āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻāĻĒ্āϰিāϞ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4900

*****জীবনের সাথে সংগ্রাম *****

(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
'
'
'
দুপুরে কড়া রোদের মাঝ দিয়ে আপন গতিতে হেটে চলছি আমি আর উদ্দেশ একটা ই ছাত্রী অহনার বাসাতে গিয়ে তাকে পড়ানো। মেয়েটা ২য় শ্রেনীতে পড়ে, খুব পাকনা পাকনা কথা বলে। প্রথম দিন ই অহনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম আমি, এত পাকনা পাকনা কেউ কথা বলতে পারে জানা ই ছিল না। এইসব ভাবতে ভাবতে অহনার বাসাতে চলে এসেছি , ভিতরে গিয়ে দেখি সে পড়ার টেবিলে বসে আছে আর আমিও চেয়ার টান দিয়ে বসে পড়লাম। তখনি অহনা বলতে লাগলো

>>স্যার জানেন আম্মু না আজ মার্কেটে গিয়ে অনেক শপিং করেছে আর আমার জন্য অনেক কিছু এনেছে। স্যার চকলেটগুলো আপনার জন্য রেখে দিন।

>>না মামনি আমি চকলেট খাব না, তুমি ই চকলেট খাও আর গতকাল যে হাতের লেখা বাড়ির কাজ দিয়েছি, সেটা লিখেছ নি?

>>হ্যাঁ স্যার লিখেছি এই নেন খাতা।

>>খুব ভালো তো সুন্দর করে লিখছ আর আমি যে কবিতা বলেছিলাম আমাদের ছোট্ট নদী এটা মুখস্ত করতে,  সেটার কী হলো?

>>হ্যাঁ স্যার আমাদের ছোট্ট নদী কবিতাটা মুখস্ত করেছি।

তারপর অহনার থেকে কবিতা শুনে আর অনেক কিছু শিখিয়ে আর বাড়ির কাজ দিয়ে,  এক ঘন্টার পর তাদের বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর ভাবছি, আমি দুইমাসের বেতন পাই কিন্তু তা দিবার কোনো খবর ই নেই আর   মার্কেটে গিয়ে শপিং করে। নিজের মুখে লজ্জায় টাকা কথা বলতে পারি না বলে আজ এই অবস্থা।


অ sorry আপনাদেরকে আমার পরিচয় দেওয়া হয় নি। আমি রাহিম, এইবার অর্নাসে প্রথম বর্ষে পড়ছি আর ছাত্র হিসাবে অনেক ভালো সবসময় জিপিএ 5 পাই কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলে জিপিএ 5 পেলে বা কী সেটা দিয়ে তো আর ভাত খাওয়ার চাল কিনা যাবে না। বাবা সে ছোট্টকাল থাকতে মারা গিয়েছে আর আমার মা কাপড় সেলাই করে আমাদেরকে বড় করছে, মানে আমার একটা ছোট্ট  বোনও আছে। এইবার বোনটা SSC পরীক্ষা দিবে আর ফর্ম ফিলাপের জন্য অনেক টাকা লাগবে। ছোট্টবেলা থেকে মা অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে বড় করেছে। তাই যখন ই বুঝার হয়েছি তখন থেকে টিউশনি করা শুরু করে দিয়েছি যাতে মার কষ্টটা একটু কমাতে পারি। এখন মোট ১০টা টিউশনি করি কারণ টাকা অনেক প্রয়োজন। অনেকদিন ধরে অসুস্থ মা তাই তিনি আগের মত কাজ করতে পারেন না তাই বেশিভাগ খরচ আমার এখান থেকে দিয়ে থাকি।পকেটে যখন টাকা থাকে না তখন মানুষ চিনা যায়। ভাগ্যের জোরে একটা gfও কপালে লেখা হয়ে গেছে কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলেকে প্রেম করলে তো আর চলবে না কিন্তু কিছু করার নেই মেয়েটাকে আমি ছাড়তে পারি নি। অ sorry মেয়েটা নাম মিতু। মিতুর মাঝে জানে কিসে মায়া যার জন্য তাকে ছাড়তে পারি না। মিতুকে আমি যত অবহেলা করি সে তত কাছে আসতে চাই আর তার বাবা অনেক ধনী তাই মাঝে মাঝে ভয় হয়, আমাদের সম্পর্ক কখনো মেনে নিবে মিতুর বাবা এই নিয়ে।

দুপুরে বাড়িত গিয়ে খেয়ে আবারও বের হয়ে গেলাম একটা ছাত্রকে পড়ানোর জন্য তখনি মিতুর কল আসে আর আমি কলটা রিসিভ করলাম

>>হ্যাঁ মিতু বলো কল দিয়েছ কেন শুনি?

