?
---একটু আমার সাথে রুমে আসো বলছি।
তারপর রুমে গিয়ে
---এখন বল বাবা তোর কি কথা বলবি।
---আসলে আব্বু তুমি এই বিয়ে ভেঙে দেও। আমি আইরিনকে বিয়ে করতে পারবো না।
---কিন্তু কেন?
---কারণ আমি ইভাকে ভালোবাসি আর নিজের জীবনের থেকে বেশি।
---কিন্তু তোর মামা তো বললো তুই আইরিনকে ভালোবাসিস, আর তোরা একে অপরকে বিয়ে করতে চাস। সেটা সত্য না মিথ্যা ?
---আইরিনকে আমি ভালোবাসি না আব্বু, আইরিন আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু একদিক দিয়ে কখনো ভালোবাসা হয় না আব্বু। তবে ইভা আর আমি একে অপরকে অনেক ভালোবাসি।কিন্তু ইভা যখন শুনলো আইরিন আমাকে ভালোবাসে,তখন কথা দিয়ে ফেললো আমার সাথে আইরিনের বিয়ে দিয়ে দিবে আইরিনকে। তুমি প্লিজ আব্বু মামাকে বলো যে আমি বিয়ে করতে পারবো না কিংবা আইরিনকে তোমার পছন্দ হয় না।
---কিন্তু বাবা রাহিম আমি তো কথা দিয়ে ফেলেছি রে তোর মামাকে, যে আইরিনের সাথে আগামী শুক্রবারেই তোদের দিয়ে হবে।
---এটা তুমি কী করলে আব্বু আমার মতামত নেওয়া মনে করলে না আর কথা দিয়ে ফেললে।
---আমি কি জানতাম নাকি বাবা তুই যে আইরিনকে ভালোবাসিস না, আর যদি জানতাম কখনো কথা দিতাম না। তুই আমাকে ক্ষমা করে দে বাবা।
---আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি এখন যাও আব্বু আমি একটু একা থাকতে চাই।
নিজেকে আজ যেন পরাজয় সৈন্য মনে হচ্ছে। যাকে ছোট্ট থাকতে ধরে ভালোবেসে এসেছি, সেই ইভাকে আমি পাবো না কখনো কল্পনা করিনি।
আর আজ ভাগ্যের কি পরিহাস হচ্ছে আমার সাথে। এইসব কথা ভাবতে লাগলাম। বাহিরে গিয়ে একটা সিগারেট কিনে জীবনের প্রথমে টান দিলাম আর কাঁশতে লাগলাম। শুনেছি সিগারেট সব কষ্ট পুরে ছাই করে দেয়, কিন্তু আমার এত কাঁশি আসছে কেন?সিগারেট ফেলে দিয়ে বাসাতে এসে রুমে চলে গেলাম। ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবছি ইভাকে কল দিয়ে একটু কথা বললে কি হয়। কিন্তু যতবার কল দিচ্ছি রিং হচ্ছে কল ধরছে না। তখন বাধ্য হয়ে আইরিনের নাম্বারে কল দিলাম, রিসিভ করা মাত্রই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম।
--আইরিন তোর আপু ইভা কোথায় রে?
--আপু তো দরজা লাগিয়ে রুমে মাঝে আছে।কিন্তু কেন?
---এমনি বাই রাখি।
---আরে দাঁড়া আমার সাথে কথা বল।
টু টু করে কলটা কেটে দিলাম। তারপর আইরিনের কল আসতে লাগলো তাই ফোনটা বিছানাতে ফেলে ভাবতে লাগলাম, ইভা আসলে দরজা লাগিয়ে কী করে? আর আমার কল ধরছে না কেন?
এইভাবে অনেকদিন চলে গেল। অবশেষে বিয়ে দিন চলে আসলো। বর সেজে যখন বসেছিলাম ইভাকে অনেক খুঁজলাম চারদিকে কিন্তু দেখতে পেলাম না। বিয়ের কাজ শেষ করার পর বউকে নিয়ে বাসাতে সবার সাথে চলে আসলাম। আইরিনের বাসা থেকে অনেক মেয়ে, মহিলাও আমাদের সাথে গেল, তবে একজন বোরকা পড়া ছিল। বাড়িতে গিয়ে ছাদে বসে রইলাম, হঠাৎ কিছু বন্ধুরা এসে জোর করে ধরে বাসর করে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে গেল। লম্বা ঘোমটা দিয়ে আইরিন আমাকে যখনি পায়ে সালাম করতে যাবে, নিজে পা দুইটা সরিয়ে বলে দিলাম, যাও নিজের জায়গাতে গিয়ে বস আর সালাম করতে হবে না। আইরিন চুপচাপ গিয়ে খাটে বসে পড়লো।আমি গিয়ে পাশে বসে বলতে লাগলাম।
---আইরিন তোকে কখনো আমি স্ত্রীর মার্যাদা দিবো না জেনে রাখিস, আমি শুধু ইভাকে ভালোবেসে ছিলাম আর ইভাকেই ভালোবেসে যাবো। ইভার জীবন বাঁচাতে তোকে বিয়ে করতে হয়েছে।আমি
যাচ্ছি সোফাতে ঘুমাবো।
---দাঁড়ান একবার বউকে দেখবেন না।
কন্ঠ শুনে যেন আমি থমকে গেলাম
---কে আপনে? আপনার কণ্ঠ খুব চিনাচিনা লাগছে আর এটা তো আইরিনের কণ্ঠের সুর না।
তখনি দরজার আড়াল থেকে কেউ বের হয়ে হাসতে শুরু করলো,ঘুরে চেয়ে দেখে আমি তো অবাক। কারণ এটা তো আইরিন, তাহলে এইখানে কে খাটে বসে আছে? আমি অবাক হয়ে বলতে লাগলাম।
--আইরিন তুই এইখানে, তাহলে খাটের মাঝে বউ সেজে কে বসে আছে?
