দূরপাল্লার গাড়ি শহর ছেড়ে ছুটে চলেছে এক অজানা আনন্দের পথে। রাজধানী শহর ছেড়ে রাতের দৃশ্যটা বেশ মনোরম। স্নিগ্ধ রাতের আকাশ। স্বচ্ছ আকাশে তারাদের মেলা। দেখতে অনেকটা সারি সারি মিছিলের মতো। আলোর মিছিলে মুগ্ধতার আকাশ….
হাইওয়ে রাস্তার দু’পাশে সারি সারি গাছ। এর মাঝ দিয়ে লাক্সারি গাড়ি এগিয়ে চলেছে। রাতের পরিবেশ। এখানে আলো-আঁধারির খেলা। আকাশে তারাদের মেলায় চোখ জুড়ায়। তিতলি মাহির কাঁধে মাথাটা এলিয়ে দেয়। কেমন একটা প্রশান্তির আবেশ অনুভব করে সে।
মাহিও নিজেকে অনুভব করে এক অন্যজগতে। ঘাস রঙা শাড়িতে তিতলিকে অপূর্ব লাগছে। কপালে কালো টিপ। দু’হাতে সবুজ, নীল রংয়ের কাঁচের চুড়ির রিনিক ঝিনিক। তিতলির এলোচুল থেকে মিষ্টি এক সুঘ্রাণ আবৃষ্ট করছে মাহিকে। তিতলিকে জড়িয়ে ধরে সেই সুঘ্রাণ আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করে।
হঠাৎ মাহির চোখে ভেসে ওঠে একটি দৃশ্য-
কাঁচের চুড়ির সেই রিনিক ঝিনিক শব্দ বেজে ওঠে। মাহি ভেতরে ভেতরে বেশ পুলকিত অনুভব করে। মনে পড়ে, বান্ধবীদের সহ এক বৈশাখী মেলায় দেখা হয় তিতলির সংগে। সেদিন পড়েছিলো সাদা-লাল শাড়ী। কপালে কালো টিপ। মেলার এক পাশে ছিলো প্রসাধনী সামগ্রী। সেখানে কাঁচের চুড়ি সারি সারি সাজানো। এক ডজন সাদা-লাল চুড়ি পছন্দ করে তিতলি। দোকানি মেয়েটা কাঁচের চুড়ি পড়িয়ে দেয়। তিতলি হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে গিয়ে কাচের চুড়ির রিনিক ঝিনিক শব্দ। এই রিনিক ঝিনিক শব্দে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে তিতলিকে। চোখে চোখ পড়তেই সে একটু আলতো করে চোখটা একটু সরিয়ে নেয়। একটা মুগ্ধতার ছোঁয়া। তিতলি পাশ ফেরাতেই দেখে ছেলেটি পাশেই। এবার সামনা সামনি হতেই ছেলেটি বলে, চুড়িগুলো বেশ মানিয়েছে আপনাকে। সেই ছেলেটির কথা আজ মনে পড়তেই মাহির মুখে এক অপূর্ব হাসি।
- এই তিতলি, শোন না! ফিসফিস করে মাহি তিতলির কানে বলতে থাকে।
- হু!
- সোনা পাখি আমার, একটু শোন! আবারও ফিসফিস করে ডেকে যায় মাহি।
- হু!
- ঘুম ঘুম চোখে, ডুবে আছো ঘুমে সোনা পাখি আমার! মাহি আলতে করে ডাকতে থাকে এবার।
- হু! যেনো তন্দ্রা জড়ানো কণ্ঠের প্রতিধ্বণি।
তিতলি তো এক মোহাবিষ্টের মাঝে ডুবে আছে, গভীরভাবে ডুবে যাওয়ার এক ছোঁয়া। অজান্তে মনের আকুতিগুলো খেলা করে।একটু তন্দ্রা জড়ানো ভাব নিয়ে কিছু স্মৃতি মনে পড়ছে তার।
কাঁচের চুড়ির সেই রিনিক ঝিনিক শব্দ মাহির ভীষণ প্রিয়। একবার দেখা হলো মাহির সংগে। অদ্ভূত সে এক অনুভূতি। সেদিন প্রিয় রঙের চুড়ি পড়েছিল। একটা রেস্টুরেন্টে মাহি অপেক্ষা করছিল মাহি। ঠিক পিছন থেকে তিতলি ইচ্ছে করেই দু’হাতে চুড়িতে একটু টোকা দেয়। বেজে ওঠে সেই চুড়ির রিনিক ঝিনিক শব্দ। চমকে ওঠে মাহি। পিছন ফিরে তাকাতেই তিতলি সামনে চলে আসে। বেশ হাসি-খুশি মুখে তিতলিকে বসার আমন্ত্রণ জানায়। এবার একপাশে লুকিয়ে রাখা ফুলের তোড়া এগিয়ে দেয় মাহি। তিতলি তো অবাক। কি সুন্দর আকর্ষনীয় ফুল দিয়ে সাজানো তোড়া! তিতলি বলে ওঠে, “ওয়াউ খুব সুন্দর!” তার ভালোলাগার অনুভূতি সারা মন জুড়ে। মনের রাজ্যে একটু অন্যমনস্ক ছিলো তিতলি। সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে মাহি তিতলির দু’হাত ধরে বলে, খুবই সুন্দর লাগছে তোমাকে। চুড়িগুলো বেশ অপূর্ব!