>> তুমি এখন কোথায় আছ বলো তো রাহিম  ?

>>হুম আমি এখন একটা ছাত্রকে পড়াতে যাচ্ছি রাস্তাতে আছি ।

>>বিকাল ৪টা সময় দেখা করতে পারবে পার্কে?

>>৪টা সময় আমার একটা টিউশনি আছে আর হুম ৫টা সময়ও আছে তবে সন্ধার আগে মানে ৬টা দিকে দেখা করতে পারি যদি তুমি চাও।

>>আচ্ছা ৬টা দিকে ই আমি তোমার জন্য পার্কে অপেক্ষা করবো আর তোমার সাথে অনেক কথা আছে। হুম এখন কল রাখি আই লাভ ইউ রাহিম

>>আই লাভ ইউ টু পাগলী একটা (বলার সাথে সাথে টু টু করে কলটা কেটে গেল)

তারপর  আমি ফোনটা পকেটে রেখে চলতে লাগলাম হেটে কারণ রিক্সা দিয়ে গেলে অনেক টাকা লাগবে আর আমার কাছে এক একটা টাকা স্বর্ণের মতো  দামী যা অপচয় করা চলবে না। তাই তো হেটে ই টিউশনি করি।

৪টা আর ৫টা সময়ের টিউশনি করে চলতে লাগলাম পার্কে উদ্দেশে, জানি মিতু অনেক আগে ই গিয়ে বসে আছে। হাত ঘড়ি দিকে তাকিয়ে দেখি ৬টা ১০বাজে তাই হাঁটার স্পিড বাড়িয়ে দিলাম, আমাকে যে তাড়াতাড়ি মিতুর কাছে যেতে হবে।

গিয়ে দেখি মহারানি বসে আছে শাড়ি পড়ে আর আমি গিয়ে মিতুর পিছুনে দাঁড়িয়ে বলতাম লাগলাম

>>কারো জন্য কী অপেক্ষা করছেন মেডাম।

>>তা সাহেবের কী এতক্ষনে সময় হলো আসার, ঘড়ি দেখছ কয়টা বাজে ৬টা ২০মিনিট আর ৩০ মিনিট পরে ই সন্ধা হয়ে যাবে।  যাও তোমার সাথে কথা নাই।

>>আমার মহারানিটা মনে হয় রাগ করেছে, দেখি তো তোমাকে ভালো করে রাগলে তোমাকে কেমন লাগে(আমি এই বলে মিতুকে ভালোভাবে দেখতে লাগলাম আর হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম কারণ শাড়িতে মিতুকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে যেন ডানা কাটা পরী আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে)

>>কী দেখছ এমন করে রাহিম(মিতু লজ্জা সুরে)

>>আমার মহারানিকে দেখছি, আজ তোমাকে না ডানা কাটা পরীর মত লাগছে মিতু।

>>থাক এত দেখতে হবে না, বিয়ে পর ভালো করে না হয় দেখবে। নেও এটা তোমার জন্য।

>>শপিং ব্যাগে কী শুনি তো?

>>হুম খুলে দেখ কী আছে ভিতরে।

>>এই কী এটা তো একটা শার্ট, তুমি শার্ট কিনতে গেলে কেন শুনি?

>>তোমাকে প্রায় ই দেখি রাহিম সব সময় ২টা শার্ট শুধু পড় তাই আমি এটা আজ উপহার দিলাম বুঝেছ।

>>হুম বুঝলাম, বলো কী কথা তোমার বলার আছে ফোনে  যে বললে?

>>হুম আব্বু আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে কিন্তু আমি বলে দিয়েছি এখন বিয়ে করবো না আর যদি জোর করে তাহলে বাড়িত থেকে চলে যাবো। আব্বুকে হয় তো ৪বা ৫বছর এই ভয়টা দেখিয়ে রাখতে পারবো, তাই তুমি তাড়াতাড়ি কিছু একটা কর রাহিম।

>>হুম অর্নাস পাশ করে নেই তারপর একটা চাকরি জোগাড় করে তোমাকে বউ করে নিব।

>>আচ্ছা যা ই করো তাড়াতাড়ি করো, এইদিকে সন্ধা হয়ে আসছে আমি এখন যায়।

>>আচ্ছা চলো তোমাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

তারপর মিতুকে তার বাসাতে দিয়ে আবার চলে গেলাম  সন্ধা ৭টার দিকে এক ছাত্রকে পড়ানোর জন্য। তো এইভাবে চলছে আমার দিনকাল। এইদিকে ছোট্ট বোনটার ফর্ম ফিলাপের দিন এগিয়ে আসছে তাই লজ্জা শরম বাদ দিয়ে যে করে হক অহনার মাকে টাকা কথা বলতে ই হবে মনস্থির করলাম।কারণ আরও টাকা প্রয়োজন , তো অহনাকে পড়াতে গিয়ে বলতে লাগলাম

>>আচ্ছা অহনা তোমার  আম্মুর কী টাকার কোনো সমস্যা আছে?