---তুই নিজেই ঘোমটা সরিয়ে দেখ।
ঘোমটা সরিয়ে যেন আমি ২য় বারে মতো বড় ধরনের অবাক হলাম, কারণ এটা তো ইভা।
--ইভা তুই।
---হ্যাঁ আমি, কী ভেবেছিলি আমি আইরিন?
---কিন্তু এইসব কী করে হলো?তুই আমার বউ কিছুই তো বুঝতাছিনা।
---সব আমার বোন আইরিনের জন্য, ওকে জিজ্ঞাসা করে দেখ আইরিনই বলবে।
আমি আইরিনে দিকে ফিরে তাকালাম দেখি মেয়েটা এখনো হাসছে।
---তুই এত হাসছিস কেন রে? আর এইসব কীভাবে করলি আইরিন?
---আসলে একদিক দিয়ে ভালোবাসা হয় নারে রাহিম সরি দুলাভাই।এখন তো আপুকে বিয়ে করছিস তাই দুলাভাইই ডাকতে হবে তবে তুমি করে বলতে পারবো না তুই বলে ডাকবো।
---আচ্ছা যা মন চা ডাকিস, এখন বল এইসব কীভাবে হলো আমার সাথে ইভার বিয়ে?
---তোর মনে আছে সেইদিন আমাদের বাসাতে যাওয়ার পর মেলাতে গিয়েছিলি, আর আমার বান্ধবীর সাথে কথা বলার সময় কোথায় জানে চলে গিয়েছিলি। তখন বান্ধবীর সাথে একটু কথা বলার পরই সে চলে গিয়েছিল। তোদের না দেখা পেয়ে মেলাতে খুঁজতে লাগলাম, হঠাৎ দেখতে পেলাম একটা চিপার মাঝে তুই আপুকে জড়িয়ে ধরে বলছিস, তোকে কেন এত অবহেলা করছে। পরে তোদের সব কথা শুনলাম আর নিজের চোখে পানি চলে আসলো । যে বোন আমার সুখের জন্য বিষ খেয়ে জীবন দিতে পারে আর আমি কিনা তার সুখ কেড়ে নিচ্ছি। পরে অনেক ভেবে দেখলাম একদিক দিয়ে তো আর ভালোবাসা হয় না, আমি যদি তোকে বিয়ে করি তুই আমাকে কখনো ভালোবাসবি না। যা কিছুক্ষণ আগে দেখলাম সেখানে আপু জায়গাতে আজ আমি থাকলে তা হতো আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল।
আমি ইভার দিকে তাকালাম
---আর তুমিও না ইভা আমাকে কিছু বলার মনে করলে না।
---কি করবো বলো, তখন তো সময় ছিল না। বিয়ে দিন আইরিন আমাকে বলতে লাগলো, আপু তুই রাহিমকে অনেক ভালোবাসিস তাই না আর রাহিমও তোকে অনেক ভালোবাসা। তাহলে আমাকে বউ সাজাছিস কেন? সে ছোট্ট থাকতে বউ হওয়ার জন্য রাগ করতাম বলে আমাকে বউ বানাতি। তুই আবার সেই ভুল করছিস আপু আর একদিকে দিয়ে কখনো ভালোবাসা হয় নারে আপু। আমি ঐদিন মেলাতে চিপার মাঝে তোদের দুইজনের সব কথাই শুনেছি। আমাকে ক্ষমা করে দে আপু আমি বুঝতে পারিনি ছোট্ট থাকতে মতো জেদ ধরে বসে ছিলাম বউ হওয়ার জন্য।আর তুই কিনা তোর ভালোবাসা আমাকে দিয়ে দরজা লাগিয়ে কান্না করস আমি আপু সব দেখি।
এইসব কথা বলে আইরিন আমাকে বউ বানিয়ে নিজের নাম দিলো।
---সত্যিই তোমার বোন আইরিন যদি আমাদের ঐদিন না দেখতো আমাদের মিল হতো না। আর শালিকা বাসর ঘরে তোমার কোনো কাজ নেই অন্য রুমে যেতে পার এখন।
--না যাবো না দুলাভাই আমি আজ রাতে দেখবো তোমরা কি কর।
--কী?