হঠাৎ হাত ধরে তিতলিকে ডাক দেয় মাহি। সামান্য যাত্রা বিরতি। একটা রেস্টুরেন্টে এসে গাড়িটা থেমে যায়। দু’জনেই গাড়ি থেকে নেমে আসে।
২.
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাড়িটা আবার যাত্রা শুরু করে। দু’পাশে রাতের দৃশ্যটা বেশ অন্যরকম লাগছে তিতলির। সে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছে।
ওরা দু’জনই গতকাল সকালে বাসা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছে। দু’জন এতো কাছে চলে এসেছে যে, আর পিছনে ফেরার অবকাশ নেই। দু’জনের মাঝে গড়ে ওঠেছে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস। এর নাম বুঝি ভালোবাসা? কখনো মান, কখনো অভিমান= মান-অভিমান==ভালোবাসা।
গাড়িতে বলা যায়, প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। রাত অনেক। রাত প্রায় ২.০০ টার কাছাকাছি। তিতলির ঘুম আসছে না। মাহিও জেগে আছে। তিতলির একটা হাত ধরে কখনো বাইরে রাতের প্রকৃতি, কখনো ওকে দেখছিলো মুগ্ধ হয়ে।
- আচ্ছা তোমাকে কয়েকবার ডেকেছিলাম। তুমি শুধু ‘হু’ বলে যাচ্ছিলে। কিসের মাঝে ডুবেছিলে বলো তো?
- একটা অন্যজগতে ডুবে ছিলাম। কিছু স্মৃতি, মধুর স্মৃতি কাছে টেনেছিলো।
- তাই বুঝি?
- হুম। পরে কি তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে?
- না, না। ঘুমিয়ে পড়িনি। একজনের কথা মনে করছিলাম, মনের মাঝে যে বসত করে তাকে।
- বেশ করেছো।
- আমার না ভীষণ ইচ্ছে করছে। খুব….
- কি ইচ্ছে করছে?
তিতলির চোখের গভীরে তাকিয়ে বলে ওঠে, খুব ইচ্ছে করছে। এই বলে তিতলির দু’হাত ধরে। একটু কাছে আসতে চাচ্ছিলো মাহি।
- কে আছো বাঁচাও! ডাকাত পড়েছে। খুব ক্ষীণ কণ্ঠের আওয়াজ।
যথাসাধ্য তিতলি হাতের শক্তি দিয়ে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে কিছুক্ষণ। কিন্তু মাহির দৃপ্ত হাতের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় সে।
- এখন না, পরে প্লিজ। কেউ দেখবে তো।
- কারো দেখতে বয়ে গেছে। সবাই তো ঘুমের রাজ্যে। আমি খেয়াল করেছি কেউ আমাদের দিকে তাকিয়ে নেই।
তারপরও মুখটা একটু নিচের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে তিতলি। সেই উদ্যোগও শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। ক্রমশ: ঘন নি:শ্বাস ফেলতে থাকে সে। বুকে একটা আনন্দমিশ্রিত কাঁপুনি! মাহির প্রখর তপ্ত ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করে। একটা অচেনা স্বাদের আস্বাদন তোলপাড় হয় তিতলির মাঝে। শিহরিত হয়ে যায় ওর সবকিছু।
একটা আনন্দমিশ্রিত কান্নার ঢেউ আসে। ক্ষীণ কন্ঠের আওয়াজ!
- এই সোনা পাখি কি হয়েছে তোমার? এভাবে কাঁদছো কেনো?