>>না স্যার নেই। জানেন স্যার আব্বু না বিদেশ থেকে অনেক টাকা পাঠায় আম্মুর কাছে আর এই মাসেও পাঠিয়েছে।

(আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম এই তো সুযোগ তিন মাসের বেতন নেওয়া । যে করে হোক যেভাবে হক অনুরোধ করে টাকাটা হাতে পেতে হবে)

তারপর অহনাকে পড়িয়ে তার মাকে অনেক অনুরোধ করে টাকার কথা বলার পর তিনি টাকা দিয়ে দিলেন। বাসাতে এসে মার হাতে টাকাটা দিয়ে দিলাম ছোট্ট বোনটাকে দেওয়ার জন্য।
এইভাবে অনেকটি মাস কেটে গেলে ছোট্ট বোনও SSC তে জিপিএ 5পেল শুনে আমি যে কী খুশি হয়েছি বলার মতো  নেই। কিন্তু তার চেয়ে আরও বেশি খুশি হয়েছিলাম যখন দেখলাম ছোট্ট বোনটা টিউশনি করা শুরু করে দিয়েছে পরিবারে একটু হাল ধরবে বলে, সেইদিন সুখে আমার চোখ দিয়ে প্রায় পানি এসে গেল।  এইভাবে যেতে যেতে অনেকটি বছর চলে গেল আর আমি অর্নাস পাশ করে প্রায় জুতার তলা ক্ষয় করে ফেলছি চাকরি জন্য। যেদিকে যায় খালি ঘুষ আর ঘুষ, ঘুষ ছাড়া কোনো চাকরি দেওয়া হয় না। চাকরি খুঁজে প্রায় হতাশা হয়ে গেলাম। তো একদিন মিতু বললো পার্কে দেখা করতে ।
পার্কে গিয়ে দেখি মিতু বসে আছে আমি কাছে গিয়ে বলতে লাগলাম

>>হ্যাঁ বলো মিতু পার্কে ডাকলে যে?

>>রাহিম আমি তো আর পারছি না আব্বুকে  বুঝাতে, তুমি কিছু একটা করো।

>>আমি আর কী করবো জীবনের সাথে সংগ্রাম করছি। তুমি তো ধনী দুলালীর মেয়ে জীবনের সাথে সংগ্রাম কী তা হয় তো বুঝার ক্ষমতা নেই। কারণ যে নিম্ন মধ্যবিত্ত যে ই বুঝে আসলে জীবন কী?

>>কী বলতে চাচ্ছ তুমি?

>>কিছু না, আমি অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু ঘুষ ছাড়া কোথায় চাকরি দেয় না। তুমি আমাকে আর কয়েকটা মাস সময় দেও চাকরি একটা জোগাড় করে নিব

>>আচ্ছা কিন্তু যা করো তাড়াতাড়ি করো, না হলে আমাকে হারাতে হবে বলে দিলাম (অভিমানি সুরে বলে চলতে লাগলো মিতু)

আর আমি তার চলে যাওয়া দেখতে লাগলাম। বাসাতে যেতে যেতে ভাবতে লাগলাম হায় রে জীবনের সাথে সংগ্রাম আর কত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকবো। চাকরি খুঁজে দুইটা টিউশনি বাদ দিতে হলো। চাকরি জন্য জুতার তলা ক্ষয় করে ফেলছি কিন্তু চাকরি পাচ্ছি না ঘুষ ছাড়া। তখনি হঠাৎ রাস্তাতে লক্ষ করলাম একটা লোক কী নিয়ে যেন পালাচ্ছে। আমার দেখে মনে হলো চোর তাই লোকটা ধরে কিছু ধুলাই দিলাম। তখন আরেক লোক এসে বললো বাবা তোমার জন্য আজ আমার ব্যাগ ভরা টাকা নিতে পারে নি, তোমাকে কী বলে যে ধন্যবাদ দিব। আমি লোকটা দেখে বুঝলাম অনেক ধনী হবে হয় তো তাই বলে ফেললাম, ধন্যবাদ দিতে হবে না পারলে একটা চাকরি খুঁজে দেন। তিনি আমার কথা শুনে হাসতে লাগলো, পরে একটা কার্ড দিয়ে বললো সকালে এই ঠিকানা অফিসে যোগাযোগ করলে চাকরি হয়ে যাবে, তিনি বলে চলে গেল। আর আমি তো অবাক হয়ে রইলাম। পরে সকালে কার্ডে ঠিকানা গিয়ে দেখি এই লোক কম্পানির মালিক।আমার আর বুঝায় বাকি রইল না কিছু, সু্তরাং চাকরি হয়ে গেল বিনা ঘুষে, তাও মাসে বেতন ৪০হাজার টাকা শুনে যে কী খুশি লাগছিল বলার মতো নেই।
বাড়িত এসে খবর দিলাম চাকরি পেয়েছি মা আর ছোট্ট বোনটা শুনে খুব খুশি হলো, কিন্তু মিতুকে কিছু বলা হয় নি তাই কল দিয়ে বললাম পার্কে দেখা করতে সরাসরি বলবো বলে।
তাই আগে গিয়ে ই পার্কে বসে রইলাম