--আরে দুলাভাই আমি তো মজা করছি।
---ভালো আর এইভাবে সব সময় কথা বলবে খুশি হবো।
--তবে একটা কথা কী জানো দুলাভাই? আমার প্রথম ভালোবাসা তুমি, তোমার প্রথম ভালোবাসা আপু আর আপু প্রথম ভালোবাসা তুমি। কিন্তু আমি তোমার প্রথম ভালোবায়া হতে পারলাম না।
--প্রথম ভালোবাসা হয়েছিস নাতো কী হয়েছে? প্রথম দুলাভাই এর ভালোবাসা তো পাবি শালিকা।
---কী? রাহিম তুমিও না বউ এর সামনে এই কথা।
--আপু দেখে রাখ দুলাভাই কিন্তু আমার কাছে চলে আসতে পারে।
--কি শুরু করেছ তুমি আমার সংসার শুরু হওয়ার আগে দি দেখছি ভেঙে দিবে।
--আরে দুলাভাই আমি তো মজা করছি আপুর সাথে।
--আচ্ছা বুঝলাম শালিকা, এখন যাও আমি একটু বিশ্রাম নেই।
---বিশ্রাম নিবেন না খেলা শুরু করবেন কোনটা দুলাভাই আর আমি আপু যাই দুলাভাইকে মিষ্টিমুখ করা।
এই বলে দৌড়াতে দৌড়াতে আইরিন চলে গেল।
---ইভা তোমার বোনও জব্বর পেকে গেছে, একটু বেশি বুঝে বাসর ঘরের সম্পর্কে।
--এই একদম আমার বোনের দিকে নজর দিবে না চোখ খুলে নিবো কিন্তু।
---বাবারে বাসর ঘরেই স্বামির চোখ খুলে নিতে চাও, আরে আমার এই চাঁদের মতো সুন্দর বউ রেখে অন্য কারো দিকে তাকাবো কীভাবে?
--হয়েছে আর পাম দিতে হবে না, এইবার উঠে হেটে একটু দরজার কাছে যাও।
--তুমি বেলুন না টিউব যে আমি পাম দিবো, আর মহারানি সেখানে গেলে কী হবে?
--আগে যাও তারপর বলছি।
আর কথা না বাড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে দরজার কাছে চলে গেলাম, ইভা খাট থেকে নেমে এসে আমার পায়ে সালাম করতে লাগলো।আমিও মজা করে।
--যাও দোয়া করে দিলাম তুমি ১১জনের মা হবে।
বুকে ঘুসি দিতে দিতে
--কী? শয়তান, কুত্তা, বিলাই এত বাচ্চা আমি নিতে পারবো না।
--কিন্তু আমি তো দিতে পারবো বাচ্চা, আর মারছো কেন, ওহ লাগছে তো।
---আরো মারবো এইসব কথা বললে।আমাদের
শুধু দুইটা সন্তান হবে একটা ছেলে, আরেকটা মেয়ে।
---কিন্তু আমার যে ১১টা সন্তানের পরিকল্পনা ছিল,আচ্ছা প্রথমে যদি দুইটাই মেয়ে হয় তাহলে ছেলের জন্য টাই করতে পারি তাই না, কিংবা আবার ধরো প্রথমে দুইটাই যদি ছেলে হয় তাহলে তো মেয়ের জন্য টাই করতে হবে।
---না তা হবে না, ছেলে কিংবা মেয়ে হক দুইটা সন্তানই যথেষ্ট।
---কিন্তু আমি তোমার ইচ্ছে ছেলে ও মেয়ে অপূর্ণ রাখি কীভাবে বল তো?
এই বলে আমি ইভাকে কোলে তুলে নিলাম।
---এই ছাড়ো বলছি আমার ভয় করছে, আরেকরাতে বাসর করবো আজ ছেড়ে দেও।
---না তা আর হবে না, এই সুযোগ মিস করলে চলবে না।
আমি এই বলে ইভাকে খাটে শুয়িয়ে বাতিটা অফ করে দিলাম।
(আরে পাঠক, পাঠিকারা আপনার কী খুঁজছেন আর কী দেখতে চাচ্ছেন অন্ধকারে?আজ রাতে আর তাদেরকে দেখতে পাবেন না বাতি অফ করে দিয়েছে তো তাই বসে বসে মুড়ি খান, বিনামূল্যে সিনামা আর কত দেখবেন এইবার মুড়ি খান পারলে আমাকে কিছু দিন আমিও সিংগেল )
(সমাপ্ত)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