- কথা দাও আমায়, আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না তুমি, বলো।
- ও আমার সোনা পাখি তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি? তুমি তো রয়েছো আমার মনেরও গভীরে।
৩. ভোরে মৃদু-মন্দ বাতাস বইছে। এখন বাইরের প্রকৃতি বেশ মনোমুগ্ধকর। রাস্তার দু’ধারে পাহাড়, সারি সারি গাছ। মাঝে মাঝে মনে হয় প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য দিয়ে পৃথিবীকে সাজিয়ে তুলেছে। এই মুহূর্তে তিতলি কিছুটা প্রকৃতির রহস্য অনুভব করছে। মাহির দু’চোখ বুজে আছে ঘুমে। দু’হাত দিয়ে ওর চুলে আদর করতে থাকে। আলতো করে ওকে ডাকতে থাকে।
- এ্যাই শুনছো! একটু ওঠো না।
কোমল স্পর্শ আর মিষ্টি কন্ঠের আওয়াজে মাহি জেগে ওঠে। তিতলির হাত দুটি কাছে নিয়ে আসে, একেবারে ঠোঁটের কাছে। সুন্দর একটা অনুভূতিতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
- হু, বলো না। কিছুটা তন্দ্রা জড়ানো ভরাট কন্ঠ।
- দেখো, দেখো বাইরে খুব সুন্দর দৃশ্য!
- তাই তো খুব চমৎকার! আমারও ভীষণ ভালো লাগছে।
- সত্যি তোমাকে নিয়ে খুব উপভোগ্য সময় আমার। তোমাকে এভাবে পাবো কখনো ভাবিনি। এই মুহূর্তে তোমাকে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না।
তিতলি আবারও মাহির বুকে ঠাঁই নেয়। গভীর আকুতিতে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে মাহিকে।
সি বিচের কাছাকাছি একটা হোটেলে উঠে পড়লো ওরা। আগে থেকে হোটেল বুক করা ছিলো। ওদের রুমের চাবি নিয়ে দু’জনে ঢুকে পড়ে। তিতলি সুটকেস থেকে প্রয়োজনীয় সব কাপড়-চোপড় বের করে গুছিয়ে রাখে। মাহিও কিছুটা হেল্প করতে থাকে।
- এ্যাই, তুমি আগে ওয়াশরুমে যাও। আমি আর একটু গুছিয়ে নিচ্ছি।
অল্প সময়ের মধ্যে মাহি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে। হালকা সবুজ পাঞ্জাবি আর জিনস প্যান্ট পড়ে আজকের পেপারে চোখ বুলাতে থাকে। শীর্ষ নিউজগুলো এবং কিছু আর্টিকেল পড়ে নেয়। এর মধ্যে তিতলিও ফ্রেশ হয়ে আসে তিতলি সাদা, সবুজ আর বেগুনি রঙয়ের সালোয়ার কামিজ পড়ে।
মাহি তিতলিকে অনেকক্ষণ ধরে দেখতে থাকে মুগ্ধ হয়ে।
- কি দেখছো ওমন করে?
- দেখছি, অপূর্ব লাগছে তোমাকে!
- যাহ! কি যে বলো না তুমি।
নিচে হোটেলের নিজস্ব রেস্টুরেন্টে খাবার সেরে নেয় মাহি ও তিতলি। এবার দু’জন সি বিচের উদ্দেশ্যে বের হয়। হোটেল ছেড়ে সি বিচের কাছাকাছি আসতেই তিতলি মাহির হাত ধরে হাটতে থাকে। এক অন্যরকম ভালোলাগায় ছেঁয়ে যায় মন।
হাটতে হাটতে দুজন একটা ছাতার নিচে বসে পড়ে। পাশাপাশি বসে পড়ে। তিতলি মাহির হাত ধরে কিছু বলতে চায়।
- আচ্ছা, আমার বাসায় কিভাবে বোঝাবো আমাদের সম্পর্কটা? খুব চিন্তা হচ্ছে।
- অতো চিন্তার কিছু নেই। যা হবার তাই হবে। তবে আত্মীয় বা বড়দের মধ্যে কার সংগে তোমার সম্পর্ক ভালো এমন কাউকে খুঁজে বের করবে।
- ও মনে পড়েছে আমার ফুফাত বোন তানিয়া আপু ও তোমার সম্পর্কে ভালো জানে। একমাত্র ওই পারে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে।
মাহি কোনোভাবে মাকে বোঝাতে পারলে বিষয়টা অনেক হালকা হয়ে আসবে। আত্মীয় স্বজন এ বিষয়ে কোনোরূপ উচ্চবাক্য করতে পারবে না। এভাবে ওরা বেশকিছু সময় নিজেদের মাঝে আলাপ-আলোচনা চালাতে থাকে।
দুজনের কি চমৎকার সম্পর্ক! মনে হয় কত মধুর সম্পর্ক ওদের। আসলেই তাই। দুজনের ঘনিষ্টতা যে কাউকে অবাক করে দিবে। ওরা আরো আলাপচারিতায় মুখরিত হয়।
একসময় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। সাগর তীরে গোধুলী আভায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ওরা দু’জন উপভোগ করছে সেই দৃশ্য।