>>কী ব্যাপার সাহেব আজ যে আমার আগে এসে গেলেন (মিতু এই বলে পাশে বসে পড়ল)

>>হ্যাঁ আজ তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে তাই।

>>কী সারপ্রাইজ আছে শুনি?

>>সারপ্রাইজ হলো  এই আমার চাকরি হয়ে গেছে আর আমরা অতি শীঘ্রই বিয়ে করছি।

>>সত্যি বলছো, আমার না আজ কী খুশি লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না রাহিম(মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে)

>>হ্যাঁ এক সত্য, দুই  সত্য, তিন সত্য, আই লাভ ইউ পাগলী একটা(আমি জোরে জড়িয়ে ধরে)

>>আই লাভ ইউ টু পাগল এখন ছাড় বলছি।

>>না ছাড়া যাবে না।

>>কী দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।(এই বলে কামড় মেরে দৌড়)

>>অ মা গো তুমি আমার বুকে কামড় মারতে পারলে, আজ তোমার একদিন কী আমার একদিন (আমিও দৌড় পিছুনে)

>>হি হি হি আমাকে ধরতে পারবে না

(সমাপ্ত)

4899

*****সেই ছেলেটা*****(লেখক রাহিম মিয়া)
'
'
শিক্ষামূলক গল্প
'
'
'
প্রতিদিনের মতো আজও বের হয়ে গেলাম কাজের উদ্দেশে , না আমি কোনো অর্থ উপার্জন জন্য বের হয় নি। আমি আমার সবুজ জন্মভূমিকে আরো সবুজ করার জন্য বের হয়েছি,  মানে গাছ লাগানোর জন্য। আমার একটা ই স্বপ্ন প্রকৃতি সবুজ শ্যামলী তৈরি করা, যাতে মানুষ কখনো কষ্ট না পায় আর আমার জন্মভূমি যাতে সুন্দর থাকে। প্রতিদিন সকালে বের হলে মনে হয় প্রকৃতি যেন তার হাতছানি দিয়ে আমাকে ডাকছে তার আপন অলয়ে যাওয়ার জন্য। আজও সকাল সকাল বের হয়ে গেলাম গাছ রোপণ করার জন্য। চলতে চলতে নিজের গ্রাম পাড় হয়ে অন্য এক গ্রামের রাস্তাতে এসে গেলাম সাথে কয়েকটা গাছ সাইকেলের মাঝে রাখা আর ছোট্টখাটু একটা মাটি কুড়ানোর জন্য জিনিস যেটা দিয়ে গর্ত করে গাছ রোপণ করি। রাস্তার আশেপাশে দেখলাম প্রায় ই খালি কোনো গাছ নেই তাই সাইকেলটা রেখে মাটি কুড়ানো জিনিসটা নিয়ে কয়েকটা গর্ত কুড়া শুরু করে দিলাম। তখন একটা লোক এসে বলতে লাগলো

>>এই যে বাবা তুমি এখানে বসে বসে কী করছ?

>>জি চাচা গাছের চারা লাগাবো তাই গর্ত করছি।

>>অ খুব ভালো তা বাবা তোমার বাড়ি কোথায়? এই গ্রামের তো মনে হয় না।

>>আপনার পাশে গ্রামে আমি থাকি চাচা তাই আগে দেখেন নি আর আমার গ্রামে রাস্তাঘাট প্রায় গাছ দিয়ে পরিপূর্ণ তাই আপনাদের গ্রামে এসেছি গাছ লাগানোর জন্য।

>>তুমি খুব ভালো কাজ করছ সবাই যদি তোমার মতো বুঝতো তাহলে রাস্তাঘাটে বৃক্ষের অভাব থাকতো না। কিন্তু বাবা তুমি গাছ কিনার জন্য টাকা পাও কোথায় থেকে?

>>চাচা আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ই, আপনে আবার ভেবে বসবেন না যে আমি ধনীর পরিবারে ছেলে। হুম চাচা কয়েকটা টিউশনি করি সেখান থেকে যা টাকা আসে তা দিয়ে গাছের বীজ কিনি কারণ চারা অনেক দাম আর আমি নিজে চারা উৎপাদন করে তা কিছুটা বড় হলে রোপণ করি (আমি চারা গর্তের  মাঝে রেখে মাটি দিতে দিতে বলতে লাগলাম)

>>হ্যাঁ বাবা তোমার মতো মানুষ পাওয়া পায় কঠিন, দোয়া করি তুমি অনেক বড় হও
আর তোমার নাম যাতে সবার মুখে মুখে থাকে, কিন্তু বাবা আমি এখন যায় বাজারে যেতে হবে ভালো থাকো।

>>আচ্ছা চাচা আপনেও ভালো থাকবেন।

তারপর আমি আমার সাইকেলে রাখা ৫টা চারা রোপণ করে খেয়াল করলাম আরো জায়গা রয়েছে গাছ লাগানোর জন্য কিন্তু আমার সাথে আর কোনো চারা নেই তাই ভাবলাম বিকালে এসে সাইকেলে পিছুনে করে আরো কয়েকটা চারা লাগিয়ে যাবো। আমাকে যে প্রকৃতি সবুজ শ্যামলী করতে ই হবে।

অ sorry আপনাদেরকে পরিচয় দেওয়া হয় নি। আমি রাহিম, এইবার অর্নাসে ২য় বর্ষে পড়ছি। কলেজে সবাই আমাকে বৃক্ষপাগল বলে ডাকে কারণ গাছ হলো আমার জীবন তাই আর তারা আমাকে প্রায় ই গাছ রোপণ করতে দেখে সেই থেকে নাম পড়েছে বৃক্ষপাগল। বাবা বলে শুধু শুধু কার জন্য এইসব করছিস গাছ লাগানো। তখন আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে দেয় সেটা তো সময় বলবে বাবা আমি কী করে বলবো তবে হ্যাঁ প্রকৃতি প্রেমে পড়ে বলতে পার তার জন্য এইসব করছি। ছোট্টবেলা থেকে প্রকৃতি নিয়ে বই পড়তাম সে থেকে মনে হয়েছে আমার কিছু একটা করা দরকার, না হলে আমার জন্মভূমি বৃক্ষহীন হয়ে যেতে পারে। তখন থেকে নিজের টাকা এক এক করে জমিয়ে চারা কিনতাম বাড়ির চারপাশে লাগানো জন্য। পরে ভাবলাম শুধু বাড়িতে লাগিয়ে কী হবে অনেক জায়গা ই তো আছে যেখানে গাছ নেই, তাই চারা কিনার জন্য টাকা বেশির বলে বীজ কিনতে লাগলাম আর নিজের বই এর থেকে অনেক কিছু জেনে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা শিখে গেলাম, সে থেকে গাছ লাগানো শুরু।কিন্তু আমার মতো বৃক্ষপাগলকে কেউ ভালোবাসবে ভাবতে পারি নি। হ্যাঁ আমার gf আছে নাম জান্নাত। কলেজ জীবন থেকে তার সাথে পরিচয়, তো আমি একদিন বললাম জান্নাতকে। আচ্ছা জান্নাত  তুমি আমাকে এত ভালোবাস কেন? সে বলে রাহিম তুমি যেমন প্রকৃতি, জন্মভূমি আর গাছকে ভালোবাসা  তার জন্য তোমাকে আমি ভালোবাসি  কারণ তোমার মন অনেক সুন্দর হবে যা কোটি টাকা দিয়েও কিনা যাবে না। আমি তো জান্নাতে কথা শুনে পুরা অবাক হয়ে গেলাম, যেক্ষেত্রে সবাই বৃক্ষপাগল বলে আর সে কিনা সব জেনে ই আমাকে এত ভালোবাসে। 

সাইকেল দিয়ে বাড়িত আসতে ই জান্নাতের কল তাই রিসিভ করলাম

>>কোথায় তুমি রাহিম আজ কলেজে আসবে না নাকি?