সুন্দর এ দৃশ্য উপভোগ করে ওরা দু’জন আবার হোটেলে ফিরে আসে। ওদের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয় দু’জন। এবার রাতের খাবার সেরে নেয়।
- আচ্ছা, তুমি কি আমার সেই প্রথম ভেলেনটাইনস ডে তে দেয়া নীল শাড়িটা সংগে নিয়ে এসেছো। মাহি তিতলিকে জিজ্ঞেস করে।
- নিয়ে এসেছি তো। ভাবছি ওটাই পড়বো।
- তোমাকে বেশ মানাবে কিন্তু।
রাতের খাবার শেষ হলে হোটেলে ওদের রুমে এসে তিতলি পোষাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। মাহির সংগে তিতলির সম্পর্কটা প্রায় দু’বছর হতে চলেছে। এর মাঝে প্রথম ভেলেনটাইনস ডে তে মাহি ওকে একটা নীল শাড়ি উপহার দিয়েছিলো সেটা পরে নেয়।
খুব মুগ্ধ হয়ে মাহি তিতলির হাতে একটা রিং পড়িয়ে দেয়। ওর ডান হাতে একটা চুমু দেয়।
আবার দু’জনে সাগর সৈকতে চলে আসে। চারিপাশে অদ্ভূত আলো খেলা করছে। মায়াময় জোছনা হাতছানি দেয়।
চাঁদের নীল আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। সেই উজ্জ্বলতা ক্রমশ: বাড়তে থাকে। তিতলিও চঞ্চল হয়ে ওঠে। মনের মাঝে এক ধরনের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে। দু’জন হাটছিলো বেশ উচ্ছ্বলতায়।
- সত্যি আজকের দিনটা খুব স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তিতলি বলে ওঠে।
- আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তগুলো উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিবে একদিন।
- কে জানতো এমন স্বপ্নময় মুহূর্তগুলো আমার কাছে এভাবে ধরা দিবে। আবারও উচ্ছ্বল হয়ে ওঠে তিতলি।
হঠাৎ তিতিলি একটু সামনের দিকে এগুতে থাকে।
একটু দৌঁড়াতে থাকে তিতলি। পিছন পিছন মাহি দৌঁড়াতে থাকে। যেনো লুকোচুরি খেলার দৌড় আর কি। কিছুক্ষণ এভাবে দৌঁড়ানোর পর মাহি তিতলিকে ডাকতে থাকে।
একসময় তিতলি পায়ের একটা পায়েল খুলে যায়। মাহি পায়েলটা তুলে নেয় হাতে। আবার ডাকতে থাকে,
- সোনা পাখি, একটু দাঁড়াও।
ও থামতে চায় না। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে তিতলি সমুদ্রের বিশাল জলরাশির দিকে ছুটে যায়। খুব উচ্ছ্বলভাবে হাসছে ও। সেই হাসিটা প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।
মাহি এবার জোড়ে ছুটতে থাকে ওর দিকে।
- দাঁড়াও তিতলি, আর সামনে যেও না। দাঁড়াও বলছি বলে মাহি চিৎকার করে ছুটে চলে।
সামনে অনেকটা আলো-আঁধারির খেলা। তিতলিকে আর চোখে পড়ছে না। মাহি দেখতে পায় সামনে শুধু সুমদ্রের ফেনিল ঢেউ। অন্য কিছুর অস্তিত্ব দেখতে পায় না ওই ঢেউয়ের মাঝে।
মাহি আরো জোড়ে চিৎকার করে ডাকতে থাকে এদিক ওদিক। ভেতরে প্রচন্ড হাহাকার অনুভব করতে থাকে। সামনে আর অগ্রসর হতে পারে না। এ কোন্ অনাকাঙ্খিত ঝড়ে তছনছ করে দেয় মাহির সাজানো বাগান।
এই দুনিয়াতে তিতলিই তো তার সোনা পাখি। আর কেউ আপন ছিলো না। যাকে নিয়ে তার চিরদিনের স্বপ্ন তাকে হারানো মানে কতোটা মর্মস্পর্শী চিন্তা করতে পারে না কিছুতেই। মাহির চোখে গহীন অন্ধকার। তিতলিকে ধরে রাখতে না পারার যন্ত্রণা কতো বেদনাদায়ক হতে পারে তার জন্যে। কালবৈশাখী ঝড়ের প্রকোপে মাহির বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যায় গভীর শূণ্যতায়…..।
তিতলি কি তবে হারিয়ে গেল রাতের আকাশে তারাদের মিছিলে। চাঁদের নীল আলোয় থমকে দাঁড়ায় মাহি। তার সোনা পাখি এভাবে চলে যেতে পারে না তাকে ছেড়ে। কিছুতেই না। আর কিছু ভাবতে পারে না মাহি। ক্রমশ: চোখ ছোট হয়ে আসে। এমনকি সবকিছু ম্লান হতে থাকে। চাঁদের নীল আলোয় সৈকতে মাহির অবশ দেহ লুটিয়ে পড়ে।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