>>হ্যাঁ আসবো তো, ২০মিনিটের ভিতরে আমি কলেজে আসছি তুমি অপেক্ষা করো।

>>আচ্ছা বাবু অপেক্ষা করছি তুমি তাড়াতাড়ি আসো।

>>আচ্ছা বাবুনী তাড়াতাড়ি আসবো মাত্র ২০মিনিট (বলে টু টু করে কলটা কেটে দিলাম)

তারপর হালকা নাস্তা করে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সাইকেল নিয়ে তাড়াতাড়ি চলতে লাগলাম। কলেজে ঢুকে দেখি জান্নাত দাঁড়িয়ে আছে আমাকে দেখা মাত্র একটা মুচকি হাসি দিলো আর আমি সাইকেল তালা দিয়ে জান্নাতের কাছে এসে বলতে লাগলাম।

>>কী ব্যাপার ক্লাস শুরু হতে তো আরও ৩০মিনিট এত তাড়াতাড়ি বললে যে আসতে?(আমি হাতের ঘুড়ি দেখে)

>>তুমি তো আমাকে সময় ই দিতে পারো না, যখনি বলি বিকালে চলো ঘুরে আসি, তুমি বলো গাছ লাগাতে যাবে তাই ক্লাস শুরু হবার ৩০মিনিট আগে বলেছি এইজন্য চলো দুইজন কলেজের পার্কে গিয়ে দুইজনের হাত ধরে হাঁটি।

>>আচ্ছা চলো তোমার যখন এত ইচ্ছে।

তারপর পার্কে গিয়ে আমরা দুইজন হাত ধরে হাঁটতে লাগলাম তখন ক্লাসে সাঈম আমাকে দেখে বলতে লাগলো। দেখ দেখ বৃক্ষপাগল যাচ্ছে, তোরা জানিস আজ আমাদের গ্রামে গিয়ে রাহিম চারা লাগিয়ে এসেছে(এই বলে হাসতে লাগলো)

সাঈম ভাইয়া আপনে জানেন গাছ কত উপকারি প্রকৃতির জন্য, আপনার মতো মানুষ জীবনে দেখি নি। জান্নাত সাঈমকে অনেক বকাবকি করে আমার সাথে আবার চলতে লাগলো কলেজের দিকে, অবশ্যই আমি কোনো কথা বলি নি কারণ যারা আমাকে বৃক্ষপাগল বলে তাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন আমি মনে করি না। ক্লাস রুমে এসে জান্নাত বলতে লাগলো

>>আজ কী সকালে গাছের চারা লাগাতে গিয়েছিলে?

>>হ্যাঁ গিয়েছিলাম তো আমাদের পাশে গ্রামে।

>>সেইখানে গিয়ে আর গাছের চারা লাগানো দরকার নেই।

>>সেখানে রাস্তাতে প্রায় গাছ নেই বললে চলে, তুমি সাঈম এর কথা জন্য বলছ তাই না। দেখ জান্নাত কে কী বলুক তা শুনে লাভ নেই বরং নিজের মতে চলা বুদ্ধিমানের কাজ।

>>আচ্ছা তোমার যা খুশি করো তবে অর্নাস পাশ করে, একটা চাকরি জোগাড় করে আমাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে ই হবে।

তারপর ক্লাস করে কলেজ থেকে বাড়িতে এসে গোসল করে কিছু খেয়ে বাড়িতে রাখা চারাগুলোর আগাছা দমন করতে লাগলাম। বিকালে গিয়ে আবারও কয়েকটা চারা পাশে গ্রামে লাগিয়ে দিয়ে আসলাম। তো  এইভাবে গাছ লাগানো মাঝ দিয়ে যাচ্ছিল আমার দিনকাল। সময় যেতে যেতে আমি অর্নাস পরীক্ষা দিয়ে পাশ করি,অনেক ভালো রেজাল্টে কিন্তু পাশ করার পর চাকরির প্রতি কোনো খেয়াল ই ছিল না। সারাদিন ঘুরে ঘুরে গাছ লাগানো, মাঝে মাঝে লাগানো গাছগুলো দেখে আসা ঠিক মতে বড় হচ্ছে কিনা আর যত্ন করা এইসবে মাঝে যখন সময় যাচ্ছিল, তখনি জান্নাত বললো দেখা করতে কলেজে পার্কে।আমি এসে দেখি জান্নাত বসে আছে

>>হ্যাঁ জান্নাত বলো কেমন আছ? (আমি পাশে বসে)

>>হুম ভালো তুমি?

>>হ্যাঁ আমিও ভালো তবে যদি আমার কাছে অনেক টাকা থাকতো তাহলে আরো ভালো থাকতাম।

>>কেন টাকা দিয়ে কী করবে? আর তোমার হাতে ব্যাগে কী শুনি?

>>টাকা পেলে তা দিয়ে আমি আরও বীজ কিনবো বেশি করে আর তা থেকে চারা তৈরি করবো আর সেইগুলো লাগাবো।  sorry বলতে ভুলে গিয়েছে ব্যাগে তোমার জন্য অনেক পেয়ারা এনেছি নেও।

>>লাগবে না তোমার পেয়ারা তুমি খাও , বলো অর্নাস পাশ করছে কতদিন হয়েছে? 

>>এই তো বেশি না মাত্র ৫মাস মানে ১৫০দিন কেন?

>>তোমাকে না বলেছিলাম অর্নাস পাশ করার পর তাড়াতাড়ি চাকরি নিতে।

>>চাকরি দিয়ে কী করবো। তুমি কী জানো আমার লাগানো গাছগুলো বড় হয়ে কতো ফল দিয়েছে, মাঝে মাঝে সেইগুলো পেরে বিক্রি করি,  মোটামোটি অনেক টাকা আসে সে টাকা কিছুটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা দিয়ে বীজ কিনি যাতে আরো গাছ লাগাতে পারি।

>>রাহিম তুমি হয় তো জানো না আব্বু বিয়ের জন্য যখন পড়ালেখা করতাম কলেজে তোমার সাথে তখনি চাপ দিয়েছিল কিন্তু অর্নাস পর্যন্ত না পড়ে বিয়ে করবো না বলে দিয়েছিলাম তাই এতদিন কিছু বলে নি, কিন্তু অর্নাস পাশ করার পর প্রতিদিন ই আব্বু বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে আর তিনি বলে এখন বিয়ে ঠিকও করে ফেলেছে। আমি এখন কী করবো ? তুমি যদি চাকরি করতে না হয় আব্বুকে বলে বুঝাতে পারতাম আমাদের বিয়ে জন্য।

>>আচ্ছা তোমার আব্বুর সাথে আমি দেখা করবো কালকে আর আমাদের কথা বলবো হয়েছে।

>>কিন্তু আমার যে ভয় করছে আব্বু কী রাজি হবে?

>>তুমি ভয় করো না তো, দেখে নিও তোমার আব্বুকে আমি রাজি করাবো। এখন চলে তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসি।

>>আচ্ছা চলো।

তারপর আমি জান্নাতকে তার বাসাতে দিয়ে ভাবতে লাগলাম, জান্নাতে বাবাকে আসলে কী বলবো? তিনি কী তার মেয়ে আমার হাতে দিতে রাজি হবে সুতরাং এইসব কথা শুধু মাথাতে ঘুরছে। বাড়িত গিয়ে রাতে প্রায় ঘুম হয় নি চিন্তাই চিন্তাই।

সকালে উঠে বাড়িতে রাখা উৎপাদন চারাগুলো পানি দিয়ে রেডি হয়ে গেলাম জান্নাতে বাসাতে যাওয়ার জন্য। সাইকেল নিয়ে চলতে লাগলাম কারণ জান্নাতে বাসা আমাদের গ্রামের দুই গ্রামের পর মানে দূরে আর কী, তাই সাইকেল দিয়ে চলতে লাগলাম।
বাড়িত আসতে ই জান্নাত ভিতরে নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বললো। তুমি এখানো বসো আব্বু আসছে।আমি চারদিকে ঘুরে দেখতে লাগলাম আর যা বুঝলাম জান্নাতে বাবা অনেক ধনী হয় তো  , তখনি জান্নাতের বাবাকে আসতে দেখলাম আর আমি সাথে সাথে সালাম

>>আসসালামু অলাইকুম

>>ওয়ালাকুম আসলাম কে বাবা তুমি?

>>জান্নাত কী আপনাকে কিছু বলে নি আংকেল।

>>না তো।

>>বুঝতে পেরেছি আসলে আংকেল জান্নাত আপনাকে খুব ভয় করে তো তাই বলতে পারে নি হয় তো। কথাটা হলো এই যে আমি আর জান্নাত দুইজন দুইজনকে ভালোবাসি আর বিয়ে করতে চাই যদি আপনে রাজি হন।

>>কী করো তুমি?

>>জি আংকেল গাছ লাগায় আর সেই গাছের থেকে জীবন চলার জন্য প্রয়োজন টুকু অর্থ  পাওয়া  যায় যদিও আমি আপনার মেয়েকে
কখনো দামি জিনিস কিনে দিতে পারবো না কিন্তু সব সময় সুখে রাখতে পারবো আর পড়ালেখা মনে করবেন না কম আমি অর্নাস পাশ করেছি কিন্তু প্রকৃতিকে ভালোবাসি বলে তার পিছু লেগে আছি।

>>তুমি যান জান্নাতে সাথে যে ছেলে বিয়ে ঠিক করেছি সে কী করে? সে একজন ইঞ্জিনিয়ার আর তার বেতন মাসে যত টাকা তুমি চোখে একসাথে হয় তো জীবনে দেখ নি। তোমার মতো ছোট্টলোকে কাজ বড় লোকে মেয়েকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করা তারপর তার বাবার সম্পদ ভোগ করা।

>>ব্যাস আর বলবেন না তবে একটা কথা বলে যায় একদিন আমার জন্য আপনে আপসোস করবেন। আপনার মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম অর্থকে নয় কিন্তু আপনে বুঝলেন না, ভালো থাকবেন আর আমার জান্নাতকে কষ্ট দিবেন না।

এই বলে চোখের অশ্রু ফেলতে ফেলতে বাড়িতে চলে গেলাম।  কয়েকদিন পরে শুনি জান্নাতে বিয়ে হয়ে গেছে, অবশ্যই জান্নাত আমার সাথে দেখা করে অনেক কান্নাকাটি করেছিল বিয়ের আগে আর বলেছিল পালিয়ে যেতে। আমি তখন বলেছিলাম বাবা, মাকে কষ্ট দিও না আর তারা যা বলে তাই করো।নিজের ভালোবাসা তো চলে গেল এখন প্রকৃতি নিয়ে আছি।

৫বছর পর

একদিন আমি সাইকেল দিয়ে এক জায়গাতে যাচ্ছি গাছ লাগানোর জন্য তো রাস্তাতে সাইকেলে চেইন পড়ে গেল, তখনি পিছুনে একজন বলে উঠলো

>>আরে সেই ছেলেটা না তুমি বাবা যে আমাদের গ্রামে অনেক গাছ লাগিয়ে গিয়েছে।

>>হ্যাঁ চাচা আপনার মনে আছে এত বছরের আগের কথা।(আমি ফিরে তাকিয়ে)

>>মনে থাকবেন না কেন বাবা। তোমার কথা তো সবাই বলে। তুমি যান তোমার এই গাছ থেকে কত ফল খেয়েছি, এমন কী আমার নাতিন নাতনীরা তোমার লাগানো গাছে উঠে ফল খাই। বাবা চলো আমার বাড়িতে কিছু খেয়ে যাবে।

>>না চাচা থাক আরেকদিন যাবো।

>>না তোমাকে আমার সাথে যেতে ই হবে।

সুতরাং যেতে ই হলো আর সেই চাচা গলা পর্যন্ত ভরে বিভিন্ন জাতের খাবার খাওয়া দিলো তবে চাচা প্রথম বলা যায় না কারণ এর আগেও অনেক মানুষে ই তার বাসাতে নিয়ে অতীতে মতে খাওয়াছে অনেক আর এখন আমার নাম পড়েছে সেই ছেলেটা। যেখানে যাবো যে চিনবে বলবে সে ছেলেটা না তুমি। আশাপাশে সব গ্রামের লোকরা আমাকে চিনে, তো গাছ লাগিয়ে বাসাতে গিয়ে শুয়ে ছিলাম তখনি একটা চিঠি আসে। চিঠি পড়ে তো নিজের চোখে বিশ্বাস হচ্ছে না কারণ আমাকে পরিবেশ দিবস উপলক্ষা ঢাকাতে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে আর আমাকে পুরষ্কিত করা হবে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে।

চিঠির দেওয়া তারিখে আমি ঢাকা গিয়ে, চিঠির দেওয়া নামে জায়গাতে গিয়ে বসে আছি চেয়ারে কিছুক্ষণ পর পুরিষ্কিত করা হবে।মহলে ঢুকার আগে কিছু পুলিশ আমাকে দেওয়া  চিঠিটা ভালো করে দেখলো আর যন্ত্র দিয়ে অলবডি দেখলো কিছু আছে কিনা।
এখন আমি বসে আছি হঠাৎ আমার নাম উচ্চারণ করলো সাথে অনেকগুলো ছবি দেখালো যেখানে যেখানে আমি গাছ লাগিয়েছি।
আমি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যায় তিনি আমাকে স্বর্ণের মেডেল পড়িয়ে হাতে ১০লক্ষ টাকা চেক তুলে দেন আর বললেন এই টাকা দিয়ে যাতে আমি আরো গাছ লাগায়,চোখে তখন পানি এসে গেল। ক্যামেরা ছিল প্রায় আমার দিকে বাংলাদেশে এখন প্রতিটি মানুষ দেখছে আমাকে। হয় তো গ্রামের সেই লোকজন দেখছে সেই ছেলেটা আজ পুরষ্কিত হচ্ছে।

(সমাপ্ত)